নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। মেলার আয়োজক বরাবরের মতোই এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এবার এই মেলার মধ্য দিয়ে যেন তাঁরা শ্বাস ফেলেছেন। বরাবরের মতো এবারও মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণই বেশি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢুকতেই যেন এক টুকরো বাংলাদেশ সামনে এসে হাজির হলো। এমনিতে মেলা তো সারা দেশের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পণ্য বিপণন ও প্রদর্শনীর স্থল। কিন্তু এই মেলাই অংশগ্রহণকারীদের বৈচিত্র্যে আলাদা মাত্রা পেয়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ও অঞ্চলের উদ্যোক্তারা এসেছেন মেলায়। প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ যেমন আছে, তেমনি আছে বিভিন্ন জাতি পরিচয় ও প্রান্তিক জনপদের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ।
মেলায় সারা দেশের উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্য যেমন পাটজাত পণ্য, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, চামড়াজাত সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস, হালকা সরঞ্জাম, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ পণ্যসহ নানা পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হয়। বলে রাখা ভালো—এ মেলায় কোনো বিদেশি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয় না।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই দেখা হয়ে গেল জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে। শারীরিক প্রতিবন্ধী এই নারী উদ্যোক্তা এসেছেন বগুড়া থেকে। মেলায় প্রথমবারের মতো আসা এই নারী নিজের ভালো লাগার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি এই মেলায় প্রথম এসেছি। শারীরিক সমস্যাকে ডিঙিয়ে এই জায়গায় আসতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। এখানে স্টল নেওয়াতে আরও আরেক নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিক্রির পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি। অনেক কিছু শিখছি। আমার স্বপ্ন একটা শোরুম দেওয়ার। সে ক্ষেত্রে অফলাইনে কীভাবে ব্যবসা করতে হবে—সেটা আমি এই মেলা থেকে শিখছি।’
করোনার কারণে দেড় বছর স্থবির ছিল দেশের অর্থনীতি। এ সময় উদ্যোক্তাদের কাজও ছিল মোটামুটি বন্ধ। দীর্ঘ সময়ের পর মেলায় অংশ নিতে পেরে আনন্দিত ময়মনসিংহ থেকে আসা আরেক উদ্যোক্তা শাহনাজ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৬ থেকে এই মেলায় অংশ নিচ্ছি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। করোনাতে বলতে গেলে কারও সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। এখানে অনেকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। মানুষ কিছু কিনুক আর না কিনুক, দোকানে তো আসছে।
মেলায় আসার কারণ হিসেবে শহানাজ বলেন, ‘মেলায় আশার কারণ হলো উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের একটা পরিচিতি গড়ে তোলা। আমি ময়মনসিংহের হাজী কাসেম আলী কলেজের শিক্ষক ছিলাম। এখন কলেজের শিক্ষকতা ছেড়ে মনপ্রাণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছি। আমার এই কাজে অনেক নারী যুক্ত আছেন।’
এসএমই মেলায় বরাবরই নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। এবারের মেলার নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণের হার ৬০ শতাংশ। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, আগের কয়েক বছরের তুলনায় এবার নারী অংশগ্রহণ কিছুটা কমেছে। আশার দিক হলো পুরুষ অংশগ্রহণ বেড়েছে। অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে এসএমই মেলায় নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ। পরের দুই বছরে এ হার দাঁড়ায় যথাক্রমে ৭০ ও ৬৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে।
এসএমই মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন নারী উদ্যোক্তা ক্যালি চাকমা। এত দূর থেকে এসে মেলায় অংশগ্রহণ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাঙামাটি থেকে এসেছি। আমি প্রথমবারের মতো এই মেলায় অংশগ্রহণ করছি। এখানে এসে দেখলাম আমার মতো আরও হাজার হাজার উদ্যোক্তা আছেন। এখানে অংশ নিয়ে আমার পণ্যের প্রচার বাড়ছে। আবার অন্য উদ্যোক্তাদের পণ্য সম্পর্কেও জানতে পারছি।’
পাহাড়ের মেয়ে ক্যালি চাকমা নিজের এই অংশগ্রহণকে বিশেষ কিছু বলে মনে করছেন। তাঁর দৃষ্টিতে এর মাধ্যমে পাহাড়ের অন্য উদ্যোক্তারাও অনুপ্রেরণা পাবে। বললেন, ‘আমরা আমাদের ব্যবসার কাজে সরকারের সহযোগিতা আশা করি, যাতে ভবিষ্যতে কাজের পরিধি বাড়াতে পারি।’
রুনা লায়লা এসেছেন যশোর থেকে। এবারই প্রথম অংশ নেওয়া। এখন পর্যন্ত বেশ অর্ডারও পেয়েছেন। বললেন, ‘আমার যাবতীয় কাজ যশোরে হয়। সেখানে ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। ভালো কিছু করার চিন্তা থেকে এই মেলায় আসা। এখানে এসে দেখলাম, খুচরা বিক্রি কম। অনেক পাইকারি পণ্যের অর্ডার পেয়েছি। এটা আমার কাছে অনেক বেশি কিছু। আরেকটা বিষয় এখানে এসে দেখলাম—আমি একা নই। আমার মতো আরও অনেক নারী উদ্যোক্তা আছেন, যারা অনেক সমস্যাকে পেছনে ফেলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চাইছেন। ঘর থেকে বের হয়ে আসছেন। এটা নারীদের জন্য অনেক বড় একটা সফলতা।’
একই কথা জানালেন আইরিন। অন্য উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে দেখে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারছেন বলে জানালেন। তাঁকে মূলত টানছে বৈচিত্র্য। তিনি বলেন, ‘এসএমই মেলা আসলে উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা। অনেক জেলার মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। এই যে দেশের বিভিন্ন জেলার নানা রকম পণ্য দেখছি, এসব দেখে ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হিসেবে আরও অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হলো।’
দেশীয় পণ্যের আরেক উদ্যোক্তা জান্নাত সুলতানা এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজের মতো দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করা এত এত উদ্যোক্তা দেখে মুগ্ধ তিনি। জান্নাত বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। আমি উদ্যোক্তা হিসেবে ১৫ বছর কাজ করার সত্ত্বেও যেটা জানতাম না, এসএমই মেলায় এসে সে বিষয়ে জানছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক উদ্যোক্তা আমার পণ্যের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এতে আমার পণ্যের প্রচার বাড়ছে।’
বুটিকের নকশা করা খুরশিদা জাহানের কাছে অবশ্য এটাই প্রথম অভিজ্ঞতা নয়। মেলায় ২০১৫ সাল থেকেই অংশ নিচ্ছেন তিনি। উদ্যোক্তা হিসেবে পথচলা শুরুর তিন বছরের মাথায় মেলায় প্রথম অংশ নেন। অর্ডারও বেশ পাচ্ছেন জানিয়ে বলেন, ‘সারা দেশে আমার মতো আরও অনেক উদ্যোক্তা আছেন। তাদের সঙ্গে একটা যোগাযোগমাধ্যম হলো এই মেলা। আমি এই মেলায় অংশগ্রহণ করে অনেক বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের পাইকারি পণ্যের অর্ডার পেয়েছি।’
সব মিলিয়ে জমজমাট মেলা হচ্ছে। গত ৫ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রথমবারের মতো এতে ১০টি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অংশ নিচ্ছে। এবারের এসএমই পণ্য মেলায় সারা দেশ থেকে বাছাই করা ৩০০ এসএমই প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। মেলার আয়োজক বরাবরের মতোই এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এবার এই মেলার মধ্য দিয়ে যেন তাঁরা শ্বাস ফেলেছেন। বরাবরের মতো এবারও মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণই বেশি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢুকতেই যেন এক টুকরো বাংলাদেশ সামনে এসে হাজির হলো। এমনিতে মেলা তো সারা দেশের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পণ্য বিপণন ও প্রদর্শনীর স্থল। কিন্তু এই মেলাই অংশগ্রহণকারীদের বৈচিত্র্যে আলাদা মাত্রা পেয়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ও অঞ্চলের উদ্যোক্তারা এসেছেন মেলায়। প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ যেমন আছে, তেমনি আছে বিভিন্ন জাতি পরিচয় ও প্রান্তিক জনপদের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ।
মেলায় সারা দেশের উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্য যেমন পাটজাত পণ্য, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, চামড়াজাত সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস, হালকা সরঞ্জাম, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ পণ্যসহ নানা পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হয়। বলে রাখা ভালো—এ মেলায় কোনো বিদেশি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয় না।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই দেখা হয়ে গেল জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে। শারীরিক প্রতিবন্ধী এই নারী উদ্যোক্তা এসেছেন বগুড়া থেকে। মেলায় প্রথমবারের মতো আসা এই নারী নিজের ভালো লাগার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি এই মেলায় প্রথম এসেছি। শারীরিক সমস্যাকে ডিঙিয়ে এই জায়গায় আসতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। এখানে স্টল নেওয়াতে আরও আরেক নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিক্রির পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি। অনেক কিছু শিখছি। আমার স্বপ্ন একটা শোরুম দেওয়ার। সে ক্ষেত্রে অফলাইনে কীভাবে ব্যবসা করতে হবে—সেটা আমি এই মেলা থেকে শিখছি।’
করোনার কারণে দেড় বছর স্থবির ছিল দেশের অর্থনীতি। এ সময় উদ্যোক্তাদের কাজও ছিল মোটামুটি বন্ধ। দীর্ঘ সময়ের পর মেলায় অংশ নিতে পেরে আনন্দিত ময়মনসিংহ থেকে আসা আরেক উদ্যোক্তা শাহনাজ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৬ থেকে এই মেলায় অংশ নিচ্ছি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। করোনাতে বলতে গেলে কারও সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। এখানে অনেকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। মানুষ কিছু কিনুক আর না কিনুক, দোকানে তো আসছে।
মেলায় আসার কারণ হিসেবে শহানাজ বলেন, ‘মেলায় আশার কারণ হলো উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের একটা পরিচিতি গড়ে তোলা। আমি ময়মনসিংহের হাজী কাসেম আলী কলেজের শিক্ষক ছিলাম। এখন কলেজের শিক্ষকতা ছেড়ে মনপ্রাণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছি। আমার এই কাজে অনেক নারী যুক্ত আছেন।’
এসএমই মেলায় বরাবরই নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। এবারের মেলার নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণের হার ৬০ শতাংশ। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, আগের কয়েক বছরের তুলনায় এবার নারী অংশগ্রহণ কিছুটা কমেছে। আশার দিক হলো পুরুষ অংশগ্রহণ বেড়েছে। অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে এসএমই মেলায় নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ। পরের দুই বছরে এ হার দাঁড়ায় যথাক্রমে ৭০ ও ৬৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে।
এসএমই মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন নারী উদ্যোক্তা ক্যালি চাকমা। এত দূর থেকে এসে মেলায় অংশগ্রহণ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাঙামাটি থেকে এসেছি। আমি প্রথমবারের মতো এই মেলায় অংশগ্রহণ করছি। এখানে এসে দেখলাম আমার মতো আরও হাজার হাজার উদ্যোক্তা আছেন। এখানে অংশ নিয়ে আমার পণ্যের প্রচার বাড়ছে। আবার অন্য উদ্যোক্তাদের পণ্য সম্পর্কেও জানতে পারছি।’
পাহাড়ের মেয়ে ক্যালি চাকমা নিজের এই অংশগ্রহণকে বিশেষ কিছু বলে মনে করছেন। তাঁর দৃষ্টিতে এর মাধ্যমে পাহাড়ের অন্য উদ্যোক্তারাও অনুপ্রেরণা পাবে। বললেন, ‘আমরা আমাদের ব্যবসার কাজে সরকারের সহযোগিতা আশা করি, যাতে ভবিষ্যতে কাজের পরিধি বাড়াতে পারি।’
রুনা লায়লা এসেছেন যশোর থেকে। এবারই প্রথম অংশ নেওয়া। এখন পর্যন্ত বেশ অর্ডারও পেয়েছেন। বললেন, ‘আমার যাবতীয় কাজ যশোরে হয়। সেখানে ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। ভালো কিছু করার চিন্তা থেকে এই মেলায় আসা। এখানে এসে দেখলাম, খুচরা বিক্রি কম। অনেক পাইকারি পণ্যের অর্ডার পেয়েছি। এটা আমার কাছে অনেক বেশি কিছু। আরেকটা বিষয় এখানে এসে দেখলাম—আমি একা নই। আমার মতো আরও অনেক নারী উদ্যোক্তা আছেন, যারা অনেক সমস্যাকে পেছনে ফেলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চাইছেন। ঘর থেকে বের হয়ে আসছেন। এটা নারীদের জন্য অনেক বড় একটা সফলতা।’
একই কথা জানালেন আইরিন। অন্য উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে দেখে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারছেন বলে জানালেন। তাঁকে মূলত টানছে বৈচিত্র্য। তিনি বলেন, ‘এসএমই মেলা আসলে উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা। অনেক জেলার মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। এই যে দেশের বিভিন্ন জেলার নানা রকম পণ্য দেখছি, এসব দেখে ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হিসেবে আরও অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হলো।’
দেশীয় পণ্যের আরেক উদ্যোক্তা জান্নাত সুলতানা এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজের মতো দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করা এত এত উদ্যোক্তা দেখে মুগ্ধ তিনি। জান্নাত বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। আমি উদ্যোক্তা হিসেবে ১৫ বছর কাজ করার সত্ত্বেও যেটা জানতাম না, এসএমই মেলায় এসে সে বিষয়ে জানছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক উদ্যোক্তা আমার পণ্যের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এতে আমার পণ্যের প্রচার বাড়ছে।’
বুটিকের নকশা করা খুরশিদা জাহানের কাছে অবশ্য এটাই প্রথম অভিজ্ঞতা নয়। মেলায় ২০১৫ সাল থেকেই অংশ নিচ্ছেন তিনি। উদ্যোক্তা হিসেবে পথচলা শুরুর তিন বছরের মাথায় মেলায় প্রথম অংশ নেন। অর্ডারও বেশ পাচ্ছেন জানিয়ে বলেন, ‘সারা দেশে আমার মতো আরও অনেক উদ্যোক্তা আছেন। তাদের সঙ্গে একটা যোগাযোগমাধ্যম হলো এই মেলা। আমি এই মেলায় অংশগ্রহণ করে অনেক বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের পাইকারি পণ্যের অর্ডার পেয়েছি।’
সব মিলিয়ে জমজমাট মেলা হচ্ছে। গত ৫ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রথমবারের মতো এতে ১০টি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অংশ নিচ্ছে। এবারের এসএমই পণ্য মেলায় সারা দেশ থেকে বাছাই করা ৩০০ এসএমই প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। মেলার আয়োজক বরাবরের মতোই এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এবার এই মেলার মধ্য দিয়ে যেন তাঁরা শ্বাস ফেলেছেন। বরাবরের মতো এবারও মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণই বেশি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢুকতেই যেন এক টুকরো বাংলাদেশ সামনে এসে হাজির হলো। এমনিতে মেলা তো সারা দেশের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পণ্য বিপণন ও প্রদর্শনীর স্থল। কিন্তু এই মেলাই অংশগ্রহণকারীদের বৈচিত্র্যে আলাদা মাত্রা পেয়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ও অঞ্চলের উদ্যোক্তারা এসেছেন মেলায়। প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ যেমন আছে, তেমনি আছে বিভিন্ন জাতি পরিচয় ও প্রান্তিক জনপদের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ।
মেলায় সারা দেশের উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্য যেমন পাটজাত পণ্য, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, চামড়াজাত সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস, হালকা সরঞ্জাম, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ পণ্যসহ নানা পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হয়। বলে রাখা ভালো—এ মেলায় কোনো বিদেশি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয় না।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই দেখা হয়ে গেল জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে। শারীরিক প্রতিবন্ধী এই নারী উদ্যোক্তা এসেছেন বগুড়া থেকে। মেলায় প্রথমবারের মতো আসা এই নারী নিজের ভালো লাগার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি এই মেলায় প্রথম এসেছি। শারীরিক সমস্যাকে ডিঙিয়ে এই জায়গায় আসতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। এখানে স্টল নেওয়াতে আরও আরেক নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিক্রির পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি। অনেক কিছু শিখছি। আমার স্বপ্ন একটা শোরুম দেওয়ার। সে ক্ষেত্রে অফলাইনে কীভাবে ব্যবসা করতে হবে—সেটা আমি এই মেলা থেকে শিখছি।’
করোনার কারণে দেড় বছর স্থবির ছিল দেশের অর্থনীতি। এ সময় উদ্যোক্তাদের কাজও ছিল মোটামুটি বন্ধ। দীর্ঘ সময়ের পর মেলায় অংশ নিতে পেরে আনন্দিত ময়মনসিংহ থেকে আসা আরেক উদ্যোক্তা শাহনাজ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৬ থেকে এই মেলায় অংশ নিচ্ছি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। করোনাতে বলতে গেলে কারও সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। এখানে অনেকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। মানুষ কিছু কিনুক আর না কিনুক, দোকানে তো আসছে।
মেলায় আসার কারণ হিসেবে শহানাজ বলেন, ‘মেলায় আশার কারণ হলো উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের একটা পরিচিতি গড়ে তোলা। আমি ময়মনসিংহের হাজী কাসেম আলী কলেজের শিক্ষক ছিলাম। এখন কলেজের শিক্ষকতা ছেড়ে মনপ্রাণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছি। আমার এই কাজে অনেক নারী যুক্ত আছেন।’
এসএমই মেলায় বরাবরই নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। এবারের মেলার নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণের হার ৬০ শতাংশ। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, আগের কয়েক বছরের তুলনায় এবার নারী অংশগ্রহণ কিছুটা কমেছে। আশার দিক হলো পুরুষ অংশগ্রহণ বেড়েছে। অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে এসএমই মেলায় নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ। পরের দুই বছরে এ হার দাঁড়ায় যথাক্রমে ৭০ ও ৬৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে।
এসএমই মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন নারী উদ্যোক্তা ক্যালি চাকমা। এত দূর থেকে এসে মেলায় অংশগ্রহণ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাঙামাটি থেকে এসেছি। আমি প্রথমবারের মতো এই মেলায় অংশগ্রহণ করছি। এখানে এসে দেখলাম আমার মতো আরও হাজার হাজার উদ্যোক্তা আছেন। এখানে অংশ নিয়ে আমার পণ্যের প্রচার বাড়ছে। আবার অন্য উদ্যোক্তাদের পণ্য সম্পর্কেও জানতে পারছি।’
পাহাড়ের মেয়ে ক্যালি চাকমা নিজের এই অংশগ্রহণকে বিশেষ কিছু বলে মনে করছেন। তাঁর দৃষ্টিতে এর মাধ্যমে পাহাড়ের অন্য উদ্যোক্তারাও অনুপ্রেরণা পাবে। বললেন, ‘আমরা আমাদের ব্যবসার কাজে সরকারের সহযোগিতা আশা করি, যাতে ভবিষ্যতে কাজের পরিধি বাড়াতে পারি।’
রুনা লায়লা এসেছেন যশোর থেকে। এবারই প্রথম অংশ নেওয়া। এখন পর্যন্ত বেশ অর্ডারও পেয়েছেন। বললেন, ‘আমার যাবতীয় কাজ যশোরে হয়। সেখানে ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। ভালো কিছু করার চিন্তা থেকে এই মেলায় আসা। এখানে এসে দেখলাম, খুচরা বিক্রি কম। অনেক পাইকারি পণ্যের অর্ডার পেয়েছি। এটা আমার কাছে অনেক বেশি কিছু। আরেকটা বিষয় এখানে এসে দেখলাম—আমি একা নই। আমার মতো আরও অনেক নারী উদ্যোক্তা আছেন, যারা অনেক সমস্যাকে পেছনে ফেলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চাইছেন। ঘর থেকে বের হয়ে আসছেন। এটা নারীদের জন্য অনেক বড় একটা সফলতা।’
একই কথা জানালেন আইরিন। অন্য উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে দেখে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারছেন বলে জানালেন। তাঁকে মূলত টানছে বৈচিত্র্য। তিনি বলেন, ‘এসএমই মেলা আসলে উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা। অনেক জেলার মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। এই যে দেশের বিভিন্ন জেলার নানা রকম পণ্য দেখছি, এসব দেখে ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হিসেবে আরও অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হলো।’
দেশীয় পণ্যের আরেক উদ্যোক্তা জান্নাত সুলতানা এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজের মতো দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করা এত এত উদ্যোক্তা দেখে মুগ্ধ তিনি। জান্নাত বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। আমি উদ্যোক্তা হিসেবে ১৫ বছর কাজ করার সত্ত্বেও যেটা জানতাম না, এসএমই মেলায় এসে সে বিষয়ে জানছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক উদ্যোক্তা আমার পণ্যের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এতে আমার পণ্যের প্রচার বাড়ছে।’
বুটিকের নকশা করা খুরশিদা জাহানের কাছে অবশ্য এটাই প্রথম অভিজ্ঞতা নয়। মেলায় ২০১৫ সাল থেকেই অংশ নিচ্ছেন তিনি। উদ্যোক্তা হিসেবে পথচলা শুরুর তিন বছরের মাথায় মেলায় প্রথম অংশ নেন। অর্ডারও বেশ পাচ্ছেন জানিয়ে বলেন, ‘সারা দেশে আমার মতো আরও অনেক উদ্যোক্তা আছেন। তাদের সঙ্গে একটা যোগাযোগমাধ্যম হলো এই মেলা। আমি এই মেলায় অংশগ্রহণ করে অনেক বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের পাইকারি পণ্যের অর্ডার পেয়েছি।’
সব মিলিয়ে জমজমাট মেলা হচ্ছে। গত ৫ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রথমবারের মতো এতে ১০টি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অংশ নিচ্ছে। এবারের এসএমই পণ্য মেলায় সারা দেশ থেকে বাছাই করা ৩০০ এসএমই প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। মেলার আয়োজক বরাবরের মতোই এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এবার এই মেলার মধ্য দিয়ে যেন তাঁরা শ্বাস ফেলেছেন। বরাবরের মতো এবারও মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণই বেশি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢুকতেই যেন এক টুকরো বাংলাদেশ সামনে এসে হাজির হলো। এমনিতে মেলা তো সারা দেশের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পণ্য বিপণন ও প্রদর্শনীর স্থল। কিন্তু এই মেলাই অংশগ্রহণকারীদের বৈচিত্র্যে আলাদা মাত্রা পেয়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ও অঞ্চলের উদ্যোক্তারা এসেছেন মেলায়। প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ যেমন আছে, তেমনি আছে বিভিন্ন জাতি পরিচয় ও প্রান্তিক জনপদের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ।
মেলায় সারা দেশের উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্য যেমন পাটজাত পণ্য, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, চামড়াজাত সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস, হালকা সরঞ্জাম, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ পণ্যসহ নানা পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হয়। বলে রাখা ভালো—এ মেলায় কোনো বিদেশি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয় না।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই দেখা হয়ে গেল জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে। শারীরিক প্রতিবন্ধী এই নারী উদ্যোক্তা এসেছেন বগুড়া থেকে। মেলায় প্রথমবারের মতো আসা এই নারী নিজের ভালো লাগার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি এই মেলায় প্রথম এসেছি। শারীরিক সমস্যাকে ডিঙিয়ে এই জায়গায় আসতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। এখানে স্টল নেওয়াতে আরও আরেক নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিক্রির পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি। অনেক কিছু শিখছি। আমার স্বপ্ন একটা শোরুম দেওয়ার। সে ক্ষেত্রে অফলাইনে কীভাবে ব্যবসা করতে হবে—সেটা আমি এই মেলা থেকে শিখছি।’
করোনার কারণে দেড় বছর স্থবির ছিল দেশের অর্থনীতি। এ সময় উদ্যোক্তাদের কাজও ছিল মোটামুটি বন্ধ। দীর্ঘ সময়ের পর মেলায় অংশ নিতে পেরে আনন্দিত ময়মনসিংহ থেকে আসা আরেক উদ্যোক্তা শাহনাজ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৬ থেকে এই মেলায় অংশ নিচ্ছি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। করোনাতে বলতে গেলে কারও সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। এখানে অনেকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। মানুষ কিছু কিনুক আর না কিনুক, দোকানে তো আসছে।
মেলায় আসার কারণ হিসেবে শহানাজ বলেন, ‘মেলায় আশার কারণ হলো উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের একটা পরিচিতি গড়ে তোলা। আমি ময়মনসিংহের হাজী কাসেম আলী কলেজের শিক্ষক ছিলাম। এখন কলেজের শিক্ষকতা ছেড়ে মনপ্রাণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছি। আমার এই কাজে অনেক নারী যুক্ত আছেন।’
এসএমই মেলায় বরাবরই নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। এবারের মেলার নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণের হার ৬০ শতাংশ। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, আগের কয়েক বছরের তুলনায় এবার নারী অংশগ্রহণ কিছুটা কমেছে। আশার দিক হলো পুরুষ অংশগ্রহণ বেড়েছে। অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে এসএমই মেলায় নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ। পরের দুই বছরে এ হার দাঁড়ায় যথাক্রমে ৭০ ও ৬৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে।
এসএমই মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন নারী উদ্যোক্তা ক্যালি চাকমা। এত দূর থেকে এসে মেলায় অংশগ্রহণ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাঙামাটি থেকে এসেছি। আমি প্রথমবারের মতো এই মেলায় অংশগ্রহণ করছি। এখানে এসে দেখলাম আমার মতো আরও হাজার হাজার উদ্যোক্তা আছেন। এখানে অংশ নিয়ে আমার পণ্যের প্রচার বাড়ছে। আবার অন্য উদ্যোক্তাদের পণ্য সম্পর্কেও জানতে পারছি।’
পাহাড়ের মেয়ে ক্যালি চাকমা নিজের এই অংশগ্রহণকে বিশেষ কিছু বলে মনে করছেন। তাঁর দৃষ্টিতে এর মাধ্যমে পাহাড়ের অন্য উদ্যোক্তারাও অনুপ্রেরণা পাবে। বললেন, ‘আমরা আমাদের ব্যবসার কাজে সরকারের সহযোগিতা আশা করি, যাতে ভবিষ্যতে কাজের পরিধি বাড়াতে পারি।’
রুনা লায়লা এসেছেন যশোর থেকে। এবারই প্রথম অংশ নেওয়া। এখন পর্যন্ত বেশ অর্ডারও পেয়েছেন। বললেন, ‘আমার যাবতীয় কাজ যশোরে হয়। সেখানে ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। ভালো কিছু করার চিন্তা থেকে এই মেলায় আসা। এখানে এসে দেখলাম, খুচরা বিক্রি কম। অনেক পাইকারি পণ্যের অর্ডার পেয়েছি। এটা আমার কাছে অনেক বেশি কিছু। আরেকটা বিষয় এখানে এসে দেখলাম—আমি একা নই। আমার মতো আরও অনেক নারী উদ্যোক্তা আছেন, যারা অনেক সমস্যাকে পেছনে ফেলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চাইছেন। ঘর থেকে বের হয়ে আসছেন। এটা নারীদের জন্য অনেক বড় একটা সফলতা।’
একই কথা জানালেন আইরিন। অন্য উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে দেখে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারছেন বলে জানালেন। তাঁকে মূলত টানছে বৈচিত্র্য। তিনি বলেন, ‘এসএমই মেলা আসলে উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা। অনেক জেলার মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। এই যে দেশের বিভিন্ন জেলার নানা রকম পণ্য দেখছি, এসব দেখে ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হিসেবে আরও অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হলো।’
দেশীয় পণ্যের আরেক উদ্যোক্তা জান্নাত সুলতানা এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজের মতো দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করা এত এত উদ্যোক্তা দেখে মুগ্ধ তিনি। জান্নাত বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। আমি উদ্যোক্তা হিসেবে ১৫ বছর কাজ করার সত্ত্বেও যেটা জানতাম না, এসএমই মেলায় এসে সে বিষয়ে জানছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক উদ্যোক্তা আমার পণ্যের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এতে আমার পণ্যের প্রচার বাড়ছে।’
বুটিকের নকশা করা খুরশিদা জাহানের কাছে অবশ্য এটাই প্রথম অভিজ্ঞতা নয়। মেলায় ২০১৫ সাল থেকেই অংশ নিচ্ছেন তিনি। উদ্যোক্তা হিসেবে পথচলা শুরুর তিন বছরের মাথায় মেলায় প্রথম অংশ নেন। অর্ডারও বেশ পাচ্ছেন জানিয়ে বলেন, ‘সারা দেশে আমার মতো আরও অনেক উদ্যোক্তা আছেন। তাদের সঙ্গে একটা যোগাযোগমাধ্যম হলো এই মেলা। আমি এই মেলায় অংশগ্রহণ করে অনেক বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের পাইকারি পণ্যের অর্ডার পেয়েছি।’
সব মিলিয়ে জমজমাট মেলা হচ্ছে। গত ৫ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রথমবারের মতো এতে ১০টি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অংশ নিচ্ছে। এবারের এসএমই পণ্য মেলায় সারা দেশ থেকে বাছাই করা ৩০০ এসএমই প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
৩০ মিনিট আগে
বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
৩৭ মিনিট আগে
বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমানো হবে। তিনি বলেছেন, ‘বেইজিং অবৈধ ফেন্টানিলের বাণিজ্য বন্ধ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু এবং বিরল উপাদান রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘অসাধারণ একটি বৈঠক হয়েছে—আমি একে ১০-এর মধ্যে ১২ দেব।’
ট্রাম্প জানান, চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হবে। বিশেষ করে, ফেন্টানিল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, সি চিন পিং কথা দিয়েছেন, ফেন্টানিলের পাচার রোধে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
প্রসঙ্গত, ফেন্টানিল সাধারণত চিকিৎসায় ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি মরফিন বা হেরোইনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক মাদকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চীন বিরল খনিজ উপাদান রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই উপাদানগুলো গাড়ি, বিমান ও অস্ত্রশিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এগুলো বেইজিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।
এ ছাড়া দুই দেশ কৃষি-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এর পাশাপাশি টিকটক অ্যাপসংক্রান্ত মালিকানা সমস্যার সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
যদিও ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘অসাধারণ সাফল্য’ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে এর প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কিছুটা নেমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন ফিউচারও দুর্বল ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম বাক পরামর্শক সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ বেসা ডেডা রয়টার্সকে বলেন, বাজারের প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের বর্ণনার মতো উচ্ছ্বসিত নয়—বরং বেশ সতর্ক।
অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প চীনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন—তাঁর কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
বুসানে সির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত চুক্তির অধিকাংশ বিষয় চূড়ান্ত করেন। ট্রাম্প জানান, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, আলাস্কায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের চুক্তি হতে পারে। তিনি আরও জানান, আগামী এপ্রিলে তিনি চীন সফর করবেন এবং পরে সি চিন পিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাবেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ বৈঠককে সির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে বৈঠকে তাইওয়ান বা এনভিডিয়ার আধুনিক ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে ট্রাম্প জানান। এতে চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের এআই বাজারে এনভিডিয়ার অবস্থান আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের প্রধান বাণিজ্য আলোচক জানান, তিনি এপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিট আগে ৩৩ বছর পর আবারও পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানান, রাশিয়া ও চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নীতি বজায় রাখবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমানো হবে। তিনি বলেছেন, ‘বেইজিং অবৈধ ফেন্টানিলের বাণিজ্য বন্ধ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু এবং বিরল উপাদান রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘অসাধারণ একটি বৈঠক হয়েছে—আমি একে ১০-এর মধ্যে ১২ দেব।’
ট্রাম্প জানান, চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হবে। বিশেষ করে, ফেন্টানিল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, সি চিন পিং কথা দিয়েছেন, ফেন্টানিলের পাচার রোধে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
প্রসঙ্গত, ফেন্টানিল সাধারণত চিকিৎসায় ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি মরফিন বা হেরোইনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক মাদকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চীন বিরল খনিজ উপাদান রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই উপাদানগুলো গাড়ি, বিমান ও অস্ত্রশিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এগুলো বেইজিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।
এ ছাড়া দুই দেশ কৃষি-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এর পাশাপাশি টিকটক অ্যাপসংক্রান্ত মালিকানা সমস্যার সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
যদিও ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘অসাধারণ সাফল্য’ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে এর প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কিছুটা নেমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন ফিউচারও দুর্বল ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম বাক পরামর্শক সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ বেসা ডেডা রয়টার্সকে বলেন, বাজারের প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের বর্ণনার মতো উচ্ছ্বসিত নয়—বরং বেশ সতর্ক।
অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প চীনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন—তাঁর কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
বুসানে সির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত চুক্তির অধিকাংশ বিষয় চূড়ান্ত করেন। ট্রাম্প জানান, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, আলাস্কায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের চুক্তি হতে পারে। তিনি আরও জানান, আগামী এপ্রিলে তিনি চীন সফর করবেন এবং পরে সি চিন পিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাবেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ বৈঠককে সির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে বৈঠকে তাইওয়ান বা এনভিডিয়ার আধুনিক ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে ট্রাম্প জানান। এতে চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের এআই বাজারে এনভিডিয়ার অবস্থান আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের প্রধান বাণিজ্য আলোচক জানান, তিনি এপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিট আগে ৩৩ বছর পর আবারও পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানান, রাশিয়া ও চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নীতি বজায় রাখবে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। মেলার আয়োজক বরাবরের মতোই এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এবার এই মেলার মধ্য দিয়ে যেন তাঁরা শ্বাস ফেলেছেন। বরাবরের মতো এবারও মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণই বেশি।
১০ ডিসেম্বর ২০২১
বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
৩৭ মিনিট আগে
বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সাহেব সম্মত হয়েছেন, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ। বৈঠকে উনারা ঠিক করবেন কোনটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ। সেটিই গ্রহণযোগ্য হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা সফল হয়েছি।’
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক প্রসারে প্রতিবন্ধক ওজন স্কেল, বন্দর ট্রাফিক ও চিটাগাং চেম্বারকে জবাবদিহিমূলক ও ব্যবসায়ীবান্ধব করার প্রত্যয়ে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের প্রথম সভায় এক সপ্তাহ আগে আলটিমেটাম দেওয়ার পর বন্দরের চেয়ারম্যান স্বপ্রণোদিত হয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখে চারটি খাতে ট্রাক, প্রাইমমুভার, ট্রেইলার, গেট ফি খাতে বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিতের ব্যবস্থা করেছিলেন। সিঅ্যান্ডএফ ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছিল, সে কারণে কর্মসূচি উইথড্র করে নিয়েছি। আমরা চাইনি চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো ক্ষতি হোক।’
পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। উনি একটি পক্ষকে আমাদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য নিযুক্ত করেছেন। গতকাল (বুধবার) বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমি অত্যন্ত খুশি হয়ে বলতে পারি আপনাদের, বন্দরের চেয়ারম্যান সম্মত হয়েছেন যে, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ।’
পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুরোধ করব সব অ্যাসোসিয়েশনকে বন্দরের ট্যারিফ কোন কোন খাতে বেশি হয়েছে, তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ যাতে নির্ধারণ করতে পারি। আমরা আশা করব, সরকার ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে।’
সভার বিশেষ অতিথি বিজিএমইএর পরিচালক এম এ সালাম বলেন, আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন চিটাগাং চেম্বারে গতিশীল নেতৃত্ব দরকার। বিভিন্ন সেক্টর থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের প্যানেল দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে এ ফোরাম সোচ্চার ছিল।
ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, ‘আপনারা শুনে লজ্জিত হবেন, খুবই দুঃখজনক মহাসড়কে একটা স্কেলের জন্য চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পাথর, কয়লা যায় না। মোংলা বন্দর থেকে ট্রাকে মিরসরাইর ইকোনমিক জোনে কয়লা-পাথর আসে। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ দুর্ভোগ আমাদের দিয়ে গেছে।’
বক্তরা জানান, বন্দর ট্যারিফ ৪১ শতাংশ বেড়েছে প্রচার করলেও কোনো ক্ষেত্রে ৩০০ শতাংশও বেড়েছে। আগে ৩৭১ ডলার দিতে হতো, এখন ১৫০০ ডলার দিতে হচ্ছে। ব্যাপারটা উদ্বেগজনক।
বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রপ্তানির লাইফলাইন। সম্প্রতি বন্দরের সেবার ওপর যেভাবে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে, তাতে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। চট্টগ্রাম চেম্বারে এক বছর ধরে প্রশাসক।
নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর প্রথম সহসভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর উপদেষ্টা লতিফুর রহমান আজিম, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন ও সভাপতি আবদুল মান্নান, টায়ার টিউব ডিলার গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান, চাক্তাই=খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ, সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম টিটু, ফিনলে স্কয়ার ব্যবসায়ী সমিতির মিয়া মো. খালেদ, ব্যবসায়ী নেতা এরফান উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সাহেব সম্মত হয়েছেন, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ। বৈঠকে উনারা ঠিক করবেন কোনটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ। সেটিই গ্রহণযোগ্য হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা সফল হয়েছি।’
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক প্রসারে প্রতিবন্ধক ওজন স্কেল, বন্দর ট্রাফিক ও চিটাগাং চেম্বারকে জবাবদিহিমূলক ও ব্যবসায়ীবান্ধব করার প্রত্যয়ে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের প্রথম সভায় এক সপ্তাহ আগে আলটিমেটাম দেওয়ার পর বন্দরের চেয়ারম্যান স্বপ্রণোদিত হয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখে চারটি খাতে ট্রাক, প্রাইমমুভার, ট্রেইলার, গেট ফি খাতে বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিতের ব্যবস্থা করেছিলেন। সিঅ্যান্ডএফ ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছিল, সে কারণে কর্মসূচি উইথড্র করে নিয়েছি। আমরা চাইনি চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো ক্ষতি হোক।’
পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। উনি একটি পক্ষকে আমাদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য নিযুক্ত করেছেন। গতকাল (বুধবার) বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমি অত্যন্ত খুশি হয়ে বলতে পারি আপনাদের, বন্দরের চেয়ারম্যান সম্মত হয়েছেন যে, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ।’
পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুরোধ করব সব অ্যাসোসিয়েশনকে বন্দরের ট্যারিফ কোন কোন খাতে বেশি হয়েছে, তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ যাতে নির্ধারণ করতে পারি। আমরা আশা করব, সরকার ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে।’
সভার বিশেষ অতিথি বিজিএমইএর পরিচালক এম এ সালাম বলেন, আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন চিটাগাং চেম্বারে গতিশীল নেতৃত্ব দরকার। বিভিন্ন সেক্টর থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের প্যানেল দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে এ ফোরাম সোচ্চার ছিল।
ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, ‘আপনারা শুনে লজ্জিত হবেন, খুবই দুঃখজনক মহাসড়কে একটা স্কেলের জন্য চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পাথর, কয়লা যায় না। মোংলা বন্দর থেকে ট্রাকে মিরসরাইর ইকোনমিক জোনে কয়লা-পাথর আসে। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ দুর্ভোগ আমাদের দিয়ে গেছে।’
বক্তরা জানান, বন্দর ট্যারিফ ৪১ শতাংশ বেড়েছে প্রচার করলেও কোনো ক্ষেত্রে ৩০০ শতাংশও বেড়েছে। আগে ৩৭১ ডলার দিতে হতো, এখন ১৫০০ ডলার দিতে হচ্ছে। ব্যাপারটা উদ্বেগজনক।
বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রপ্তানির লাইফলাইন। সম্প্রতি বন্দরের সেবার ওপর যেভাবে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে, তাতে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। চট্টগ্রাম চেম্বারে এক বছর ধরে প্রশাসক।
নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর প্রথম সহসভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর উপদেষ্টা লতিফুর রহমান আজিম, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন ও সভাপতি আবদুল মান্নান, টায়ার টিউব ডিলার গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান, চাক্তাই=খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ, সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম টিটু, ফিনলে স্কয়ার ব্যবসায়ী সমিতির মিয়া মো. খালেদ, ব্যবসায়ী নেতা এরফান উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। মেলার আয়োজক বরাবরের মতোই এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এবার এই মেলার মধ্য দিয়ে যেন তাঁরা শ্বাস ফেলেছেন। বরাবরের মতো এবারও মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণই বেশি।
১০ ডিসেম্বর ২০২১
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
৩০ মিনিট আগে
বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে স্পট সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৭০ দশমিক ৩৬ ডলার, যা দিনের শুরুতে প্রায় ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সোনার ভবিষ্যৎ ক্রয়াদেশ (গোল্ড ফিউচারস) স্থিতিশীল ছিল, প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯৯২ দশমিক ৪০ ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশে আনবেন। বিনিময়ে বেইজিং আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা শুরু করবে, বিরল খনিজ রপ্তানি পুনরায় চালু করবে এবং অবৈধ ফেন্টানিল ব্যবসা দমনে পদক্ষেপ নেবে।
সিপিএম গ্রুপের ম্যানেজিং পার্টনার জেফ্রি ক্রিশ্চিয়ান বলেন, সোনার বাজার কিছুটা টালমাটাল হয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা যায়, এটি বেশ ফাঁপা একটি সমঝোতা। তাই বাজার বুঝে নিয়েছে যে বাণিজ্যযুদ্ধ এখনই শেষ হচ্ছে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ গতকাল বুধবার বাজারের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুদের হার কমিয়েছে। তবে সংকেত দিয়েছে, চলমান সরকারী অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্যপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় এ বছর এটি সম্ভবত শেষবারের মতো হার কমানো হতে পারে।
সুদহার কমে গেলে সোনা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, কারণ, এটি সুদবিহীন সম্পদ। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়েও সোনা সাধারণত স্থিতিশীল থাকে এবং দাম বাড়ে।
ওয়েলস ফার্গো ইনভেস্টমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের ২০২৬ সালের সোনার দাম লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ ডলার নির্ধারণ করেছে, যা আগে ছিল ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমরা মনে করি, ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্য নীতিগত অনিশ্চয়তা বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ে সোনার চাহিদা বাড়াবে এবং দাম আরও ওপরে তুলবে।’
অন্যদিকে, স্পট সিলভার বা রুপার দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৩৪ ডলারে দাঁড়ায়। প্লাটিনাম ০ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৫৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪১৫ দশমিক ৫২ ডলারে পৌঁছায়।

বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে স্পট সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৭০ দশমিক ৩৬ ডলার, যা দিনের শুরুতে প্রায় ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সোনার ভবিষ্যৎ ক্রয়াদেশ (গোল্ড ফিউচারস) স্থিতিশীল ছিল, প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯৯২ দশমিক ৪০ ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশে আনবেন। বিনিময়ে বেইজিং আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা শুরু করবে, বিরল খনিজ রপ্তানি পুনরায় চালু করবে এবং অবৈধ ফেন্টানিল ব্যবসা দমনে পদক্ষেপ নেবে।
সিপিএম গ্রুপের ম্যানেজিং পার্টনার জেফ্রি ক্রিশ্চিয়ান বলেন, সোনার বাজার কিছুটা টালমাটাল হয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা যায়, এটি বেশ ফাঁপা একটি সমঝোতা। তাই বাজার বুঝে নিয়েছে যে বাণিজ্যযুদ্ধ এখনই শেষ হচ্ছে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ গতকাল বুধবার বাজারের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুদের হার কমিয়েছে। তবে সংকেত দিয়েছে, চলমান সরকারী অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্যপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় এ বছর এটি সম্ভবত শেষবারের মতো হার কমানো হতে পারে।
সুদহার কমে গেলে সোনা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, কারণ, এটি সুদবিহীন সম্পদ। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়েও সোনা সাধারণত স্থিতিশীল থাকে এবং দাম বাড়ে।
ওয়েলস ফার্গো ইনভেস্টমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের ২০২৬ সালের সোনার দাম লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ ডলার নির্ধারণ করেছে, যা আগে ছিল ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমরা মনে করি, ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্য নীতিগত অনিশ্চয়তা বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ে সোনার চাহিদা বাড়াবে এবং দাম আরও ওপরে তুলবে।’
অন্যদিকে, স্পট সিলভার বা রুপার দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৩৪ ডলারে দাঁড়ায়। প্লাটিনাম ০ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৫৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪১৫ দশমিক ৫২ ডলারে পৌঁছায়।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। মেলার আয়োজক বরাবরের মতোই এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এবার এই মেলার মধ্য দিয়ে যেন তাঁরা শ্বাস ফেলেছেন। বরাবরের মতো এবারও মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণই বেশি।
১০ ডিসেম্বর ২০২১
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
৩০ মিনিট আগে
বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
৩৭ মিনিট আগে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামে ‘ডিজাইন গাইডলাইনস অ্যান্ড কোড প্রভিশনস ফর ইউজিং হায়ার গ্রেড রিবার (বি ৬০০ ডি-আর) ইন আরসিসি স্ট্রাকচারস: এক্সপ্লোরিং অপরচুনিটিজ ফর রিবার সেভিংস ইন দ্য কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বিশেষ টেকনিক্যাল সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে দেশের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টরা উন্নত নকশা, কাঠামোগত দক্ষতা, টেকসই নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাতের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম; অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলমাস শিমুল; ডিরেক্টর আবদুল আহাদ; ডিরেক্টর সাদমান সাইকা সেফা এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুন কবির। আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব টিএমপিএম মো. সাইফুল ইসলাম। যিনি রিবারের উৎপাদন ও ব্যবহারিক দিক তুলে ধরতে গিয়ে বহির্বিশ্বের কোড ও স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরী (রিজভী), পি. ইঞ্জ.। তিনি হাইকোয়ালিটি রিবার ব্যবহারের নকশাগত ও অর্থনৈতিক সুবিধা তুলে ধরেন এবং আধুনিক রি-ইনফোর্সড কংক্রিট কাঠামোতে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘হাইকোয়ালিটি রিবার (বি ৬০০ ডি-আর) ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা কাঠামোর স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্মাণ খরচ সাশ্রয় ও দক্ষতার নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করছি। হাইকোয়ালিটি রিবার তৈরির এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের নির্মাণশিল্পে আধুনিক নকশা ও টেকসই উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
দেশের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট ও সরকারি-বেসরকারি খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এই সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে জিপিএইচ ইস্পাত আবারও এই বার্তা দিতে চায়, একটি মজবুত ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের প্রকৌশল দক্ষতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জ্ঞান বিনিময়ের ধারাকে এগিয়ে নিতে তাঁরা সর্বদা সচেষ্ট।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামে ‘ডিজাইন গাইডলাইনস অ্যান্ড কোড প্রভিশনস ফর ইউজিং হায়ার গ্রেড রিবার (বি ৬০০ ডি-আর) ইন আরসিসি স্ট্রাকচারস: এক্সপ্লোরিং অপরচুনিটিজ ফর রিবার সেভিংস ইন দ্য কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বিশেষ টেকনিক্যাল সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে দেশের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টরা উন্নত নকশা, কাঠামোগত দক্ষতা, টেকসই নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাতের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম; অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলমাস শিমুল; ডিরেক্টর আবদুল আহাদ; ডিরেক্টর সাদমান সাইকা সেফা এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুন কবির। আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব টিএমপিএম মো. সাইফুল ইসলাম। যিনি রিবারের উৎপাদন ও ব্যবহারিক দিক তুলে ধরতে গিয়ে বহির্বিশ্বের কোড ও স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরী (রিজভী), পি. ইঞ্জ.। তিনি হাইকোয়ালিটি রিবার ব্যবহারের নকশাগত ও অর্থনৈতিক সুবিধা তুলে ধরেন এবং আধুনিক রি-ইনফোর্সড কংক্রিট কাঠামোতে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘হাইকোয়ালিটি রিবার (বি ৬০০ ডি-আর) ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা কাঠামোর স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্মাণ খরচ সাশ্রয় ও দক্ষতার নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করছি। হাইকোয়ালিটি রিবার তৈরির এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের নির্মাণশিল্পে আধুনিক নকশা ও টেকসই উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
দেশের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট ও সরকারি-বেসরকারি খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এই সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে জিপিএইচ ইস্পাত আবারও এই বার্তা দিতে চায়, একটি মজবুত ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের প্রকৌশল দক্ষতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জ্ঞান বিনিময়ের ধারাকে এগিয়ে নিতে তাঁরা সর্বদা সচেষ্ট।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। মেলার আয়োজক বরাবরের মতোই এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এবার এই মেলার মধ্য দিয়ে যেন তাঁরা শ্বাস ফেলেছেন। বরাবরের মতো এবারও মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণই বেশি।
১০ ডিসেম্বর ২০২১
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
৩০ মিনিট আগে
বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
৩৭ মিনিট আগে
বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে