আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে আরও অন্তত ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ে সমালোচকের অভাব নেই। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্কও বাজেট বিলকে ‘ঘৃণ্য জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন। এই বিপুল ঋণের বোঝা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্ব আর কতদিন ‘আংকেল স্যাম’কে ঋণ দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এই উদ্বেগগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ডলারের দুর্বলতা এবং আমেরিকাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের উচ্চ সুদের হার দাবি করতে শুরু করেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্ষিক আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কমানোর জন্য এই অর্থ ধার করতেই হয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে ডলারের দর পাউন্ডের বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ১৫ শতাংশ কমেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের খরচ সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদের হার এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য, যা ‘ইল্ড কার্ভ’ নামে পরিচিত, তা বেড়েছে বা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি মার্কিন ঋণ দীর্ঘ মেয়াদে কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার ইঙ্গিত দেয়।
অথচ, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের চেয়ে ধীরে সুদের হার কমিয়েছে, এতে ডলার শক্তিশালী হওয়ার কথা। কারণ, উচ্চ সুদ হারের কারণে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক আমানতে বেশি সুদ পেতে পারেন।
বিশ্বের বৃহত্তম হেজ ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রে ডালিও বিশ্বাস করেন, মার্কিন ঋণ একটি সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি অনুমান করছেন, বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হবে।
ডালিও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে (মার্কিন) সরকারের আর্থিক অবস্থা একটি বাঁক বদলের মুখে। যদি এখন এর মোকাবিলা না করা হয়, তবে ঋণ এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যেখানে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।’
এদিকে ট্রাম্পের নতুন বাজেট বিল কিছু ব্যয় হ্রাস করলেও, কর কমানোর পরিমাণ আরও বেশি, ফলে বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ বিপরীত দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ‘পারফেক্ট ক্রেডিট রেটিং’ হারিয়েছে।
যদি বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না যায়, তবে ভবিষ্যতে তিনটি সম্ভাব্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।
তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে প্রথম বিকল্পটি হলো সরকারি ব্যয় হ্রাস, বড় ধরনের কর বৃদ্ধি, অথবা উভয়ই। রে ডালিও পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান ৬ শতাংশ থেকে বাজেট ঘাটতি দ্রুত ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা ভবিষ্যতে বড় বিপদ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অতীতের সংকটের মতো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেডারেল রিজার্ভ) আরও বেশি ডলার ছাপিয়ে সরকারি ঋণ নিতে পারে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পরেও এমনটি করা হয়েছিল। তবে এই কৌশল মূল্যস্ফীতি এবং বৈষম্য বাড়াতে পারে, কারণ এতে বাড়িঘর এবং শেয়ারের মতো সম্পদের মালিকেরা শ্রমের মূল্যের ওপর নির্ভরশীলদের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হন।
তৃতীয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ বিকল্পটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া বা ডিফল্ট করা। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, তাই করছে না। এই পরিস্থিতিতে যদি মার্কিন ট্রেজারির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে, তাহলে ভয়ানক আর্থিক সংকটকেও ছোটখাটো পিকনিক বলেই মনে হবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আপাতত, সৌভাগ্যক্রমে, এর কোনোটিই ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। তবে এর কারণগুলো খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। বাস্তবতা হলো, আমরা পছন্দ করি বা না করি, ডলারের খুব বেশি বিকল্প এখনো বিশ্বে নেই।
অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক বন্ড বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ এল-এরিয়ান বিবিসিকে বলেন, অনেকেই ডলার ধারণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ডলারের ভার বেশি এবং বিশ্ব এটা জানে, এ কারণেই আমরা সোনা, ইউরো এবং পাউন্ডের উত্থান দেখেছি। কিন্তু বড় পরিসরে মুদ্রা পরিবর্তন করা কঠিন, তাই যাওয়ার মতো খুব বেশি জায়গা নেই।’ তিনি ডলারকে ‘পরিষ্কারতম নোংরা শার্ট’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি পরতেই হবে।
তবুও, ডলারের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বের বেঞ্চমার্ক সম্পদ—মার্কিন সরকারি বন্ড—নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, মার্কিন ঋণের মাত্রা এবং ডলারের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন না যে ডলার বর্তমানে মৌলিকভাবে হুমকির মুখে, তবে তিনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন এবং এটিকে তিনি অবমূল্যায়ন করছেন না।
তবে যাই হোক, ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ একটা অকল্পনীয় সংখ্যা! যদি একজন বিত্তবান দৈনিক ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলার সঞ্চয় করেন, তাহলেও এত টাকা সঞ্চয় করতে তাঁর ১ লাখ বছর সময় লাগবে!
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, ঋণকে একটি দেশের আয়ের শতাংশ হিসেবে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। মার্কিন অর্থনীতি বছরে প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে। যদিও এর আয়-ঋণের অনুপাত অনেকের চেয়ে বেশি, তবে জাপান বা ইতালির মতো নয়। এর পেছনে কাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী এবং সম্পদ সৃষ্টিকারী অর্থনীতি।
১৯৬৮ সালে উইলিয়াম এফ. রিকেনবেকার ‘ডেথ অব দ্য ডলার’ (Death of the Dollar) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। বইয়ে তিনি বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের মর্যাদার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রিকেনবেকার আর নেই—কিন্তু ডলার এখনো আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ডলারের এই মর্যাদা এবং মূল্য একটি ঐশ্বরিক অধিকার, যার কোনো ব্যত্যয় হওয়া সম্ভব নয়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে আরও অন্তত ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ে সমালোচকের অভাব নেই। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্কও বাজেট বিলকে ‘ঘৃণ্য জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন। এই বিপুল ঋণের বোঝা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্ব আর কতদিন ‘আংকেল স্যাম’কে ঋণ দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এই উদ্বেগগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ডলারের দুর্বলতা এবং আমেরিকাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের উচ্চ সুদের হার দাবি করতে শুরু করেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্ষিক আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কমানোর জন্য এই অর্থ ধার করতেই হয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে ডলারের দর পাউন্ডের বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ১৫ শতাংশ কমেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের খরচ সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদের হার এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য, যা ‘ইল্ড কার্ভ’ নামে পরিচিত, তা বেড়েছে বা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি মার্কিন ঋণ দীর্ঘ মেয়াদে কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার ইঙ্গিত দেয়।
অথচ, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের চেয়ে ধীরে সুদের হার কমিয়েছে, এতে ডলার শক্তিশালী হওয়ার কথা। কারণ, উচ্চ সুদ হারের কারণে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক আমানতে বেশি সুদ পেতে পারেন।
বিশ্বের বৃহত্তম হেজ ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রে ডালিও বিশ্বাস করেন, মার্কিন ঋণ একটি সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি অনুমান করছেন, বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হবে।
ডালিও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে (মার্কিন) সরকারের আর্থিক অবস্থা একটি বাঁক বদলের মুখে। যদি এখন এর মোকাবিলা না করা হয়, তবে ঋণ এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যেখানে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।’
এদিকে ট্রাম্পের নতুন বাজেট বিল কিছু ব্যয় হ্রাস করলেও, কর কমানোর পরিমাণ আরও বেশি, ফলে বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ বিপরীত দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ‘পারফেক্ট ক্রেডিট রেটিং’ হারিয়েছে।
যদি বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না যায়, তবে ভবিষ্যতে তিনটি সম্ভাব্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।
তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে প্রথম বিকল্পটি হলো সরকারি ব্যয় হ্রাস, বড় ধরনের কর বৃদ্ধি, অথবা উভয়ই। রে ডালিও পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান ৬ শতাংশ থেকে বাজেট ঘাটতি দ্রুত ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা ভবিষ্যতে বড় বিপদ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অতীতের সংকটের মতো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেডারেল রিজার্ভ) আরও বেশি ডলার ছাপিয়ে সরকারি ঋণ নিতে পারে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পরেও এমনটি করা হয়েছিল। তবে এই কৌশল মূল্যস্ফীতি এবং বৈষম্য বাড়াতে পারে, কারণ এতে বাড়িঘর এবং শেয়ারের মতো সম্পদের মালিকেরা শ্রমের মূল্যের ওপর নির্ভরশীলদের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হন।
তৃতীয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ বিকল্পটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া বা ডিফল্ট করা। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, তাই করছে না। এই পরিস্থিতিতে যদি মার্কিন ট্রেজারির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে, তাহলে ভয়ানক আর্থিক সংকটকেও ছোটখাটো পিকনিক বলেই মনে হবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আপাতত, সৌভাগ্যক্রমে, এর কোনোটিই ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। তবে এর কারণগুলো খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। বাস্তবতা হলো, আমরা পছন্দ করি বা না করি, ডলারের খুব বেশি বিকল্প এখনো বিশ্বে নেই।
অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক বন্ড বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ এল-এরিয়ান বিবিসিকে বলেন, অনেকেই ডলার ধারণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ডলারের ভার বেশি এবং বিশ্ব এটা জানে, এ কারণেই আমরা সোনা, ইউরো এবং পাউন্ডের উত্থান দেখেছি। কিন্তু বড় পরিসরে মুদ্রা পরিবর্তন করা কঠিন, তাই যাওয়ার মতো খুব বেশি জায়গা নেই।’ তিনি ডলারকে ‘পরিষ্কারতম নোংরা শার্ট’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি পরতেই হবে।
তবুও, ডলারের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বের বেঞ্চমার্ক সম্পদ—মার্কিন সরকারি বন্ড—নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, মার্কিন ঋণের মাত্রা এবং ডলারের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন না যে ডলার বর্তমানে মৌলিকভাবে হুমকির মুখে, তবে তিনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন এবং এটিকে তিনি অবমূল্যায়ন করছেন না।
তবে যাই হোক, ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ একটা অকল্পনীয় সংখ্যা! যদি একজন বিত্তবান দৈনিক ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলার সঞ্চয় করেন, তাহলেও এত টাকা সঞ্চয় করতে তাঁর ১ লাখ বছর সময় লাগবে!
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, ঋণকে একটি দেশের আয়ের শতাংশ হিসেবে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। মার্কিন অর্থনীতি বছরে প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে। যদিও এর আয়-ঋণের অনুপাত অনেকের চেয়ে বেশি, তবে জাপান বা ইতালির মতো নয়। এর পেছনে কাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী এবং সম্পদ সৃষ্টিকারী অর্থনীতি।
১৯৬৮ সালে উইলিয়াম এফ. রিকেনবেকার ‘ডেথ অব দ্য ডলার’ (Death of the Dollar) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। বইয়ে তিনি বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের মর্যাদার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রিকেনবেকার আর নেই—কিন্তু ডলার এখনো আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ডলারের এই মর্যাদা এবং মূল্য একটি ঐশ্বরিক অধিকার, যার কোনো ব্যত্যয় হওয়া সম্ভব নয়!
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে আরও অন্তত ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ে সমালোচকের অভাব নেই। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্কও বাজেট বিলকে ‘ঘৃণ্য জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন। এই বিপুল ঋণের বোঝা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্ব আর কতদিন ‘আংকেল স্যাম’কে ঋণ দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এই উদ্বেগগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ডলারের দুর্বলতা এবং আমেরিকাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের উচ্চ সুদের হার দাবি করতে শুরু করেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্ষিক আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কমানোর জন্য এই অর্থ ধার করতেই হয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে ডলারের দর পাউন্ডের বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ১৫ শতাংশ কমেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের খরচ সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদের হার এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য, যা ‘ইল্ড কার্ভ’ নামে পরিচিত, তা বেড়েছে বা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি মার্কিন ঋণ দীর্ঘ মেয়াদে কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার ইঙ্গিত দেয়।
অথচ, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের চেয়ে ধীরে সুদের হার কমিয়েছে, এতে ডলার শক্তিশালী হওয়ার কথা। কারণ, উচ্চ সুদ হারের কারণে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক আমানতে বেশি সুদ পেতে পারেন।
বিশ্বের বৃহত্তম হেজ ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রে ডালিও বিশ্বাস করেন, মার্কিন ঋণ একটি সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি অনুমান করছেন, বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হবে।
ডালিও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে (মার্কিন) সরকারের আর্থিক অবস্থা একটি বাঁক বদলের মুখে। যদি এখন এর মোকাবিলা না করা হয়, তবে ঋণ এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যেখানে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।’
এদিকে ট্রাম্পের নতুন বাজেট বিল কিছু ব্যয় হ্রাস করলেও, কর কমানোর পরিমাণ আরও বেশি, ফলে বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ বিপরীত দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ‘পারফেক্ট ক্রেডিট রেটিং’ হারিয়েছে।
যদি বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না যায়, তবে ভবিষ্যতে তিনটি সম্ভাব্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।
তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে প্রথম বিকল্পটি হলো সরকারি ব্যয় হ্রাস, বড় ধরনের কর বৃদ্ধি, অথবা উভয়ই। রে ডালিও পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান ৬ শতাংশ থেকে বাজেট ঘাটতি দ্রুত ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা ভবিষ্যতে বড় বিপদ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অতীতের সংকটের মতো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেডারেল রিজার্ভ) আরও বেশি ডলার ছাপিয়ে সরকারি ঋণ নিতে পারে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পরেও এমনটি করা হয়েছিল। তবে এই কৌশল মূল্যস্ফীতি এবং বৈষম্য বাড়াতে পারে, কারণ এতে বাড়িঘর এবং শেয়ারের মতো সম্পদের মালিকেরা শ্রমের মূল্যের ওপর নির্ভরশীলদের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হন।
তৃতীয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ বিকল্পটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া বা ডিফল্ট করা। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, তাই করছে না। এই পরিস্থিতিতে যদি মার্কিন ট্রেজারির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে, তাহলে ভয়ানক আর্থিক সংকটকেও ছোটখাটো পিকনিক বলেই মনে হবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আপাতত, সৌভাগ্যক্রমে, এর কোনোটিই ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। তবে এর কারণগুলো খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। বাস্তবতা হলো, আমরা পছন্দ করি বা না করি, ডলারের খুব বেশি বিকল্প এখনো বিশ্বে নেই।
অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক বন্ড বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ এল-এরিয়ান বিবিসিকে বলেন, অনেকেই ডলার ধারণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ডলারের ভার বেশি এবং বিশ্ব এটা জানে, এ কারণেই আমরা সোনা, ইউরো এবং পাউন্ডের উত্থান দেখেছি। কিন্তু বড় পরিসরে মুদ্রা পরিবর্তন করা কঠিন, তাই যাওয়ার মতো খুব বেশি জায়গা নেই।’ তিনি ডলারকে ‘পরিষ্কারতম নোংরা শার্ট’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি পরতেই হবে।
তবুও, ডলারের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বের বেঞ্চমার্ক সম্পদ—মার্কিন সরকারি বন্ড—নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, মার্কিন ঋণের মাত্রা এবং ডলারের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন না যে ডলার বর্তমানে মৌলিকভাবে হুমকির মুখে, তবে তিনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন এবং এটিকে তিনি অবমূল্যায়ন করছেন না।
তবে যাই হোক, ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ একটা অকল্পনীয় সংখ্যা! যদি একজন বিত্তবান দৈনিক ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলার সঞ্চয় করেন, তাহলেও এত টাকা সঞ্চয় করতে তাঁর ১ লাখ বছর সময় লাগবে!
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, ঋণকে একটি দেশের আয়ের শতাংশ হিসেবে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। মার্কিন অর্থনীতি বছরে প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে। যদিও এর আয়-ঋণের অনুপাত অনেকের চেয়ে বেশি, তবে জাপান বা ইতালির মতো নয়। এর পেছনে কাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী এবং সম্পদ সৃষ্টিকারী অর্থনীতি।
১৯৬৮ সালে উইলিয়াম এফ. রিকেনবেকার ‘ডেথ অব দ্য ডলার’ (Death of the Dollar) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। বইয়ে তিনি বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের মর্যাদার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রিকেনবেকার আর নেই—কিন্তু ডলার এখনো আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ডলারের এই মর্যাদা এবং মূল্য একটি ঐশ্বরিক অধিকার, যার কোনো ব্যত্যয় হওয়া সম্ভব নয়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে আরও অন্তত ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ে সমালোচকের অভাব নেই। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্কও বাজেট বিলকে ‘ঘৃণ্য জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন। এই বিপুল ঋণের বোঝা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্ব আর কতদিন ‘আংকেল স্যাম’কে ঋণ দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এই উদ্বেগগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ডলারের দুর্বলতা এবং আমেরিকাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের উচ্চ সুদের হার দাবি করতে শুরু করেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্ষিক আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কমানোর জন্য এই অর্থ ধার করতেই হয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে ডলারের দর পাউন্ডের বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ১৫ শতাংশ কমেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের খরচ সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদের হার এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য, যা ‘ইল্ড কার্ভ’ নামে পরিচিত, তা বেড়েছে বা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি মার্কিন ঋণ দীর্ঘ মেয়াদে কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার ইঙ্গিত দেয়।
অথচ, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের চেয়ে ধীরে সুদের হার কমিয়েছে, এতে ডলার শক্তিশালী হওয়ার কথা। কারণ, উচ্চ সুদ হারের কারণে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক আমানতে বেশি সুদ পেতে পারেন।
বিশ্বের বৃহত্তম হেজ ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রে ডালিও বিশ্বাস করেন, মার্কিন ঋণ একটি সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি অনুমান করছেন, বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হবে।
ডালিও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে (মার্কিন) সরকারের আর্থিক অবস্থা একটি বাঁক বদলের মুখে। যদি এখন এর মোকাবিলা না করা হয়, তবে ঋণ এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যেখানে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।’
এদিকে ট্রাম্পের নতুন বাজেট বিল কিছু ব্যয় হ্রাস করলেও, কর কমানোর পরিমাণ আরও বেশি, ফলে বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ বিপরীত দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ‘পারফেক্ট ক্রেডিট রেটিং’ হারিয়েছে।
যদি বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না যায়, তবে ভবিষ্যতে তিনটি সম্ভাব্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।
তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে প্রথম বিকল্পটি হলো সরকারি ব্যয় হ্রাস, বড় ধরনের কর বৃদ্ধি, অথবা উভয়ই। রে ডালিও পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান ৬ শতাংশ থেকে বাজেট ঘাটতি দ্রুত ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা ভবিষ্যতে বড় বিপদ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অতীতের সংকটের মতো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেডারেল রিজার্ভ) আরও বেশি ডলার ছাপিয়ে সরকারি ঋণ নিতে পারে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পরেও এমনটি করা হয়েছিল। তবে এই কৌশল মূল্যস্ফীতি এবং বৈষম্য বাড়াতে পারে, কারণ এতে বাড়িঘর এবং শেয়ারের মতো সম্পদের মালিকেরা শ্রমের মূল্যের ওপর নির্ভরশীলদের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হন।
তৃতীয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ বিকল্পটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া বা ডিফল্ট করা। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, তাই করছে না। এই পরিস্থিতিতে যদি মার্কিন ট্রেজারির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে, তাহলে ভয়ানক আর্থিক সংকটকেও ছোটখাটো পিকনিক বলেই মনে হবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আপাতত, সৌভাগ্যক্রমে, এর কোনোটিই ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। তবে এর কারণগুলো খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। বাস্তবতা হলো, আমরা পছন্দ করি বা না করি, ডলারের খুব বেশি বিকল্প এখনো বিশ্বে নেই।
অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক বন্ড বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ এল-এরিয়ান বিবিসিকে বলেন, অনেকেই ডলার ধারণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ডলারের ভার বেশি এবং বিশ্ব এটা জানে, এ কারণেই আমরা সোনা, ইউরো এবং পাউন্ডের উত্থান দেখেছি। কিন্তু বড় পরিসরে মুদ্রা পরিবর্তন করা কঠিন, তাই যাওয়ার মতো খুব বেশি জায়গা নেই।’ তিনি ডলারকে ‘পরিষ্কারতম নোংরা শার্ট’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি পরতেই হবে।
তবুও, ডলারের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বের বেঞ্চমার্ক সম্পদ—মার্কিন সরকারি বন্ড—নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, মার্কিন ঋণের মাত্রা এবং ডলারের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন না যে ডলার বর্তমানে মৌলিকভাবে হুমকির মুখে, তবে তিনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন এবং এটিকে তিনি অবমূল্যায়ন করছেন না।
তবে যাই হোক, ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ একটা অকল্পনীয় সংখ্যা! যদি একজন বিত্তবান দৈনিক ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলার সঞ্চয় করেন, তাহলেও এত টাকা সঞ্চয় করতে তাঁর ১ লাখ বছর সময় লাগবে!
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, ঋণকে একটি দেশের আয়ের শতাংশ হিসেবে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। মার্কিন অর্থনীতি বছরে প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে। যদিও এর আয়-ঋণের অনুপাত অনেকের চেয়ে বেশি, তবে জাপান বা ইতালির মতো নয়। এর পেছনে কাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী এবং সম্পদ সৃষ্টিকারী অর্থনীতি।
১৯৬৮ সালে উইলিয়াম এফ. রিকেনবেকার ‘ডেথ অব দ্য ডলার’ (Death of the Dollar) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। বইয়ে তিনি বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের মর্যাদার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রিকেনবেকার আর নেই—কিন্তু ডলার এখনো আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ডলারের এই মর্যাদা এবং মূল্য একটি ঐশ্বরিক অধিকার, যার কোনো ব্যত্যয় হওয়া সম্ভব নয়!

বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
ঢাকায় যানবাহন চালকসহ সাধারণ মানুষকে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ সম্পর্কে জানাতে প্রথমবারের মতো মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলনকক্ষে এই ক্যাম্পেইন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
স্থগিত ফান্ডগুলো হলো ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১। এগুলোর ট্রাস্টি বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিআইসি ফান্ডগুলোর ব্যাংক ও ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট থেকে সব ধরনের ডেবিট লেনদেন, অনলাইন ট্রান্সফার ও ট্রেডিং কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাস্টি জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের অর্থ ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ পড়েছে।
বিএসইসির তদন্তে দেখা গেছে, এলআর গ্লোবাল ৬৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ অপব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে বন্ধ ও লোকসানে থাকা পদ্মা প্রিন্টার্সের ৫১ শতাংশ শেয়ার অস্বাভাবিক দামে কিনতে ২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, পরে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড রাখে। এরপর নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে আরও ৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘটনা ধরা পড়ে। বিএসইসি জানিয়েছে, এসব ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিনিয়োগ, যা বিনিয়োগকারীদের মূলধনের ক্ষতির সমান।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এলআর গ্লোবালের সিইও রিয়াজ ইসলামকে আজীবনের জন্য বাজার কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে ছয়টি ফান্ডে সুদসহ প্রায় ৯০ কোটি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। কোম্পানির পরিচালক জর্জ এম স্টক ৩ ও রেজাউর রহমান সোহাগ—প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান বিজিআইসিসহ আরও ছয়জনকে সম্মিলিতভাবে ৯ কোটি ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
স্থগিত ফান্ডগুলো হলো ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১। এগুলোর ট্রাস্টি বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিআইসি ফান্ডগুলোর ব্যাংক ও ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট থেকে সব ধরনের ডেবিট লেনদেন, অনলাইন ট্রান্সফার ও ট্রেডিং কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাস্টি জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের অর্থ ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ পড়েছে।
বিএসইসির তদন্তে দেখা গেছে, এলআর গ্লোবাল ৬৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ অপব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে বন্ধ ও লোকসানে থাকা পদ্মা প্রিন্টার্সের ৫১ শতাংশ শেয়ার অস্বাভাবিক দামে কিনতে ২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, পরে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড রাখে। এরপর নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে আরও ৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘটনা ধরা পড়ে। বিএসইসি জানিয়েছে, এসব ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিনিয়োগ, যা বিনিয়োগকারীদের মূলধনের ক্ষতির সমান।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এলআর গ্লোবালের সিইও রিয়াজ ইসলামকে আজীবনের জন্য বাজার কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে ছয়টি ফান্ডে সুদসহ প্রায় ৯০ কোটি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। কোম্পানির পরিচালক জর্জ এম স্টক ৩ ও রেজাউর রহমান সোহাগ—প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান বিজিআইসিসহ আরও ছয়জনকে সম্মিলিতভাবে ৯ কোটি ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি...
০৫ জুলাই ২০২৫
ঢাকায় যানবাহন চালকসহ সাধারণ মানুষকে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ সম্পর্কে জানাতে প্রথমবারের মতো মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলনকক্ষে এই ক্যাম্পেইন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় যানবাহন চালকসহ সাধারণ মানুষকে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ সম্পর্কে জানাতে প্রথমবারের মতো মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলনকক্ষে এ ক্যাম্পেইন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) আওতায় জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ভাইটাল স্ট্র্যাটেজির কারিগরি সহায়তায় এই ক্যাম্পেইনের প্রচারণা উপকরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন। বিআইজিআরএসের ইনিশিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর ও অতিরিক্ত সচিব (অব.) মো. আবদুল ওয়াদুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান, বিআরটিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিচালনা) মেজর মো. নিজাম উদ্দিন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) জ্যেষ্ঠ সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মো. মামুনুর রশিদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. জিয়াউর রহমান, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, রোড ট্রাফিক ভিকটিম ও রোড ক্র্যাশে নিহত প্রাক্তন ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলামের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা নীলা, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজির কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।
এই ক্যাম্পেইনের মধ্যে রয়েছে ৩০ সেকেন্ড, ৪৫ সেকেন্ড, ১ মিনিট ও ৯০ সেকেন্ড ব্যাপ্তির ভিডিওচিত্র এবং এগুলো ওয়েবসাইট, ইউটিউব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং সড়কে ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রচার বা প্রদর্শন করা হবে। ভিডিওচিত্রে রোড ক্র্যাশে নিহত তরুণ সংগঠক ও রাজনীতিক আরিফুল ইসলামের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা নীলা অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি তাঁর ও তাঁদের সন্তানের প্রিয় মানুষকে হারানোর বিষয়টি ও পরবর্তী অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন এবং একই সঙ্গে তিনি সড়কে গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এতে সড়কের পাশে সাইনেজ আকারে স্থাপনের জন্য দুটি ভিন্ন ডিজাইনের পোস্টার করা হয়েছে। এসব পোস্টারে গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রচারণা উপকরণ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ), ডিএমপি, ডিটিসিএর মাধ্যমেও প্রচার করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটির সড়কসমূহকে নিরাপদ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি। এ কাজ আরও গতিশীল করা হবে।’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। এই ক্যাম্পেইন গতিসীমা সম্পর্কে মানুষকে বিশেষত চালকদের সচেতন করবে।’ তিনি ডিএনসিসি, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্টদের গতিসীমা ক্যাম্পেইন আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকার সড়কে যারা মারা যায়, তাদের মধ্যে পথচারী, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল আরোহী বেশি। পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য প্রশস্ত ফুটপাথ নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং অঙ্কন, অবকাঠামোগত উন্নতিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মোটরযান গতিসীমা সম্পর্কে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়েছে। মানুষ যদি গতিসীমা মেনে গাড়ি চালায়, তাহলে সড়ক নিরাপদ হয়ে উঠবে।’ তিনি সবাইকে দায়িত্বের সঙ্গে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানান।
মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সড়ক পরিবহন আইনের আওতায় মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ প্রণয়ন করে। এতে সড়ক ও যানবাহনের ধরন অনুযায়ী গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শহরের অভ্যন্তরে জাতীয়/আঞ্চলিক মহাসড়কে সর্বোচ্চ ৪০ কিমি/ঘণ্টা এবং অন্যান্য অধিকাংশ সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিমি/ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন সিটি করপোরেশনকে যৌক্তিক গতিসীমা নির্ধারণের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর রাত ১১টার পর ঢাকার সড়কে আরিফুল ইসলাম (৪২) ও তাঁর বন্ধু সৌভিক অর্জুন (৪৪) দ্রুতগতির ট্রাকের চাপায় অকালে মারা যান। প্রয়াত আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা নীলা বলেন, ‘ট্রাকটির গতি যদি কম থাকত, তাহলে হয়তো আরিফ ও অর্জুন বেঁচে যেত। অতিরিক্ত গতির কারণে আমার শিশুসন্তান তার বাবাকে হারায়।’ তিনি বলেন, ‘সড়কে কোনো অকালমৃত্যুই কাম্য নয়। গতিসীমা বা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন বা সড়ক অব্যবস্থাপনার মতো ঘটনাগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। যেন আর কোনো সন্তানকে পিতৃহারা বা কোনো স্ত্রীকে স্বামীহারা বা কোনো মাকে সন্তানহারা হতে না হয়।’
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, ‘ঢাকায় রাত ৯টার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চলে এবং দিনের বেলায় যানজটে অস্থির যানচালকেরা ফাঁকা রাস্তা পেলে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান, যা সড়ককে অনিরাপদ করে তোলে। এ জন্য গতিসীমা নির্দেশিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইন সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে বিআরটিএ, ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ, সিয়াম, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ব্র্যাক, নিরাপদ সড়ক চাই, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ-বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় যানবাহন চালকসহ সাধারণ মানুষকে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ সম্পর্কে জানাতে প্রথমবারের মতো মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলনকক্ষে এ ক্যাম্পেইন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) আওতায় জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ভাইটাল স্ট্র্যাটেজির কারিগরি সহায়তায় এই ক্যাম্পেইনের প্রচারণা উপকরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন। বিআইজিআরএসের ইনিশিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর ও অতিরিক্ত সচিব (অব.) মো. আবদুল ওয়াদুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান, বিআরটিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিচালনা) মেজর মো. নিজাম উদ্দিন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) জ্যেষ্ঠ সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মো. মামুনুর রশিদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. জিয়াউর রহমান, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, রোড ট্রাফিক ভিকটিম ও রোড ক্র্যাশে নিহত প্রাক্তন ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলামের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা নীলা, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজির কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।
এই ক্যাম্পেইনের মধ্যে রয়েছে ৩০ সেকেন্ড, ৪৫ সেকেন্ড, ১ মিনিট ও ৯০ সেকেন্ড ব্যাপ্তির ভিডিওচিত্র এবং এগুলো ওয়েবসাইট, ইউটিউব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং সড়কে ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রচার বা প্রদর্শন করা হবে। ভিডিওচিত্রে রোড ক্র্যাশে নিহত তরুণ সংগঠক ও রাজনীতিক আরিফুল ইসলামের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা নীলা অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি তাঁর ও তাঁদের সন্তানের প্রিয় মানুষকে হারানোর বিষয়টি ও পরবর্তী অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন এবং একই সঙ্গে তিনি সড়কে গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এতে সড়কের পাশে সাইনেজ আকারে স্থাপনের জন্য দুটি ভিন্ন ডিজাইনের পোস্টার করা হয়েছে। এসব পোস্টারে গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রচারণা উপকরণ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ), ডিএমপি, ডিটিসিএর মাধ্যমেও প্রচার করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটির সড়কসমূহকে নিরাপদ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি। এ কাজ আরও গতিশীল করা হবে।’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। এই ক্যাম্পেইন গতিসীমা সম্পর্কে মানুষকে বিশেষত চালকদের সচেতন করবে।’ তিনি ডিএনসিসি, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্টদের গতিসীমা ক্যাম্পেইন আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকার সড়কে যারা মারা যায়, তাদের মধ্যে পথচারী, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল আরোহী বেশি। পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য প্রশস্ত ফুটপাথ নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং অঙ্কন, অবকাঠামোগত উন্নতিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মোটরযান গতিসীমা সম্পর্কে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়েছে। মানুষ যদি গতিসীমা মেনে গাড়ি চালায়, তাহলে সড়ক নিরাপদ হয়ে উঠবে।’ তিনি সবাইকে দায়িত্বের সঙ্গে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানান।
মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সড়ক পরিবহন আইনের আওতায় মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ প্রণয়ন করে। এতে সড়ক ও যানবাহনের ধরন অনুযায়ী গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শহরের অভ্যন্তরে জাতীয়/আঞ্চলিক মহাসড়কে সর্বোচ্চ ৪০ কিমি/ঘণ্টা এবং অন্যান্য অধিকাংশ সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিমি/ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন সিটি করপোরেশনকে যৌক্তিক গতিসীমা নির্ধারণের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর রাত ১১টার পর ঢাকার সড়কে আরিফুল ইসলাম (৪২) ও তাঁর বন্ধু সৌভিক অর্জুন (৪৪) দ্রুতগতির ট্রাকের চাপায় অকালে মারা যান। প্রয়াত আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা নীলা বলেন, ‘ট্রাকটির গতি যদি কম থাকত, তাহলে হয়তো আরিফ ও অর্জুন বেঁচে যেত। অতিরিক্ত গতির কারণে আমার শিশুসন্তান তার বাবাকে হারায়।’ তিনি বলেন, ‘সড়কে কোনো অকালমৃত্যুই কাম্য নয়। গতিসীমা বা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন বা সড়ক অব্যবস্থাপনার মতো ঘটনাগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। যেন আর কোনো সন্তানকে পিতৃহারা বা কোনো স্ত্রীকে স্বামীহারা বা কোনো মাকে সন্তানহারা হতে না হয়।’
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, ‘ঢাকায় রাত ৯টার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চলে এবং দিনের বেলায় যানজটে অস্থির যানচালকেরা ফাঁকা রাস্তা পেলে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান, যা সড়ককে অনিরাপদ করে তোলে। এ জন্য গতিসীমা নির্দেশিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইন সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে বিআরটিএ, ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ, সিয়াম, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ব্র্যাক, নিরাপদ সড়ক চাই, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ-বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি...
০৫ জুলাই ২০২৫
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চেষ্টা করছে, যেন তাদের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন করে তীব্র না হয়। পাশাপাশি দুই দেশই চাইছে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠকটি যেন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এ বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন, পাশাপাশি আরও কিছু বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ জারি করবেন। সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় এমন হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেংয়ের মধ্যে গত মে মাস থেকে চার দফা আলোচনায় পরিস্থিতি কিছুটা শীতিল হয়েছে।
আজ শনিবার কুয়ালালামপুরের বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন মারদেকা-১১৮ টাওয়ারে প্রথম দিনের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে হে লিফেং সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে স্থান ত্যাগ করেন, তবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চীনের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক লি চেংগ্যাং।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আলোচনা খুবই গঠনমূলক ছিল। আগামীকাল সকালে আবার আলোচনা হবে। তবে মালয়েশীয় সরকার ও দুই দেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আলোচনার অগ্রগতি বা ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
জানা গেছে, দুই দেশের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা চেষ্টা করছেন, ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার এপেক সম্মেলনে একটি বৈঠক নিশ্চিত করতে। সেই বৈঠকে আলোচনার বিষয় হতে পারে—শুল্কে ছাড়, প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি সহজ করা এবং চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন কেনা আবার চালু করা।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এয়ারফোর্স ওয়ানে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এ সফরে তাঁর আরও গন্তব্য রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফর এবং সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফর।
কুয়ালালামপুরে আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অনেক বিষয় আলোচনা করতে হবে—চীন সয়াবিন কেনা বন্ধ করায় আমাদের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক অবস্থান, যেটি চীন নিজেদের অংশ বলে দাবি করে, সে বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।’ ট্রাম্প জানান, তিনি তাইওয়ান সফরের কোনো পরিকল্পনা করছেন না।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চেষ্টা করছে, যেন তাদের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন করে তীব্র না হয়। পাশাপাশি দুই দেশই চাইছে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠকটি যেন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এ বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন, পাশাপাশি আরও কিছু বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ জারি করবেন। সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় এমন হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেংয়ের মধ্যে গত মে মাস থেকে চার দফা আলোচনায় পরিস্থিতি কিছুটা শীতিল হয়েছে।
আজ শনিবার কুয়ালালামপুরের বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন মারদেকা-১১৮ টাওয়ারে প্রথম দিনের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে হে লিফেং সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে স্থান ত্যাগ করেন, তবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চীনের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক লি চেংগ্যাং।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আলোচনা খুবই গঠনমূলক ছিল। আগামীকাল সকালে আবার আলোচনা হবে। তবে মালয়েশীয় সরকার ও দুই দেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আলোচনার অগ্রগতি বা ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
জানা গেছে, দুই দেশের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা চেষ্টা করছেন, ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার এপেক সম্মেলনে একটি বৈঠক নিশ্চিত করতে। সেই বৈঠকে আলোচনার বিষয় হতে পারে—শুল্কে ছাড়, প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি সহজ করা এবং চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন কেনা আবার চালু করা।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এয়ারফোর্স ওয়ানে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এ সফরে তাঁর আরও গন্তব্য রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফর এবং সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফর।
কুয়ালালামপুরে আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অনেক বিষয় আলোচনা করতে হবে—চীন সয়াবিন কেনা বন্ধ করায় আমাদের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক অবস্থান, যেটি চীন নিজেদের অংশ বলে দাবি করে, সে বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।’ ট্রাম্প জানান, তিনি তাইওয়ান সফরের কোনো পরিকল্পনা করছেন না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি...
০৫ জুলাই ২০২৫
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
ঢাকায় যানবাহন চালকসহ সাধারণ মানুষকে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ সম্পর্কে জানাতে প্রথমবারের মতো মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলনকক্ষে এই ক্যাম্পেইন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
৪৪ মিনিট আগে
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত সংস্থাকে বাঁচাতে গোপনে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৯০০ কোটি রুপি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক পরিষেবা বিভাগ (ডিএফএস), এলআইসি এবং নীতিনির্ধারণী সংস্থা নীতি আয়োগ সমন্বিতভাবে এই বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল আদানি গ্রুপের বন্ড ও ইক্যুইটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদানি পোর্টসের একটি ৫৮৫ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যুতে এলআইসি একা অর্থায়ন করে। মে মাসের ৩০ তারিখে আদানি গ্রুপ ঘোষণা করে, পুরো বন্ডটির অর্থায়ন করেছে একটিমাত্র বিনিয়োগকারী—এলআইসি। সমালোচকেরা এই পদক্ষেপকে জনগণের অর্থের অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।
পরিকল্পনাটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল আদানির প্রতি ‘আস্থার বার্তা’ দেওয়া এবং অন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। যদিও এর ঠিক এক বছর আগে আদানি গ্রুপের ঋণ ২০ শতাংশ বেড়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।
আদানি গ্রুপ বর্তমানে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় তদন্তের মুখোমুখি।
মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আদানি এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের ঘুষ এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, জ্বালানি চুক্তি জেতার জন্য মিথ্যা বিবৃতি ও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ লেনদেন করা হয়েছিল। যদিও আদানি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২৩ সালে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। এই প্রতিবেদনের পর বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান ও ইউরোপীয় ব্যাংক আদানির ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা করতে ইতস্তত করছিল।
এই পরিস্থিতিতে ডিএফএসের অভ্যন্তরীণ নথিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা আদানিকে ‘দূরদর্শী উদ্যোক্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁরা মনে করেন, বন্দর, জ্বালানি এবং অবকাঠামোসহ আদানির ব্যবসাগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এলআইসি লাখ লাখ ভারতীয়র জীবন বিমা করে এবং তাদের গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের, এমন একটি প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বেসরকারি সংস্থায় এত বেশি বিনিয়োগ করে উচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত স্বাধীন বিশ্লেষক হেমিন্দ্র হাজারি বলেন, ‘একটি বেসরকারি করপোরেট সত্তায় এলআইসির এত বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা অস্বাভাবিক। এলআইসি-এর যদি কিছু হয়...তবে একমাত্র সরকারই এটিকে উদ্ধার করতে পারে।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আদানি গ্রুপের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ধারাবাহিক টুইটে মোদি সরকার এবং আদানি গ্রুপের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতীয় করদাতাদের ৩০ হাজার কোটি রুপি কীভাবে আদানিদের “পিগিব্যাংক” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, মোদি সরকার আদানিকে অর্থায়ন করে চলেছে এবং উল্টো ভারতীয় জনগণকেই তাঁকে উদ্ধার করতে হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গৌতম আদানি এবং তাঁর সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ ওঠার পর মাত্র চার ঘণ্টার ট্রেডিংয়ে এলআইসির ৭ হাজার ৮৫০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছিল। তিনি এই ঘটনাকে ‘মোদানি মেগাস্ক্যাম’-এর অংশ বলে অভিহিত করেন। যেখানে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—জোরপূর্বক সম্পদ বিক্রি, কারচুপি করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বেসরকারীকরণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুক্তির মতো ক্ষমতার অপব্যবহার।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাদের যেকোনো ভূমিকার কথা ‘সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার’ করেছে। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, তাদের উত্থান নরেন্দ্র মোদির জাতীয় নেতা হয়ে ওঠার বহু আগের ঘটনা।
আরও খবর পড়ুন:

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত সংস্থাকে বাঁচাতে গোপনে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৯০০ কোটি রুপি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক পরিষেবা বিভাগ (ডিএফএস), এলআইসি এবং নীতিনির্ধারণী সংস্থা নীতি আয়োগ সমন্বিতভাবে এই বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল আদানি গ্রুপের বন্ড ও ইক্যুইটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদানি পোর্টসের একটি ৫৮৫ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যুতে এলআইসি একা অর্থায়ন করে। মে মাসের ৩০ তারিখে আদানি গ্রুপ ঘোষণা করে, পুরো বন্ডটির অর্থায়ন করেছে একটিমাত্র বিনিয়োগকারী—এলআইসি। সমালোচকেরা এই পদক্ষেপকে জনগণের অর্থের অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।
পরিকল্পনাটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল আদানির প্রতি ‘আস্থার বার্তা’ দেওয়া এবং অন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। যদিও এর ঠিক এক বছর আগে আদানি গ্রুপের ঋণ ২০ শতাংশ বেড়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।
আদানি গ্রুপ বর্তমানে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় তদন্তের মুখোমুখি।
মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আদানি এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের ঘুষ এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, জ্বালানি চুক্তি জেতার জন্য মিথ্যা বিবৃতি ও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ লেনদেন করা হয়েছিল। যদিও আদানি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২৩ সালে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। এই প্রতিবেদনের পর বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান ও ইউরোপীয় ব্যাংক আদানির ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা করতে ইতস্তত করছিল।
এই পরিস্থিতিতে ডিএফএসের অভ্যন্তরীণ নথিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা আদানিকে ‘দূরদর্শী উদ্যোক্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁরা মনে করেন, বন্দর, জ্বালানি এবং অবকাঠামোসহ আদানির ব্যবসাগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এলআইসি লাখ লাখ ভারতীয়র জীবন বিমা করে এবং তাদের গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের, এমন একটি প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বেসরকারি সংস্থায় এত বেশি বিনিয়োগ করে উচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত স্বাধীন বিশ্লেষক হেমিন্দ্র হাজারি বলেন, ‘একটি বেসরকারি করপোরেট সত্তায় এলআইসির এত বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা অস্বাভাবিক। এলআইসি-এর যদি কিছু হয়...তবে একমাত্র সরকারই এটিকে উদ্ধার করতে পারে।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আদানি গ্রুপের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ধারাবাহিক টুইটে মোদি সরকার এবং আদানি গ্রুপের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতীয় করদাতাদের ৩০ হাজার কোটি রুপি কীভাবে আদানিদের “পিগিব্যাংক” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, মোদি সরকার আদানিকে অর্থায়ন করে চলেছে এবং উল্টো ভারতীয় জনগণকেই তাঁকে উদ্ধার করতে হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গৌতম আদানি এবং তাঁর সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ ওঠার পর মাত্র চার ঘণ্টার ট্রেডিংয়ে এলআইসির ৭ হাজার ৮৫০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছিল। তিনি এই ঘটনাকে ‘মোদানি মেগাস্ক্যাম’-এর অংশ বলে অভিহিত করেন। যেখানে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—জোরপূর্বক সম্পদ বিক্রি, কারচুপি করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বেসরকারীকরণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুক্তির মতো ক্ষমতার অপব্যবহার।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাদের যেকোনো ভূমিকার কথা ‘সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার’ করেছে। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, তাদের উত্থান নরেন্দ্র মোদির জাতীয় নেতা হয়ে ওঠার বহু আগের ঘটনা।
আরও খবর পড়ুন:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি...
০৫ জুলাই ২০২৫
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
ঢাকায় যানবাহন চালকসহ সাধারণ মানুষকে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ সম্পর্কে জানাতে প্রথমবারের মতো মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলনকক্ষে এই ক্যাম্পেইন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে