আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে, আর তার চাপ পড়েছে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায়।
জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে সোমবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৫৪টির অর্থাৎ প্রায় অর্ধেকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বা ইপিএস কমেছে। এই সংখ্যা নিজেই বলে দেয়, বাজারে চাহিদা কম, ব্যয় বেশি, আর মুনাফার জায়গাটা সংকুচিত।
তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে ইপিএস বেড়েছে আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা ৪৬.৩৬ শতাংশ বা ৫১টি কোম্পানিতে, আর আয়-ব্যয় অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির। কিন্তু সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো, ইপিএস বাড়া বা কমার পরও ৩১টি কোম্পানি বা ২৮.১৮ শতাংশ এখনো লোকসানে। অর্থাৎ ব্যবসার খরচ বেড়েছে, বিক্রি চাপে, আর মুনাফায় ফেরার পথ এখনো কঠিন। প্রান্তিকের এই হিসাব দেখাচ্ছে, করপোরেট খাত চাপে আছে, আর সেই চাপ সরাসরি ধাক্কা দিচ্ছে পুঁজিবাজারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া, পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণ ও কর খাতে চাপ বৃদ্ধিই অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফা কমার প্রধান কারণ।
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ কোম্পানির ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ভালো নয়। পরিচালন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। কর এবং আর্থিক ব্যয়ের চাপ বেড়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা মার্জিন সংকুচিত হয়েছে।
সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন আরও বলেন, সার্বিকভাবে ব্যবসার খরচ বেড়েছে। কাঁচামাল আমদানিতে ভাড়া ও ডলারের দামের কারণে ব্যয় বেড়েছে। প্রযুক্তি খাতে সেবা মূল্য বা চার্জও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকের সুদের হারও বেশি। যারা ঋণনির্ভর ব্যবসা করছে, তাদের সুদের পেছনে ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারায় লাভ কমেছে।
জেএমআই হসপিটালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেবা ও পণ্য বিক্রি কমে গেছে। অথচ সেই অনুযায়ী কমেনি পরিচালন ব্যয়।
লোকসান আরও বেড়েছে যেসব কোম্পানির
মোট ১৩টি লোকসানি কোম্পানির লোকসান আরও বেড়েছে, আর এই বৃদ্ধিটা এতটাই তীব্র যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা সরাসরি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ স্তরে ঠেকেছে—এমনটাই বোঝা যাচ্ছে তাদের ইপিএস থেকে। সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে এসকোয়ার নিটে। আগে তাদের ইপিএস ছিল ঋণাত্মক ৭ পয়সা, এখন সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ লোকসান এক লাফে বেড়েছে ১,৪৭১ শতাংশ; যা কোনো কোম্পানির জন্যই খুব কঠিন পরিস্থিতি।
মেঘনা সিমেন্টের অবস্থা আরও ভারী। লোকসান বেড়ে ৫৪৪ শতাংশ, আর ইপিএস নেমে গেছে ঋণাত্মক ২১ টাকা ১৯ পয়সায়; যা টাকার পরিমাণে পুরো তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বড় লোকসান। বিবিএস কেব্লস ও বসুন্ধরা পেপার মিলের পরিস্থিতিও খারাপ। বিবিএস কেব্লসের লোকসান বেড়েছে ৩৩০ শতাংশ, আর বসুন্ধরা পেপারের ২৬৬ শতাংশ। এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবিও লোকসানের চাপে আছে; তাদের ক্ষতি বেড়েছে প্রায় ১০৩ শতাংশ।
লোকসান কিছুটা কমেছে
৭টি লোকসানি কোম্পানির ক্ষতি কিছুটা কমেছে। সাফকো স্পিনিং, জিকিউ বলপেন, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, সি পার্ল, ডেলটা স্পিনার্স ও পেনিনসুলা চিটাগংয়ের লোকসান কমলেও তারা এখনো নিট মুনাফায় ফেরেনি।
যাদের মুনাফা বেড়েছে
৫১টি কোম্পানি গত বছরের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে। সবচেয়ে বড় লাফ এভিন্স টেক্সটাইল—ইপিএস ১ পয়সা থেকে ১১ পয়সা, প্রবৃদ্ধি ১,০০০ শতাংশ। বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লোকসান কাটিয়ে ৬৬ পয়সা মুনাফায় ফিরেছে, প্রবৃদ্ধি ৬০৭ শতাংশ। খুলনা পাওয়ারের ইপিএস বেড়েছে ৫২৫ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ৫০০ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল ৪৮২ শতাংশ—সবাই আগের বছরের তুলনায় শক্ত উন্নতি দেখিয়েছে।
যাদের মুনাফা কমেছে
৫৪টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে বিডি থাই ফুড। আগের বছর ৩ পয়সা লাভ করলেও এবার উল্টো গিয়ে ৪৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে; লোকসান বেড়েছে ১,৭৩৩ শতাংশ। ন্যাশনাল টিউবসও বড় ধাক্কা খেয়েছে, লোকসান বেড়েছে ৭৪১ শতাংশ।
মেঘনা সিমেন্ট শতাংশের হিসাবে তৃতীয় অবস্থায় থাকলেও টাকার হিসাবে আঘাতটা সবচেয়ে বেশি; তাদের ইপিএস কমেছে পুরো ২৪ টাকা ৪৮ পয়সা। শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মুনাফা কমেছে ৪৩৫ শতাংশ এবং ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের ৩৩৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে এসব কোম্পানির আয় গত বছরের তুলনায় স্পষ্টভাবে নেমে গেছে।
আস্থা ফেরাতে যা জরুরি
বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, খরচ নিয়ন্ত্রণে কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। পাশাপাশি মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও সুদের হার কিছুটা কমালে ব্যবসার পরিবেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের চাপ অব্যাহত থাকলে আগামী প্রান্তিকেও একই চিত্র থাকতে পারে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে, আর তার চাপ পড়েছে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায়।
জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে সোমবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৫৪টির অর্থাৎ প্রায় অর্ধেকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বা ইপিএস কমেছে। এই সংখ্যা নিজেই বলে দেয়, বাজারে চাহিদা কম, ব্যয় বেশি, আর মুনাফার জায়গাটা সংকুচিত।
তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে ইপিএস বেড়েছে আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা ৪৬.৩৬ শতাংশ বা ৫১টি কোম্পানিতে, আর আয়-ব্যয় অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির। কিন্তু সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো, ইপিএস বাড়া বা কমার পরও ৩১টি কোম্পানি বা ২৮.১৮ শতাংশ এখনো লোকসানে। অর্থাৎ ব্যবসার খরচ বেড়েছে, বিক্রি চাপে, আর মুনাফায় ফেরার পথ এখনো কঠিন। প্রান্তিকের এই হিসাব দেখাচ্ছে, করপোরেট খাত চাপে আছে, আর সেই চাপ সরাসরি ধাক্কা দিচ্ছে পুঁজিবাজারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া, পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণ ও কর খাতে চাপ বৃদ্ধিই অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফা কমার প্রধান কারণ।
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ কোম্পানির ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ভালো নয়। পরিচালন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। কর এবং আর্থিক ব্যয়ের চাপ বেড়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা মার্জিন সংকুচিত হয়েছে।
সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন আরও বলেন, সার্বিকভাবে ব্যবসার খরচ বেড়েছে। কাঁচামাল আমদানিতে ভাড়া ও ডলারের দামের কারণে ব্যয় বেড়েছে। প্রযুক্তি খাতে সেবা মূল্য বা চার্জও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকের সুদের হারও বেশি। যারা ঋণনির্ভর ব্যবসা করছে, তাদের সুদের পেছনে ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারায় লাভ কমেছে।
জেএমআই হসপিটালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেবা ও পণ্য বিক্রি কমে গেছে। অথচ সেই অনুযায়ী কমেনি পরিচালন ব্যয়।
লোকসান আরও বেড়েছে যেসব কোম্পানির
মোট ১৩টি লোকসানি কোম্পানির লোকসান আরও বেড়েছে, আর এই বৃদ্ধিটা এতটাই তীব্র যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা সরাসরি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ স্তরে ঠেকেছে—এমনটাই বোঝা যাচ্ছে তাদের ইপিএস থেকে। সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে এসকোয়ার নিটে। আগে তাদের ইপিএস ছিল ঋণাত্মক ৭ পয়সা, এখন সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ লোকসান এক লাফে বেড়েছে ১,৪৭১ শতাংশ; যা কোনো কোম্পানির জন্যই খুব কঠিন পরিস্থিতি।
মেঘনা সিমেন্টের অবস্থা আরও ভারী। লোকসান বেড়ে ৫৪৪ শতাংশ, আর ইপিএস নেমে গেছে ঋণাত্মক ২১ টাকা ১৯ পয়সায়; যা টাকার পরিমাণে পুরো তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বড় লোকসান। বিবিএস কেব্লস ও বসুন্ধরা পেপার মিলের পরিস্থিতিও খারাপ। বিবিএস কেব্লসের লোকসান বেড়েছে ৩৩০ শতাংশ, আর বসুন্ধরা পেপারের ২৬৬ শতাংশ। এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবিও লোকসানের চাপে আছে; তাদের ক্ষতি বেড়েছে প্রায় ১০৩ শতাংশ।
লোকসান কিছুটা কমেছে
৭টি লোকসানি কোম্পানির ক্ষতি কিছুটা কমেছে। সাফকো স্পিনিং, জিকিউ বলপেন, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, সি পার্ল, ডেলটা স্পিনার্স ও পেনিনসুলা চিটাগংয়ের লোকসান কমলেও তারা এখনো নিট মুনাফায় ফেরেনি।
যাদের মুনাফা বেড়েছে
৫১টি কোম্পানি গত বছরের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে। সবচেয়ে বড় লাফ এভিন্স টেক্সটাইল—ইপিএস ১ পয়সা থেকে ১১ পয়সা, প্রবৃদ্ধি ১,০০০ শতাংশ। বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লোকসান কাটিয়ে ৬৬ পয়সা মুনাফায় ফিরেছে, প্রবৃদ্ধি ৬০৭ শতাংশ। খুলনা পাওয়ারের ইপিএস বেড়েছে ৫২৫ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ৫০০ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল ৪৮২ শতাংশ—সবাই আগের বছরের তুলনায় শক্ত উন্নতি দেখিয়েছে।
যাদের মুনাফা কমেছে
৫৪টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে বিডি থাই ফুড। আগের বছর ৩ পয়সা লাভ করলেও এবার উল্টো গিয়ে ৪৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে; লোকসান বেড়েছে ১,৭৩৩ শতাংশ। ন্যাশনাল টিউবসও বড় ধাক্কা খেয়েছে, লোকসান বেড়েছে ৭৪১ শতাংশ।
মেঘনা সিমেন্ট শতাংশের হিসাবে তৃতীয় অবস্থায় থাকলেও টাকার হিসাবে আঘাতটা সবচেয়ে বেশি; তাদের ইপিএস কমেছে পুরো ২৪ টাকা ৪৮ পয়সা। শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মুনাফা কমেছে ৪৩৫ শতাংশ এবং ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের ৩৩৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে এসব কোম্পানির আয় গত বছরের তুলনায় স্পষ্টভাবে নেমে গেছে।
আস্থা ফেরাতে যা জরুরি
বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, খরচ নিয়ন্ত্রণে কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। পাশাপাশি মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও সুদের হার কিছুটা কমালে ব্যবসার পরিবেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের চাপ অব্যাহত থাকলে আগামী প্রান্তিকেও একই চিত্র থাকতে পারে।
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে, আর তার চাপ পড়েছে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায়।
জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে সোমবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৫৪টির অর্থাৎ প্রায় অর্ধেকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বা ইপিএস কমেছে। এই সংখ্যা নিজেই বলে দেয়, বাজারে চাহিদা কম, ব্যয় বেশি, আর মুনাফার জায়গাটা সংকুচিত।
তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে ইপিএস বেড়েছে আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা ৪৬.৩৬ শতাংশ বা ৫১টি কোম্পানিতে, আর আয়-ব্যয় অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির। কিন্তু সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো, ইপিএস বাড়া বা কমার পরও ৩১টি কোম্পানি বা ২৮.১৮ শতাংশ এখনো লোকসানে। অর্থাৎ ব্যবসার খরচ বেড়েছে, বিক্রি চাপে, আর মুনাফায় ফেরার পথ এখনো কঠিন। প্রান্তিকের এই হিসাব দেখাচ্ছে, করপোরেট খাত চাপে আছে, আর সেই চাপ সরাসরি ধাক্কা দিচ্ছে পুঁজিবাজারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া, পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণ ও কর খাতে চাপ বৃদ্ধিই অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফা কমার প্রধান কারণ।
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ কোম্পানির ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ভালো নয়। পরিচালন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। কর এবং আর্থিক ব্যয়ের চাপ বেড়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা মার্জিন সংকুচিত হয়েছে।
সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন আরও বলেন, সার্বিকভাবে ব্যবসার খরচ বেড়েছে। কাঁচামাল আমদানিতে ভাড়া ও ডলারের দামের কারণে ব্যয় বেড়েছে। প্রযুক্তি খাতে সেবা মূল্য বা চার্জও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকের সুদের হারও বেশি। যারা ঋণনির্ভর ব্যবসা করছে, তাদের সুদের পেছনে ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারায় লাভ কমেছে।
জেএমআই হসপিটালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেবা ও পণ্য বিক্রি কমে গেছে। অথচ সেই অনুযায়ী কমেনি পরিচালন ব্যয়।
লোকসান আরও বেড়েছে যেসব কোম্পানির
মোট ১৩টি লোকসানি কোম্পানির লোকসান আরও বেড়েছে, আর এই বৃদ্ধিটা এতটাই তীব্র যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা সরাসরি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ স্তরে ঠেকেছে—এমনটাই বোঝা যাচ্ছে তাদের ইপিএস থেকে। সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে এসকোয়ার নিটে। আগে তাদের ইপিএস ছিল ঋণাত্মক ৭ পয়সা, এখন সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ লোকসান এক লাফে বেড়েছে ১,৪৭১ শতাংশ; যা কোনো কোম্পানির জন্যই খুব কঠিন পরিস্থিতি।
মেঘনা সিমেন্টের অবস্থা আরও ভারী। লোকসান বেড়ে ৫৪৪ শতাংশ, আর ইপিএস নেমে গেছে ঋণাত্মক ২১ টাকা ১৯ পয়সায়; যা টাকার পরিমাণে পুরো তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বড় লোকসান। বিবিএস কেব্লস ও বসুন্ধরা পেপার মিলের পরিস্থিতিও খারাপ। বিবিএস কেব্লসের লোকসান বেড়েছে ৩৩০ শতাংশ, আর বসুন্ধরা পেপারের ২৬৬ শতাংশ। এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবিও লোকসানের চাপে আছে; তাদের ক্ষতি বেড়েছে প্রায় ১০৩ শতাংশ।
লোকসান কিছুটা কমেছে
৭টি লোকসানি কোম্পানির ক্ষতি কিছুটা কমেছে। সাফকো স্পিনিং, জিকিউ বলপেন, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, সি পার্ল, ডেলটা স্পিনার্স ও পেনিনসুলা চিটাগংয়ের লোকসান কমলেও তারা এখনো নিট মুনাফায় ফেরেনি।
যাদের মুনাফা বেড়েছে
৫১টি কোম্পানি গত বছরের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে। সবচেয়ে বড় লাফ এভিন্স টেক্সটাইল—ইপিএস ১ পয়সা থেকে ১১ পয়সা, প্রবৃদ্ধি ১,০০০ শতাংশ। বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লোকসান কাটিয়ে ৬৬ পয়সা মুনাফায় ফিরেছে, প্রবৃদ্ধি ৬০৭ শতাংশ। খুলনা পাওয়ারের ইপিএস বেড়েছে ৫২৫ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ৫০০ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল ৪৮২ শতাংশ—সবাই আগের বছরের তুলনায় শক্ত উন্নতি দেখিয়েছে।
যাদের মুনাফা কমেছে
৫৪টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে বিডি থাই ফুড। আগের বছর ৩ পয়সা লাভ করলেও এবার উল্টো গিয়ে ৪৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে; লোকসান বেড়েছে ১,৭৩৩ শতাংশ। ন্যাশনাল টিউবসও বড় ধাক্কা খেয়েছে, লোকসান বেড়েছে ৭৪১ শতাংশ।
মেঘনা সিমেন্ট শতাংশের হিসাবে তৃতীয় অবস্থায় থাকলেও টাকার হিসাবে আঘাতটা সবচেয়ে বেশি; তাদের ইপিএস কমেছে পুরো ২৪ টাকা ৪৮ পয়সা। শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মুনাফা কমেছে ৪৩৫ শতাংশ এবং ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের ৩৩৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে এসব কোম্পানির আয় গত বছরের তুলনায় স্পষ্টভাবে নেমে গেছে।
আস্থা ফেরাতে যা জরুরি
বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, খরচ নিয়ন্ত্রণে কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। পাশাপাশি মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও সুদের হার কিছুটা কমালে ব্যবসার পরিবেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের চাপ অব্যাহত থাকলে আগামী প্রান্তিকেও একই চিত্র থাকতে পারে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে, আর তার চাপ পড়েছে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায়।
জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে সোমবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৫৪টির অর্থাৎ প্রায় অর্ধেকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বা ইপিএস কমেছে। এই সংখ্যা নিজেই বলে দেয়, বাজারে চাহিদা কম, ব্যয় বেশি, আর মুনাফার জায়গাটা সংকুচিত।
তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে ইপিএস বেড়েছে আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা ৪৬.৩৬ শতাংশ বা ৫১টি কোম্পানিতে, আর আয়-ব্যয় অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির। কিন্তু সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো, ইপিএস বাড়া বা কমার পরও ৩১টি কোম্পানি বা ২৮.১৮ শতাংশ এখনো লোকসানে। অর্থাৎ ব্যবসার খরচ বেড়েছে, বিক্রি চাপে, আর মুনাফায় ফেরার পথ এখনো কঠিন। প্রান্তিকের এই হিসাব দেখাচ্ছে, করপোরেট খাত চাপে আছে, আর সেই চাপ সরাসরি ধাক্কা দিচ্ছে পুঁজিবাজারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া, পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণ ও কর খাতে চাপ বৃদ্ধিই অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফা কমার প্রধান কারণ।
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ কোম্পানির ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ভালো নয়। পরিচালন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। কর এবং আর্থিক ব্যয়ের চাপ বেড়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা মার্জিন সংকুচিত হয়েছে।
সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন আরও বলেন, সার্বিকভাবে ব্যবসার খরচ বেড়েছে। কাঁচামাল আমদানিতে ভাড়া ও ডলারের দামের কারণে ব্যয় বেড়েছে। প্রযুক্তি খাতে সেবা মূল্য বা চার্জও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকের সুদের হারও বেশি। যারা ঋণনির্ভর ব্যবসা করছে, তাদের সুদের পেছনে ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারায় লাভ কমেছে।
জেএমআই হসপিটালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেবা ও পণ্য বিক্রি কমে গেছে। অথচ সেই অনুযায়ী কমেনি পরিচালন ব্যয়।
লোকসান আরও বেড়েছে যেসব কোম্পানির
মোট ১৩টি লোকসানি কোম্পানির লোকসান আরও বেড়েছে, আর এই বৃদ্ধিটা এতটাই তীব্র যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা সরাসরি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ স্তরে ঠেকেছে—এমনটাই বোঝা যাচ্ছে তাদের ইপিএস থেকে। সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে এসকোয়ার নিটে। আগে তাদের ইপিএস ছিল ঋণাত্মক ৭ পয়সা, এখন সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ লোকসান এক লাফে বেড়েছে ১,৪৭১ শতাংশ; যা কোনো কোম্পানির জন্যই খুব কঠিন পরিস্থিতি।
মেঘনা সিমেন্টের অবস্থা আরও ভারী। লোকসান বেড়ে ৫৪৪ শতাংশ, আর ইপিএস নেমে গেছে ঋণাত্মক ২১ টাকা ১৯ পয়সায়; যা টাকার পরিমাণে পুরো তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বড় লোকসান। বিবিএস কেব্লস ও বসুন্ধরা পেপার মিলের পরিস্থিতিও খারাপ। বিবিএস কেব্লসের লোকসান বেড়েছে ৩৩০ শতাংশ, আর বসুন্ধরা পেপারের ২৬৬ শতাংশ। এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবিও লোকসানের চাপে আছে; তাদের ক্ষতি বেড়েছে প্রায় ১০৩ শতাংশ।
লোকসান কিছুটা কমেছে
৭টি লোকসানি কোম্পানির ক্ষতি কিছুটা কমেছে। সাফকো স্পিনিং, জিকিউ বলপেন, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, সি পার্ল, ডেলটা স্পিনার্স ও পেনিনসুলা চিটাগংয়ের লোকসান কমলেও তারা এখনো নিট মুনাফায় ফেরেনি।
যাদের মুনাফা বেড়েছে
৫১টি কোম্পানি গত বছরের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে। সবচেয়ে বড় লাফ এভিন্স টেক্সটাইল—ইপিএস ১ পয়সা থেকে ১১ পয়সা, প্রবৃদ্ধি ১,০০০ শতাংশ। বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লোকসান কাটিয়ে ৬৬ পয়সা মুনাফায় ফিরেছে, প্রবৃদ্ধি ৬০৭ শতাংশ। খুলনা পাওয়ারের ইপিএস বেড়েছে ৫২৫ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ৫০০ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল ৪৮২ শতাংশ—সবাই আগের বছরের তুলনায় শক্ত উন্নতি দেখিয়েছে।
যাদের মুনাফা কমেছে
৫৪টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে বিডি থাই ফুড। আগের বছর ৩ পয়সা লাভ করলেও এবার উল্টো গিয়ে ৪৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে; লোকসান বেড়েছে ১,৭৩৩ শতাংশ। ন্যাশনাল টিউবসও বড় ধাক্কা খেয়েছে, লোকসান বেড়েছে ৭৪১ শতাংশ।
মেঘনা সিমেন্ট শতাংশের হিসাবে তৃতীয় অবস্থায় থাকলেও টাকার হিসাবে আঘাতটা সবচেয়ে বেশি; তাদের ইপিএস কমেছে পুরো ২৪ টাকা ৪৮ পয়সা। শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মুনাফা কমেছে ৪৩৫ শতাংশ এবং ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের ৩৩৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে এসব কোম্পানির আয় গত বছরের তুলনায় স্পষ্টভাবে নেমে গেছে।
আস্থা ফেরাতে যা জরুরি
বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, খরচ নিয়ন্ত্রণে কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। পাশাপাশি মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও সুদের হার কিছুটা কমালে ব্যবসার পরিবেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের চাপ অব্যাহত থাকলে আগামী প্রান্তিকেও একই চিত্র থাকতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গভর্নর স্বাক্ষরিত ৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের সম্মুখভাগের বাম পাশে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি, মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা-কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি এবং নোটের পেছন ভাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকার ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, এর নিচে উজ্জ্বল ইলেকট্রো টাইপ জলছাপে ৫০০ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নোটটিতে ১০ ধরনের নিরাপত্তা সংযোজন করা হয়েছে। নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ৫০০ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত। নোটটি নড়াচড়া করলে এর রং সবুজ থেকে নীলে পরিবর্তিত হবে এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ৫০০ লেখাটি দৃশ্যমান হয়।
নোটটির সম্মুখভাগের বাম পাশে চওড়া লাল রং ও উজ্জ্বল স্বর্ণালি বার এর সমন্বয়ে প্যাঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটটি নড়াচড়া করলে লাল অংশ সবুজ রঙে পরিবর্তিত হবে। আর ৫০০ টাকার নোট আলোর বিপরীতে ধরলে দৃশ্যমান হবে এবং স্বর্ণালি বার অংশ একটি উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে নিচে পাঁচটি ছোট বৃত্ত রয়েছে, যা হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হয়।
নোটের কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহ হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভব করা যাবে। কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহের মধ্যে রয়েছে নোটের সম্মুখভাগের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গভর্নর স্বাক্ষরিত ৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের সম্মুখভাগের বাম পাশে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি, মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা-কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি এবং নোটের পেছন ভাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকার ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, এর নিচে উজ্জ্বল ইলেকট্রো টাইপ জলছাপে ৫০০ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নোটটিতে ১০ ধরনের নিরাপত্তা সংযোজন করা হয়েছে। নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ৫০০ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত। নোটটি নড়াচড়া করলে এর রং সবুজ থেকে নীলে পরিবর্তিত হবে এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ৫০০ লেখাটি দৃশ্যমান হয়।
নোটটির সম্মুখভাগের বাম পাশে চওড়া লাল রং ও উজ্জ্বল স্বর্ণালি বার এর সমন্বয়ে প্যাঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটটি নড়াচড়া করলে লাল অংশ সবুজ রঙে পরিবর্তিত হবে। আর ৫০০ টাকার নোট আলোর বিপরীতে ধরলে দৃশ্যমান হবে এবং স্বর্ণালি বার অংশ একটি উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে নিচে পাঁচটি ছোট বৃত্ত রয়েছে, যা হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হয়।
নোটের কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহ হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভব করা যাবে। কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহের মধ্যে রয়েছে নোটের সম্মুখভাগের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে, আর তার চাপ পড়েছে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায়। জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে সোমবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে।
১৫ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
আজ দুপুরে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
আইয়ুব মিয়া বলেন, ব্যাংকের ভিশন-মিশন, আইনকানুন ও সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করাই ছিল বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং আইনসম্মতভাবে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে গঠিত এই নতুন প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে ইসলামি ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী সপ্তাহ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু হবে এবং উচ্চ অঙ্কের আমানত ফেরতের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে, গত রোববার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ বোর্ড সভায় সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক—একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে আনুষ্ঠানিক লাইসেন্স হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনে স্থাপিত প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নতুন ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
আজ দুপুরে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
আইয়ুব মিয়া বলেন, ব্যাংকের ভিশন-মিশন, আইনকানুন ও সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করাই ছিল বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং আইনসম্মতভাবে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে গঠিত এই নতুন প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে ইসলামি ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী সপ্তাহ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু হবে এবং উচ্চ অঙ্কের আমানত ফেরতের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে, গত রোববার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ বোর্ড সভায় সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক—একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে আনুষ্ঠানিক লাইসেন্স হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনে স্থাপিত প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নতুন ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে, আর তার চাপ পড়েছে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায়। জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে সোমবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে।
১৫ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
আজ মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য অধিদপ্তরের এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা।
গত ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৪ জুলাই অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। তখন থেকেই দেশটি থেকে সরাসরি গম আমদানি করা হচ্ছে।
এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি টন গম কেনা হয়েছিল ৩০২ দশমিক ৭৫ ডলারে। সে হিসাবে এবার প্রতি টনে প্রায় ১০৭ ডলার বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের।
একই ক্রয় কমিটির সভায় সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো থেকে মোট ৮০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪০ টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিরও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৩৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০ টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৬৮২ দশমিক ৬৭ ডলার।
এ ছাড়া সোনারগাঁ সিডস ক্রাশিং লিমিটেড থেকে ৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং তামিম অ্যাগ্রো ও মজুমদার ব্র্যান অয়েল থেকে মোট ১ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৭৯ দশমিক ৮৫ এবং রাইস ব্র্যান তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৬১ টাকা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
আজ মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য অধিদপ্তরের এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা।
গত ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৪ জুলাই অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। তখন থেকেই দেশটি থেকে সরাসরি গম আমদানি করা হচ্ছে।
এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি টন গম কেনা হয়েছিল ৩০২ দশমিক ৭৫ ডলারে। সে হিসাবে এবার প্রতি টনে প্রায় ১০৭ ডলার বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের।
একই ক্রয় কমিটির সভায় সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো থেকে মোট ৮০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪০ টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিরও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৩৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০ টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৬৮২ দশমিক ৬৭ ডলার।
এ ছাড়া সোনারগাঁ সিডস ক্রাশিং লিমিটেড থেকে ৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং তামিম অ্যাগ্রো ও মজুমদার ব্র্যান অয়েল থেকে মোট ১ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৭৯ দশমিক ৮৫ এবং রাইস ব্র্যান তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৬১ টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে, আর তার চাপ পড়েছে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায়। জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে সোমবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে।
১৫ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আজ রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা ও পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম।
বৈঠকে এলপিপি এসএর প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আউটারওয়্যার, হেভি নিট, মেনস আন্ডারওয়্যার ও জগার্সের মতো পণ্যগুলোর সোর্সিং বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিজিএমইএর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
আলোচনায় দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব স্থাপন, সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে (এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো) আরএসসিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ তৈরি করার বিষয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করে।
উল্লেখ্য যে, এলপিপি এসএ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক সংগ্রহ করে। বাংলাদেশকে তাদের সবচেয়ে বড় সোর্সিং হাব মনে করে এবং তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
এলপিপি এসএর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সোর্সিং হাব। আমরা এখানে আমাদের ব্যবসায়িক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী এবং আমাদের সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাব।’

বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আজ রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা ও পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম।
বৈঠকে এলপিপি এসএর প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আউটারওয়্যার, হেভি নিট, মেনস আন্ডারওয়্যার ও জগার্সের মতো পণ্যগুলোর সোর্সিং বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিজিএমইএর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
আলোচনায় দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব স্থাপন, সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে (এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো) আরএসসিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ তৈরি করার বিষয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করে।
উল্লেখ্য যে, এলপিপি এসএ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক সংগ্রহ করে। বাংলাদেশকে তাদের সবচেয়ে বড় সোর্সিং হাব মনে করে এবং তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
এলপিপি এসএর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সোর্সিং হাব। আমরা এখানে আমাদের ব্যবসায়িক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী এবং আমাদের সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাব।’

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে, আর তার চাপ পড়েছে দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফায়। জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে সোমবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাদের ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে।
১৫ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
১১ ঘণ্টা আগে