মে মাসের পিএমআই সূচক প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদ-পূর্ব ভোক্তা চাহিদার জোয়ারে কৃষি ও উৎপাদন খাতে ফিরেছে প্রাণ, টানা অষ্টম ও নবম মাসে খাত দুটি দেখিয়েছে বিস্তারের ধারা। সেবা খাতও ধরে রেখেছে ইতিবাচক গতি, যা মিলিতভাবে অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবাহে ছড়িয়েছে গতি ও আত্মবিশ্বাস। তারই প্রতিফলন—চলতি বছরের মে মাসে পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৯-এ, যা এমসিসিআই ও পলিসি এক্সচেঞ্জের বিশ্লেষণে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। তবে ছন্দের এ ফাঁকে থেকে গেছে একটি বিষাদের সুর—নির্মাণ খাত এখনো বের হতে পারেনি স্থবিরতার ঘূর্ণি থেকে।
মূলত কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা—এ চারটি প্রধান খাত নিয়ে পিএমআই সূচক তৈরি করা হয়, যার মাধ্যমে চলমান অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করা হয়। দেশের ব্যবসা ও নীতিনির্ধারণে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখন এই সূচক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হয়ে উঠছে। যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা ও সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্টের (এসআইপিএমএম) কারিগরি সহায়তায় দেশে পিএমআই সূচকটি যৌথভাবে তৈরি করে আসছে এমসিসিআই ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।
গতকাল রোববার এমসিসিআইয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মে মাসে বাংলাদেশের সার্বিক পিএমআই স্কোর এপ্রিলের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৮ দশমিক ৯-এ উন্নীত হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছর মার্চে যেখানে পিএমআই সূচক ছিল ৬১ দশমিক ৭, সেখানে এপ্রিল মাসে তা হঠাৎ নেমে আসে ৫২ দশমিক ৯ পয়েন্টে—অক্টোবরের পর যা ছিল সর্বনিম্ন। মে মাসে ৫৮ দশমিক ৯-এ ফিরে আসা অর্থনীতির কিছুটা পুনরুদ্ধারকেই নির্দেশ করে।
প্রতি মাসের মতো প্রকাশিত এই সূচক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মে মাসে কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতে গতিময়তা ফিরলেও স্থবির থেকেছে নির্মাণ খাত। বিশেষ করে কৃষি খাত টানা অষ্টম মাসের মতো সম্প্রসারণে রয়েছে, যেখানে নতুন অর্ডার, কর্মসংস্থান, ইনপুট খরচ ও ব্যাকলগ সূচকে উল্লিখিত উন্নতি স্পষ্ট। ঈদ ঘিরে গ্রামীণ চাহিদা ও বাজারে প্রবাহ বৃদ্ধির সঙ্গে এর সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
উৎপাদন খাতেও গতিময়তা অব্যাহত রয়েছে। টানা নবম মাসে এ খাত সম্প্রসারণে থাকলেও অর্ডার ব্যাকলগ সূচক টানা ১- মাস সংকোচনের মধ্যেই রয়েছে। যদিও মে মাসে এর ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক অর্ডার পুনরুদ্ধারের আংশিক ইঙ্গিত এটি।
সেবা খাতেও দেখা গেছে ধারাবাহিক সম্প্রসারণ। নতুন ব্যবসা ও ইনপুট খরচ সূচকে গতিময়তা থাকলেও কর্মসংস্থানের সূচকে রয়েছে স্থবিরতা।
অন্যদিকে, নির্মাণ খাত টানা ৬ মাস সম্প্রসারণে থাকলেও মে মাসে এর অগ্রগতি একরকম থমকে গেছে। নতুন অর্ডার ও কর্মসংস্থান সূচক ফের সংকোচনের ঘেরাটোপে পড়েছে। যদিও নির্মাণ কার্যক্রম ও ব্যাকলগ সূচকে খানিকটা গতি লক্ষ্য করা গেছে, তবে তা খুবই সীমিত।
এ প্রসঙ্গে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘ঈদ মৌসুমে রপ্তানিনির্ভর উৎপাদন খাতের গতি ও কৃষিপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় চাঙা ভাব জাতীয় অর্থনীতিকে খানিকটা এগিয়ে নিয়েছে। তবে নির্মাণ খাতের স্থবিরতা এখনো উদ্বেগজনক।’
ঈদ-পূর্ব ভোক্তা চাহিদার জোয়ারে কৃষি ও উৎপাদন খাতে ফিরেছে প্রাণ, টানা অষ্টম ও নবম মাসে খাত দুটি দেখিয়েছে বিস্তারের ধারা। সেবা খাতও ধরে রেখেছে ইতিবাচক গতি, যা মিলিতভাবে অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবাহে ছড়িয়েছে গতি ও আত্মবিশ্বাস। তারই প্রতিফলন—চলতি বছরের মে মাসে পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৯-এ, যা এমসিসিআই ও পলিসি এক্সচেঞ্জের বিশ্লেষণে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। তবে ছন্দের এ ফাঁকে থেকে গেছে একটি বিষাদের সুর—নির্মাণ খাত এখনো বের হতে পারেনি স্থবিরতার ঘূর্ণি থেকে।
মূলত কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা—এ চারটি প্রধান খাত নিয়ে পিএমআই সূচক তৈরি করা হয়, যার মাধ্যমে চলমান অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করা হয়। দেশের ব্যবসা ও নীতিনির্ধারণে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখন এই সূচক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হয়ে উঠছে। যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা ও সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্টের (এসআইপিএমএম) কারিগরি সহায়তায় দেশে পিএমআই সূচকটি যৌথভাবে তৈরি করে আসছে এমসিসিআই ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।
গতকাল রোববার এমসিসিআইয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মে মাসে বাংলাদেশের সার্বিক পিএমআই স্কোর এপ্রিলের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৮ দশমিক ৯-এ উন্নীত হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছর মার্চে যেখানে পিএমআই সূচক ছিল ৬১ দশমিক ৭, সেখানে এপ্রিল মাসে তা হঠাৎ নেমে আসে ৫২ দশমিক ৯ পয়েন্টে—অক্টোবরের পর যা ছিল সর্বনিম্ন। মে মাসে ৫৮ দশমিক ৯-এ ফিরে আসা অর্থনীতির কিছুটা পুনরুদ্ধারকেই নির্দেশ করে।
প্রতি মাসের মতো প্রকাশিত এই সূচক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মে মাসে কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতে গতিময়তা ফিরলেও স্থবির থেকেছে নির্মাণ খাত। বিশেষ করে কৃষি খাত টানা অষ্টম মাসের মতো সম্প্রসারণে রয়েছে, যেখানে নতুন অর্ডার, কর্মসংস্থান, ইনপুট খরচ ও ব্যাকলগ সূচকে উল্লিখিত উন্নতি স্পষ্ট। ঈদ ঘিরে গ্রামীণ চাহিদা ও বাজারে প্রবাহ বৃদ্ধির সঙ্গে এর সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
উৎপাদন খাতেও গতিময়তা অব্যাহত রয়েছে। টানা নবম মাসে এ খাত সম্প্রসারণে থাকলেও অর্ডার ব্যাকলগ সূচক টানা ১- মাস সংকোচনের মধ্যেই রয়েছে। যদিও মে মাসে এর ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক অর্ডার পুনরুদ্ধারের আংশিক ইঙ্গিত এটি।
সেবা খাতেও দেখা গেছে ধারাবাহিক সম্প্রসারণ। নতুন ব্যবসা ও ইনপুট খরচ সূচকে গতিময়তা থাকলেও কর্মসংস্থানের সূচকে রয়েছে স্থবিরতা।
অন্যদিকে, নির্মাণ খাত টানা ৬ মাস সম্প্রসারণে থাকলেও মে মাসে এর অগ্রগতি একরকম থমকে গেছে। নতুন অর্ডার ও কর্মসংস্থান সূচক ফের সংকোচনের ঘেরাটোপে পড়েছে। যদিও নির্মাণ কার্যক্রম ও ব্যাকলগ সূচকে খানিকটা গতি লক্ষ্য করা গেছে, তবে তা খুবই সীমিত।
এ প্রসঙ্গে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘ঈদ মৌসুমে রপ্তানিনির্ভর উৎপাদন খাতের গতি ও কৃষিপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় চাঙা ভাব জাতীয় অর্থনীতিকে খানিকটা এগিয়ে নিয়েছে। তবে নির্মাণ খাতের স্থবিরতা এখনো উদ্বেগজনক।’
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি বাংলাদেশকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল, যা ছিল অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ এক সতর্কসংকেত। শেষ পর্যন্ত যদি এই শুল্কহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশে নির্ধারণ না করা হতো, বরং তা প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আরও বেশি হতো। তবে এর অভিঘাত হতো বহুমাত্রিক ও ব্যাপক।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনায় দেশের পুঁজিবাজারে নতুন করে প্রাণ ফিরে এসেছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও বড় উত্থান হয়েছে। লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়
২ ঘণ্টা আগেবিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন (২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলা
২ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতকে ঝুঁকিনির্ভর তদারকির আওতায় আনতে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ‘সুপারভাইজরি পলিসি অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন ডিপার্টমেন্ট’ (এসপিসিডি) নামে একটি নতুন বিভাগ চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৫ ঘণ্টা আগে