কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক খাতের আওতায় আনতেই ২০১০ সালে চালু হয় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার এনএফএ হিসাব। এখানে নেই ন্যূনতম ব্যালান্স রাখার ঝামেলা, নেই বাড়তি সার্ভিস চার্জ। বরং সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের তুলনায় কিছুটা বেশি সুদ মেলে। ফলে চার্জমুক্ত সুবিধা, বাড়তি সুদ আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় তদারকি—এই তিনের সমন্বয়ে নো-ফ্রিলস হিসাবগুলোয় জমা ও হিসাবসংখ্যা দুটিই এখন ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জুন শেষে এসব হিসাবে মোট জমা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অথচ তিন মাস আগেও অর্থাৎ মার্চ শেষে এ হিসাবের আমানত ছিল ৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অল্প সময়ে এতে ১৪৮ কোটি টাকা নতুন করে জমা পড়েছে।
শুধু টাকার অঙ্কই নয়, হিসাবের সংখ্যা বাড়ছেও চোখে পড়ার মতো। মার্চ শেষে যেখানে ২ কোটি ৮২ লাখের কিছু বেশি হিসাব ছিল, জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখের বেশি। মানে মাত্র তিন মাসে নতুন করে খোলা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হিসাব। এই প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করছে, প্রান্তিক কৃষক, অতি দরিদ্র মানুষ, পোশাকশ্রমিক কিংবা সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাভোগীরা ধীরে ধীরে ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখছেন। অল্প টাকার হিসাব খুলেও তাঁরা নিয়মিত জমা রাখছেন।
দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আরিফ হোসেন খান মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এনএফএ হিসাবের আমানতে মিশ্র ধারা থাকলেও সার্বিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। কৃষকদের আমানত ৭১৮ কোটি থেকে ৭৭০ কোটিতে, অতি দরিদ্রদের ২৩১ কোটি থেকে ২৪৬ কোটিতে এবং সামাজিক সুরক্ষাভোগীদের ১,৭৩১ কোটি থেকে ১,৮২১ কোটিতে উঠেছে। তবে পোশাকশ্রমিকদের আমানত ৪৬৭ কোটি থেকে সামান্য কমে ৪৬৫ কোটিতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আমানত ১,০১৩ কোটি থেকে ৯৬১ কোটিতে নেমেছে। অর্থাৎ কিছু উপখাতে সাময়িক টান পড়লেও মোট চিত্রে আমানত বেড়েছে।
প্রবাসী আয়ের প্রবাহও খানিকটা জোর পেয়েছে। মার্চ শেষে এনএফএ হিসাব হয়ে আসা রেমিট্যান্স ছিল ৭৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা; জুনে তা বেড়ে ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা; প্রায় ২৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত।
অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক খাত একসময় খাদের কিনারায় গিয়েছিল; গত বছরের গণ-আন্দোলনের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়। আতঙ্ক পুরো কাটেনি, তবু আস্থা ফিরছে; ছোট আমানতকারীরাও আবার ব্যাংকে টাকা রাখছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো বিশেষ করে ক্ষুদ্র হিসাবের প্রতি সহায়তামূলক নীতিগুলো ভালো সাড়া দিয়েছে।’
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি আরফান আলীর মন্তব্য, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত এসব হিসাবের অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে। চার্জমুক্ত রাখা না হলে প্রান্তিক মানুষ আগ্রহী হতেন না। সাম্প্রতিক বৃদ্ধির হার নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকা'কে জানান, দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে হলেও সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক খাতের আওতায় আনতেই ২০১০ সালে চালু হয় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার এনএফএ হিসাব। এখানে নেই ন্যূনতম ব্যালান্স রাখার ঝামেলা, নেই বাড়তি সার্ভিস চার্জ। বরং সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের তুলনায় কিছুটা বেশি সুদ মেলে। ফলে চার্জমুক্ত সুবিধা, বাড়তি সুদ আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় তদারকি—এই তিনের সমন্বয়ে নো-ফ্রিলস হিসাবগুলোয় জমা ও হিসাবসংখ্যা দুটিই এখন ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জুন শেষে এসব হিসাবে মোট জমা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অথচ তিন মাস আগেও অর্থাৎ মার্চ শেষে এ হিসাবের আমানত ছিল ৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অল্প সময়ে এতে ১৪৮ কোটি টাকা নতুন করে জমা পড়েছে।
শুধু টাকার অঙ্কই নয়, হিসাবের সংখ্যা বাড়ছেও চোখে পড়ার মতো। মার্চ শেষে যেখানে ২ কোটি ৮২ লাখের কিছু বেশি হিসাব ছিল, জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখের বেশি। মানে মাত্র তিন মাসে নতুন করে খোলা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হিসাব। এই প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করছে, প্রান্তিক কৃষক, অতি দরিদ্র মানুষ, পোশাকশ্রমিক কিংবা সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাভোগীরা ধীরে ধীরে ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখছেন। অল্প টাকার হিসাব খুলেও তাঁরা নিয়মিত জমা রাখছেন।
দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আরিফ হোসেন খান মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এনএফএ হিসাবের আমানতে মিশ্র ধারা থাকলেও সার্বিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। কৃষকদের আমানত ৭১৮ কোটি থেকে ৭৭০ কোটিতে, অতি দরিদ্রদের ২৩১ কোটি থেকে ২৪৬ কোটিতে এবং সামাজিক সুরক্ষাভোগীদের ১,৭৩১ কোটি থেকে ১,৮২১ কোটিতে উঠেছে। তবে পোশাকশ্রমিকদের আমানত ৪৬৭ কোটি থেকে সামান্য কমে ৪৬৫ কোটিতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আমানত ১,০১৩ কোটি থেকে ৯৬১ কোটিতে নেমেছে। অর্থাৎ কিছু উপখাতে সাময়িক টান পড়লেও মোট চিত্রে আমানত বেড়েছে।
প্রবাসী আয়ের প্রবাহও খানিকটা জোর পেয়েছে। মার্চ শেষে এনএফএ হিসাব হয়ে আসা রেমিট্যান্স ছিল ৭৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা; জুনে তা বেড়ে ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা; প্রায় ২৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত।
অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক খাত একসময় খাদের কিনারায় গিয়েছিল; গত বছরের গণ-আন্দোলনের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়। আতঙ্ক পুরো কাটেনি, তবু আস্থা ফিরছে; ছোট আমানতকারীরাও আবার ব্যাংকে টাকা রাখছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো বিশেষ করে ক্ষুদ্র হিসাবের প্রতি সহায়তামূলক নীতিগুলো ভালো সাড়া দিয়েছে।’
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি আরফান আলীর মন্তব্য, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত এসব হিসাবের অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে। চার্জমুক্ত রাখা না হলে প্রান্তিক মানুষ আগ্রহী হতেন না। সাম্প্রতিক বৃদ্ধির হার নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকা'কে জানান, দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে হলেও সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
২ ঘণ্টা আগেদেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
৯ ঘণ্টা আগে