
২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পের জন্য ভয়াবহ সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছিল। ওই ঘটনার পর প্রাইমার্ক, বেনেটনসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর টনক নড়ে উঠে। ভবিষ্যত বিপর্যয় এড়াতে ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগী হয়। সরকার, শিল্প উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে গত একযুগে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা মান ব্যাপক উন্নত হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার দেড় দশকের স্বৈরশাসনের পতনের পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে দেশ। ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার বাসনায় অভ্যুত্থান ঠেকাতে জুলাই-আগস্টে সরকার যে দমন-পীড়ন চালিয়েছে তার মধ্যে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এসব ঘটনায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ, যেগুলো অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
এমন এক পরিস্থিতিতে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশের প্রভূত উন্নতি হলেও শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোতে আধুনিক দাসত্ব এবং শিশু নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে এই যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক এই গবেষণা প্রতিবেদনে। পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অনেকাংশেই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোই দায়ী।
নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন ও গুডওয়েভ ইন্টারন্যাশনালের যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পোশাক সরবরাহকারী হলেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ এবং শ্রমিক নিপীড়নের কারণে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক নজরদারির মুখে পড়ছে। বিশেষ করে শিশু শ্রম, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন, মজুরি বৈষম্য, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও শ্রমিক নির্যাতনের মতো বিষয়গুলো রপ্তানিকারকদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তবে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির মতো এবারো আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার মানোন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত বাস্তবতায় সেটা মোক্ষম সুযোগ হতে পারে।
২০২৩ সালের শুরু থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এই গবেষণা চালানো হয়। কারণ এই দুটি অঞ্চল বাংলাদেশের প্রধান পোশাক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বৈশ্বিক বাজার, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ পোশাক রপ্তানি করে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পোশাক শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বাস্তবতা তুলে ধরে। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মিলে মোট ১ হাজার ৯৭৪ জন পোশাক শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের পোশাক খাতে এখনও আধুনিক দাসত্ব ও শিশু শ্রমের মতো গুরুতর সমস্যাগুলো বিদ্যমান। এতে দেখা যায়, ৩২ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম টাকায় কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ শতাংশ শ্রমিকের আয় আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রপ্তানি সরবরাহ শৃঙ্খলে শিশু শ্রমের অস্তিত্ব রয়েছে। বিশেষ করে চুক্তিভিত্তিক কারখানাগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বেশ। গবেষণা প্রতিবেদনে শিশুশ্রমের যে পরিস্থিতি উঠে এসেছে তা আরও উদ্বেগজনক। গবেষণায় অংশ নেওয়া শতভাগ শিশু শ্রমিক অবৈধভাবে নিযুক্ত। তাদের বেশিরভাগকেই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রম আইন লঙ্ঘন করে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা শোষণ করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে সরকার পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা (প্রায় ১১৩ মার্কিন ডলার) নির্ধারণ করলেও গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ শ্রমিক মনে করেন, এই আয় দিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন। আর মাত্র ৯ শতাংশ শ্রমিক সঞ্চয় করতে সক্ষম।
অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও শ্রমিকদের ওপর উৎপাদনের চাপও বড় সমস্যা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ৩০ শতাংশ শ্রমিক দৈনিক ১০ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন, যা আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশি শ্রম আইনের সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং এই চিত্রকে ফোর্সড লেবার বা জোরপূর্ব শ্রমের লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারীদের আধিপত্য থাকলেও তাঁদের ক্ষেত্রেই বৈষম্য প্রকট। গবেষণা দেখা যায়, পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকরা গড়ে মাসে ২,০০০ টাকা (১৮ মার্কিন ডলার) কম মজুরি পান। এছাড়া ৬৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৯০ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী শ্রমিক নিপীড়ন ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।
সাবকন্ট্রাক্টে পরিচালিত কারখানাগুলোতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের হার বেশি, যা সরাসরি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও নৈতিক ব্যবসার মান ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম দামে পোশাক কেনার লক্ষ্য থাকায় এই প্রবণতা বেশি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশের এই শ্রম পরিস্থিতি বৈশ্বিক রিটেইলারদের কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের করপোরেট সাসটেইন্যাবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেকটিভ (সিএসডিডিডি), যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্সড লেবার ইমপোর্ট ব্যান ও যুক্তরাজ্যের মডার্ন স্ল্যাভারি অ্যাক্টের মতো নতুন আন্তর্জাতিক শ্রম আইনগুলো উৎপাদনের সকল পর্যায়ে কঠোর মানবাধিকার পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করছে। এতে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের উপর চাপ বাড়ছে।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংকট সমাধানের গবেষণা প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— সরবরাহ চেইনে স্বচ্ছতা বাড়াতে সরকার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে নিম্নস্তরের সরবরাহকারীদের কার্যক্রম কঠোর পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সরকারকে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। শিশুশ্রম প্রতিরোধে শিশুশ্রম আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং চুক্তিভিত্তিক কারখানাগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সমানাধিকার নিশ্চিত করা এবং নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কারখানার দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে রপ্তানিকারকরা যাতে চুক্তিবদ্ধ কারখানাগুলোর অবস্থা তদারকি করেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পের জন্য ভয়াবহ সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছিল। ওই ঘটনার পর প্রাইমার্ক, বেনেটনসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর টনক নড়ে উঠে। ভবিষ্যত বিপর্যয় এড়াতে ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগী হয়। সরকার, শিল্প উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে গত একযুগে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা মান ব্যাপক উন্নত হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার দেড় দশকের স্বৈরশাসনের পতনের পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে দেশ। ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার বাসনায় অভ্যুত্থান ঠেকাতে জুলাই-আগস্টে সরকার যে দমন-পীড়ন চালিয়েছে তার মধ্যে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এসব ঘটনায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ, যেগুলো অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
এমন এক পরিস্থিতিতে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশের প্রভূত উন্নতি হলেও শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোতে আধুনিক দাসত্ব এবং শিশু নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে এই যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক এই গবেষণা প্রতিবেদনে। পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অনেকাংশেই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোই দায়ী।
নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন ও গুডওয়েভ ইন্টারন্যাশনালের যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পোশাক সরবরাহকারী হলেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ এবং শ্রমিক নিপীড়নের কারণে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক নজরদারির মুখে পড়ছে। বিশেষ করে শিশু শ্রম, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন, মজুরি বৈষম্য, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও শ্রমিক নির্যাতনের মতো বিষয়গুলো রপ্তানিকারকদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তবে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির মতো এবারো আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার মানোন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত বাস্তবতায় সেটা মোক্ষম সুযোগ হতে পারে।
২০২৩ সালের শুরু থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এই গবেষণা চালানো হয়। কারণ এই দুটি অঞ্চল বাংলাদেশের প্রধান পোশাক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বৈশ্বিক বাজার, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ পোশাক রপ্তানি করে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পোশাক শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বাস্তবতা তুলে ধরে। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মিলে মোট ১ হাজার ৯৭৪ জন পোশাক শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের পোশাক খাতে এখনও আধুনিক দাসত্ব ও শিশু শ্রমের মতো গুরুতর সমস্যাগুলো বিদ্যমান। এতে দেখা যায়, ৩২ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম টাকায় কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ শতাংশ শ্রমিকের আয় আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রপ্তানি সরবরাহ শৃঙ্খলে শিশু শ্রমের অস্তিত্ব রয়েছে। বিশেষ করে চুক্তিভিত্তিক কারখানাগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বেশ। গবেষণা প্রতিবেদনে শিশুশ্রমের যে পরিস্থিতি উঠে এসেছে তা আরও উদ্বেগজনক। গবেষণায় অংশ নেওয়া শতভাগ শিশু শ্রমিক অবৈধভাবে নিযুক্ত। তাদের বেশিরভাগকেই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রম আইন লঙ্ঘন করে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা শোষণ করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে সরকার পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা (প্রায় ১১৩ মার্কিন ডলার) নির্ধারণ করলেও গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ শ্রমিক মনে করেন, এই আয় দিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন। আর মাত্র ৯ শতাংশ শ্রমিক সঞ্চয় করতে সক্ষম।
অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও শ্রমিকদের ওপর উৎপাদনের চাপও বড় সমস্যা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ৩০ শতাংশ শ্রমিক দৈনিক ১০ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন, যা আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশি শ্রম আইনের সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং এই চিত্রকে ফোর্সড লেবার বা জোরপূর্ব শ্রমের লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারীদের আধিপত্য থাকলেও তাঁদের ক্ষেত্রেই বৈষম্য প্রকট। গবেষণা দেখা যায়, পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকরা গড়ে মাসে ২,০০০ টাকা (১৮ মার্কিন ডলার) কম মজুরি পান। এছাড়া ৬৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৯০ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী শ্রমিক নিপীড়ন ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।
সাবকন্ট্রাক্টে পরিচালিত কারখানাগুলোতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের হার বেশি, যা সরাসরি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও নৈতিক ব্যবসার মান ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম দামে পোশাক কেনার লক্ষ্য থাকায় এই প্রবণতা বেশি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশের এই শ্রম পরিস্থিতি বৈশ্বিক রিটেইলারদের কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের করপোরেট সাসটেইন্যাবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেকটিভ (সিএসডিডিডি), যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্সড লেবার ইমপোর্ট ব্যান ও যুক্তরাজ্যের মডার্ন স্ল্যাভারি অ্যাক্টের মতো নতুন আন্তর্জাতিক শ্রম আইনগুলো উৎপাদনের সকল পর্যায়ে কঠোর মানবাধিকার পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করছে। এতে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের উপর চাপ বাড়ছে।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংকট সমাধানের গবেষণা প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— সরবরাহ চেইনে স্বচ্ছতা বাড়াতে সরকার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে নিম্নস্তরের সরবরাহকারীদের কার্যক্রম কঠোর পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সরকারকে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। শিশুশ্রম প্রতিরোধে শিশুশ্রম আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং চুক্তিভিত্তিক কারখানাগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সমানাধিকার নিশ্চিত করা এবং নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কারখানার দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে রপ্তানিকারকরা যাতে চুক্তিবদ্ধ কারখানাগুলোর অবস্থা তদারকি করেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পের জন্য ভয়াবহ সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছিল। ওই ঘটনার পর প্রাইমার্ক, বেনেটনসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর টনক নড়ে উঠে। ভবিষ্যত বিপর্যয় এড়াতে ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগী হয়। সরকার, শিল্প উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে গত একযুগে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা মান ব্যাপক উন্নত হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার দেড় দশকের স্বৈরশাসনের পতনের পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে দেশ। ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার বাসনায় অভ্যুত্থান ঠেকাতে জুলাই-আগস্টে সরকার যে দমন-পীড়ন চালিয়েছে তার মধ্যে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এসব ঘটনায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ, যেগুলো অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
এমন এক পরিস্থিতিতে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশের প্রভূত উন্নতি হলেও শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোতে আধুনিক দাসত্ব এবং শিশু নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে এই যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক এই গবেষণা প্রতিবেদনে। পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অনেকাংশেই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোই দায়ী।
নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন ও গুডওয়েভ ইন্টারন্যাশনালের যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পোশাক সরবরাহকারী হলেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ এবং শ্রমিক নিপীড়নের কারণে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক নজরদারির মুখে পড়ছে। বিশেষ করে শিশু শ্রম, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন, মজুরি বৈষম্য, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও শ্রমিক নির্যাতনের মতো বিষয়গুলো রপ্তানিকারকদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তবে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির মতো এবারো আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার মানোন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত বাস্তবতায় সেটা মোক্ষম সুযোগ হতে পারে।
২০২৩ সালের শুরু থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এই গবেষণা চালানো হয়। কারণ এই দুটি অঞ্চল বাংলাদেশের প্রধান পোশাক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বৈশ্বিক বাজার, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ পোশাক রপ্তানি করে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পোশাক শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বাস্তবতা তুলে ধরে। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মিলে মোট ১ হাজার ৯৭৪ জন পোশাক শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের পোশাক খাতে এখনও আধুনিক দাসত্ব ও শিশু শ্রমের মতো গুরুতর সমস্যাগুলো বিদ্যমান। এতে দেখা যায়, ৩২ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম টাকায় কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ শতাংশ শ্রমিকের আয় আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রপ্তানি সরবরাহ শৃঙ্খলে শিশু শ্রমের অস্তিত্ব রয়েছে। বিশেষ করে চুক্তিভিত্তিক কারখানাগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বেশ। গবেষণা প্রতিবেদনে শিশুশ্রমের যে পরিস্থিতি উঠে এসেছে তা আরও উদ্বেগজনক। গবেষণায় অংশ নেওয়া শতভাগ শিশু শ্রমিক অবৈধভাবে নিযুক্ত। তাদের বেশিরভাগকেই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রম আইন লঙ্ঘন করে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা শোষণ করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে সরকার পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা (প্রায় ১১৩ মার্কিন ডলার) নির্ধারণ করলেও গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ শ্রমিক মনে করেন, এই আয় দিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন। আর মাত্র ৯ শতাংশ শ্রমিক সঞ্চয় করতে সক্ষম।
অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও শ্রমিকদের ওপর উৎপাদনের চাপও বড় সমস্যা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ৩০ শতাংশ শ্রমিক দৈনিক ১০ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন, যা আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশি শ্রম আইনের সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং এই চিত্রকে ফোর্সড লেবার বা জোরপূর্ব শ্রমের লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারীদের আধিপত্য থাকলেও তাঁদের ক্ষেত্রেই বৈষম্য প্রকট। গবেষণা দেখা যায়, পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকরা গড়ে মাসে ২,০০০ টাকা (১৮ মার্কিন ডলার) কম মজুরি পান। এছাড়া ৬৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৯০ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী শ্রমিক নিপীড়ন ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।
সাবকন্ট্রাক্টে পরিচালিত কারখানাগুলোতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের হার বেশি, যা সরাসরি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও নৈতিক ব্যবসার মান ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম দামে পোশাক কেনার লক্ষ্য থাকায় এই প্রবণতা বেশি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশের এই শ্রম পরিস্থিতি বৈশ্বিক রিটেইলারদের কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের করপোরেট সাসটেইন্যাবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেকটিভ (সিএসডিডিডি), যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্সড লেবার ইমপোর্ট ব্যান ও যুক্তরাজ্যের মডার্ন স্ল্যাভারি অ্যাক্টের মতো নতুন আন্তর্জাতিক শ্রম আইনগুলো উৎপাদনের সকল পর্যায়ে কঠোর মানবাধিকার পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করছে। এতে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের উপর চাপ বাড়ছে।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংকট সমাধানের গবেষণা প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— সরবরাহ চেইনে স্বচ্ছতা বাড়াতে সরকার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে নিম্নস্তরের সরবরাহকারীদের কার্যক্রম কঠোর পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সরকারকে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। শিশুশ্রম প্রতিরোধে শিশুশ্রম আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং চুক্তিভিত্তিক কারখানাগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সমানাধিকার নিশ্চিত করা এবং নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কারখানার দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে রপ্তানিকারকরা যাতে চুক্তিবদ্ধ কারখানাগুলোর অবস্থা তদারকি করেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পের জন্য ভয়াবহ সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছিল। ওই ঘটনার পর প্রাইমার্ক, বেনেটনসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর টনক নড়ে উঠে। ভবিষ্যত বিপর্যয় এড়াতে ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগী হয়। সরকার, শিল্প উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে গত একযুগে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা মান ব্যাপক উন্নত হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার দেড় দশকের স্বৈরশাসনের পতনের পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে দেশ। ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার বাসনায় অভ্যুত্থান ঠেকাতে জুলাই-আগস্টে সরকার যে দমন-পীড়ন চালিয়েছে তার মধ্যে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এসব ঘটনায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ, যেগুলো অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
এমন এক পরিস্থিতিতে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশের প্রভূত উন্নতি হলেও শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোতে আধুনিক দাসত্ব এবং শিশু নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে এই যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক এই গবেষণা প্রতিবেদনে। পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অনেকাংশেই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোই দায়ী।
নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন ও গুডওয়েভ ইন্টারন্যাশনালের যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পোশাক সরবরাহকারী হলেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ এবং শ্রমিক নিপীড়নের কারণে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক নজরদারির মুখে পড়ছে। বিশেষ করে শিশু শ্রম, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন, মজুরি বৈষম্য, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও শ্রমিক নির্যাতনের মতো বিষয়গুলো রপ্তানিকারকদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তবে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির মতো এবারো আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার মানোন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত বাস্তবতায় সেটা মোক্ষম সুযোগ হতে পারে।
২০২৩ সালের শুরু থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এই গবেষণা চালানো হয়। কারণ এই দুটি অঞ্চল বাংলাদেশের প্রধান পোশাক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বৈশ্বিক বাজার, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ পোশাক রপ্তানি করে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পোশাক শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বাস্তবতা তুলে ধরে। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মিলে মোট ১ হাজার ৯৭৪ জন পোশাক শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের পোশাক খাতে এখনও আধুনিক দাসত্ব ও শিশু শ্রমের মতো গুরুতর সমস্যাগুলো বিদ্যমান। এতে দেখা যায়, ৩২ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম টাকায় কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ শতাংশ শ্রমিকের আয় আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রপ্তানি সরবরাহ শৃঙ্খলে শিশু শ্রমের অস্তিত্ব রয়েছে। বিশেষ করে চুক্তিভিত্তিক কারখানাগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বেশ। গবেষণা প্রতিবেদনে শিশুশ্রমের যে পরিস্থিতি উঠে এসেছে তা আরও উদ্বেগজনক। গবেষণায় অংশ নেওয়া শতভাগ শিশু শ্রমিক অবৈধভাবে নিযুক্ত। তাদের বেশিরভাগকেই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শ্রম আইন লঙ্ঘন করে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা শোষণ করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে সরকার পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা (প্রায় ১১৩ মার্কিন ডলার) নির্ধারণ করলেও গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ শ্রমিক মনে করেন, এই আয় দিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন। আর মাত্র ৯ শতাংশ শ্রমিক সঞ্চয় করতে সক্ষম।
অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও শ্রমিকদের ওপর উৎপাদনের চাপও বড় সমস্যা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ৩০ শতাংশ শ্রমিক দৈনিক ১০ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন, যা আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশি শ্রম আইনের সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং এই চিত্রকে ফোর্সড লেবার বা জোরপূর্ব শ্রমের লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারীদের আধিপত্য থাকলেও তাঁদের ক্ষেত্রেই বৈষম্য প্রকট। গবেষণা দেখা যায়, পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকরা গড়ে মাসে ২,০০০ টাকা (১৮ মার্কিন ডলার) কম মজুরি পান। এছাড়া ৬৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৯০ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী শ্রমিক নিপীড়ন ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।
সাবকন্ট্রাক্টে পরিচালিত কারখানাগুলোতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের হার বেশি, যা সরাসরি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও নৈতিক ব্যবসার মান ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম দামে পোশাক কেনার লক্ষ্য থাকায় এই প্রবণতা বেশি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশের এই শ্রম পরিস্থিতি বৈশ্বিক রিটেইলারদের কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের করপোরেট সাসটেইন্যাবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেকটিভ (সিএসডিডিডি), যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্সড লেবার ইমপোর্ট ব্যান ও যুক্তরাজ্যের মডার্ন স্ল্যাভারি অ্যাক্টের মতো নতুন আন্তর্জাতিক শ্রম আইনগুলো উৎপাদনের সকল পর্যায়ে কঠোর মানবাধিকার পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করছে। এতে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের উপর চাপ বাড়ছে।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংকট সমাধানের গবেষণা প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— সরবরাহ চেইনে স্বচ্ছতা বাড়াতে সরকার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে নিম্নস্তরের সরবরাহকারীদের কার্যক্রম কঠোর পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সরকারকে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। শিশুশ্রম প্রতিরোধে শিশুশ্রম আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং চুক্তিভিত্তিক কারখানাগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সমানাধিকার নিশ্চিত করা এবং নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কারখানার দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে রপ্তানিকারকরা যাতে চুক্তিবদ্ধ কারখানাগুলোর অবস্থা তদারকি করেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২১ ঘণ্টা আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২১ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।
অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।
সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।
অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।
সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

বাংলাদেশের পোশাক খাত শ্রম অধিকার লঙ্ঘন ও মানবাধিকার সংকটে রয়েছে বলে উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। আধুনিক দাসত্ব, শিশু শ্রম, ন্যায্য মজুরির অভাব, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা এবং নারী শ্রমিকদের প্রতি নিপীড়ন—এসব সমস্যার ফলে বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২১ ঘণ্টা আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২১ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন।
১ দিন আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’
একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’
আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’
বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’
একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’
আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’
বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

বাংলাদেশের পোশাক খাত শ্রম অধিকার লঙ্ঘন ও মানবাধিকার সংকটে রয়েছে বলে উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। আধুনিক দাসত্ব, শিশু শ্রম, ন্যায্য মজুরির অভাব, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা এবং নারী শ্রমিকদের প্রতি নিপীড়ন—এসব সমস্যার ফলে বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২১ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই দিনে খোলাবাজারে ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর ব্যাংক ও খোলাবাজারের ডলারের রেট কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি, কমিউনিটি ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংকের নগদ ডলার বিক্রিমূল্য ছিল ১২৪ টাকা। আর এবি ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংকের রেট যথাক্রমে ১২৩ টাকা ৯৫ পয়সা ও ১২৩ টাকা ৯০ পয়সা। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিক্রিমূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৯০ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বিক্রিমূল্য ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। একই সময়ে আন্তব্যাংক রেট ছিল ১২২ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সাময়িক হলেও হঠাৎ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কিছুটা মন্থর হয়ে গেছে অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে এলসি খোলার চাপ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের দরে। বিষয়টির প্রতি আমরা নজর রাখছি, জানান তিনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি তিন মাসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার কিনেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন,ডলারের দাম কিছুটা বেশি রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকই ইঙ্গিত দিয়েছে। এ ছাড়া আমদানির ও সরকারি পেমেন্ট বেড়ে যাওয়ায় দরও বেড়েছে।

রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই দিনে খোলাবাজারে ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর ব্যাংক ও খোলাবাজারের ডলারের রেট কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি, কমিউনিটি ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংকের নগদ ডলার বিক্রিমূল্য ছিল ১২৪ টাকা। আর এবি ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংকের রেট যথাক্রমে ১২৩ টাকা ৯৫ পয়সা ও ১২৩ টাকা ৯০ পয়সা। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিক্রিমূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৯০ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বিক্রিমূল্য ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। একই সময়ে আন্তব্যাংক রেট ছিল ১২২ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সাময়িক হলেও হঠাৎ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কিছুটা মন্থর হয়ে গেছে অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে এলসি খোলার চাপ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের দরে। বিষয়টির প্রতি আমরা নজর রাখছি, জানান তিনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি তিন মাসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার কিনেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন,ডলারের দাম কিছুটা বেশি রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকই ইঙ্গিত দিয়েছে। এ ছাড়া আমদানির ও সরকারি পেমেন্ট বেড়ে যাওয়ায় দরও বেড়েছে।

বাংলাদেশের পোশাক খাত শ্রম অধিকার লঙ্ঘন ও মানবাধিকার সংকটে রয়েছে বলে উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। আধুনিক দাসত্ব, শিশু শ্রম, ন্যায্য মজুরির অভাব, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা এবং নারী শ্রমিকদের প্রতি নিপীড়ন—এসব সমস্যার ফলে বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২১ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বিনা মূল্যে ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন। ২৩-৩১ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে।
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন। চেকআপ ছাড়াও এখানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনে পরবর্তী চিকিৎসাসংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণেরও সুযোগ থাকবে।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল ও রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন (Breast Self-Examination পদ্ধতিতে নিজেরাই শনাক্ত করতে পারবেন। সেটি করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসার চিকিৎসাযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য। তাই সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্র থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, কোনো প্রকার অবহেলা না করে বরং ব্রেস্ট ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে, লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীকে ডায়াগনসিসের আওতায় আনতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের মা-বোনেরা যদি সুস্থ থাকে, তবে আপনিও ভালো থাকবেন, আর সুস্থ সমাজ গঠনও সম্ভব হবে।’
হসপিটালের বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৪ হাজারের বেশি নারী ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে বেশির ভাগ রোগীই চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসা শুরু করেন। অথচ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চেকআপের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো ও জীবন বাঁচানো সম্ভব।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বরাবরই নারীদের সুস্থতার জন্য কাজ করে থাকে। রোগীরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় চেকআপ, ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। এ ছাড়া রোগীদের নিয়মিতভাবে চিকিৎসা-পরবর্তী মনিটরিং সেবাও এখানে দেওয়া হয়ে থাকে।
সমাজের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, একই সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠন করা।
ফ্রি ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে কিংবা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন ০৯৬১০-৮০০৪৪৪ হটলাইন নম্বরে।

ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বিনা মূল্যে ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন। ২৩-৩১ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে।
বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন। চেকআপ ছাড়াও এখানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনে পরবর্তী চিকিৎসাসংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণেরও সুযোগ থাকবে।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল ও রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন (Breast Self-Examination পদ্ধতিতে নিজেরাই শনাক্ত করতে পারবেন। সেটি করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসার চিকিৎসাযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য। তাই সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্র থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, কোনো প্রকার অবহেলা না করে বরং ব্রেস্ট ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে, লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীকে ডায়াগনসিসের আওতায় আনতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের মা-বোনেরা যদি সুস্থ থাকে, তবে আপনিও ভালো থাকবেন, আর সুস্থ সমাজ গঠনও সম্ভব হবে।’
হসপিটালের বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৪ হাজারের বেশি নারী ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে বেশির ভাগ রোগীই চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসা শুরু করেন। অথচ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চেকআপের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো ও জীবন বাঁচানো সম্ভব।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বরাবরই নারীদের সুস্থতার জন্য কাজ করে থাকে। রোগীরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় চেকআপ, ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। এ ছাড়া রোগীদের নিয়মিতভাবে চিকিৎসা-পরবর্তী মনিটরিং সেবাও এখানে দেওয়া হয়ে থাকে।
সমাজের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, একই সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠন করা।
ফ্রি ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে কিংবা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন ০৯৬১০-৮০০৪৪৪ হটলাইন নম্বরে।

বাংলাদেশের পোশাক খাত শ্রম অধিকার লঙ্ঘন ও মানবাধিকার সংকটে রয়েছে বলে উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। আধুনিক দাসত্ব, শিশু শ্রম, ন্যায্য মজুরির অভাব, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা এবং নারী শ্রমিকদের প্রতি নিপীড়ন—এসব সমস্যার ফলে বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২১ ঘণ্টা আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২১ ঘণ্টা আগে