জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে চলতি হিসাব। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত অর্জন করে বাংলাদেশ ফিরেছে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যের সীমানায়; যেখানে গত দুই অর্থবছর ছিল বিপুল ঘাটতির খাতায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৯৮ কোটি ডলার। অথচ এর আগের বছর একই হিসাব ছিল ৬৫১ কোটি ডলার ঘাটতিতে। এরও এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতির অঙ্ক ছাড়িয়েছিল ১ হাজার ১৬৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ মাত্র দুই বছরে সেই ঘাটতি পুষিয়ে সরাসরি উদ্বৃত্তে ফেরার ঘটনা দেশের অর্থনৈতিক নীতির মোড় পরিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করে।
এই অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল ঠিক গত বছরের আগস্টে, ছাত্র-জনতার এক সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। পুরোনো সরকার পতনের পর যে অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থা গঠিত হয়, তাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল বহির্বাণিজ্যের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া অর্থ পাচার ও হুন্ডিকে রুখে দেওয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তায় আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে উৎসাহ এবং বৈধ চ্যানেলে ডলার প্রবাহ নিশ্চিত করার দিকে নজর দেওয়া হয়। ফলাফল হিসেবে অর্থনীতি পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই পরিবর্তন হঠাৎ করে আসেনি। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরেও একটি মনস্তাত্ত্বিক পালাবদল হয়েছে। অর্থ পাচারের রুট চিহ্নিত করে কঠোর নজরদারি, হুন্ডির উৎসে আঘাত, ইনভয়েসিং জালিয়াতি বন্ধের চেষ্টা, এসবই ছিল সুনির্দিষ্ট কৌশলের অংশ।
নতুন নীতির ছায়ায় শুধু চলতি হিসাব নয়, সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যেও এসেছে পরিষ্কার উন্নতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে সামগ্রিক লেনদেন উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩২৯ কোটি ডলার, যেখানে আগের বছর ছিল ৪৩০ কোটি ডলারের ঘাটতি। এমনকি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষেও ঘাটতির অঙ্ক ছিল ৮২২ কোটি ডলার।
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পটপরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে তিনটি বড় পরিবর্তন: প্রথমত, আমদানি বিল নিয়ন্ত্রণ করে বৈদেশিক ব্যয় সীমিত রাখা হয়েছে; দ্বিতীয়ত, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে এবং তৃতীয়ত, বৈধ পথে ডলার আনার জন্য ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে উৎসাহ ভাতা ও প্রণোদনা কার্যকর রাখা হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৬৪১ কোটি ডলার বা ২৬.৮২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫ কোটি ডলারে, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ২ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের সমন্বিত প্রবাহ, বৈদেশিক ঋণের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা আর অর্থ পাচার রোধের কঠোর মনোভাব এই সফলতার পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে আমদানির চাপ আগের মতো নেই। তার চেয়েও বড় কথা, বিদেশি লেনদেনে আস্থার সংকট কেটেছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, হুন্ডি কার্যত নিয়ন্ত্রণে আসায় এখন খোলাবাজার ও ব্যাংক চ্যানেলে ডলারের দামের মধ্যে পার্থক্য প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমানে প্রতি ডলারে বাজারদর ১২২ টাকার কাছাকাছি, যা রেমিট্যান্স প্রেরকদের বৈধ পথে উৎসাহিত করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিকভাবে এখন যে ধারা তৈরি হয়েছে, তা শুধু প্রযুক্তিগত হিসাব নয়, এটি রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ। বিপর্যস্ত আর্থিক ব্যবস্থাকে একটা সুশৃঙ্খল কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা শুধু আর্থিক পুনরুদ্ধার নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষমতার পুনর্গঠন। তবে এই ধারা ধরে রাখা যাবে কি না, তা নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারকদের দৃঢ়তা ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর।
দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে চলতি হিসাব। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত অর্জন করে বাংলাদেশ ফিরেছে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যের সীমানায়; যেখানে গত দুই অর্থবছর ছিল বিপুল ঘাটতির খাতায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৯৮ কোটি ডলার। অথচ এর আগের বছর একই হিসাব ছিল ৬৫১ কোটি ডলার ঘাটতিতে। এরও এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতির অঙ্ক ছাড়িয়েছিল ১ হাজার ১৬৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ মাত্র দুই বছরে সেই ঘাটতি পুষিয়ে সরাসরি উদ্বৃত্তে ফেরার ঘটনা দেশের অর্থনৈতিক নীতির মোড় পরিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করে।
এই অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল ঠিক গত বছরের আগস্টে, ছাত্র-জনতার এক সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। পুরোনো সরকার পতনের পর যে অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থা গঠিত হয়, তাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল বহির্বাণিজ্যের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া অর্থ পাচার ও হুন্ডিকে রুখে দেওয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তায় আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে উৎসাহ এবং বৈধ চ্যানেলে ডলার প্রবাহ নিশ্চিত করার দিকে নজর দেওয়া হয়। ফলাফল হিসেবে অর্থনীতি পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই পরিবর্তন হঠাৎ করে আসেনি। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরেও একটি মনস্তাত্ত্বিক পালাবদল হয়েছে। অর্থ পাচারের রুট চিহ্নিত করে কঠোর নজরদারি, হুন্ডির উৎসে আঘাত, ইনভয়েসিং জালিয়াতি বন্ধের চেষ্টা, এসবই ছিল সুনির্দিষ্ট কৌশলের অংশ।
নতুন নীতির ছায়ায় শুধু চলতি হিসাব নয়, সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যেও এসেছে পরিষ্কার উন্নতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে সামগ্রিক লেনদেন উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩২৯ কোটি ডলার, যেখানে আগের বছর ছিল ৪৩০ কোটি ডলারের ঘাটতি। এমনকি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষেও ঘাটতির অঙ্ক ছিল ৮২২ কোটি ডলার।
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পটপরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে তিনটি বড় পরিবর্তন: প্রথমত, আমদানি বিল নিয়ন্ত্রণ করে বৈদেশিক ব্যয় সীমিত রাখা হয়েছে; দ্বিতীয়ত, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে এবং তৃতীয়ত, বৈধ পথে ডলার আনার জন্য ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে উৎসাহ ভাতা ও প্রণোদনা কার্যকর রাখা হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৬৪১ কোটি ডলার বা ২৬.৮২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫ কোটি ডলারে, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ২ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের সমন্বিত প্রবাহ, বৈদেশিক ঋণের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা আর অর্থ পাচার রোধের কঠোর মনোভাব এই সফলতার পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে আমদানির চাপ আগের মতো নেই। তার চেয়েও বড় কথা, বিদেশি লেনদেনে আস্থার সংকট কেটেছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, হুন্ডি কার্যত নিয়ন্ত্রণে আসায় এখন খোলাবাজার ও ব্যাংক চ্যানেলে ডলারের দামের মধ্যে পার্থক্য প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমানে প্রতি ডলারে বাজারদর ১২২ টাকার কাছাকাছি, যা রেমিট্যান্স প্রেরকদের বৈধ পথে উৎসাহিত করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিকভাবে এখন যে ধারা তৈরি হয়েছে, তা শুধু প্রযুক্তিগত হিসাব নয়, এটি রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ। বিপর্যস্ত আর্থিক ব্যবস্থাকে একটা সুশৃঙ্খল কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা শুধু আর্থিক পুনরুদ্ধার নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষমতার পুনর্গঠন। তবে এই ধারা ধরে রাখা যাবে কি না, তা নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারকদের দৃঢ়তা ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে চলতি হিসাব। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত অর্জন করে বাংলাদেশ ফিরেছে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যের সীমানায়; যেখানে গত দুই অর্থবছর ছিল বিপুল ঘাটতির খাতায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৯৮ কোটি ডলার। অথচ এর আগের বছর একই হিসাব ছিল ৬৫১ কোটি ডলার ঘাটতিতে। এরও এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতির অঙ্ক ছাড়িয়েছিল ১ হাজার ১৬৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ মাত্র দুই বছরে সেই ঘাটতি পুষিয়ে সরাসরি উদ্বৃত্তে ফেরার ঘটনা দেশের অর্থনৈতিক নীতির মোড় পরিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করে।
এই অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল ঠিক গত বছরের আগস্টে, ছাত্র-জনতার এক সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। পুরোনো সরকার পতনের পর যে অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থা গঠিত হয়, তাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল বহির্বাণিজ্যের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া অর্থ পাচার ও হুন্ডিকে রুখে দেওয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তায় আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে উৎসাহ এবং বৈধ চ্যানেলে ডলার প্রবাহ নিশ্চিত করার দিকে নজর দেওয়া হয়। ফলাফল হিসেবে অর্থনীতি পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই পরিবর্তন হঠাৎ করে আসেনি। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরেও একটি মনস্তাত্ত্বিক পালাবদল হয়েছে। অর্থ পাচারের রুট চিহ্নিত করে কঠোর নজরদারি, হুন্ডির উৎসে আঘাত, ইনভয়েসিং জালিয়াতি বন্ধের চেষ্টা, এসবই ছিল সুনির্দিষ্ট কৌশলের অংশ।
নতুন নীতির ছায়ায় শুধু চলতি হিসাব নয়, সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যেও এসেছে পরিষ্কার উন্নতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে সামগ্রিক লেনদেন উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩২৯ কোটি ডলার, যেখানে আগের বছর ছিল ৪৩০ কোটি ডলারের ঘাটতি। এমনকি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষেও ঘাটতির অঙ্ক ছিল ৮২২ কোটি ডলার।
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পটপরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে তিনটি বড় পরিবর্তন: প্রথমত, আমদানি বিল নিয়ন্ত্রণ করে বৈদেশিক ব্যয় সীমিত রাখা হয়েছে; দ্বিতীয়ত, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে এবং তৃতীয়ত, বৈধ পথে ডলার আনার জন্য ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে উৎসাহ ভাতা ও প্রণোদনা কার্যকর রাখা হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৬৪১ কোটি ডলার বা ২৬.৮২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫ কোটি ডলারে, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ২ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের সমন্বিত প্রবাহ, বৈদেশিক ঋণের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা আর অর্থ পাচার রোধের কঠোর মনোভাব এই সফলতার পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে আমদানির চাপ আগের মতো নেই। তার চেয়েও বড় কথা, বিদেশি লেনদেনে আস্থার সংকট কেটেছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, হুন্ডি কার্যত নিয়ন্ত্রণে আসায় এখন খোলাবাজার ও ব্যাংক চ্যানেলে ডলারের দামের মধ্যে পার্থক্য প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমানে প্রতি ডলারে বাজারদর ১২২ টাকার কাছাকাছি, যা রেমিট্যান্স প্রেরকদের বৈধ পথে উৎসাহিত করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিকভাবে এখন যে ধারা তৈরি হয়েছে, তা শুধু প্রযুক্তিগত হিসাব নয়, এটি রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ। বিপর্যস্ত আর্থিক ব্যবস্থাকে একটা সুশৃঙ্খল কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা শুধু আর্থিক পুনরুদ্ধার নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষমতার পুনর্গঠন। তবে এই ধারা ধরে রাখা যাবে কি না, তা নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারকদের দৃঢ়তা ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর।
দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে চলতি হিসাব। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত অর্জন করে বাংলাদেশ ফিরেছে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যের সীমানায়; যেখানে গত দুই অর্থবছর ছিল বিপুল ঘাটতির খাতায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৯৮ কোটি ডলার। অথচ এর আগের বছর একই হিসাব ছিল ৬৫১ কোটি ডলার ঘাটতিতে। এরও এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতির অঙ্ক ছাড়িয়েছিল ১ হাজার ১৬৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ মাত্র দুই বছরে সেই ঘাটতি পুষিয়ে সরাসরি উদ্বৃত্তে ফেরার ঘটনা দেশের অর্থনৈতিক নীতির মোড় পরিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করে।
এই অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল ঠিক গত বছরের আগস্টে, ছাত্র-জনতার এক সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। পুরোনো সরকার পতনের পর যে অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থা গঠিত হয়, তাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল বহির্বাণিজ্যের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া অর্থ পাচার ও হুন্ডিকে রুখে দেওয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তায় আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে উৎসাহ এবং বৈধ চ্যানেলে ডলার প্রবাহ নিশ্চিত করার দিকে নজর দেওয়া হয়। ফলাফল হিসেবে অর্থনীতি পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই পরিবর্তন হঠাৎ করে আসেনি। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরেও একটি মনস্তাত্ত্বিক পালাবদল হয়েছে। অর্থ পাচারের রুট চিহ্নিত করে কঠোর নজরদারি, হুন্ডির উৎসে আঘাত, ইনভয়েসিং জালিয়াতি বন্ধের চেষ্টা, এসবই ছিল সুনির্দিষ্ট কৌশলের অংশ।
নতুন নীতির ছায়ায় শুধু চলতি হিসাব নয়, সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যেও এসেছে পরিষ্কার উন্নতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে সামগ্রিক লেনদেন উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩২৯ কোটি ডলার, যেখানে আগের বছর ছিল ৪৩০ কোটি ডলারের ঘাটতি। এমনকি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষেও ঘাটতির অঙ্ক ছিল ৮২২ কোটি ডলার।
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পটপরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে তিনটি বড় পরিবর্তন: প্রথমত, আমদানি বিল নিয়ন্ত্রণ করে বৈদেশিক ব্যয় সীমিত রাখা হয়েছে; দ্বিতীয়ত, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে এবং তৃতীয়ত, বৈধ পথে ডলার আনার জন্য ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে উৎসাহ ভাতা ও প্রণোদনা কার্যকর রাখা হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৬৪১ কোটি ডলার বা ২৬.৮২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫ কোটি ডলারে, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ২ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের সমন্বিত প্রবাহ, বৈদেশিক ঋণের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা আর অর্থ পাচার রোধের কঠোর মনোভাব এই সফলতার পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে আমদানির চাপ আগের মতো নেই। তার চেয়েও বড় কথা, বিদেশি লেনদেনে আস্থার সংকট কেটেছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, হুন্ডি কার্যত নিয়ন্ত্রণে আসায় এখন খোলাবাজার ও ব্যাংক চ্যানেলে ডলারের দামের মধ্যে পার্থক্য প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমানে প্রতি ডলারে বাজারদর ১২২ টাকার কাছাকাছি, যা রেমিট্যান্স প্রেরকদের বৈধ পথে উৎসাহিত করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিকভাবে এখন যে ধারা তৈরি হয়েছে, তা শুধু প্রযুক্তিগত হিসাব নয়, এটি রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ। বিপর্যস্ত আর্থিক ব্যবস্থাকে একটা সুশৃঙ্খল কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা শুধু আর্থিক পুনরুদ্ধার নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষমতার পুনর্গঠন। তবে এই ধারা ধরে রাখা যাবে কি না, তা নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারকদের দৃঢ়তা ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর।
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৭ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত...
০৫ আগস্ট ২০২৫বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত...
০৫ আগস্ট ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
২ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত...
০৫ আগস্ট ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
দীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত...
০৫ আগস্ট ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগে