সৌদি আরামকো
এএফপি, রিয়াদ
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে টানা দশমবারের মতো মুনাফা কমার ঘোষণা দিয়েছে। তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় কোম্পানিটির রাজস্বে ধস নেমেছে, যা সৌদি অর্থনীতির জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের লাভ ২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫ বিলিয়ন রিয়ালে (২২.৬৭ বিলিয়ন ডলার)। ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে এই হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। তেলের দাম এবং পরিশোধিত ও রাসায়নিক পণ্যের দাম কমে যাওয়া রাজস্ব হ্রাসের প্রধান কারণ।
এই অবস্থায় সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যয়বহুল ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্প বাস্তবায়নে এগোচ্ছে, যার লক্ষ্য তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পর্যটন, ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। প্রকল্পের অধীনে বিলাসবহুল রিসোর্ট, বিশাল বিনোদন কমপ্লেক্স এবং মরুভূমিতে নির্মাণাধীন ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ভবিষ্যৎ নগর নিওম অন্তর্ভুক্ত।
গতকাল আরামকোর শেয়ারের দাম ছিল ২৩.৯৭ রিয়াল, যা গত বছরের দ্বিতীয়বার শেয়ার ছাড়ার সময়কার ২৭.৩৫ রিয়ালের চেয়ে ১২ শতাংশ কম। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার সময় আরামকোর বাজারমূল্য ছিল প্রায় ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে কোম্পানিটি ইতিমধ্যে ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হারিয়েছে।
তেলের দাম বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের আশপাশে রয়েছে, যদিও মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং জুনে সংঘটিত ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের মতো ঘটনাগুলোর পর দাম বাড়েনি।
আরামকোর প্রেসিডেন্ট ও সিইও আমিন এইচ নাসের আশা প্রকাশ করেছেন, বছরের বাকি অংশে চাহিদা বাড়বে। তিনি বলেন, ‘বাজারের ভিত্তি এখনো দৃঢ় এবং আমরা আশা করছি, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে তেলের চাহিদা প্রথমার্ধের তুলনায় দৈনিক দুই মিলিয়ন ব্যারেলের বেশি হবে।’
গত রোববার সৌদি আরব, রাশিয়া এবং আরও ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ওপেক+ সদস্যদেশ দৈনিক ৫.৪৭ লাখ ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এটি ২২ লাখ ব্যারেল উৎপাদন হ্রাসের পরিকল্পনা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার অংশ।
গত মাসে সৌদি আরবভিত্তিক জাদওয়া ইনভেস্টমেন্ট পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সালে দেশের বাজেট ঘাটতি বাড়তে পারে জিডিপির ৪ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত। গত বছর বাজেটের ৬২ শতাংশ এসেছিল তেল থেকে।
আরামকোর এই লাভ হ্রাস বিশ্লেষকদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না। আবুধাবিভিত্তিক বিশ্লেষক ইব্রাহিম আবদুল মোহসেন বলেন, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ওপেক+ নীতির পরিবর্তন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে তেলের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা বেশি ছিল।
ইব্রাহিম আবদুল মোহসেন আশ্বস্ত করেন, সৌদি আরবের রিজার্ভ শক্তিশালী। স্বল্প মেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের সক্ষমতা রয়েছে।
সরকারের মালিকানাধীন আরামকো ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইপিও করে ১ দশমিক ৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ২৯.৪ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে। ২০২৪ সালের জুনে আরেক দফায় শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে আরও ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে। এ ছাড়া ১৬ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে (পিআইএফ), যা সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর প্রধান অর্থায়নকারী।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে টানা দশমবারের মতো মুনাফা কমার ঘোষণা দিয়েছে। তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় কোম্পানিটির রাজস্বে ধস নেমেছে, যা সৌদি অর্থনীতির জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের লাভ ২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫ বিলিয়ন রিয়ালে (২২.৬৭ বিলিয়ন ডলার)। ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে এই হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। তেলের দাম এবং পরিশোধিত ও রাসায়নিক পণ্যের দাম কমে যাওয়া রাজস্ব হ্রাসের প্রধান কারণ।
এই অবস্থায় সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যয়বহুল ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্প বাস্তবায়নে এগোচ্ছে, যার লক্ষ্য তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পর্যটন, ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। প্রকল্পের অধীনে বিলাসবহুল রিসোর্ট, বিশাল বিনোদন কমপ্লেক্স এবং মরুভূমিতে নির্মাণাধীন ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ভবিষ্যৎ নগর নিওম অন্তর্ভুক্ত।
গতকাল আরামকোর শেয়ারের দাম ছিল ২৩.৯৭ রিয়াল, যা গত বছরের দ্বিতীয়বার শেয়ার ছাড়ার সময়কার ২৭.৩৫ রিয়ালের চেয়ে ১২ শতাংশ কম। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার সময় আরামকোর বাজারমূল্য ছিল প্রায় ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে কোম্পানিটি ইতিমধ্যে ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হারিয়েছে।
তেলের দাম বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের আশপাশে রয়েছে, যদিও মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং জুনে সংঘটিত ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের মতো ঘটনাগুলোর পর দাম বাড়েনি।
আরামকোর প্রেসিডেন্ট ও সিইও আমিন এইচ নাসের আশা প্রকাশ করেছেন, বছরের বাকি অংশে চাহিদা বাড়বে। তিনি বলেন, ‘বাজারের ভিত্তি এখনো দৃঢ় এবং আমরা আশা করছি, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে তেলের চাহিদা প্রথমার্ধের তুলনায় দৈনিক দুই মিলিয়ন ব্যারেলের বেশি হবে।’
গত রোববার সৌদি আরব, রাশিয়া এবং আরও ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ওপেক+ সদস্যদেশ দৈনিক ৫.৪৭ লাখ ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এটি ২২ লাখ ব্যারেল উৎপাদন হ্রাসের পরিকল্পনা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার অংশ।
গত মাসে সৌদি আরবভিত্তিক জাদওয়া ইনভেস্টমেন্ট পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সালে দেশের বাজেট ঘাটতি বাড়তে পারে জিডিপির ৪ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত। গত বছর বাজেটের ৬২ শতাংশ এসেছিল তেল থেকে।
আরামকোর এই লাভ হ্রাস বিশ্লেষকদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না। আবুধাবিভিত্তিক বিশ্লেষক ইব্রাহিম আবদুল মোহসেন বলেন, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ওপেক+ নীতির পরিবর্তন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে তেলের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা বেশি ছিল।
ইব্রাহিম আবদুল মোহসেন আশ্বস্ত করেন, সৌদি আরবের রিজার্ভ শক্তিশালী। স্বল্প মেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের সক্ষমতা রয়েছে।
সরকারের মালিকানাধীন আরামকো ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইপিও করে ১ দশমিক ৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ২৯.৪ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে। ২০২৪ সালের জুনে আরেক দফায় শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে আরও ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে। এ ছাড়া ১৬ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে (পিআইএফ), যা সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর প্রধান অর্থায়নকারী।
ঘামে ভেজা হাতে ঘ্রাণের বিপ্লব শুরু হয়েছে পাহাড়ে। একসময়ের জুমচাষ সেখানে এখন ইতিহাস। সেই জায়গা দখল নিচ্ছে এলাচি, দারুচিনি, আদা, গোলমরিচের মতো দামি মসলা। বাড়ছে জমি, বাড়ছে ফলন, বাড়ছে লাভও। নারীরাও নেমে এসেছেন মাঠে, গড়ে উঠছে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। একদিন যা ছিল শুধু খাদ্য, এখন তা হয়ে উঠছে...
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল সরবরাহ শুরু হওয়ার ফলে দেশের জ্বালানি খাতে এক নতুন পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। কয়েকটি ট্রায়াল অপারেশনের সফল বাস্তবায়নের পর এ পর্যন্ত পাইপলাইনে সাড়ে চার কোটি লিটার জ্বালানি তেল ঢাকায় পৌঁছেছে, আর ঘণ্টায় ২৮০ টন ডিজেল সরাসরি স্থানান্তরিত হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেচলতি আগস্ট মাস থেকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। গতকাল সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ কর বছরের জন্য অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিনেই অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলে ব্যাপক সাড়া মিলেছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ এক দশক ধরে চলা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার পর দেশের অর্থনীতিতে ঘটেছে নাটকীয় এক পালাবদল। একসময় যেখানে রপ্তানির চেয়ে বহুগুণে বাড়তি আমদানি, বৈধ রেমিট্যান্সের জায়গা দখল করে নিচ্ছিল হুন্ডি, আর মুদ্রার প্রবাহ ছিনিয়ে নিচ্ছিল ইনভয়েসিং কারচুপি; সেই জটিল বাস্তবতায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত...
১ দিন আগে