ষষ্ঠ একনেক সভা আজ
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার গ্যাস সরবরাহ এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি খাতের উন্নয়নে আরও ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের ষষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যার অধিকাংশ খরচ বহন করবে সরকার, এমনটি একনেক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রের মতে, এবারের একনেক সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে, যার মধ্যে ছয়টি নতুন ও চারটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের পাঁচটি; কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের তিনটি; শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি এবং আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের একটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। একনেক সভায় উত্থাপন হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এসব প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন আজকের পত্রিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন হতে পারে। এ ছাড়াও কয়েকটি প্রকল্প প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হবে।
নতুন ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৩৭ কোটি টাকা, পুরো অর্থায়ন করবে সরকার এবং মেয়াদ ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া গ্যাস-সংকট নিরসনে ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯ নম্বর কূপ খনন প্রকল্পের ব্যয় ৬৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৪১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সরকারি ও ২৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।
কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদন জোরদারকরণ প্রকল্পে মোট ব্যয় ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সরকারি ও ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪-এর নভেম্বর থেকে ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে সরকারি ১৩৮ কোটি ১৭ লাখ ও নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে।
মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে এবং মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ইজিআইএমএসএস প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধনে মোট ব্যয় হবে ৯৩২ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যার মধ্যে সরকারের অংশ ৫৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ও কোরিয়ান ঋণ ৩৭৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মূল অর্থায়ন ছিল ৩৭০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ থাকবে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
খানপুর অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ও বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের সময় দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে। মেয়াদ হবে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে অনুমোদিত ব্যয় ৩৯২ কোটি থেকে বেড়ে ৬১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ৮ জানুয়ারি একনেক সভায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও অন্যান্য বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে কনটেইনার ও বাল্ক পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্প ঢাকার বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে এ অঞ্চলের শিল্পোন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় এবং মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা সংশোধিত হয়ে ২ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেপালের লুমবিনি কনভারশন এরিয়ায় বাংলাদেশ বৌদ্ধমন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্পটি ২০২৮-এর জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার গ্যাস সরবরাহ এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি খাতের উন্নয়নে আরও ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের ষষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যার অধিকাংশ খরচ বহন করবে সরকার, এমনটি একনেক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রের মতে, এবারের একনেক সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে, যার মধ্যে ছয়টি নতুন ও চারটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের পাঁচটি; কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের তিনটি; শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি এবং আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের একটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। একনেক সভায় উত্থাপন হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এসব প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন আজকের পত্রিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন হতে পারে। এ ছাড়াও কয়েকটি প্রকল্প প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হবে।
নতুন ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৩৭ কোটি টাকা, পুরো অর্থায়ন করবে সরকার এবং মেয়াদ ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া গ্যাস-সংকট নিরসনে ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯ নম্বর কূপ খনন প্রকল্পের ব্যয় ৬৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৪১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সরকারি ও ২৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।
কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদন জোরদারকরণ প্রকল্পে মোট ব্যয় ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সরকারি ও ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪-এর নভেম্বর থেকে ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে সরকারি ১৩৮ কোটি ১৭ লাখ ও নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে।
মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে এবং মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ইজিআইএমএসএস প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধনে মোট ব্যয় হবে ৯৩২ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যার মধ্যে সরকারের অংশ ৫৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ও কোরিয়ান ঋণ ৩৭৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মূল অর্থায়ন ছিল ৩৭০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ থাকবে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
খানপুর অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ও বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের সময় দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে। মেয়াদ হবে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে অনুমোদিত ব্যয় ৩৯২ কোটি থেকে বেড়ে ৬১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ৮ জানুয়ারি একনেক সভায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও অন্যান্য বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে কনটেইনার ও বাল্ক পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্প ঢাকার বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে এ অঞ্চলের শিল্পোন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় এবং মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা সংশোধিত হয়ে ২ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেপালের লুমবিনি কনভারশন এরিয়ায় বাংলাদেশ বৌদ্ধমন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্পটি ২০২৮-এর জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে।
ষষ্ঠ একনেক সভা আজ
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার গ্যাস সরবরাহ এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি খাতের উন্নয়নে আরও ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের ষষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যার অধিকাংশ খরচ বহন করবে সরকার, এমনটি একনেক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রের মতে, এবারের একনেক সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে, যার মধ্যে ছয়টি নতুন ও চারটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের পাঁচটি; কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের তিনটি; শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি এবং আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের একটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। একনেক সভায় উত্থাপন হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এসব প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন আজকের পত্রিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন হতে পারে। এ ছাড়াও কয়েকটি প্রকল্প প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হবে।
নতুন ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৩৭ কোটি টাকা, পুরো অর্থায়ন করবে সরকার এবং মেয়াদ ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া গ্যাস-সংকট নিরসনে ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯ নম্বর কূপ খনন প্রকল্পের ব্যয় ৬৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৪১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সরকারি ও ২৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।
কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদন জোরদারকরণ প্রকল্পে মোট ব্যয় ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সরকারি ও ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪-এর নভেম্বর থেকে ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে সরকারি ১৩৮ কোটি ১৭ লাখ ও নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে।
মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে এবং মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ইজিআইএমএসএস প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধনে মোট ব্যয় হবে ৯৩২ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যার মধ্যে সরকারের অংশ ৫৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ও কোরিয়ান ঋণ ৩৭৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মূল অর্থায়ন ছিল ৩৭০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ থাকবে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
খানপুর অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ও বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের সময় দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে। মেয়াদ হবে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে অনুমোদিত ব্যয় ৩৯২ কোটি থেকে বেড়ে ৬১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ৮ জানুয়ারি একনেক সভায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও অন্যান্য বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে কনটেইনার ও বাল্ক পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্প ঢাকার বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে এ অঞ্চলের শিল্পোন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় এবং মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা সংশোধিত হয়ে ২ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেপালের লুমবিনি কনভারশন এরিয়ায় বাংলাদেশ বৌদ্ধমন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্পটি ২০২৮-এর জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার গ্যাস সরবরাহ এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি খাতের উন্নয়নে আরও ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের ষষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যার অধিকাংশ খরচ বহন করবে সরকার, এমনটি একনেক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রের মতে, এবারের একনেক সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে, যার মধ্যে ছয়টি নতুন ও চারটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের পাঁচটি; কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের তিনটি; শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি এবং আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের একটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। একনেক সভায় উত্থাপন হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এসব প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন আজকের পত্রিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন হতে পারে। এ ছাড়াও কয়েকটি প্রকল্প প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হবে।
নতুন ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৩৭ কোটি টাকা, পুরো অর্থায়ন করবে সরকার এবং মেয়াদ ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া গ্যাস-সংকট নিরসনে ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯ নম্বর কূপ খনন প্রকল্পের ব্যয় ৬৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৪১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সরকারি ও ২৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।
কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদন জোরদারকরণ প্রকল্পে মোট ব্যয় ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সরকারি ও ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪-এর নভেম্বর থেকে ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে সরকারি ১৩৮ কোটি ১৭ লাখ ও নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে।
মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে এবং মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ইজিআইএমএসএস প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধনে মোট ব্যয় হবে ৯৩২ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যার মধ্যে সরকারের অংশ ৫৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ও কোরিয়ান ঋণ ৩৭৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মূল অর্থায়ন ছিল ৩৭০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ থাকবে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
খানপুর অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ও বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের সময় দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে। মেয়াদ হবে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে অনুমোদিত ব্যয় ৩৯২ কোটি থেকে বেড়ে ৬১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ৮ জানুয়ারি একনেক সভায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও অন্যান্য বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে কনটেইনার ও বাল্ক পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্প ঢাকার বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে এ অঞ্চলের শিল্পোন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় এবং মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা সংশোধিত হয়ে ২ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেপালের লুমবিনি কনভারশন এরিয়ায় বাংলাদেশ বৌদ্ধমন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্পটি ২০২৮-এর জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে।
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৯ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৯ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার গ্যাস সরবরাহ এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি খাতের উন্নয়নে আরও ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের ষষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৯ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার গ্যাস সরবরাহ এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি খাতের উন্নয়নে আরও ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের ষষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
৪ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৯ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার গ্যাস সরবরাহ এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি খাতের উন্নয়নে আরও ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের ষষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার গ্যাস সরবরাহ এবং রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প ও কৃষি খাতের উন্নয়নে আরও ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের ষষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
৯ ঘণ্টা আগে