
বুলেটের মুখে দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল বাংলাদেশের তরুণ ছাত্র-জনতা। কোটা সংস্কার আন্দোলন একসময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। মূলত বৈষম্য, বেকারত্ব দূর করে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়েছে। কিন্তু বিপ্লবের ছয় মাস পর অনেকেই বলছেন, চাকরি খোঁজা ব্যারিকেড সামলানোর চেয়ে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিজওয়ান চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল, এই আন্দোলন যুবকদের জন্য অফুরান সুযোগ এনে দেবে। কিন্তু নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখতে পাননি। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘সরকার এখনো কোনো ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেয়নি।’ শেখ হাসিনাকে তাড়াতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার সক্রিয় অংশীদার ছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী। তাঁর মতো তরুণদের আন্দোলনের ফলেই শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যান।
বেকারত্ব ছিল গত বছরের আন্দোলনের অন্যতম মূল কারণ। কিন্তু বিপ্লবের পর এই সংকট আরও প্রকট হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে চাকরিপ্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে। এই সংখ্যা আগের বছরের ২৪ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৬ শতাংশ বেশি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সেপ্টেম্বরে সতর্ক করে বলেছিল, ‘অর্থনৈতিক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর হয়েছে, তবে মূল্যস্ফীতি এখনো দুই অঙ্কের ঘরে।’ কর রাজস্ব কমার পাশাপাশি ব্যয় বাড়ার চাপও বেড়েছে।
শেখ হাসিনার পতনের পর যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, তা অনেকের কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। রিজওয়ান চৌধুরী বলেন, ড. ইউনূস ছাত্রনেতাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিলেও তাদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি প্রশাসনে থাকলেও আমাদের কণ্ঠ শুনছে কি না, সন্দেহ আছে।’
সাহিত্যের ছাত্র শুক্কুর আলী (৩১) নিজের অসুস্থ ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে সাহায্য করতে খণ্ডকালীন কাজ করে কোনো রকমে দিন পার করছেন। তিনি বলেন, ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমন পরিস্থিতিতে যা পাই তাই করি।’ তিনি জানান, পত্রিকার পাতায় চাকরির বিজ্ঞাপন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
সুক্কুর বলেন, ‘আগে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করতাম, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। এখন যেকোনো কাজই চলবে। শুধু একটা চাকরি চাই।’
ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শ্রমশক্তি পর্যাপ্ত কাজ না পেয়ে যেকোনো কাজ করে খরচ চালানোর চেষ্টা করছে।’
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনীতি নাটকীয়ভাবে এগিয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে মূলত তৈরি পোশাকশিল্পের কারণে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ডের পোশাক উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু পোশাক কারখানার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের জন্য চাকরির সংখ্যা খুবই কম।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে শিক্ষিত বেকারের হার ৮৭ শতাংশ। সরকার দাবি করছে, তারা সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ব্যাপক কর আদায়ের মাধ্যমে সরকার জনখাতে বিনিয়োগ করে ‘বেশ কিছু’ চাকরি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ‘কর সংগ্রহ বাড়ানো আমাদের অগ্রাধিকার। কারণ, আগের সরকার একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি রেখে গেছে।’
তবে ৮৪ বছর বয়সী ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ ড. ইউনূস বলছেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের ‘অত্যন্ত কঠিন’ চ্যালেঞ্জ তাঁকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে সংবিধান ও জনপ্রশাসন পুনর্গঠন উল্লেখযোগ্য, যাতে স্বৈরাচার আর ফিরতে না পারে।
এ বিষয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে যে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি পেয়েছে, তা সামাল দিতেই ব্যস্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুবকদের সহায়তায় কেবল বিচ্ছিন্ন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি ট্রাফিক পুলিশের কাজে ছাত্রদের খণ্ডকালীন নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন পূর্ণ গতিতে কাজ করছে না। আমি তাদের ১০০-এর মধ্যে ৫০ নম্বর দেব।’
বাংলাদেশের বর্তমান চাকরির বাজারে তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশাল কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এ বিষয়ে জনপ্রিয় অনলাইন চাকরির সন্ধানদাতা সাইট বিডিজবসের প্রধান এ কে এম ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘সরকারি খাতে বছরে ২০ থেকে ২৫ হাজার স্নাতক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব, অথচ প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ স্নাতক পাশ করে বের হয়।’
বেসরকারি খাত ৮৫ শতাংশ চাকরি দিলেও সেখানেও আশার আলো কম। এ বিষয়ে ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে সরকারি ও বেসরকারি খাতে নিয়োগ ধীর হয়ে গেছে।’
বিক্ষোভ বিনিয়োগকারীদেরও ভয় পাইয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৭৭ মিলিয়ন ডলার। আগের বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে শেখ হাসিনার আমলে একই সময়ে ৬১৪ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় যা এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি কম।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেছেন, সরকারকে যুবকদের সহায়তায় কর্মসূচি নিতে হবে, যার মধ্যে ‘যুবকদের ব্যবসা শুরুর জন্য ঋণ প্রকল্প’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
তবে কারও কারও জন্য চাকরি-বাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সব প্রচেষ্টা এরই মধ্যে ব্যর্থ হয়েছে, অনেক দেরি হয়ে গেছে। যেমন—৩১ বছর বয়সী সুবীর রায় একটি সরকারি চাকরির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, কিন্তু অজানা কারণে তা বাতিল হয়। তিনি বলেন, ‘বাবা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য জমি বিক্রি করেছিলেন...এখন আমি খালি হাতে বাড়ি ফিরছি। আমি বাবার সঙ্গে ধানখেতে কাজ করব।’

বুলেটের মুখে দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল বাংলাদেশের তরুণ ছাত্র-জনতা। কোটা সংস্কার আন্দোলন একসময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। মূলত বৈষম্য, বেকারত্ব দূর করে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়েছে। কিন্তু বিপ্লবের ছয় মাস পর অনেকেই বলছেন, চাকরি খোঁজা ব্যারিকেড সামলানোর চেয়ে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিজওয়ান চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল, এই আন্দোলন যুবকদের জন্য অফুরান সুযোগ এনে দেবে। কিন্তু নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখতে পাননি। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘সরকার এখনো কোনো ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেয়নি।’ শেখ হাসিনাকে তাড়াতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার সক্রিয় অংশীদার ছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী। তাঁর মতো তরুণদের আন্দোলনের ফলেই শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যান।
বেকারত্ব ছিল গত বছরের আন্দোলনের অন্যতম মূল কারণ। কিন্তু বিপ্লবের পর এই সংকট আরও প্রকট হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে চাকরিপ্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে। এই সংখ্যা আগের বছরের ২৪ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৬ শতাংশ বেশি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সেপ্টেম্বরে সতর্ক করে বলেছিল, ‘অর্থনৈতিক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর হয়েছে, তবে মূল্যস্ফীতি এখনো দুই অঙ্কের ঘরে।’ কর রাজস্ব কমার পাশাপাশি ব্যয় বাড়ার চাপও বেড়েছে।
শেখ হাসিনার পতনের পর যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, তা অনেকের কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। রিজওয়ান চৌধুরী বলেন, ড. ইউনূস ছাত্রনেতাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিলেও তাদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি প্রশাসনে থাকলেও আমাদের কণ্ঠ শুনছে কি না, সন্দেহ আছে।’
সাহিত্যের ছাত্র শুক্কুর আলী (৩১) নিজের অসুস্থ ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে সাহায্য করতে খণ্ডকালীন কাজ করে কোনো রকমে দিন পার করছেন। তিনি বলেন, ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমন পরিস্থিতিতে যা পাই তাই করি।’ তিনি জানান, পত্রিকার পাতায় চাকরির বিজ্ঞাপন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
সুক্কুর বলেন, ‘আগে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করতাম, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। এখন যেকোনো কাজই চলবে। শুধু একটা চাকরি চাই।’
ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শ্রমশক্তি পর্যাপ্ত কাজ না পেয়ে যেকোনো কাজ করে খরচ চালানোর চেষ্টা করছে।’
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনীতি নাটকীয়ভাবে এগিয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে মূলত তৈরি পোশাকশিল্পের কারণে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ডের পোশাক উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু পোশাক কারখানার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের জন্য চাকরির সংখ্যা খুবই কম।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে শিক্ষিত বেকারের হার ৮৭ শতাংশ। সরকার দাবি করছে, তারা সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ব্যাপক কর আদায়ের মাধ্যমে সরকার জনখাতে বিনিয়োগ করে ‘বেশ কিছু’ চাকরি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ‘কর সংগ্রহ বাড়ানো আমাদের অগ্রাধিকার। কারণ, আগের সরকার একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি রেখে গেছে।’
তবে ৮৪ বছর বয়সী ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ ড. ইউনূস বলছেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের ‘অত্যন্ত কঠিন’ চ্যালেঞ্জ তাঁকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে সংবিধান ও জনপ্রশাসন পুনর্গঠন উল্লেখযোগ্য, যাতে স্বৈরাচার আর ফিরতে না পারে।
এ বিষয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে যে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি পেয়েছে, তা সামাল দিতেই ব্যস্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুবকদের সহায়তায় কেবল বিচ্ছিন্ন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি ট্রাফিক পুলিশের কাজে ছাত্রদের খণ্ডকালীন নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন পূর্ণ গতিতে কাজ করছে না। আমি তাদের ১০০-এর মধ্যে ৫০ নম্বর দেব।’
বাংলাদেশের বর্তমান চাকরির বাজারে তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশাল কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এ বিষয়ে জনপ্রিয় অনলাইন চাকরির সন্ধানদাতা সাইট বিডিজবসের প্রধান এ কে এম ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘সরকারি খাতে বছরে ২০ থেকে ২৫ হাজার স্নাতক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব, অথচ প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ স্নাতক পাশ করে বের হয়।’
বেসরকারি খাত ৮৫ শতাংশ চাকরি দিলেও সেখানেও আশার আলো কম। এ বিষয়ে ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে সরকারি ও বেসরকারি খাতে নিয়োগ ধীর হয়ে গেছে।’
বিক্ষোভ বিনিয়োগকারীদেরও ভয় পাইয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৭৭ মিলিয়ন ডলার। আগের বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে শেখ হাসিনার আমলে একই সময়ে ৬১৪ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় যা এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি কম।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেছেন, সরকারকে যুবকদের সহায়তায় কর্মসূচি নিতে হবে, যার মধ্যে ‘যুবকদের ব্যবসা শুরুর জন্য ঋণ প্রকল্প’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
তবে কারও কারও জন্য চাকরি-বাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সব প্রচেষ্টা এরই মধ্যে ব্যর্থ হয়েছে, অনেক দেরি হয়ে গেছে। যেমন—৩১ বছর বয়সী সুবীর রায় একটি সরকারি চাকরির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, কিন্তু অজানা কারণে তা বাতিল হয়। তিনি বলেন, ‘বাবা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য জমি বিক্রি করেছিলেন...এখন আমি খালি হাতে বাড়ি ফিরছি। আমি বাবার সঙ্গে ধানখেতে কাজ করব।’

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

শেখ হাসিনার পতনের পর যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, তা অনেকের কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। রিজওয়ান চৌধুরী বলেন, ড. ইউনূস ছাত্রনেতাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিলেও তাদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি প্রশাসনে থাকলেও আমাদের কণ্ঠ শুনছে কি না...
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার পতনের পর যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, তা অনেকের কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। রিজওয়ান চৌধুরী বলেন, ড. ইউনূস ছাত্রনেতাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিলেও তাদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি প্রশাসনে থাকলেও আমাদের কণ্ঠ শুনছে কি না...
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

শেখ হাসিনার পতনের পর যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, তা অনেকের কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। রিজওয়ান চৌধুরী বলেন, ড. ইউনূস ছাত্রনেতাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিলেও তাদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি প্রশাসনে থাকলেও আমাদের কণ্ঠ শুনছে কি না...
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

শেখ হাসিনার পতনের পর যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, তা অনেকের কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। রিজওয়ান চৌধুরী বলেন, ড. ইউনূস ছাত্রনেতাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিলেও তাদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি প্রশাসনে থাকলেও আমাদের কণ্ঠ শুনছে কি না...
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে