আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
রাজস্ব ঘাটতির চাপ, বিদেশি ঋণদাতাদের শর্ত আর কর ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে একসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে করছাড়-সংক্রান্ত ১২টি সরকারি আদেশ (এসআরও), যেগুলো গত ১৬ বছরে বিভিন্ন সময় জারি করা হয়েছিল। কৃষি, খামার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জনহিতকর খাতে দেওয়া এসব ছাড়ের অনেক নিয়ে বিতর্ক ছিল—অনেকে বলেছিলেন, এগুলোর অপব্যবহার হচ্ছিল এবং একধরনের করফাঁকির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৃষি, প্রাণিসম্পদ, জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান এবং কিছু বিশেষায়িত খাতকে উৎসাহ দিতে ২০০৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এসব এসআরও জারি করা হয়েছিল। কারও ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কর-অব্যাহতি, কারও ক্ষেত্রে আয়ের ওপর কর হ্রাস বা নির্দিষ্ট সীমার নিচে করফাঁকি মওকুফ করা হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ছাড় ব্যবসায়িক সুবিধার বদলে কিছু গোষ্ঠীর অপচালনার হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। রাজস্ব হারাচ্ছিল সরকার; কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছিল না। এ কারণে আইএমএফএর ঋণের শর্ত পূরণের তাগিদে ধাপে ধাপে এসব আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা বাজেট বক্তব্যে উঠে এসেছে এবং অর্থবিলের মাধ্যমে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
বাতিল হওয়া আদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জনহিতকর প্রতিষ্ঠানে দানের বিপরীতে করমুক্ত সুবিধা, কৃষি, মৎস্য ও পোলট্রি খাতের আয়ে করছাড়, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর চূড়ান্ত কর নির্ধারণ, সম্পত্তি হস্তান্তরের মূলধনি আয় করমুক্ত ঘোষণা, আমদানি করা চাল ও ফলমূলের ওপর কর রেয়াত, এমনকি অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে বিশেষ কর সুবিধাও।
এসব আদেশের মাধ্যমে কর-অব্যাহতি পেত বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বগুড়ার রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল, মানিকগঞ্জের স্যালভেশন ফর দ্য ডিজার্ভিং হাসপাতাল, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন এবং গফুর মরিয়ম সাত্তার সাকেরা ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠান। বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল তাঁদের করমুক্ত দান গ্রহণের বৈধতা ও স্বচ্ছতা।
এ ছাড়া খোসা ছাড়ানো পোলট্রি ফিড, গবাদিপশু ও চিংড়ির পেলেটেড ফিড, স্থানীয় বীজ উৎপাদন, মৌমাছি ও রেশম গুটিপোকা খামার, ফুল চাষ, হ্যাচারি ও মাছ চাষের আয়—সবকিছুর ওপর করছাড় ছিল এসআরও-১৯৯,২৫৫ ও ১৫৭-এ। এগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
এসআরও-২৫৩ ও ২৮৬-এ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা, স্থায়ী আমানত এবং সম্পত্তি হস্তান্তরের আয়ের ওপর উৎসে কর চূড়ান্ত ধরা হতো—অতিরিক্ত কর দিতে হতো না। এগুলোর সুবিধা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
ফল আমদানিতে উৎসে কর ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল এসআরও-৮২-এর মাধ্যমে, তাও বাতিল। ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফলমূল বিলাসী নয়; বরং প্রয়োজনীয় খাদ্য। করছাড় না থাকলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে এ পণ্যগুলো।’
তবে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বের হতেই হবে। তবে দেশীয় শিল্প যেন হুমকিতে না পড়ে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষকে না ঘিরে ধরে—সে ভারসাম্য রক্ষা করাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ।’
বিশ্লেষকদের মতে, বাজেটে ঘোষিত এ সিদ্ধান্ত প্রমাণ করছে যে সরকার করনীতিকে সংস্কারের পথে নিতে চাইছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা করছাড় সংস্কৃতিকে এক ধাক্কায় তুলে দিলে কিছু খাতে তা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন খাতভিত্তিক পুনর্মূল্যায়ন এবং বিকল্প সহায়তা প্যাকেজ।
রাজস্ব ঘাটতির চাপ, বিদেশি ঋণদাতাদের শর্ত আর কর ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে একসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে করছাড়-সংক্রান্ত ১২টি সরকারি আদেশ (এসআরও), যেগুলো গত ১৬ বছরে বিভিন্ন সময় জারি করা হয়েছিল। কৃষি, খামার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জনহিতকর খাতে দেওয়া এসব ছাড়ের অনেক নিয়ে বিতর্ক ছিল—অনেকে বলেছিলেন, এগুলোর অপব্যবহার হচ্ছিল এবং একধরনের করফাঁকির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৃষি, প্রাণিসম্পদ, জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান এবং কিছু বিশেষায়িত খাতকে উৎসাহ দিতে ২০০৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এসব এসআরও জারি করা হয়েছিল। কারও ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কর-অব্যাহতি, কারও ক্ষেত্রে আয়ের ওপর কর হ্রাস বা নির্দিষ্ট সীমার নিচে করফাঁকি মওকুফ করা হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ছাড় ব্যবসায়িক সুবিধার বদলে কিছু গোষ্ঠীর অপচালনার হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। রাজস্ব হারাচ্ছিল সরকার; কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছিল না। এ কারণে আইএমএফএর ঋণের শর্ত পূরণের তাগিদে ধাপে ধাপে এসব আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা বাজেট বক্তব্যে উঠে এসেছে এবং অর্থবিলের মাধ্যমে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
বাতিল হওয়া আদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জনহিতকর প্রতিষ্ঠানে দানের বিপরীতে করমুক্ত সুবিধা, কৃষি, মৎস্য ও পোলট্রি খাতের আয়ে করছাড়, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর চূড়ান্ত কর নির্ধারণ, সম্পত্তি হস্তান্তরের মূলধনি আয় করমুক্ত ঘোষণা, আমদানি করা চাল ও ফলমূলের ওপর কর রেয়াত, এমনকি অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে বিশেষ কর সুবিধাও।
এসব আদেশের মাধ্যমে কর-অব্যাহতি পেত বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বগুড়ার রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল, মানিকগঞ্জের স্যালভেশন ফর দ্য ডিজার্ভিং হাসপাতাল, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন এবং গফুর মরিয়ম সাত্তার সাকেরা ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠান। বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল তাঁদের করমুক্ত দান গ্রহণের বৈধতা ও স্বচ্ছতা।
এ ছাড়া খোসা ছাড়ানো পোলট্রি ফিড, গবাদিপশু ও চিংড়ির পেলেটেড ফিড, স্থানীয় বীজ উৎপাদন, মৌমাছি ও রেশম গুটিপোকা খামার, ফুল চাষ, হ্যাচারি ও মাছ চাষের আয়—সবকিছুর ওপর করছাড় ছিল এসআরও-১৯৯,২৫৫ ও ১৫৭-এ। এগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
এসআরও-২৫৩ ও ২৮৬-এ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা, স্থায়ী আমানত এবং সম্পত্তি হস্তান্তরের আয়ের ওপর উৎসে কর চূড়ান্ত ধরা হতো—অতিরিক্ত কর দিতে হতো না। এগুলোর সুবিধা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
ফল আমদানিতে উৎসে কর ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল এসআরও-৮২-এর মাধ্যমে, তাও বাতিল। ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফলমূল বিলাসী নয়; বরং প্রয়োজনীয় খাদ্য। করছাড় না থাকলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে এ পণ্যগুলো।’
তবে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বের হতেই হবে। তবে দেশীয় শিল্প যেন হুমকিতে না পড়ে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষকে না ঘিরে ধরে—সে ভারসাম্য রক্ষা করাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ।’
বিশ্লেষকদের মতে, বাজেটে ঘোষিত এ সিদ্ধান্ত প্রমাণ করছে যে সরকার করনীতিকে সংস্কারের পথে নিতে চাইছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা করছাড় সংস্কৃতিকে এক ধাক্কায় তুলে দিলে কিছু খাতে তা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন খাতভিত্তিক পুনর্মূল্যায়ন এবং বিকল্প সহায়তা প্যাকেজ।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। সভাপতি বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বিষয়টি পেয়েছি। এরপরই আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য ইউএস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ইউএস কাস্টমস যাতে বিষয়টির বাস্তবায়ন করে, সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা
৩ মিনিট আগেবাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পাল্টা শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান হওয়ায় এটি ব্যবস্থাপনাযোগ্য বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এখন পাল্টা শুল্কের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে
১৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে
১ দিন আগে