Ajker Patrika

বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ, গরিবমুখী প্রবৃদ্ধির ওপর জোর এমসিসিআইয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫, ১৭: ৫২
বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ, গরিবমুখী প্রবৃদ্ধির ওপর জোর এমসিসিআইয়ের

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাজেট বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই)। বাজেটকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে বাজেট ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা, করনীতি সংস্কার, করব্যবস্থার অটোমেশন, কর সংগ্রহে সামগ্রিক সিস্টেম লস কমানো ও কর প্রশাসনের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানায় তারা। একই সঙ্গে বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে এমসিসিআই চিন্তিত বলে জানায় ব্যবসায়ী সংগঠনটি। এই চিন্তা দূর করার মতো বাজেটে কোনো নির্দেশনা নেই বলে তাদের পর্যবেক্ষণ।

কার্যকরী করহার কমানোর কোনোরূপ পদক্ষেপ না থাকায় এমসিসিআই হতাশা ব্যক্ত করেছে। এমসিসিআই সব সময় বলে আসছে, প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর (মিনিমাম ট্যাক্স) করনীতির পরিপন্থী। তাই এটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে গরিবমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর অধিকতর নজর দেওয়া উচিত বলেও মনে করে তারা।

আজ মঙ্গলবার এমসিসিআই বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলে।

গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৫৪তম জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি অর্থ উপদেষ্টার প্রথম বাজেট।

বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়ায় এমসিসিআই আরও বলেছে, তারা সব সময় কর প্রশাসনে অর্থবহ কাঠামোগত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে আসছে, যেন কর প্রশাসন যথাযথভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। করহার বৃদ্ধির মাধ্যমে নিয়মিত কর প্রদানকারী ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের ওপর আরও বেশি করের বোঝা চাপানোর চেষ্টা, বিষয়টি সঠিকভাবে সমাধা করার জন্য এমসিসিআই জোর দাবি জানায়। এই ব্যবস্থা সমাধানের জন্য কর জাল বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে তারা।

এমসিসিআই মনে করে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে রপ্তানি বাজার সংকুচিত হওয়া; মন্থর বিনিয়োগব্যবস্থা, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার, বিশ্বব্যাপী চলমান যুদ্ধাবস্থা ও ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতকরণের সময় বাজেট প্রস্তুতকরণ অর্থ উপদেষ্টার জন্য একটি দুঃসাহসিক কাজ ছিল।

প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা (জিডিপির ১২.৭ শতাংশ), যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) চেয়ে প্রায় দশমিক ৮৮ শতাংশ কম এবং সংশোধিত বাজেটের (৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা) চেয়ে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি।

অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে অন্তর্বতী সরকার আসন্ন অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার (৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা) চেয়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। এই ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ৬৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে রাজস্ববহির্ভূত খাত থেকে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা (যা জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ)। মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বাইরের উৎস থেকে এবং ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংস্থান করা হবে। এই ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক খাত থেকে এবং ২১ হাজার কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।

বিনিয়োগ স্থবিরতা ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে এমসিসিআইয়ের উদ্বেগ

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) দেশের বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিনিয়োগ ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ২৯.৩৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই বিনিয়োগ হ্রাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই বিনিয়োগ স্থবিরতা কর্মসংস্থান কমাচ্ছে এবং দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে অর্থনীতির সংকটকে আরও তীব্র করছে।

আইএমএফের শর্ত ও বাজেট ঘাটতি

এমসিসিআই জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ করা করব্যবস্থার সংস্কার শর্তাবলির কারণে চূড়ান্ত বাজেট ঘাটতি বাড়তে পারে। আইএমএফ ঋণের শর্ত মেনে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে গিয়ে করদাতাদের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এমসিসিআই সরকারের প্রকল্প অর্থায়নে ব্যয় সীমিত রাখতে যথাযথ আর্থিক ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দিয়েছে।

ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ ও মূল্যস্ফীতি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের (৯৯ হাজার কোটি টাকা) চেয়ে ৫.০৫ শতাংশ বেশি। এমসিসিআই সতর্ক করেছে যে, এই উচ্চ ঋণ গ্রহণের ফলে অর্থনীতিতে ’ক্রাউডিং আউট’ প্রভাব তৈরি হতে পারে, যা বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য তহবিল সংকট সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়বে, যার বোঝা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপরই পড়বে। এমসিসিআই এই দুই বিষয়ের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দিয়েছে এবং ব্যাংকিং খাতের পুনর্গঠনে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী ও দরিদ্রমুখী প্রবৃদ্ধি

এমসিসিআই মনে করে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দরিদ্রমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর বেশি নজর দেওয়া উচিত। উদ্বেগজনকভাবে প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য বরাদ্দ গত অর্থবছরের (১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা) তুলনায় প্রায় ১৪.১৯ শতাংশ কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা করা হয়েছে। এমসিসিআই এই খাতে বরাদ্দ যৌক্তিকভাবে বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্তরায়

এমসিসিআই চিহ্নিত করেছে যে, অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থা, অবকাঠামো, জ্বালানির অসম বণ্টন এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এখনও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান বাধা। দুর্বল রাজস্ব আদায় (বর্তমান অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ৬২.৪১ শতাংশ) ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের ধীরগতি (বর্তমান অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ৪১.৩১ শতাংশ) অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ। এ ছাড়া উচ্চ আমদানি প্রবণতা ও বৈশ্বিক অস্থিরতা বিবেচনা করে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সতর্ক থাকার ওপরও এমসিসিআই জোর দিয়েছে।

করনীতি ও সংস্কারের আহ্বান

  • টার্নওভার কর: লাভ-ক্ষতি নির্বিশেষে টার্নওভার কর ০.৬০% থেকে ১% এবং ক্ষেত্রবিশেষে ৩% পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাবে এমসিসিআই হতাশা ব্যক্ত করেছে। তারা এই ’ন্যূনতম কর’ বাতিল করে শুধু লাভজনক ব্যবসার করযোগ্য আয়ের ওপর কর আরোপের দাবি জানিয়েছে।
  • আইপিও/পিও: পাবলিক কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে আইপিওর মাধ্যমে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার হস্তান্তরে ২২.৫% আয়কর হারের বিধানের পরিবর্তে ’পিও’ (পাবলিক অফারিং) অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে।
  • পারকুইজিট: কর্মচারীদের ’পারকুইজিট’ বাবদ সীমা ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকায় বৃদ্ধিকে স্বাগত জানালেও এমসিসিআই মনে করে এর কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকা উচিত নয়।
  • উৎসে কর রিটার্ন: উৎসে করের রিটার্ন মাসিক থেকে ত্রৈমাসিক করার প্রস্তাবকে এমসিসিআই সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
  • রয়্যালটি ও কারিগরি সেবা ফি: রয়্যালটি, লাইসেন্স ফি, কারিগরি সেবা ফি ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিডার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শুধু টার্নওভারের ৬% ব্যয় নির্বাহের বিধান প্রবর্তনের সুপারিশ করেছে।
  • কর নেট সম্প্রসারণ: ১ কোটি ১৪ লাখ ইটিআইএনধারীর মধ্যে মাত্র ৪৫ লাখ আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া এবং অধিকাংশ রিটার্ন শূন্য হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এমসিসিআই সুষ্ঠু কর ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক করনীতিমালার মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের আওতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।
  • প্রান্তিক করদাতা: প্রান্তিক করদাতাদের ন্যূনতম কর ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা বৃদ্ধি করায় তাঁদের ওপর করের বোঝা বাড়বে বলে এমসিসিআই মনে করে।
  • ভ্যাট আইন: ভ্যাট আইনের কাঠামোগত সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পরামর্শ না থাকায় এমসিসিআই হতাশা প্রকাশ করেছে।
  • আগাম কর: শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর ৩% থেকে ২% কমানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও এমসিসিআই তা শূন্য করার দাবি জানিয়েছে।
  • আগাম কর সমন্বয়: আগাম কর সমন্বয় বা উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রে সময়সীমা ৪ করমেয়াদ থেকে ৬ করমেয়াদ পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাবকে এমসিসিআই স্বাগত জানিয়েছে।
  • ই-ইনভয়েসিং ও ইএফডি: এমসিসিআই বিশ্বাস করে, ই-ইনভয়েসিং ও ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করলে ভ্যাট সংগ্রহ প্রক্রিয়া দ্রুত হবে এবং ভ্যাটের নেট বৃদ্ধি পাবে।

সবশেষে, এমসিসিআই জোর দিয়ে বলেছে যে, কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি ও করনেট সম্প্রসারণের জন্য করব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন ও জনবান্ধব করনীতি অত্যন্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা ফেরতে নতুন আশা দিলেন গভর্নর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি

একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই নতুন বার্তা দেন।

গভর্নর বলেন, একীভূত পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তির কাজ এগোচ্ছে এবং ডিপোজিট গ্যারান্টির আওতায় সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা প্রথম ধাপে ফেরত দেওয়া হবে। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী নবগঠিত ব্যাংকগুলো প্রথম বা দ্বিতীয় বছরের মধ্যেই লাভজনক অবস্থানে ফিরতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টাকা ফেরত না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা।

তাঁরা জানান, এক মাস থেকে দুই মাস, তারপর ছয় মাস—এভাবে প্রতিশ্রুতির মেয়াদ বাড়তে বাড়তে দেড় বছর পার হয়ে গেছে; কিন্তু ব্যাংক থেকে জমা রাখা অর্থের ১ টাকাও তাঁরা তুলতে পারেননি। এখন গভর্নর ‘এক সপ্তাহের’ নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি কবে বাস্তবে কার্যকর হবে—তা নিয়েও তাঁরা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন। গ্রাহকদের দাবি, অবিলম্বে আমানত ফেরত দেওয়ার নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিজার্ভ চুরি: ৯১ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৪
রিজার্ভ চুরি: ৯১ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৯১ বারের মতো পিছিয়েছে। নতুন তারিখ আগামী ১৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রিজার্ভের অর্থ চুরির ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। কিন্তু নয় বছরেও রিজার্ভে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেয়ারবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতায় এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: বিআইসিএম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার পুঁজিবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ।

আজ সোমবার বিআইসিএমের মাল্টিপারপাস হলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে সিএমজেএফ ও বিআইসিএম। সেশনটি সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীন।

বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘সম্প্রতি পুঁজিবাজারে পাঁচটি তালিকাভুক্ত ব্যাংক একীভূত করা হয়েছে এবং আরও নয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসান হতে যাচ্ছে। এআই ব্যবহারের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা সম্ভব। শুধু এসব কোম্পানিই নয়, পুঁজিবাজার-সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য বিশ্লেষণে এআই ভবিষ্যতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।’

সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সময়ে এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শেয়ারবাজারের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি বিবেচনা করে সিএমজেএফের সদস্যদের জন্য এআইয়ের ওপর এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে। এটি সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বলেন, সিএমজেএফের সদস্যদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ বিআইসিএমের সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণটি আয়োজন করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক ইমরান মাহমুদ ও গৌরব রায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত