Ajker Patrika

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ

সাকিফ শামীম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ০০: ২৩
ল্যাবএইড গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকিফ শামীম। ছবি: সংগৃহীত
ল্যাবএইড গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকিফ শামীম। ছবি: সংগৃহীত

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা এই বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বর্তমান পরিবেশ যথেষ্ট সহায়ক নয়। এই সমস্যা সমাধানে নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা আনা প্রয়োজন।

সবুজ অর্থায়ন বলতে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে এমন ঋণ বা বিনিয়োগকে বোঝায়, যার মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং সবুজ অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। এটি কেবল পরিবেশ সুরক্ষায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা প্রদান করে। বৈশ্বিক সবুজ অর্থায়ন বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবুজ প্রকল্পের উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে সবুজ বন্ড, সবুজ ঋণ, সবুজ বন্ধকি, সবুজ ক্রেডিট কার্ড এবং টেকসই বিনিয়োগ তহবিল।

২০০৯ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ১০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা পূরণ হয়নি। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে, যা ২০৩১-৪০ সময়কালে বার্ষিক ১.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এই বিপুল তহবিলের জন্য বৃহৎ আকারের বেসরকারি বিনিয়োগ অপরিহার্য। ভিয়েতনাম, চীন, ভারত এবং মরক্কোর মতো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সফল মডেলগুলো সুসংগত নীতিগত প্রণোদনা, ঝুঁকি লাঘব এবং শক্তিশালী পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্ব তুলে ধরে। এসব দেশের মডেলসমূহ থেকে ধারণা নিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে নিজস্ব স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে, যেখানে ২০১৬ সাল থেকে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট ঋণের ন্যূনতম ৫% সবুজ অর্থায়নে বরাদ্দ করতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া জিটিএফ (Green Transformation Fund) এর মতো পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কম খরচে তহবিল সরবরাহ করা হয়। আইইইএফএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই তহবিল ব্যবহারের হার কমই রয়ে গেছে (যেমন, জিটিএফ-এর জন্য ১৯.০৫ %)। এই প্রকল্পগুলোর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত নীতিগত অসংগতি এবং নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুইক এনহ্যান্সমেন্ট অফ ইলেকট্রিসিটি অ্যান্ড এনার্জি সাপ্লাই অ্যাক্ট (QEEESA) ২০১০ বাতিল এবং ৩০ টিরও বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প স্থগিত করা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে। মাতারবাড়িতে নতুন কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করার বিবেচনা জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য প্রণোদনার অভাবও একটি বড় সমস্যা। নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৌরশক্তির সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ব্যবহার। বছরে ৩০০ দিনের বেশি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন থাকায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শ স্থান। সবুজ অর্থায়নের আওতায় সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সোলার হোম সিস্টেম ও কৃষি সেচ ব্যবস্থায় সৌর পাম্প ব্যবহারের মতো সবুজ প্রকল্প (green project) গুলোয় বিনিয়োগে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।

সবুজ ভবনের (green building) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল অর্জন হলো ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের লিড গোল্ড সার্টিফিকেট অর্জন—যা আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য, শক্তি দক্ষতা এবং জল ব্যবস্থাপনার মানদণ্ডে একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি।

হাসপাতালটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে এটি আমার জন্য এক বিশেষ অর্জন। এই হাসপাতালটি শুধু চিকিৎসা সেবাতেই নয়, পরিবেশ সংরক্ষণেও অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে ছায়াঘেরা সবুজ গাছপালা, উদ্ভিদ-বেষ্টিত গার্ডেন এবং আলো-বাতাস প্রবাহের স্বাভাবিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ বৈশ্বিক কার্বন বাজার থেকে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করার সম্ভাবনা রাখে, কিন্তু একটি স্পষ্ট জাতীয় নীতির অভাবে এই খাতের বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে উন্নত রান্নার চুলা এবং সৌর হোম সিস্টেমের মতো কার্বন-হ্রাসকারী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তবে, দুর্বল নীতি কাঠামো এবং বেসরকারি খাতের সীমিত অংশগ্রহণের কারণে দেশটি তার সম্ভাবনার খুব সামান্যই কাজে লাগাতে পারছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫-এ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সার্টিফিকেট (REC) প্রবর্তনের কথা বলা হয়েছে, যা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত প্রতি মেগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুতের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তবে, বর্তমানে কার্বন ট্রেডিং থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ ভারতীয় পরামর্শকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা দেশীয় নিয়ন্ত্রণে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশমালাগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও দীর্ঘমেয়াদে নিশ্চিত করবে।

লেখক: ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড গ্রুপ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা ফেরতে নতুন আশা দিলেন গভর্নর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি

একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই নতুন বার্তা দেন।

গভর্নর বলেন, একীভূত পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তির কাজ এগোচ্ছে এবং ডিপোজিট গ্যারান্টির আওতায় সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা প্রথম ধাপে ফেরত দেওয়া হবে। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী নবগঠিত ব্যাংকগুলো প্রথম বা দ্বিতীয় বছরের মধ্যেই লাভজনক অবস্থানে ফিরতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টাকা ফেরত না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা।

তাঁরা জানান, এক মাস থেকে দুই মাস, তারপর ছয় মাস—এভাবে প্রতিশ্রুতির মেয়াদ বাড়তে বাড়তে দেড় বছর পার হয়ে গেছে; কিন্তু ব্যাংক থেকে জমা রাখা অর্থের ১ টাকাও তাঁরা তুলতে পারেননি। এখন গভর্নর ‘এক সপ্তাহের’ নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি কবে বাস্তবে কার্যকর হবে—তা নিয়েও তাঁরা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন। গ্রাহকদের দাবি, অবিলম্বে আমানত ফেরত দেওয়ার নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিজার্ভ চুরি: ৯১ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৪
রিজার্ভ চুরি: ৯১ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৯১ বারের মতো পিছিয়েছে। নতুন তারিখ আগামী ১৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রিজার্ভের অর্থ চুরির ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। কিন্তু নয় বছরেও রিজার্ভে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেয়ারবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতায় এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: বিআইসিএম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার পুঁজিবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ।

আজ সোমবার বিআইসিএমের মাল্টিপারপাস হলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে সিএমজেএফ ও বিআইসিএম। সেশনটি সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীন।

বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘সম্প্রতি পুঁজিবাজারে পাঁচটি তালিকাভুক্ত ব্যাংক একীভূত করা হয়েছে এবং আরও নয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসান হতে যাচ্ছে। এআই ব্যবহারের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা সম্ভব। শুধু এসব কোম্পানিই নয়, পুঁজিবাজার-সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য বিশ্লেষণে এআই ভবিষ্যতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।’

সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সময়ে এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শেয়ারবাজারের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি বিবেচনা করে সিএমজেএফের সদস্যদের জন্য এআইয়ের ওপর এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে। এটি সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বলেন, সিএমজেএফের সদস্যদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ বিআইসিএমের সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণটি আয়োজন করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক ইমরান মাহমুদ ও গৌরব রায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত