ভোগ্যপণ্যের ভারতীয় বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকোর বাংলাদেশে ৭ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি আউটলেট রয়েছে। ম্যারিকো বাংলাদেশে মূলত প্যারাসুট এবং সাফোলা ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্যের জন্য সুপরিচিত। কোম্পানিটির আন্তর্জাতিক রাজস্বের ৪৪ শতাংশই আসে বাংলাদেশ থেকে। অবশ্য গত জুলাই–সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে তাদের কার্যক্রমে। এতে রাজস্বও কিছুটা কমেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যারিকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৌগত গুপ্ত জানান, ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে ম্যারিকোর আন্তর্জাতিক রাজস্বে বাংলাদেশের অংশ ছিল ৪৪ শতাংশ। সেটি কমে বর্তমানে ৪০ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে।
ম্যারিকোর মোট রাজস্বের প্রায় ২৭ শতাংশ আসে আন্তর্জাতিক ব্যবসা থেকে। এই রাজস্বের বড় অংশ আসে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে। যেখানে ম্যারিকোর মোট বাজারমূল্য ৯১২ কোটি ডলার।
সৌগত গুপ্ত বলেন, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র ও পূর্ব আফ্রিকায় ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ইন্দোনেশিয়ার বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা করছেন। অন্যান্য অঞ্চলে ব্যবসা বাড়তে থাকলে আন্তর্জাতিক রাজস্বে বাংলাদেশের অবদানের হার আরও কমতে পারে।
এই পরিস্থিতির কারণ হিসেবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেকটা দায়ী বলে মনে করছেন ম্যারিকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ার প্রভাব পড়ছে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা খাতে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এই পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে। এই অবস্থার উন্নতি হতে অন্তত ছয় মাস লাগবে।
ভারতে খাদ্যপণ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি, যা মোট ভোগের প্রায় অর্ধেকজুড়ে রয়েছে, গত অক্টোবরে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে পৌঁছায়। এ ছাড়া খুচরা বাজারে মূল্যস্ফীতি একই মাসে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। মূলত সবজির দামে উল্লম্ফনের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে আগামী মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ম্যারিকোর সৌগত গুপ্তা বলেন, শহরের ভোক্তার চাহিদা পুনরুদ্ধার হতে কয়েকটি প্রান্তিক লাগবে। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি যথেষ্ট সহনীয় পর্যায়ে এলে, শহুরে ভোক্তার চাহিদা পুনরুদ্ধার হবে। যখনই খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়, তখন এর প্রভাব নিত্যপণ্যের ওপরও পড়ে...ভোক্তারা তখন সাশ্রয়ী পণ্য কেনেন বা ব্যবহার কমিয়ে দেন।
ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যা দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যয় কমিয়ে দিচ্ছে। এটি দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্বকে প্রভাবিত করছে।
সৌগত গুপ্তা বলেন, এই মূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা দেশটিতে এই ব্র্যান্ডের এখন পর্যন্ত সেরা প্রবৃদ্ধি। পাশাপাশি ভারতের শীর্ষ সাতটি শহরে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি একই সময়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
ভোগ্যপণ্যের ভারতীয় বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকোর বাংলাদেশে ৭ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি আউটলেট রয়েছে। ম্যারিকো বাংলাদেশে মূলত প্যারাসুট এবং সাফোলা ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্যের জন্য সুপরিচিত। কোম্পানিটির আন্তর্জাতিক রাজস্বের ৪৪ শতাংশই আসে বাংলাদেশ থেকে। অবশ্য গত জুলাই–সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে তাদের কার্যক্রমে। এতে রাজস্বও কিছুটা কমেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যারিকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৌগত গুপ্ত জানান, ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে ম্যারিকোর আন্তর্জাতিক রাজস্বে বাংলাদেশের অংশ ছিল ৪৪ শতাংশ। সেটি কমে বর্তমানে ৪০ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে।
ম্যারিকোর মোট রাজস্বের প্রায় ২৭ শতাংশ আসে আন্তর্জাতিক ব্যবসা থেকে। এই রাজস্বের বড় অংশ আসে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে। যেখানে ম্যারিকোর মোট বাজারমূল্য ৯১২ কোটি ডলার।
সৌগত গুপ্ত বলেন, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র ও পূর্ব আফ্রিকায় ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ইন্দোনেশিয়ার বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা করছেন। অন্যান্য অঞ্চলে ব্যবসা বাড়তে থাকলে আন্তর্জাতিক রাজস্বে বাংলাদেশের অবদানের হার আরও কমতে পারে।
এই পরিস্থিতির কারণ হিসেবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেকটা দায়ী বলে মনে করছেন ম্যারিকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ার প্রভাব পড়ছে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা খাতে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এই পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে। এই অবস্থার উন্নতি হতে অন্তত ছয় মাস লাগবে।
ভারতে খাদ্যপণ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি, যা মোট ভোগের প্রায় অর্ধেকজুড়ে রয়েছে, গত অক্টোবরে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে পৌঁছায়। এ ছাড়া খুচরা বাজারে মূল্যস্ফীতি একই মাসে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। মূলত সবজির দামে উল্লম্ফনের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে আগামী মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ম্যারিকোর সৌগত গুপ্তা বলেন, শহরের ভোক্তার চাহিদা পুনরুদ্ধার হতে কয়েকটি প্রান্তিক লাগবে। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি যথেষ্ট সহনীয় পর্যায়ে এলে, শহুরে ভোক্তার চাহিদা পুনরুদ্ধার হবে। যখনই খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়, তখন এর প্রভাব নিত্যপণ্যের ওপরও পড়ে...ভোক্তারা তখন সাশ্রয়ী পণ্য কেনেন বা ব্যবহার কমিয়ে দেন।
ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যা দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যয় কমিয়ে দিচ্ছে। এটি দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্বকে প্রভাবিত করছে।
সৌগত গুপ্তা বলেন, এই মূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা দেশটিতে এই ব্র্যান্ডের এখন পর্যন্ত সেরা প্রবৃদ্ধি। পাশাপাশি ভারতের শীর্ষ সাতটি শহরে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি একই সময়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
১২ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
১৩ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
১ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
১ দিন আগে