আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখনো কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। আগে থেকেই শিল্পটি শুল্কের বোঝা বইছে। তদুপরি টাইলস ও সিরামিক পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে, যা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয় এবং গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে পুরো শিল্প রুগ্ণ হয়ে পড়বে।
শিল্পমালিকদের দাবি, তাঁরা একের পর এক ইউনিট বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক কারখানা তাদের উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম না বাড়ানো এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার, সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সিরামিক পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক বাতিলের দাবিতে খাতটির সংগঠন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে এসব কথাবার্তা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিসিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মইনুল ইসলাম, উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাছির হোসেন এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশীদ বক্তব্য দেন। এ সময় বিসিএমইএর সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল হাকিম এবং পরিচালক রাশীদ মাইমুনুল ইসলাম, ফারিয়ান ইউসুফসহ সংগঠনের সদস্য উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মইনুল ইসলাম বলেন, ‘সিরামিক শিল্প দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। ১৯৮৩ সালে এর যাত্রা শুরু হলেও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্যোক্তারা এটি দাঁড় করিয়েছেন। বর্তমানে ৮০টির বেশি সিরামিক, টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার কারখানা চালু রয়েছে, যা দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখছে। এতে বছরে অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি এ শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে।’
মইনুল ইসলাম বলেন, গ্যাস-সংকটের কারণে পণ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বড় বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানির অর্ডার বাতিল হচ্ছে। নিবন্ধিত ৫০টির বেশি সিরামিক কোম্পানি নতুন বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে। পাঁচটি নতুন কারখানা শুধু গ্যাসের স্বল্পতার কারণে উৎপাদন শুরু করতে পারছে না।
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা শিল্পের জন্য আরও বড় ধাক্কা হবে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গ্যাসের মূল্য ৩৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে সিরামিক পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ১৮-২০ শতাংশ বেড়েছিল। এখন নতুন করে দাম বাড়ালে উৎপাদন ব্যয় আরও ৩০-৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের শিল্পবান্ধব নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আমরা সরকারকে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে সম্প্রতি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে।
মীর নাছির হোসেন বলেন, ‘সিরামিক পণ্য বিলাসিতা নয়, এটি অপরিহার্য। এই শিল্প বন্ধ হলে দেশ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও গ্যাস-সংকট আমাদের চরম বিপদে ফেলছে। নতুন সংযোগ নিলে গ্যাসের খরচ বেশি হবে, ফলে নতুন উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না। পুরোনো কারখানাগুলোরও প্রসার সম্ভব হবে না।’
মীর নাছির হোসেন আরও বলেন, উৎপাদন ব্যয় যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে দেশের শিল্প খাত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের উচিত গ্যাস চুরি রোধ করা, যাতে খরচ কমে এবং দাম বাড়ানোর প্রয়োজন না হয়।
মামুনুর রশীদ বলেন, একসময় বাংলাদেশ চীন ও শ্রীলঙ্কা থেকে সিরামিক পণ্য আমদানি করত। কিন্তু এখন দেশেই বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। অথচ গ্যাস-সংকটের কারণে ইতিমধ্যে খাতটির ২০-২৫টি কারখানা বন্ধের পথে। বাকিরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন যেখানে ১২ হাজার বর্গফুট উৎপাদন করা সম্ভব, সেখানে এখন মাত্র ৬-৭ হাজার বর্গফুট হচ্ছে।
শিল্পমালিকেরা সরকারের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে, শুল্ক বাতিল করতে হবে। তা না হলে সিরামিক শিল্প সংকুচিত হবে, শ্রমিক ছাঁটাই বাড়বে, রপ্তানি হ্রাস পাবে, ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়বে এবং সরকারও রাজস্ব হারাবে। সংকট সমাধানে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখনো কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। আগে থেকেই শিল্পটি শুল্কের বোঝা বইছে। তদুপরি টাইলস ও সিরামিক পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে, যা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয় এবং গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে পুরো শিল্প রুগ্ণ হয়ে পড়বে।
শিল্পমালিকদের দাবি, তাঁরা একের পর এক ইউনিট বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক কারখানা তাদের উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম না বাড়ানো এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার, সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সিরামিক পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক বাতিলের দাবিতে খাতটির সংগঠন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে এসব কথাবার্তা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিসিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মইনুল ইসলাম, উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাছির হোসেন এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশীদ বক্তব্য দেন। এ সময় বিসিএমইএর সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল হাকিম এবং পরিচালক রাশীদ মাইমুনুল ইসলাম, ফারিয়ান ইউসুফসহ সংগঠনের সদস্য উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মইনুল ইসলাম বলেন, ‘সিরামিক শিল্প দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। ১৯৮৩ সালে এর যাত্রা শুরু হলেও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্যোক্তারা এটি দাঁড় করিয়েছেন। বর্তমানে ৮০টির বেশি সিরামিক, টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার কারখানা চালু রয়েছে, যা দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখছে। এতে বছরে অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি এ শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে।’
মইনুল ইসলাম বলেন, গ্যাস-সংকটের কারণে পণ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বড় বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানির অর্ডার বাতিল হচ্ছে। নিবন্ধিত ৫০টির বেশি সিরামিক কোম্পানি নতুন বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে। পাঁচটি নতুন কারখানা শুধু গ্যাসের স্বল্পতার কারণে উৎপাদন শুরু করতে পারছে না।
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা শিল্পের জন্য আরও বড় ধাক্কা হবে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গ্যাসের মূল্য ৩৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে সিরামিক পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ১৮-২০ শতাংশ বেড়েছিল। এখন নতুন করে দাম বাড়ালে উৎপাদন ব্যয় আরও ৩০-৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের শিল্পবান্ধব নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আমরা সরকারকে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে সম্প্রতি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে।
মীর নাছির হোসেন বলেন, ‘সিরামিক পণ্য বিলাসিতা নয়, এটি অপরিহার্য। এই শিল্প বন্ধ হলে দেশ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও গ্যাস-সংকট আমাদের চরম বিপদে ফেলছে। নতুন সংযোগ নিলে গ্যাসের খরচ বেশি হবে, ফলে নতুন উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না। পুরোনো কারখানাগুলোরও প্রসার সম্ভব হবে না।’
মীর নাছির হোসেন আরও বলেন, উৎপাদন ব্যয় যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে দেশের শিল্প খাত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের উচিত গ্যাস চুরি রোধ করা, যাতে খরচ কমে এবং দাম বাড়ানোর প্রয়োজন না হয়।
মামুনুর রশীদ বলেন, একসময় বাংলাদেশ চীন ও শ্রীলঙ্কা থেকে সিরামিক পণ্য আমদানি করত। কিন্তু এখন দেশেই বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। অথচ গ্যাস-সংকটের কারণে ইতিমধ্যে খাতটির ২০-২৫টি কারখানা বন্ধের পথে। বাকিরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন যেখানে ১২ হাজার বর্গফুট উৎপাদন করা সম্ভব, সেখানে এখন মাত্র ৬-৭ হাজার বর্গফুট হচ্ছে।
শিল্পমালিকেরা সরকারের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে, শুল্ক বাতিল করতে হবে। তা না হলে সিরামিক শিল্প সংকুচিত হবে, শ্রমিক ছাঁটাই বাড়বে, রপ্তানি হ্রাস পাবে, ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়বে এবং সরকারও রাজস্ব হারাবে। সংকট সমাধানে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখনো কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। আগে থেকেই শিল্পটি শুল্কের বোঝা বইছে। তদুপরি টাইলস ও সিরামিক পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে, যা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয় এবং গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে পুরো শিল্প রুগ্ণ হয়ে পড়বে।
শিল্পমালিকদের দাবি, তাঁরা একের পর এক ইউনিট বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক কারখানা তাদের উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম না বাড়ানো এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার, সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সিরামিক পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক বাতিলের দাবিতে খাতটির সংগঠন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে এসব কথাবার্তা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিসিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মইনুল ইসলাম, উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাছির হোসেন এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশীদ বক্তব্য দেন। এ সময় বিসিএমইএর সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল হাকিম এবং পরিচালক রাশীদ মাইমুনুল ইসলাম, ফারিয়ান ইউসুফসহ সংগঠনের সদস্য উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মইনুল ইসলাম বলেন, ‘সিরামিক শিল্প দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। ১৯৮৩ সালে এর যাত্রা শুরু হলেও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্যোক্তারা এটি দাঁড় করিয়েছেন। বর্তমানে ৮০টির বেশি সিরামিক, টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার কারখানা চালু রয়েছে, যা দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখছে। এতে বছরে অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি এ শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে।’
মইনুল ইসলাম বলেন, গ্যাস-সংকটের কারণে পণ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বড় বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানির অর্ডার বাতিল হচ্ছে। নিবন্ধিত ৫০টির বেশি সিরামিক কোম্পানি নতুন বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে। পাঁচটি নতুন কারখানা শুধু গ্যাসের স্বল্পতার কারণে উৎপাদন শুরু করতে পারছে না।
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা শিল্পের জন্য আরও বড় ধাক্কা হবে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গ্যাসের মূল্য ৩৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে সিরামিক পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ১৮-২০ শতাংশ বেড়েছিল। এখন নতুন করে দাম বাড়ালে উৎপাদন ব্যয় আরও ৩০-৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের শিল্পবান্ধব নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আমরা সরকারকে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে সম্প্রতি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে।
মীর নাছির হোসেন বলেন, ‘সিরামিক পণ্য বিলাসিতা নয়, এটি অপরিহার্য। এই শিল্প বন্ধ হলে দেশ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও গ্যাস-সংকট আমাদের চরম বিপদে ফেলছে। নতুন সংযোগ নিলে গ্যাসের খরচ বেশি হবে, ফলে নতুন উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না। পুরোনো কারখানাগুলোরও প্রসার সম্ভব হবে না।’
মীর নাছির হোসেন আরও বলেন, উৎপাদন ব্যয় যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে দেশের শিল্প খাত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের উচিত গ্যাস চুরি রোধ করা, যাতে খরচ কমে এবং দাম বাড়ানোর প্রয়োজন না হয়।
মামুনুর রশীদ বলেন, একসময় বাংলাদেশ চীন ও শ্রীলঙ্কা থেকে সিরামিক পণ্য আমদানি করত। কিন্তু এখন দেশেই বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। অথচ গ্যাস-সংকটের কারণে ইতিমধ্যে খাতটির ২০-২৫টি কারখানা বন্ধের পথে। বাকিরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন যেখানে ১২ হাজার বর্গফুট উৎপাদন করা সম্ভব, সেখানে এখন মাত্র ৬-৭ হাজার বর্গফুট হচ্ছে।
শিল্পমালিকেরা সরকারের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে, শুল্ক বাতিল করতে হবে। তা না হলে সিরামিক শিল্প সংকুচিত হবে, শ্রমিক ছাঁটাই বাড়বে, রপ্তানি হ্রাস পাবে, ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়বে এবং সরকারও রাজস্ব হারাবে। সংকট সমাধানে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখনো কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। আগে থেকেই শিল্পটি শুল্কের বোঝা বইছে। তদুপরি টাইলস ও সিরামিক পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে, যা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয় এবং গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে পুরো শিল্প রুগ্ণ হয়ে পড়বে।
শিল্পমালিকদের দাবি, তাঁরা একের পর এক ইউনিট বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক কারখানা তাদের উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম না বাড়ানো এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার, সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সিরামিক পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক বাতিলের দাবিতে খাতটির সংগঠন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে এসব কথাবার্তা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিসিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মইনুল ইসলাম, উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাছির হোসেন এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশীদ বক্তব্য দেন। এ সময় বিসিএমইএর সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল হাকিম এবং পরিচালক রাশীদ মাইমুনুল ইসলাম, ফারিয়ান ইউসুফসহ সংগঠনের সদস্য উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মইনুল ইসলাম বলেন, ‘সিরামিক শিল্প দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। ১৯৮৩ সালে এর যাত্রা শুরু হলেও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্যোক্তারা এটি দাঁড় করিয়েছেন। বর্তমানে ৮০টির বেশি সিরামিক, টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার কারখানা চালু রয়েছে, যা দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখছে। এতে বছরে অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু গ্যাস-সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি এ শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে।’
মইনুল ইসলাম বলেন, গ্যাস-সংকটের কারণে পণ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বড় বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানির অর্ডার বাতিল হচ্ছে। নিবন্ধিত ৫০টির বেশি সিরামিক কোম্পানি নতুন বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে। পাঁচটি নতুন কারখানা শুধু গ্যাসের স্বল্পতার কারণে উৎপাদন শুরু করতে পারছে না।
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা শিল্পের জন্য আরও বড় ধাক্কা হবে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গ্যাসের মূল্য ৩৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে সিরামিক পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ১৮-২০ শতাংশ বেড়েছিল। এখন নতুন করে দাম বাড়ালে উৎপাদন ব্যয় আরও ৩০-৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের শিল্পবান্ধব নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আমরা সরকারকে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে সম্প্রতি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে।
মীর নাছির হোসেন বলেন, ‘সিরামিক পণ্য বিলাসিতা নয়, এটি অপরিহার্য। এই শিল্প বন্ধ হলে দেশ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও গ্যাস-সংকট আমাদের চরম বিপদে ফেলছে। নতুন সংযোগ নিলে গ্যাসের খরচ বেশি হবে, ফলে নতুন উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না। পুরোনো কারখানাগুলোরও প্রসার সম্ভব হবে না।’
মীর নাছির হোসেন আরও বলেন, উৎপাদন ব্যয় যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে দেশের শিল্প খাত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের উচিত গ্যাস চুরি রোধ করা, যাতে খরচ কমে এবং দাম বাড়ানোর প্রয়োজন না হয়।
মামুনুর রশীদ বলেন, একসময় বাংলাদেশ চীন ও শ্রীলঙ্কা থেকে সিরামিক পণ্য আমদানি করত। কিন্তু এখন দেশেই বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। অথচ গ্যাস-সংকটের কারণে ইতিমধ্যে খাতটির ২০-২৫টি কারখানা বন্ধের পথে। বাকিরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন যেখানে ১২ হাজার বর্গফুট উৎপাদন করা সম্ভব, সেখানে এখন মাত্র ৬-৭ হাজার বর্গফুট হচ্ছে।
শিল্পমালিকেরা সরকারের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে, শুল্ক বাতিল করতে হবে। তা না হলে সিরামিক শিল্প সংকুচিত হবে, শ্রমিক ছাঁটাই বাড়বে, রপ্তানি হ্রাস পাবে, ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়বে এবং সরকারও রাজস্ব হারাবে। সংকট সমাধানে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
১৮ মিনিট আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৫ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
১৮ মিনিট আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
১৮ মিনিট আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
১৮ মিনিট আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৫ ঘণ্টা আগে