রোকন উদ্দীন, ঢাকা
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাত। পাহাড়ি এই ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে শুধু হাটবাজারে নয়, ছুঁয়ে যাচ্ছে রপ্তানির স্বপ্নও।
এই ঘ্রাণের পেছনে রয়েছে বড় একটা চাহিদার গল্প। বাংলাদেশে বছরে মসলার চাহিদা প্রায় ৫৯ লাখ টন, কিন্তু দেশের উৎপাদন এখনো সীমিত। ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই চক্র ভাঙতে পাহাড়ি কৃষকেরা নেমেছেন মাঠে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও জলবায়ু যেহেতু মসলার জন্য আদর্শ; তাই আদা, হলুদ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচসহ দামি মসলার চাষ সেখানে দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্বপ্নও।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে যেখানে পার্বত্য এলাকায় মসলা চাষের জমি ছিল ১ হাজার ২০০ হেক্টর, তা ২০২৫ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টরে। আদা চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ, আর হলুদের চাষ বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্বত্য এলাকায় ২০২১ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হওয়া এলাচি ও দারুচিনির ফল খুবই আশাব্যঞ্জক। এখন এটি শুধু বিকল্প চাষ নয়, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বনের শক্তিশালী উপায় হয়ে উঠেছে। কৃষি অফিস বলছে, স্থানীয় নারীরাও এই খাতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, যা তৈরি করছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় ধরনের পরিবর্তন।
জুমচাষের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এখন পাহাড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোলমরিচ, তেজপাতা, বিলাতি ধনিয়া, জিরা ও অন্যান্য মসলার চাষ। কৃষকেরা বলছেন, পাহাড়ি জমিতে এসব ফসলের ফলন যেমন ভালো, তেমনি বাজারমূল্য বেশি। এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
বান্দরবান সদরের জামছড়ি ইউনিয়নের কৃষক রতন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আগে ধান আর কলা চাষ করতাম। এখন সাড়ে তিন একরে আদা, এলাচি আর হলুদের চাষ করি। ভালো লাভ হয়।’ রেশমা চাকমা নামের আরেকজন বলেন, ‘আগে শুধু বাড়ির কাজ করতাম। এখন মাঠে কাজ করি, প্রক্রিয়াজাত করি, বিক্রিও করি। নিজস্ব আয়ের পথ তৈরি হয়েছে।’
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ৫৮.৫০ লাখ টন মসলার চাহিদা রয়েছে, যার মধ্যে আমদানি হয় ৪৪.৯৬ লাখ টন। ভারত, চীন, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে এসব মসলা। অথচ বাংলাদেশের নিজস্ব উৎপাদন বাড়লে এই চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ সম্ভব। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ি তিন জেলায় যে পরিমাণ এলাচি ও হলুদ উৎপাদিত হয়েছে, তা দিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত এক বছরে মসলা আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। কৃষি গবেষকদের মতে, পরিকল্পিত সম্প্রসারণ হলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের বোঝাতে পেরেছি যে জমি ও শ্রম একই থাকলেও মসলার চাষে লাভ অনেক বেশি।’
বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ বলেন, দেশে মসলা উৎপাদন বাড়লে আমদানির ওপর চাপ কমবে। বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে। কারণ, মসলা প্রতিদিনের দরকারি পণ্য।
তবে বাজার ও সরবরাহব্যবস্থায় এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে; বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সড়ক অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে কৃষকেরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। রাঙামাটির বরকল উপজেলার ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এলাচি ও হলুদ কিনে চট্টগ্রামে পাঠাই; কিন্তু রাস্তা খারাপ থাকায় পণ্য নষ্ট হয়। সঠিক দাম পাই না।’
তবু আশার খবর হলো, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে মসলা শুকানোর ইউনিট ও সংরক্ষণাগার নির্মাণ শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি টাকার মসলা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্গানিক হলুদ, আদা ও দারুচিনির চাহিদা তৈরি হয়েছে।
বান্দরবান হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক লিটন দেবনাথের মতে, ‘মসলা চাষের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন সম্ভব। তবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানির মধ্যে সমন্বয় অপরিহার্য।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রশিক্ষিত জনবল, মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাব এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা গেলে ‘পাহাড়ি মসলা’ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড পরিচয়, বিশ্বের বাজারে ছড়াতে পারে ঘ্রাণ আর সম্ভাবনার বার্তা।
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাত। পাহাড়ি এই ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে শুধু হাটবাজারে নয়, ছুঁয়ে যাচ্ছে রপ্তানির স্বপ্নও।
এই ঘ্রাণের পেছনে রয়েছে বড় একটা চাহিদার গল্প। বাংলাদেশে বছরে মসলার চাহিদা প্রায় ৫৯ লাখ টন, কিন্তু দেশের উৎপাদন এখনো সীমিত। ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই চক্র ভাঙতে পাহাড়ি কৃষকেরা নেমেছেন মাঠে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও জলবায়ু যেহেতু মসলার জন্য আদর্শ; তাই আদা, হলুদ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচসহ দামি মসলার চাষ সেখানে দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্বপ্নও।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে যেখানে পার্বত্য এলাকায় মসলা চাষের জমি ছিল ১ হাজার ২০০ হেক্টর, তা ২০২৫ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টরে। আদা চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ, আর হলুদের চাষ বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্বত্য এলাকায় ২০২১ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হওয়া এলাচি ও দারুচিনির ফল খুবই আশাব্যঞ্জক। এখন এটি শুধু বিকল্প চাষ নয়, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বনের শক্তিশালী উপায় হয়ে উঠেছে। কৃষি অফিস বলছে, স্থানীয় নারীরাও এই খাতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, যা তৈরি করছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় ধরনের পরিবর্তন।
জুমচাষের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এখন পাহাড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোলমরিচ, তেজপাতা, বিলাতি ধনিয়া, জিরা ও অন্যান্য মসলার চাষ। কৃষকেরা বলছেন, পাহাড়ি জমিতে এসব ফসলের ফলন যেমন ভালো, তেমনি বাজারমূল্য বেশি। এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
বান্দরবান সদরের জামছড়ি ইউনিয়নের কৃষক রতন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আগে ধান আর কলা চাষ করতাম। এখন সাড়ে তিন একরে আদা, এলাচি আর হলুদের চাষ করি। ভালো লাভ হয়।’ রেশমা চাকমা নামের আরেকজন বলেন, ‘আগে শুধু বাড়ির কাজ করতাম। এখন মাঠে কাজ করি, প্রক্রিয়াজাত করি, বিক্রিও করি। নিজস্ব আয়ের পথ তৈরি হয়েছে।’
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ৫৮.৫০ লাখ টন মসলার চাহিদা রয়েছে, যার মধ্যে আমদানি হয় ৪৪.৯৬ লাখ টন। ভারত, চীন, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে এসব মসলা। অথচ বাংলাদেশের নিজস্ব উৎপাদন বাড়লে এই চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ সম্ভব। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ি তিন জেলায় যে পরিমাণ এলাচি ও হলুদ উৎপাদিত হয়েছে, তা দিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত এক বছরে মসলা আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। কৃষি গবেষকদের মতে, পরিকল্পিত সম্প্রসারণ হলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের বোঝাতে পেরেছি যে জমি ও শ্রম একই থাকলেও মসলার চাষে লাভ অনেক বেশি।’
বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ বলেন, দেশে মসলা উৎপাদন বাড়লে আমদানির ওপর চাপ কমবে। বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে। কারণ, মসলা প্রতিদিনের দরকারি পণ্য।
তবে বাজার ও সরবরাহব্যবস্থায় এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে; বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সড়ক অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে কৃষকেরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। রাঙামাটির বরকল উপজেলার ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এলাচি ও হলুদ কিনে চট্টগ্রামে পাঠাই; কিন্তু রাস্তা খারাপ থাকায় পণ্য নষ্ট হয়। সঠিক দাম পাই না।’
তবু আশার খবর হলো, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে মসলা শুকানোর ইউনিট ও সংরক্ষণাগার নির্মাণ শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি টাকার মসলা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্গানিক হলুদ, আদা ও দারুচিনির চাহিদা তৈরি হয়েছে।
বান্দরবান হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক লিটন দেবনাথের মতে, ‘মসলা চাষের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন সম্ভব। তবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানির মধ্যে সমন্বয় অপরিহার্য।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রশিক্ষিত জনবল, মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাব এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা গেলে ‘পাহাড়ি মসলা’ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড পরিচয়, বিশ্বের বাজারে ছড়াতে পারে ঘ্রাণ আর সম্ভাবনার বার্তা।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাত। পাহাড়ি এই ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে শুধু হাটবাজারে নয়, ছুঁয়ে যাচ্ছে রপ্তানির স্বপ্নও।
এই ঘ্রাণের পেছনে রয়েছে বড় একটা চাহিদার গল্প। বাংলাদেশে বছরে মসলার চাহিদা প্রায় ৫৯ লাখ টন, কিন্তু দেশের উৎপাদন এখনো সীমিত। ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই চক্র ভাঙতে পাহাড়ি কৃষকেরা নেমেছেন মাঠে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও জলবায়ু যেহেতু মসলার জন্য আদর্শ; তাই আদা, হলুদ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচসহ দামি মসলার চাষ সেখানে দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্বপ্নও।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে যেখানে পার্বত্য এলাকায় মসলা চাষের জমি ছিল ১ হাজার ২০০ হেক্টর, তা ২০২৫ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টরে। আদা চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ, আর হলুদের চাষ বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্বত্য এলাকায় ২০২১ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হওয়া এলাচি ও দারুচিনির ফল খুবই আশাব্যঞ্জক। এখন এটি শুধু বিকল্প চাষ নয়, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বনের শক্তিশালী উপায় হয়ে উঠেছে। কৃষি অফিস বলছে, স্থানীয় নারীরাও এই খাতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, যা তৈরি করছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় ধরনের পরিবর্তন।
জুমচাষের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এখন পাহাড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোলমরিচ, তেজপাতা, বিলাতি ধনিয়া, জিরা ও অন্যান্য মসলার চাষ। কৃষকেরা বলছেন, পাহাড়ি জমিতে এসব ফসলের ফলন যেমন ভালো, তেমনি বাজারমূল্য বেশি। এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
বান্দরবান সদরের জামছড়ি ইউনিয়নের কৃষক রতন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আগে ধান আর কলা চাষ করতাম। এখন সাড়ে তিন একরে আদা, এলাচি আর হলুদের চাষ করি। ভালো লাভ হয়।’ রেশমা চাকমা নামের আরেকজন বলেন, ‘আগে শুধু বাড়ির কাজ করতাম। এখন মাঠে কাজ করি, প্রক্রিয়াজাত করি, বিক্রিও করি। নিজস্ব আয়ের পথ তৈরি হয়েছে।’
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ৫৮.৫০ লাখ টন মসলার চাহিদা রয়েছে, যার মধ্যে আমদানি হয় ৪৪.৯৬ লাখ টন। ভারত, চীন, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে এসব মসলা। অথচ বাংলাদেশের নিজস্ব উৎপাদন বাড়লে এই চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ সম্ভব। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ি তিন জেলায় যে পরিমাণ এলাচি ও হলুদ উৎপাদিত হয়েছে, তা দিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত এক বছরে মসলা আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। কৃষি গবেষকদের মতে, পরিকল্পিত সম্প্রসারণ হলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের বোঝাতে পেরেছি যে জমি ও শ্রম একই থাকলেও মসলার চাষে লাভ অনেক বেশি।’
বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ বলেন, দেশে মসলা উৎপাদন বাড়লে আমদানির ওপর চাপ কমবে। বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে। কারণ, মসলা প্রতিদিনের দরকারি পণ্য।
তবে বাজার ও সরবরাহব্যবস্থায় এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে; বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সড়ক অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে কৃষকেরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। রাঙামাটির বরকল উপজেলার ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এলাচি ও হলুদ কিনে চট্টগ্রামে পাঠাই; কিন্তু রাস্তা খারাপ থাকায় পণ্য নষ্ট হয়। সঠিক দাম পাই না।’
তবু আশার খবর হলো, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে মসলা শুকানোর ইউনিট ও সংরক্ষণাগার নির্মাণ শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি টাকার মসলা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্গানিক হলুদ, আদা ও দারুচিনির চাহিদা তৈরি হয়েছে।
বান্দরবান হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক লিটন দেবনাথের মতে, ‘মসলা চাষের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন সম্ভব। তবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানির মধ্যে সমন্বয় অপরিহার্য।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রশিক্ষিত জনবল, মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাব এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা গেলে ‘পাহাড়ি মসলা’ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড পরিচয়, বিশ্বের বাজারে ছড়াতে পারে ঘ্রাণ আর সম্ভাবনার বার্তা।
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাত। পাহাড়ি এই ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে শুধু হাটবাজারে নয়, ছুঁয়ে যাচ্ছে রপ্তানির স্বপ্নও।
এই ঘ্রাণের পেছনে রয়েছে বড় একটা চাহিদার গল্প। বাংলাদেশে বছরে মসলার চাহিদা প্রায় ৫৯ লাখ টন, কিন্তু দেশের উৎপাদন এখনো সীমিত। ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই চক্র ভাঙতে পাহাড়ি কৃষকেরা নেমেছেন মাঠে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও জলবায়ু যেহেতু মসলার জন্য আদর্শ; তাই আদা, হলুদ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচসহ দামি মসলার চাষ সেখানে দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্বপ্নও।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে যেখানে পার্বত্য এলাকায় মসলা চাষের জমি ছিল ১ হাজার ২০০ হেক্টর, তা ২০২৫ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টরে। আদা চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ, আর হলুদের চাষ বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্বত্য এলাকায় ২০২১ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হওয়া এলাচি ও দারুচিনির ফল খুবই আশাব্যঞ্জক। এখন এটি শুধু বিকল্প চাষ নয়, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বনের শক্তিশালী উপায় হয়ে উঠেছে। কৃষি অফিস বলছে, স্থানীয় নারীরাও এই খাতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, যা তৈরি করছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় ধরনের পরিবর্তন।
জুমচাষের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এখন পাহাড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোলমরিচ, তেজপাতা, বিলাতি ধনিয়া, জিরা ও অন্যান্য মসলার চাষ। কৃষকেরা বলছেন, পাহাড়ি জমিতে এসব ফসলের ফলন যেমন ভালো, তেমনি বাজারমূল্য বেশি। এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
বান্দরবান সদরের জামছড়ি ইউনিয়নের কৃষক রতন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আগে ধান আর কলা চাষ করতাম। এখন সাড়ে তিন একরে আদা, এলাচি আর হলুদের চাষ করি। ভালো লাভ হয়।’ রেশমা চাকমা নামের আরেকজন বলেন, ‘আগে শুধু বাড়ির কাজ করতাম। এখন মাঠে কাজ করি, প্রক্রিয়াজাত করি, বিক্রিও করি। নিজস্ব আয়ের পথ তৈরি হয়েছে।’
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ৫৮.৫০ লাখ টন মসলার চাহিদা রয়েছে, যার মধ্যে আমদানি হয় ৪৪.৯৬ লাখ টন। ভারত, চীন, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে এসব মসলা। অথচ বাংলাদেশের নিজস্ব উৎপাদন বাড়লে এই চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ সম্ভব। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ি তিন জেলায় যে পরিমাণ এলাচি ও হলুদ উৎপাদিত হয়েছে, তা দিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত এক বছরে মসলা আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। কৃষি গবেষকদের মতে, পরিকল্পিত সম্প্রসারণ হলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের বোঝাতে পেরেছি যে জমি ও শ্রম একই থাকলেও মসলার চাষে লাভ অনেক বেশি।’
বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ বলেন, দেশে মসলা উৎপাদন বাড়লে আমদানির ওপর চাপ কমবে। বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে। কারণ, মসলা প্রতিদিনের দরকারি পণ্য।
তবে বাজার ও সরবরাহব্যবস্থায় এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে; বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সড়ক অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে কৃষকেরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। রাঙামাটির বরকল উপজেলার ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এলাচি ও হলুদ কিনে চট্টগ্রামে পাঠাই; কিন্তু রাস্তা খারাপ থাকায় পণ্য নষ্ট হয়। সঠিক দাম পাই না।’
তবু আশার খবর হলো, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে মসলা শুকানোর ইউনিট ও সংরক্ষণাগার নির্মাণ শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি টাকার মসলা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্গানিক হলুদ, আদা ও দারুচিনির চাহিদা তৈরি হয়েছে।
বান্দরবান হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক লিটন দেবনাথের মতে, ‘মসলা চাষের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন সম্ভব। তবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানির মধ্যে সমন্বয় অপরিহার্য।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রশিক্ষিত জনবল, মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাব এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা গেলে ‘পাহাড়ি মসলা’ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড পরিচয়, বিশ্বের বাজারে ছড়াতে পারে ঘ্রাণ আর সম্ভাবনার বার্তা।
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৭ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে...
০৬ আগস্ট ২০২৫বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে...
০৬ আগস্ট ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
২ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে...
০৬ আগস্ট ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে...
০৬ আগস্ট ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগে