জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ভেজাল ও অনুমোদনহীন প্রসাধনপণ্যের আমদানি এখন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণ করার অনৈতিক প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়েছে। এতে একদিকে আন্ডার ইনভয়েস এবং ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রবণতা কমেছে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে আগের তুলনায় অননুমোদিত প্রসাধনী আমদানিও অনেকাংশে রোধ করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং টিমের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে শুধু অননুমোদিত প্রসাধনী আমদানি বন্ধ হওয়ায় গত দুই বছরে চার বিলিয়ন ডলারের সাশ্রয় হয়েছে।
যদিও দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় হচ্ছে প্রসাধনীর বাজার। গবেষণা তথ্য বলছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর এটি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তে থাকবে। যার বেশির ভাগ আবার আমদানি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রসাধনীর উপকরণও আসছে বিদেশ থেকে। তবে যেভাবে প্রসাধনপণ্যের আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, এত দিন সেগুলোর প্রকৃত আমদানি মূল্য এবং গুণগত মান সেভাবে যাচাই হতো না। অবৈধ চ্যানেলে কী পরিমাণ অনুমোদনহীন এবং ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে, তার খোঁজও কারও কাছে ছিল না। এতে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি ইচ্ছেমতো প্রসাধনীর লেবেলে দাম বসিয়ে দেদার পকেট কাটারও সুযোগ পেয়েছে আমদানিকারকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে লুৎফুল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নকল, ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বক ও শরীরের নানা অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি কিডনি বিকল এবং ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তায় প্রসাধনীর উৎপাদন, বিপণন, সংরক্ষণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি নিয়মিত তদারকি জরুরি।
বিদ্যমান বাস্তবতায় কীভাবে অনুমোদনহীন ভেজাল প্রসাধনপণ্যের আমদানি কমানো সম্ভব হলো, জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে যখন ডলারের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। দাম বাড়তে থাকে লাগামহীন। তখন ডলার সাশ্রয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যমান ও দর যাচাই, ভেজাল পণ্য আমদানি প্রতিহত এবং বিলাসবহুল পণ্যের ঋণপত্রে (এলসি) কড়াকড়ি শর্তারোপ করা হয়। বিশেষ করে পণ্য আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার, প্রসাধনীসহ ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্যের আমদানি খরচ কমাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এতে চার বিলিয়ন ডলারের ভেজাল প্রসাধনীর এলসি বিল ঠেকানো গেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে কালার কসমেটিকসের চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার কোটি এবং স্কিন কেয়ার পণ্যের চাহিদা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার। দুই ধরনের পণ্যের সম্মিলিত চাহিদা বা প্রসাধনী খাতের বাজার প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা; যা মার্কিন ডলার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন। তবে কালোবাজারের সব প্রসাধনপণ্যের হিসাব আসে না বলে খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি।
প্রসাধনী আমদানিকারক সমিতির তথ্য বলছে, বিশ্ববাজারে প্রসাধনসামগ্রীর বাজার রয়েছে ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে হালাল প্রসাধনী ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের। দেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রসাধনী আমদানি হয়। কালোবাজারে আসে ২৪ হাজার কোটি টাকার।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাজারে বিদেশি একটি লিপস্টিক ২০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। অথচ আমদানির সময় আন্ডার ইনভয়েসিং করে একই পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু দেখানো হয় মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন বাজার মনিটরিং সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮৫ টাকার ডলার বর্তমানে ১২০ টাকায় উঠেছে। খোলাবাজারের ১৩১ টাকার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালের ৪৮ বিলিয়নের রিজার্ভ এখন ২৩ বিলিয়নে এসেছে। যদিও সেটি এখন ২৫ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করছে। মূলত ব্যবসার আড়ালে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সময় ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ে দামের হেরফেরের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের ডলার পাচারে রিজার্ভে পতন ঘটতে থাকে; যা প্রতিরোধে ২০২২ সালে অনলাইনে আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং টিম গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেই ঠেকানো হয় ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্য। এর মাধ্যমে এলসিতে খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণও বন্ধ হয়। ফলে প্রায় আড়াই বছরে প্রসাধনসামগ্রীর বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য নির্ধারিত এইচ এস কোড বহির্ভূত ৩৫টি কোডের অপব্যবহারে মিথ্যা ঘোষণা রোধ করা হয়। এতে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার ভেজাল ও অপ্রচলিত প্রসাধনী আমদানি বিল পরিশোধ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং-সংক্রান্ত কমিটি।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দাবি, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থ পাচারের সিংহভাগ হয় বাণিজ্যিকভিত্তিক লেনদেনের আড়ালে। এমনকি ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থ পাচার করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ এলসির মাধ্যমে দেশে ৯৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়। কিন্তু অনলাইনে পণ্যের মানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যাচাইয়ের ফলে পরে দুই অর্থবছরে আমদানি প্রায় ২৪ বিলিয়ন কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ বিলিয়নের ঘরে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের লুবানা এম্পোরিয়ামের আমদানিকারক তাজুল ইসলাম বলেন, যথাযথ মনিটরিং না হওয়ায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভেজাল ও অননুমোদিত প্রসাধনপণ্য আমদানি করা হচ্ছে। ইচ্ছেমতো দাম লিখে লেবেল লাগানো হচ্ছে। এসব বন্ধ হলে ডলার সাশ্রয় হবে।

ভেজাল ও অনুমোদনহীন প্রসাধনপণ্যের আমদানি এখন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণ করার অনৈতিক প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়েছে। এতে একদিকে আন্ডার ইনভয়েস এবং ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রবণতা কমেছে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে আগের তুলনায় অননুমোদিত প্রসাধনী আমদানিও অনেকাংশে রোধ করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং টিমের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে শুধু অননুমোদিত প্রসাধনী আমদানি বন্ধ হওয়ায় গত দুই বছরে চার বিলিয়ন ডলারের সাশ্রয় হয়েছে।
যদিও দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় হচ্ছে প্রসাধনীর বাজার। গবেষণা তথ্য বলছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর এটি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তে থাকবে। যার বেশির ভাগ আবার আমদানি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রসাধনীর উপকরণও আসছে বিদেশ থেকে। তবে যেভাবে প্রসাধনপণ্যের আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, এত দিন সেগুলোর প্রকৃত আমদানি মূল্য এবং গুণগত মান সেভাবে যাচাই হতো না। অবৈধ চ্যানেলে কী পরিমাণ অনুমোদনহীন এবং ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে, তার খোঁজও কারও কাছে ছিল না। এতে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি ইচ্ছেমতো প্রসাধনীর লেবেলে দাম বসিয়ে দেদার পকেট কাটারও সুযোগ পেয়েছে আমদানিকারকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে লুৎফুল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নকল, ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বক ও শরীরের নানা অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি কিডনি বিকল এবং ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তায় প্রসাধনীর উৎপাদন, বিপণন, সংরক্ষণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি নিয়মিত তদারকি জরুরি।
বিদ্যমান বাস্তবতায় কীভাবে অনুমোদনহীন ভেজাল প্রসাধনপণ্যের আমদানি কমানো সম্ভব হলো, জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে যখন ডলারের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। দাম বাড়তে থাকে লাগামহীন। তখন ডলার সাশ্রয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যমান ও দর যাচাই, ভেজাল পণ্য আমদানি প্রতিহত এবং বিলাসবহুল পণ্যের ঋণপত্রে (এলসি) কড়াকড়ি শর্তারোপ করা হয়। বিশেষ করে পণ্য আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার, প্রসাধনীসহ ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্যের আমদানি খরচ কমাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এতে চার বিলিয়ন ডলারের ভেজাল প্রসাধনীর এলসি বিল ঠেকানো গেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে কালার কসমেটিকসের চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার কোটি এবং স্কিন কেয়ার পণ্যের চাহিদা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার। দুই ধরনের পণ্যের সম্মিলিত চাহিদা বা প্রসাধনী খাতের বাজার প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা; যা মার্কিন ডলার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন। তবে কালোবাজারের সব প্রসাধনপণ্যের হিসাব আসে না বলে খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি।
প্রসাধনী আমদানিকারক সমিতির তথ্য বলছে, বিশ্ববাজারে প্রসাধনসামগ্রীর বাজার রয়েছে ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে হালাল প্রসাধনী ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের। দেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রসাধনী আমদানি হয়। কালোবাজারে আসে ২৪ হাজার কোটি টাকার।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাজারে বিদেশি একটি লিপস্টিক ২০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। অথচ আমদানির সময় আন্ডার ইনভয়েসিং করে একই পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু দেখানো হয় মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন বাজার মনিটরিং সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮৫ টাকার ডলার বর্তমানে ১২০ টাকায় উঠেছে। খোলাবাজারের ১৩১ টাকার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালের ৪৮ বিলিয়নের রিজার্ভ এখন ২৩ বিলিয়নে এসেছে। যদিও সেটি এখন ২৫ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করছে। মূলত ব্যবসার আড়ালে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সময় ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ে দামের হেরফেরের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের ডলার পাচারে রিজার্ভে পতন ঘটতে থাকে; যা প্রতিরোধে ২০২২ সালে অনলাইনে আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং টিম গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেই ঠেকানো হয় ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্য। এর মাধ্যমে এলসিতে খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণও বন্ধ হয়। ফলে প্রায় আড়াই বছরে প্রসাধনসামগ্রীর বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য নির্ধারিত এইচ এস কোড বহির্ভূত ৩৫টি কোডের অপব্যবহারে মিথ্যা ঘোষণা রোধ করা হয়। এতে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার ভেজাল ও অপ্রচলিত প্রসাধনী আমদানি বিল পরিশোধ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং-সংক্রান্ত কমিটি।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দাবি, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থ পাচারের সিংহভাগ হয় বাণিজ্যিকভিত্তিক লেনদেনের আড়ালে। এমনকি ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থ পাচার করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ এলসির মাধ্যমে দেশে ৯৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়। কিন্তু অনলাইনে পণ্যের মানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যাচাইয়ের ফলে পরে দুই অর্থবছরে আমদানি প্রায় ২৪ বিলিয়ন কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ বিলিয়নের ঘরে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের লুবানা এম্পোরিয়ামের আমদানিকারক তাজুল ইসলাম বলেন, যথাযথ মনিটরিং না হওয়ায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভেজাল ও অননুমোদিত প্রসাধনপণ্য আমদানি করা হচ্ছে। ইচ্ছেমতো দাম লিখে লেবেল লাগানো হচ্ছে। এসব বন্ধ হলে ডলার সাশ্রয় হবে।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ভেজাল ও অনুমোদনহীন প্রসাধনপণ্যের আমদানি এখন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণ করার অনৈতিক প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়েছে। এতে একদিকে আন্ডার ইনভয়েস এবং ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রবণতা কমেছে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে আগের তুলনায় অননুমোদিত প্রসাধনী আমদানিও অনেকাংশে রোধ করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং টিমের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে শুধু অননুমোদিত প্রসাধনী আমদানি বন্ধ হওয়ায় গত দুই বছরে চার বিলিয়ন ডলারের সাশ্রয় হয়েছে।
যদিও দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় হচ্ছে প্রসাধনীর বাজার। গবেষণা তথ্য বলছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর এটি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তে থাকবে। যার বেশির ভাগ আবার আমদানি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রসাধনীর উপকরণও আসছে বিদেশ থেকে। তবে যেভাবে প্রসাধনপণ্যের আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, এত দিন সেগুলোর প্রকৃত আমদানি মূল্য এবং গুণগত মান সেভাবে যাচাই হতো না। অবৈধ চ্যানেলে কী পরিমাণ অনুমোদনহীন এবং ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে, তার খোঁজও কারও কাছে ছিল না। এতে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি ইচ্ছেমতো প্রসাধনীর লেবেলে দাম বসিয়ে দেদার পকেট কাটারও সুযোগ পেয়েছে আমদানিকারকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে লুৎফুল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নকল, ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বক ও শরীরের নানা অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি কিডনি বিকল এবং ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তায় প্রসাধনীর উৎপাদন, বিপণন, সংরক্ষণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি নিয়মিত তদারকি জরুরি।
বিদ্যমান বাস্তবতায় কীভাবে অনুমোদনহীন ভেজাল প্রসাধনপণ্যের আমদানি কমানো সম্ভব হলো, জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে যখন ডলারের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। দাম বাড়তে থাকে লাগামহীন। তখন ডলার সাশ্রয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যমান ও দর যাচাই, ভেজাল পণ্য আমদানি প্রতিহত এবং বিলাসবহুল পণ্যের ঋণপত্রে (এলসি) কড়াকড়ি শর্তারোপ করা হয়। বিশেষ করে পণ্য আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার, প্রসাধনীসহ ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্যের আমদানি খরচ কমাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এতে চার বিলিয়ন ডলারের ভেজাল প্রসাধনীর এলসি বিল ঠেকানো গেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে কালার কসমেটিকসের চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার কোটি এবং স্কিন কেয়ার পণ্যের চাহিদা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার। দুই ধরনের পণ্যের সম্মিলিত চাহিদা বা প্রসাধনী খাতের বাজার প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা; যা মার্কিন ডলার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন। তবে কালোবাজারের সব প্রসাধনপণ্যের হিসাব আসে না বলে খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি।
প্রসাধনী আমদানিকারক সমিতির তথ্য বলছে, বিশ্ববাজারে প্রসাধনসামগ্রীর বাজার রয়েছে ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে হালাল প্রসাধনী ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের। দেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রসাধনী আমদানি হয়। কালোবাজারে আসে ২৪ হাজার কোটি টাকার।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাজারে বিদেশি একটি লিপস্টিক ২০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। অথচ আমদানির সময় আন্ডার ইনভয়েসিং করে একই পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু দেখানো হয় মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন বাজার মনিটরিং সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮৫ টাকার ডলার বর্তমানে ১২০ টাকায় উঠেছে। খোলাবাজারের ১৩১ টাকার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালের ৪৮ বিলিয়নের রিজার্ভ এখন ২৩ বিলিয়নে এসেছে। যদিও সেটি এখন ২৫ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করছে। মূলত ব্যবসার আড়ালে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সময় ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ে দামের হেরফেরের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের ডলার পাচারে রিজার্ভে পতন ঘটতে থাকে; যা প্রতিরোধে ২০২২ সালে অনলাইনে আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং টিম গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেই ঠেকানো হয় ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্য। এর মাধ্যমে এলসিতে খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণও বন্ধ হয়। ফলে প্রায় আড়াই বছরে প্রসাধনসামগ্রীর বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য নির্ধারিত এইচ এস কোড বহির্ভূত ৩৫টি কোডের অপব্যবহারে মিথ্যা ঘোষণা রোধ করা হয়। এতে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার ভেজাল ও অপ্রচলিত প্রসাধনী আমদানি বিল পরিশোধ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং-সংক্রান্ত কমিটি।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দাবি, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থ পাচারের সিংহভাগ হয় বাণিজ্যিকভিত্তিক লেনদেনের আড়ালে। এমনকি ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থ পাচার করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ এলসির মাধ্যমে দেশে ৯৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়। কিন্তু অনলাইনে পণ্যের মানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যাচাইয়ের ফলে পরে দুই অর্থবছরে আমদানি প্রায় ২৪ বিলিয়ন কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ বিলিয়নের ঘরে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের লুবানা এম্পোরিয়ামের আমদানিকারক তাজুল ইসলাম বলেন, যথাযথ মনিটরিং না হওয়ায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভেজাল ও অননুমোদিত প্রসাধনপণ্য আমদানি করা হচ্ছে। ইচ্ছেমতো দাম লিখে লেবেল লাগানো হচ্ছে। এসব বন্ধ হলে ডলার সাশ্রয় হবে।

ভেজাল ও অনুমোদনহীন প্রসাধনপণ্যের আমদানি এখন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণ করার অনৈতিক প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়েছে। এতে একদিকে আন্ডার ইনভয়েস এবং ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রবণতা কমেছে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে আগের তুলনায় অননুমোদিত প্রসাধনী আমদানিও অনেকাংশে রোধ করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং টিমের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে শুধু অননুমোদিত প্রসাধনী আমদানি বন্ধ হওয়ায় গত দুই বছরে চার বিলিয়ন ডলারের সাশ্রয় হয়েছে।
যদিও দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় হচ্ছে প্রসাধনীর বাজার। গবেষণা তথ্য বলছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর এটি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তে থাকবে। যার বেশির ভাগ আবার আমদানি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রসাধনীর উপকরণও আসছে বিদেশ থেকে। তবে যেভাবে প্রসাধনপণ্যের আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, এত দিন সেগুলোর প্রকৃত আমদানি মূল্য এবং গুণগত মান সেভাবে যাচাই হতো না। অবৈধ চ্যানেলে কী পরিমাণ অনুমোদনহীন এবং ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে, তার খোঁজও কারও কাছে ছিল না। এতে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি ইচ্ছেমতো প্রসাধনীর লেবেলে দাম বসিয়ে দেদার পকেট কাটারও সুযোগ পেয়েছে আমদানিকারকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে লুৎফুল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নকল, ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বক ও শরীরের নানা অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি কিডনি বিকল এবং ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তায় প্রসাধনীর উৎপাদন, বিপণন, সংরক্ষণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি নিয়মিত তদারকি জরুরি।
বিদ্যমান বাস্তবতায় কীভাবে অনুমোদনহীন ভেজাল প্রসাধনপণ্যের আমদানি কমানো সম্ভব হলো, জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে যখন ডলারের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। দাম বাড়তে থাকে লাগামহীন। তখন ডলার সাশ্রয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যমান ও দর যাচাই, ভেজাল পণ্য আমদানি প্রতিহত এবং বিলাসবহুল পণ্যের ঋণপত্রে (এলসি) কড়াকড়ি শর্তারোপ করা হয়। বিশেষ করে পণ্য আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার, প্রসাধনীসহ ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্যের আমদানি খরচ কমাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এতে চার বিলিয়ন ডলারের ভেজাল প্রসাধনীর এলসি বিল ঠেকানো গেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে কালার কসমেটিকসের চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার কোটি এবং স্কিন কেয়ার পণ্যের চাহিদা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার। দুই ধরনের পণ্যের সম্মিলিত চাহিদা বা প্রসাধনী খাতের বাজার প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা; যা মার্কিন ডলার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন। তবে কালোবাজারের সব প্রসাধনপণ্যের হিসাব আসে না বলে খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি।
প্রসাধনী আমদানিকারক সমিতির তথ্য বলছে, বিশ্ববাজারে প্রসাধনসামগ্রীর বাজার রয়েছে ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে হালাল প্রসাধনী ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের। দেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রসাধনী আমদানি হয়। কালোবাজারে আসে ২৪ হাজার কোটি টাকার।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাজারে বিদেশি একটি লিপস্টিক ২০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। অথচ আমদানির সময় আন্ডার ইনভয়েসিং করে একই পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু দেখানো হয় মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন বাজার মনিটরিং সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮৫ টাকার ডলার বর্তমানে ১২০ টাকায় উঠেছে। খোলাবাজারের ১৩১ টাকার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালের ৪৮ বিলিয়নের রিজার্ভ এখন ২৩ বিলিয়নে এসেছে। যদিও সেটি এখন ২৫ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করছে। মূলত ব্যবসার আড়ালে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সময় ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ে দামের হেরফেরের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের ডলার পাচারে রিজার্ভে পতন ঘটতে থাকে; যা প্রতিরোধে ২০২২ সালে অনলাইনে আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং টিম গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেই ঠেকানো হয় ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্য। এর মাধ্যমে এলসিতে খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণও বন্ধ হয়। ফলে প্রায় আড়াই বছরে প্রসাধনসামগ্রীর বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য নির্ধারিত এইচ এস কোড বহির্ভূত ৩৫টি কোডের অপব্যবহারে মিথ্যা ঘোষণা রোধ করা হয়। এতে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার ভেজাল ও অপ্রচলিত প্রসাধনী আমদানি বিল পরিশোধ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং-সংক্রান্ত কমিটি।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দাবি, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থ পাচারের সিংহভাগ হয় বাণিজ্যিকভিত্তিক লেনদেনের আড়ালে। এমনকি ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থ পাচার করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ এলসির মাধ্যমে দেশে ৯৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়। কিন্তু অনলাইনে পণ্যের মানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যাচাইয়ের ফলে পরে দুই অর্থবছরে আমদানি প্রায় ২৪ বিলিয়ন কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ বিলিয়নের ঘরে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের লুবানা এম্পোরিয়ামের আমদানিকারক তাজুল ইসলাম বলেন, যথাযথ মনিটরিং না হওয়ায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভেজাল ও অননুমোদিত প্রসাধনপণ্য আমদানি করা হচ্ছে। ইচ্ছেমতো দাম লিখে লেবেল লাগানো হচ্ছে। এসব বন্ধ হলে ডলার সাশ্রয় হবে।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

ভেজাল ও অনুমোদনহীন প্রসাধনপণ্যের আমদানি এখন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণ করার অনৈতিক প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ভেজাল ও অনুমোদনহীন প্রসাধনপণ্যের আমদানি এখন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণ করার অনৈতিক প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

ভেজাল ও অনুমোদনহীন প্রসাধনপণ্যের আমদানি এখন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণ করার অনৈতিক প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভেজাল ও অনুমোদনহীন প্রসাধনপণ্যের আমদানি এখন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) খেয়ালখুশিমতো মূল্য নির্ধারণ করার অনৈতিক প্রতিযোগিতাও বন্ধ হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে