র্যাপিডের আলোচনায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা। র্যাপিড আয়োজিত এক আলোচনায় উঠে এসেছে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, বিনিয়োগ কমে যাওয়ার শঙ্কা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সরকার হলো সবার সমর্থন ও নৈতিকতা ভিত্তির সরকার। কাজেই বাজেটে যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, এটা যে থাকবে এমন তো কোনো কথা নেই। এই সুযোগ খুব একটা কাজে আসে না। পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে সম্পদ কিনে কেউ যদি এক কোটিও দেখাতে না পারে, তাহলে এটা (কালোটাকা সাদা করার সুযোগ) থাকার তো কোনো দরকার নেই। এতই যখন আলোচনা হয়েছে, তা তুলে দেওয়া হোক। অসুবিধা কী। কালোটাকা তুলে দেওয়া হবে অথবা অপ্রদর্শিত হিসেবে সর্বোচ্চ করের ওপর শাস্তি হিসেবে আরও ৫ শতাংশ করারোপ করা যেতে পারে।’
বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়তে পারে বলে জানান ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটি প্রস্তুতিহীন পরিকল্পনা। তাঁরা এর জন্য প্রস্তুত নন। এই উত্তরণ মান-সম্মানের ইস্যু নয়, বরং বাস্তবতা। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘এটি একটি প্রস্তুতি পরিকল্পনা। আমরা কোনোমতেই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নই।’
এ সময় র্যাপিডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষায় বেশি বিনিয়োগ হলে সেখানেই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যৎ কৌশলে সেটাই ভাবতে হবে।
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) বা অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা আগামী আগস্টের মধ্যেই শেষ হবে। এরপর দ্রুত চুক্তি সই হতে পারে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা ধরে রাখতে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে সচিব বলেন, এতে বাংলাদেশের লাভ হবে না। কারণ, চীন থেকে পণ্য আমদানিতে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক আদায় হয়। চীনের তুলনায় কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি বেশি লাভজনক হবে।
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যে পারস্পরিক শুল্ক আলোচনা চলছিল, সেটিকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এলডিসি উত্তরণ ২০২১ সালে হয়ে গেছে। এখন আমরা একধরনের গ্রেস পিরিয়ডে আছি। নতুন করে আরও সময় চাওয়া এখন “আবদার” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
প্রথম আলো অনলাইনের প্রধান শওকত হোসেন মাসুম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য কোনো অনুকূল পরিবেশের ইঙ্গিত নেই।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, স্থানীয় টেক্সটাইল ব্যবহারে প্রণোদনা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগ কমেছে। গ্যাস-সংকট পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা। র্যাপিড আয়োজিত এক আলোচনায় উঠে এসেছে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, বিনিয়োগ কমে যাওয়ার শঙ্কা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সরকার হলো সবার সমর্থন ও নৈতিকতা ভিত্তির সরকার। কাজেই বাজেটে যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, এটা যে থাকবে এমন তো কোনো কথা নেই। এই সুযোগ খুব একটা কাজে আসে না। পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে সম্পদ কিনে কেউ যদি এক কোটিও দেখাতে না পারে, তাহলে এটা (কালোটাকা সাদা করার সুযোগ) থাকার তো কোনো দরকার নেই। এতই যখন আলোচনা হয়েছে, তা তুলে দেওয়া হোক। অসুবিধা কী। কালোটাকা তুলে দেওয়া হবে অথবা অপ্রদর্শিত হিসেবে সর্বোচ্চ করের ওপর শাস্তি হিসেবে আরও ৫ শতাংশ করারোপ করা যেতে পারে।’
বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়তে পারে বলে জানান ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটি প্রস্তুতিহীন পরিকল্পনা। তাঁরা এর জন্য প্রস্তুত নন। এই উত্তরণ মান-সম্মানের ইস্যু নয়, বরং বাস্তবতা। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘এটি একটি প্রস্তুতি পরিকল্পনা। আমরা কোনোমতেই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নই।’
এ সময় র্যাপিডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষায় বেশি বিনিয়োগ হলে সেখানেই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যৎ কৌশলে সেটাই ভাবতে হবে।
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) বা অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা আগামী আগস্টের মধ্যেই শেষ হবে। এরপর দ্রুত চুক্তি সই হতে পারে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা ধরে রাখতে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে সচিব বলেন, এতে বাংলাদেশের লাভ হবে না। কারণ, চীন থেকে পণ্য আমদানিতে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক আদায় হয়। চীনের তুলনায় কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি বেশি লাভজনক হবে।
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যে পারস্পরিক শুল্ক আলোচনা চলছিল, সেটিকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এলডিসি উত্তরণ ২০২১ সালে হয়ে গেছে। এখন আমরা একধরনের গ্রেস পিরিয়ডে আছি। নতুন করে আরও সময় চাওয়া এখন “আবদার” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
প্রথম আলো অনলাইনের প্রধান শওকত হোসেন মাসুম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য কোনো অনুকূল পরিবেশের ইঙ্গিত নেই।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, স্থানীয় টেক্সটাইল ব্যবহারে প্রণোদনা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগ কমেছে। গ্যাস-সংকট পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১৩ মিনিট আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
৮ ঘণ্টা আগেচতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১ দিন আগে