Ajker Patrika

চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ভারতীয় রুপি, কারণ কী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় রুপি ডলারের বিপরীতে আজ বুধবার ৯০–এর ঘর পার করেছে। একসময় যা বহুদূর বলে মনে হতো, চার দশকের দীর্ঘ সময়ের পতনের ইতিহাস ধরে তা এখন বাস্তবতা। দুর্বল পুঁজি প্রবাহ, আমদানিকারকদের লাগাতার চাহিদা এবং মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় থাকা কোম্পানিগুলোর নতুন করে হেজিংয়ের চাপের ফলেই রুপির এই পতন।

ডলারের রুপি এদিন ৮৯ দশমিক ৯০ এর কাছাকাছি দরে লেনদেন শুরু করে এবং আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় সামান্য সময়ের জন্য ৯০–এর ঘর স্পর্শ করে। এই পতনের কারণে রুপি চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রাগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে আট মাসের নিম্নমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

রুপির এই পতন-যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। সে সময়ই প্রথমবারের মতো রুপি ডলারের বিপরীতে ১০–এর ঘর পার করে। তখন ভারতের অর্থনীতি ছিল বদ্ধ, মূল্যস্ফীতি ছিল চড়া এবং বিদেশি বিনিয়োগ ছিল নগণ্য। তবে বড় এবং আসল ধাক্কাটি আসে ১৯৯১ সালের এপ্রিলে। সে সময় ঐতিহাসিক ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্টস’ সংকটের সময় ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য ২০ পার হয়ে যায়। সে যাত্রায় টিকে থাকতে ভারতকে স্বর্ণের সঞ্চয় বন্ধক রাখতে হয়েছিল এবং এর পরেই ঘটে যাওয়া তীব্র অবমূল্যায়নের ফলে দুই বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে রুপি মূল্য ৩০–এর ঘরে নেমে আসে।

ডিএসপি মিউচুয়াল ফান্ডের সাহিল কাপুরের মতে, ২০ থেকে ৩০ রুপিতে নামার এই পরিবর্তনই রুপির দ্রুততম অবমূল্যায়নের সময়কাল, যার যৌগিক বার্ষিক হার ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ।

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে রুপি সামান্য স্থিতিশীল হলেও, ১৯৯৮ সালে এশীয় আর্থিক সংকট ও পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষার পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মুখে এটি ৪০–এর ঘর পার হয়। ২০০০ এর দশকের শুরুতে, বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতের তেজিভাব ও ভারতের পরিষেবা খাতে নিয়মিত অর্থ প্রবাহের কারণে রুপির দাম ৪৪ থেকে ৪৯–এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

পরবর্তী বড় পরিবর্তন আসে ২০০৮ সালের অক্টোবরে। সে সময় বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের মধ্যে ডলারের বিপরীতে রুপির দর ৫০ অতিক্রম করে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উদীয়মান বাজার থেকে সম্পদ বিক্রি করতে শুরু করে, পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়ে যায় এবং ঘরোয়া প্রবৃদ্ধি দারুণভাবে মন্থর হয়ে পড়ে।

এর পাঁচ বছর পর, ২০১৩ সালের জুনে ডলারের বিপরীতে রুপির ৬০–এর কাটা স্পর্শ করে। তখন নানা সমস্যার কারণে দেশীয় আস্থায় চরম সংকট দেখা দেয়। সে বছর রুপি ছিল এশিয়ার সবচেয়ে বাজে পারফর্ম করা মুদ্রাগুলোর একটি।

২০১৮ সালে তেলের দাম বৃদ্ধি, লাগাতার চলতি হিসাবের ঘাটতি এবং মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার কারণে রুপির মূল্য ৭০–এর দিকে ধাবিত হয়। চার বছর পর, ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এই মুদ্রা ৮০–এর ঘরও পার করে ফেলে। সে সময় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং ফেডারেল রিজার্ভের আগ্রাসী হারে সুদ বাড়ানোর ফলে বিশ্বজুড়ে সবাই ডলারের দিকে ঝুঁকেছিল। আর এখন, গাঠনিক ও স্বল্প-মেয়াদি উভয় ধরনের চাপের মিশ্রণে রুপির দর ৯০ ছুঁয়েছে। বছরের শুরু থেকে এটি প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে—যা এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত পতনের মধ্যে অন্যতম।

চলতি বছর রুপির দর অবমূল্যায়নের কারণ কী

সবচেয়ে বড় আঘাতটি এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক থেকে, যা ভারতের রপ্তানিতে আঘাত হেনেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে। এ বছর বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় ইক্যুইটি থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে দিয়েছে। ভারত মোট বিনিয়োগে বড় অঙ্কের অর্থ আকর্ষণ করলেও, আইপিও ও বেসরকারি ইক্যুইটি বিনিয়োগকারীদের বড় আকারের প্রস্থানের ফলে নিট প্রবাহ ঋণাত্মক হয়ে গেছে।

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও দুর্বল হয়েছে। টানা দুই মাস ধরে নিট এফডিআই ঋণাত্মক। কারণ ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিদেশে বেশি করে অধিগ্রহণ করছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের পুরোনো বিনিয়োগের অর্থ নিজ দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)নভেম্বরের বুলেটিনে এই প্রবণতার ওপর জোর দিয়েছে। সেখানে বাইরের এফডিআই বৃদ্ধি এবং পুনরায় বিনিয়োগ করা আয়ের হ্রাস তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, অক্টোবরে পণ্য বাণিজ্যের ঘাটতি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এটি প্রধানত সোনার আমদানিতে উল্লম্ফন এবং মার্কিন আমদানিকারকদের কাছে রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণে ঘটেছে। আরও অবমূল্যায়নের আশঙ্কায় আমদানিকারকরা দ্রুত তাদের হেজিং (মূল্য সুরক্ষার কৌশল) বাড়িয়েছে, আর রপ্তানিকারকরা ভালো দরের আশায় ডলার বিক্রি করা থেকে বিরত আছে। এই ভারসাম্যহীনতার কারণে পতনের প্রতিটি ধাপে রুপি আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর ভাঙার পরই—মঙ্গলবার ৮৮ দশমিক ৮০ ও বুধবার ৯০ পার করার পরই—নতুন করে ডলার কেনার ঢেউ উঠেছে।

আরবিআই (রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া) স্পট ও ফরওয়ার্ড উভয় বাজারেই ডলার বিক্রি করে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু চাহিদার মাত্রা এতটাই যে তাদের রিজার্ভ কমিয়ে আনতে এবং বড় আকারের ফরওয়ার্ড পজিশন তৈরি করতে বাধ্য হতে হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি চাপ কমাতে বাজারে ভবিষ্যতের ডলার সরবরাহের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেষ্টার কারণে ফরওয়ার্ড বুকে ডলারের শর্ট পজিশন প্রায় ৬৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে, যা পাঁচ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আরবিআই ধীরে ধীরে রুপিকে সামঞ্জস্যে ফিরে আসার সুযোগ দিচ্ছে। এইচএসবিসির অর্থনীতিবিদেরা এই মুদ্রাকে অর্থনীতির জন্য একটি ‘শক অ্যাবজর্ভার’ বা ধাক্কা সামলানোর যন্ত্র হিসেবে হিসেবে বর্ণনা করেছেন, বিশেষ করে উচ্চ শুল্কের সময়ে। একটি ধীর, নিয়ন্ত্রিত অবমূল্যায়ন ভারতের বাহ্যিক ভারসাম্যহীনতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হঠাৎ বড় ধরনের বিকৃতি রোধ করে।

রুপি ৯০-এর ঘরে স্থিতিশীল হওয়ায় বাজার এখন সতর্ক অবস্থানে আছে। আমদানিকারকদের ডলারের চাহিদা জোরালো, জল্পনামূলক অবস্থান বেড়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সতর্ক। কেভিন হ্যাসেট পরবর্তী ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান হতে পারেন এমন প্রত্যাশার কারণে মার্কিন ডলার সামান্য দুর্বল হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে ঘরোয়া কারণগুলো—দুর্বল প্রবাহ, হেজিংয়ের বিকৃতি এবং রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতি—এখনো যেকোনো বাইরের সমর্থনকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা ফেরতে নতুন আশা দিলেন গভর্নর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি

একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই নতুন বার্তা দেন।

গভর্নর বলেন, একীভূত পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তির কাজ এগোচ্ছে এবং ডিপোজিট গ্যারান্টির আওতায় সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা প্রথম ধাপে ফেরত দেওয়া হবে। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী নবগঠিত ব্যাংকগুলো প্রথম বা দ্বিতীয় বছরের মধ্যেই লাভজনক অবস্থানে ফিরতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টাকা ফেরত না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা।

তাঁরা জানান, এক মাস থেকে দুই মাস, তারপর ছয় মাস—এভাবে প্রতিশ্রুতির মেয়াদ বাড়তে বাড়তে দেড় বছর পার হয়ে গেছে; কিন্তু ব্যাংক থেকে জমা রাখা অর্থের ১ টাকাও তাঁরা তুলতে পারেননি। এখন গভর্নর ‘এক সপ্তাহের’ নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি কবে বাস্তবে কার্যকর হবে—তা নিয়েও তাঁরা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন। গ্রাহকদের দাবি, অবিলম্বে আমানত ফেরত দেওয়ার নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিজার্ভ চুরি: ৯১ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৪
রিজার্ভ চুরি: ৯১ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৯১ বারের মতো পিছিয়েছে। নতুন তারিখ আগামী ১৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রিজার্ভের অর্থ চুরির ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। কিন্তু নয় বছরেও রিজার্ভে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেয়ারবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতায় এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: বিআইসিএম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার পুঁজিবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ।

আজ সোমবার বিআইসিএমের মাল্টিপারপাস হলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে সিএমজেএফ ও বিআইসিএম। সেশনটি সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীন।

বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘সম্প্রতি পুঁজিবাজারে পাঁচটি তালিকাভুক্ত ব্যাংক একীভূত করা হয়েছে এবং আরও নয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসান হতে যাচ্ছে। এআই ব্যবহারের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা সম্ভব। শুধু এসব কোম্পানিই নয়, পুঁজিবাজার-সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য বিশ্লেষণে এআই ভবিষ্যতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।’

সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সময়ে এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শেয়ারবাজারের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি বিবেচনা করে সিএমজেএফের সদস্যদের জন্য এআইয়ের ওপর এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে। এটি সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বলেন, সিএমজেএফের সদস্যদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ বিআইসিএমের সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণটি আয়োজন করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক ইমরান মাহমুদ ও গৌরব রায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত