জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
সেই ভাটার টানেই খাবি খাচ্ছে দেশের আমদানি উদ্যোগ। দিন পেরিয়ে মাসের পর বছর পেরোলেও জোয়ার আসছে না আমদানিতে। উল্টো সময়ের পালাবদলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানিতে আরও ভাটা দেখা গেছে। আমদানির বেশির ভাগ হয় বেসরকারিভাবে। এ প্রক্রিয়া সচল রাখার ‘ফুয়েল’ হলো ডলার। দেশে ডলারের অব্যাহত সংকট এখন আমদানির গতিকে ভীষণ চেপে ধরেছে। আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় যার নেতিবাচক প্রভাব চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে সামগ্রিক এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। পণ্য ও খাতভিত্তিক হিসাবে ভোগ্যপণ্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি কমেছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ৪১ শতাংশ। একইভাবে জ্বালানি আমদানিতে এলসি খোলার হার কমেছে ২৬ শতাংশ ও নিষ্পত্তির হার কমেছে ৭ শতাংশ।
ভোগ্যপণের আমদানিকারক রমজান আলীর আশঙ্কা, ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জিনিসপত্রের দামে; যা মূল্যস্ফীতিকে চোখ রাঙাচ্ছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে ডলার-সংকটের অজুহাতে আমদানিও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যদিও সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু আমরা ডলার পাচ্ছি না। যতটুকু জোগান পাচ্ছি, টাকার হিসাবে তার দাম পড়ছে বেশি। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে আমদানি পণ্যের দামও। এই বর্ধিত দাম মূল্যস্ফীতিতেই যোগ হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মাত্র ১ হাজার ৫৫৯ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১১২ কোটি ডলার। একই সময় এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৬২১ কোটি ডলার; যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৬৬১ কোটি ডলার। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা হয় ১৩৩ কোটি ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ১৪৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
আগের তুলনায় কমেছে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এই সময়ে ২৯ কোটি ৩২ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে।
এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে নিট পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দর বেশি। তারপরও কোনো কোনো ব্যাংক ডলারের কারণে সময়মতো এলসি বিল পরিশোধ করছে না; যার প্রভাবে আমদানি কমেছে। ডলার-সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত আমদানির ওপর একটা চাপ থাকবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
গ্যাস-সংকটে দেশের অনেক শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও কমেছে জ্বালানি আমদানির এলসি খোলার হার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম) আমদানির এলসি খোলা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। এ সময় এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২২৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৭০ কোটি ডলার ও ২৪১ কোটি ডলার।
শিল্পের মূলধনি যন্ত্রাংশ আমদানিও আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছিল ৬৫ কোটি ১৩ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে এলসি খোলা হয়েছে মাত্র ৩৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা কমেছে ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। একইভাবে গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৬৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের; যা চলতি অর্থবছরে এই নিষ্পত্তি ৪৯ কোটি ১১ লাখ ডলারের। আগের তুলনায় নিষ্পত্তি কম হয়েছে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি, যন্ত্রাংশ আমদানিসহ অধিকাংশ সেক্টরের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার কমলেও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি এই সময় কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ১৯ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর সেটি ৫৬৪ কোটি ৩২ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এ খাতে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫২৯ কোটি ডলারের, সেটি চলতি অর্থবছর দাঁড়িয়েছে ৫৭২ কোটি ডলারে। সেই হিসাবে ৪৩ কোটি ডলার বা ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ এলসি বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে।
সেই ভাটার টানেই খাবি খাচ্ছে দেশের আমদানি উদ্যোগ। দিন পেরিয়ে মাসের পর বছর পেরোলেও জোয়ার আসছে না আমদানিতে। উল্টো সময়ের পালাবদলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানিতে আরও ভাটা দেখা গেছে। আমদানির বেশির ভাগ হয় বেসরকারিভাবে। এ প্রক্রিয়া সচল রাখার ‘ফুয়েল’ হলো ডলার। দেশে ডলারের অব্যাহত সংকট এখন আমদানির গতিকে ভীষণ চেপে ধরেছে। আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় যার নেতিবাচক প্রভাব চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে সামগ্রিক এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। পণ্য ও খাতভিত্তিক হিসাবে ভোগ্যপণ্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি কমেছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ৪১ শতাংশ। একইভাবে জ্বালানি আমদানিতে এলসি খোলার হার কমেছে ২৬ শতাংশ ও নিষ্পত্তির হার কমেছে ৭ শতাংশ।
ভোগ্যপণের আমদানিকারক রমজান আলীর আশঙ্কা, ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জিনিসপত্রের দামে; যা মূল্যস্ফীতিকে চোখ রাঙাচ্ছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে ডলার-সংকটের অজুহাতে আমদানিও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যদিও সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু আমরা ডলার পাচ্ছি না। যতটুকু জোগান পাচ্ছি, টাকার হিসাবে তার দাম পড়ছে বেশি। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে আমদানি পণ্যের দামও। এই বর্ধিত দাম মূল্যস্ফীতিতেই যোগ হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মাত্র ১ হাজার ৫৫৯ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১১২ কোটি ডলার। একই সময় এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৬২১ কোটি ডলার; যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৬৬১ কোটি ডলার। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা হয় ১৩৩ কোটি ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ১৪৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
আগের তুলনায় কমেছে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এই সময়ে ২৯ কোটি ৩২ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে।
এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে নিট পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দর বেশি। তারপরও কোনো কোনো ব্যাংক ডলারের কারণে সময়মতো এলসি বিল পরিশোধ করছে না; যার প্রভাবে আমদানি কমেছে। ডলার-সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত আমদানির ওপর একটা চাপ থাকবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
গ্যাস-সংকটে দেশের অনেক শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও কমেছে জ্বালানি আমদানির এলসি খোলার হার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম) আমদানির এলসি খোলা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। এ সময় এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২২৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৭০ কোটি ডলার ও ২৪১ কোটি ডলার।
শিল্পের মূলধনি যন্ত্রাংশ আমদানিও আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছিল ৬৫ কোটি ১৩ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে এলসি খোলা হয়েছে মাত্র ৩৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা কমেছে ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। একইভাবে গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৬৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের; যা চলতি অর্থবছরে এই নিষ্পত্তি ৪৯ কোটি ১১ লাখ ডলারের। আগের তুলনায় নিষ্পত্তি কম হয়েছে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি, যন্ত্রাংশ আমদানিসহ অধিকাংশ সেক্টরের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার কমলেও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি এই সময় কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ১৯ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর সেটি ৫৬৪ কোটি ৩২ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এ খাতে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫২৯ কোটি ডলারের, সেটি চলতি অর্থবছর দাঁড়িয়েছে ৫৭২ কোটি ডলারে। সেই হিসাবে ৪৩ কোটি ডলার বা ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ এলসি বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
সেই ভাটার টানেই খাবি খাচ্ছে দেশের আমদানি উদ্যোগ। দিন পেরিয়ে মাসের পর বছর পেরোলেও জোয়ার আসছে না আমদানিতে। উল্টো সময়ের পালাবদলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানিতে আরও ভাটা দেখা গেছে। আমদানির বেশির ভাগ হয় বেসরকারিভাবে। এ প্রক্রিয়া সচল রাখার ‘ফুয়েল’ হলো ডলার। দেশে ডলারের অব্যাহত সংকট এখন আমদানির গতিকে ভীষণ চেপে ধরেছে। আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় যার নেতিবাচক প্রভাব চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে সামগ্রিক এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। পণ্য ও খাতভিত্তিক হিসাবে ভোগ্যপণ্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি কমেছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ৪১ শতাংশ। একইভাবে জ্বালানি আমদানিতে এলসি খোলার হার কমেছে ২৬ শতাংশ ও নিষ্পত্তির হার কমেছে ৭ শতাংশ।
ভোগ্যপণের আমদানিকারক রমজান আলীর আশঙ্কা, ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জিনিসপত্রের দামে; যা মূল্যস্ফীতিকে চোখ রাঙাচ্ছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে ডলার-সংকটের অজুহাতে আমদানিও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যদিও সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু আমরা ডলার পাচ্ছি না। যতটুকু জোগান পাচ্ছি, টাকার হিসাবে তার দাম পড়ছে বেশি। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে আমদানি পণ্যের দামও। এই বর্ধিত দাম মূল্যস্ফীতিতেই যোগ হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মাত্র ১ হাজার ৫৫৯ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১১২ কোটি ডলার। একই সময় এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৬২১ কোটি ডলার; যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৬৬১ কোটি ডলার। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা হয় ১৩৩ কোটি ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ১৪৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
আগের তুলনায় কমেছে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এই সময়ে ২৯ কোটি ৩২ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে।
এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে নিট পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দর বেশি। তারপরও কোনো কোনো ব্যাংক ডলারের কারণে সময়মতো এলসি বিল পরিশোধ করছে না; যার প্রভাবে আমদানি কমেছে। ডলার-সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত আমদানির ওপর একটা চাপ থাকবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
গ্যাস-সংকটে দেশের অনেক শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও কমেছে জ্বালানি আমদানির এলসি খোলার হার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম) আমদানির এলসি খোলা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। এ সময় এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২২৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৭০ কোটি ডলার ও ২৪১ কোটি ডলার।
শিল্পের মূলধনি যন্ত্রাংশ আমদানিও আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছিল ৬৫ কোটি ১৩ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে এলসি খোলা হয়েছে মাত্র ৩৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা কমেছে ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। একইভাবে গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৬৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের; যা চলতি অর্থবছরে এই নিষ্পত্তি ৪৯ কোটি ১১ লাখ ডলারের। আগের তুলনায় নিষ্পত্তি কম হয়েছে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি, যন্ত্রাংশ আমদানিসহ অধিকাংশ সেক্টরের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার কমলেও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি এই সময় কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ১৯ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর সেটি ৫৬৪ কোটি ৩২ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এ খাতে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫২৯ কোটি ডলারের, সেটি চলতি অর্থবছর দাঁড়িয়েছে ৫৭২ কোটি ডলারে। সেই হিসাবে ৪৩ কোটি ডলার বা ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ এলসি বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে।
সেই ভাটার টানেই খাবি খাচ্ছে দেশের আমদানি উদ্যোগ। দিন পেরিয়ে মাসের পর বছর পেরোলেও জোয়ার আসছে না আমদানিতে। উল্টো সময়ের পালাবদলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানিতে আরও ভাটা দেখা গেছে। আমদানির বেশির ভাগ হয় বেসরকারিভাবে। এ প্রক্রিয়া সচল রাখার ‘ফুয়েল’ হলো ডলার। দেশে ডলারের অব্যাহত সংকট এখন আমদানির গতিকে ভীষণ চেপে ধরেছে। আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় যার নেতিবাচক প্রভাব চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে সামগ্রিক এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। পণ্য ও খাতভিত্তিক হিসাবে ভোগ্যপণ্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি কমেছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ৪১ শতাংশ। একইভাবে জ্বালানি আমদানিতে এলসি খোলার হার কমেছে ২৬ শতাংশ ও নিষ্পত্তির হার কমেছে ৭ শতাংশ।
ভোগ্যপণের আমদানিকারক রমজান আলীর আশঙ্কা, ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জিনিসপত্রের দামে; যা মূল্যস্ফীতিকে চোখ রাঙাচ্ছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে ডলার-সংকটের অজুহাতে আমদানিও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যদিও সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু আমরা ডলার পাচ্ছি না। যতটুকু জোগান পাচ্ছি, টাকার হিসাবে তার দাম পড়ছে বেশি। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে আমদানি পণ্যের দামও। এই বর্ধিত দাম মূল্যস্ফীতিতেই যোগ হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মাত্র ১ হাজার ৫৫৯ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১১২ কোটি ডলার। একই সময় এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৬২১ কোটি ডলার; যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৬৬১ কোটি ডলার। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা হয় ১৩৩ কোটি ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ১৪৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
আগের তুলনায় কমেছে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এই সময়ে ২৯ কোটি ৩২ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে।
এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে নিট পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দর বেশি। তারপরও কোনো কোনো ব্যাংক ডলারের কারণে সময়মতো এলসি বিল পরিশোধ করছে না; যার প্রভাবে আমদানি কমেছে। ডলার-সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত আমদানির ওপর একটা চাপ থাকবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
গ্যাস-সংকটে দেশের অনেক শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও কমেছে জ্বালানি আমদানির এলসি খোলার হার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম) আমদানির এলসি খোলা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। এ সময় এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২২৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৭০ কোটি ডলার ও ২৪১ কোটি ডলার।
শিল্পের মূলধনি যন্ত্রাংশ আমদানিও আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছিল ৬৫ কোটি ১৩ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে এলসি খোলা হয়েছে মাত্র ৩৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা কমেছে ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। একইভাবে গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৬৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের; যা চলতি অর্থবছরে এই নিষ্পত্তি ৪৯ কোটি ১১ লাখ ডলারের। আগের তুলনায় নিষ্পত্তি কম হয়েছে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি, যন্ত্রাংশ আমদানিসহ অধিকাংশ সেক্টরের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার কমলেও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি এই সময় কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ১৯ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর সেটি ৫৬৪ কোটি ৩২ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এ খাতে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫২৯ কোটি ডলারের, সেটি চলতি অর্থবছর দাঁড়িয়েছে ৫৭২ কোটি ডলারে। সেই হিসাবে ৪৩ কোটি ডলার বা ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ এলসি বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
১৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ এ তথ্য জানান।
এনবিআর জানায়, ই-রিটার্ন পোর্টালে নিবন্ধনের সময় করদাতার বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত বাংলাদেশের মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানো হয়। প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি বহাল থাকায় বিদেশে থাকা অনেক করদাতা ই-রিটার্ন দাখিলে সমস্যায় পড়ছিলেন। এই সমস্যা সমাধানে এখন তাঁদের নিজস্ব ই-মেইলে ওটিপি পাঠানোর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, বিদেশে থাকা করদাতারা এখন তাঁদের পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভিসা-সিলের কপি, ই-মেইল ঠিকানা ও ছবি সংযুক্ত করে [email protected] ঠিকানায় আবেদন পাঠাতে পারবেন। আবেদন যাচাইয়ের পর এনবিআর থেকে তাঁদের ই-মেইলে ওটিপি ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা সহজেই ই-রিটার্ন পোর্টালে নিবন্ধন করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
২০২৫-২৬ করবর্ষে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল হয়েছে। এ বছর ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অনলাইন রিটার্ন দাখিলপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ কাগজবিহীন ও ঝামেলামুক্ত। করদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে acknowledgment slip ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব করদাতাকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ এ তথ্য জানান।
এনবিআর জানায়, ই-রিটার্ন পোর্টালে নিবন্ধনের সময় করদাতার বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত বাংলাদেশের মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানো হয়। প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি বহাল থাকায় বিদেশে থাকা অনেক করদাতা ই-রিটার্ন দাখিলে সমস্যায় পড়ছিলেন। এই সমস্যা সমাধানে এখন তাঁদের নিজস্ব ই-মেইলে ওটিপি পাঠানোর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, বিদেশে থাকা করদাতারা এখন তাঁদের পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভিসা-সিলের কপি, ই-মেইল ঠিকানা ও ছবি সংযুক্ত করে [email protected] ঠিকানায় আবেদন পাঠাতে পারবেন। আবেদন যাচাইয়ের পর এনবিআর থেকে তাঁদের ই-মেইলে ওটিপি ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা সহজেই ই-রিটার্ন পোর্টালে নিবন্ধন করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
২০২৫-২৬ করবর্ষে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল হয়েছে। এ বছর ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অনলাইন রিটার্ন দাখিলপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ কাগজবিহীন ও ঝামেলামুক্ত। করদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে acknowledgment slip ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব করদাতাকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে।
সেই ভাটার টানেই খাবি খাচ্ছে দেশের আমদানি উদ্যোগ। দিন পেরিয়ে মাসের পর বছর পেরোলেও জোয়ার আসছে না আমদানিতে। উল্টো সময়ের পালাবদলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানিতে আরও ভাটা দেখা গেছে। আমদানির বেশির ভাগ হয় বেসরকারিভাবে। এ প্রক্রিয়া সচল রাখার ‘ফুয়েল’ হলো ডলার। দেশে ডলারের অব্যাহত সংকট এখন আ
২৮ অক্টোবর ২০২৪ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
১৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
আরও খবর পড়ুন:
ব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)।
২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুই বছর পেরোতেই এই তহবিলের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা এখন পড়ে আছে অচল অবস্থায়, যা ব্যাংকের খাতায় জমে থাকা এক নিষ্ক্রিয় অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সংকুচিত হওয়ার পর ইএফপিএকে আশা করা হচ্ছিল তার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আচরণে এর ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠছে। তারা এই সহায়তা প্রকল্পে অংশ নিতে প্রায় কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরং নিজেদের তহবিল থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক এই বিশেষ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব। ফলে উদ্যোক্তারা পড়েছেন এক অদ্ভুত সংকটে—রাষ্ট্রের ঘোষিত প্রণোদনা কাগজে-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল মেলে না।
একজন রপ্তানিকারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের বলে, ইএফপিএ ঋণ এখন বন্ধ; কিন্তু একই ব্যাংক পরদিন তাদের নিজেদের তহবিলের ঋণ অফার করে ১৫ শতাংশ সুদে। এটা নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়, এটা পলিসির অপব্যবহার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তহবিলের মোট অর্থের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই এখন ব্যাংকগুলো ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেও ব্যাংকগুলো সেই টাকা রপ্তানিকারকদের দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রেখেছে, বিতরণ করছে না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তহবিল রপ্তানিকারকদের জন্য লাইফলাইন হওয়ার কথা ছিল। অথচ ব্যাংকগুলো এটাকে নিজেদের সুবিধার খাতায় ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মনিটরিং না থাকলে এভাবে সরকারি প্রণোদনা মাঠে নামবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে দুটি বাস্তব কারণ কাজ করছে—এক, ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদের ঋণে লাভ বেশি পায়; দুই, তহবিল বিতরণে কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানা না থাকায় তারা নির্লজ্জভাবে অলস রাখছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, এটা অর্থনীতির একধরনের ‘নীরব ব্লকেজ’। ব্যাংকগুলো জানে, তারা চাইলেও না দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে না। ফলে এই অর্থ কার্যত একধরনের সুদ-অপচয় চক্রে ঘুরছে।
অন্যদিকে ব্যাংক খাতে এখন তারল্যের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি নয়, বরং প্রণোদনা তহবিল ব্যবহার না করার পেছনে আছে সুদ-স্বার্থের মানসিকতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানি সহায়তার এই সস্তা ঋণের অর্থ যদি অলস পড়ে থাকে, তাহলে তহবিল গঠনের লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। এতে শুধু রপ্তানিকারকেরাই নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনো ব্যাংক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তহবিলের ঋণ বিতরণে গড়িমসি করে এবং পরিবর্তে নিজেদের উচ্চ সুদের ঋণ চাপিয়ে দেয়, তবে ব্যবসায়ীরা যেন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
তবে ব্যাংকারদের একাংশ বলছেন, তহবিলের শর্ত জটিল এবং ফেরত দেওয়ার সময়সীমা কম। এ কারণে তাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি ব্যাংকগুলোর সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা। কারণ, ইএফপিএ ঋণের ঝুঁকি অনেকটাই বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে; তবু তারা দিতে চায় না।
ফলে এখন এই তহবিলের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে। রপ্তানিকারকেরা যেখানে কাঁচামাল আমদানির জন্য মূলধন না পেয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সেখানে অলস অর্থের ওপর ভর করে উচ্চ সুদের ঋণ বিক্রিতে মনোযোগী।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে রপ্তানির বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না, এমন তথ্য আমার কাছে নেই।’
আরও খবর পড়ুন:
সেই ভাটার টানেই খাবি খাচ্ছে দেশের আমদানি উদ্যোগ। দিন পেরিয়ে মাসের পর বছর পেরোলেও জোয়ার আসছে না আমদানিতে। উল্টো সময়ের পালাবদলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানিতে আরও ভাটা দেখা গেছে। আমদানির বেশির ভাগ হয় বেসরকারিভাবে। এ প্রক্রিয়া সচল রাখার ‘ফুয়েল’ হলো ডলার। দেশে ডলারের অব্যাহত সংকট এখন আ
২৮ অক্টোবর ২০২৪প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
তবে তা আশানুরূপ নয় বলে দাবি করছেন আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তাঁরা বলছেন, পণ্য সরবরাহ নিতে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া একটিমাত্র গেট খোলা থাকায় পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। পণ্য খালাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভোগান্তি লাঘবে আরও একটি গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা; বিশেষ করে ৮ ও ৯ গেটে দিয়ে গাড়ি ও মানুষ প্রবেশ করায় এই গেট দিয়ে পণ্যও পরিবহনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। নতুন আসা পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে অক্ষত পণ্যগুলোও ফেরত আসা শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার কার্গো ভিলেজে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার বিশেষ ব্যবস্থায় ৯ নম্বর গেট দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু করে বিমান কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিন একটি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন হয়েছে ১১টির। মঙ্গলবার তৃতীয় দিন ১০০টি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়। সর্বশেষ বুধবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩০টি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত এটি চার থেকে সাড়ে চার শ হবে।
জানা যায়, আগে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ৪টি গেট দিয়ে আমদানি পণ্য খালাস হতো। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার শিপমেন্টের ডেলিভারি পাওয়া যেত। এখন যে গেট দিয়ে হচ্ছে, সেটা মূলত রপ্তানির জন্য নির্ধারিত গেট; যা উত্তর দিকে কার্গো ভিলেজের শেষ প্রান্তে অবস্থিত।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খাইরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘শিপমেন্ট গ্র্যাজুয়েলি বাড়ছে। তবে এটি আশানুরূপ নয়।
যদিও অনেক কার্গো ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এরপরও যা আসছে, সেগুলোও খালাস হতে অনেক সময় লাগছে। এ ছাড়া ৯ নম্বর গেটটি যেখানে-সেখানে পাবলিক পরিবহন বা ছোট ছোট যানবাহন ঢুকতে পারে না। তাই যাদের অল্প পণ্য, তাদের আসা-যাওয়া ও পণ্য পরিবহন দুরূহ হয়ে উঠেছে। হয় তাদের অল্প পণ্যের জন্য একটা পিকআপ ভাড়া করতে হচ্ছে, অথবা মাথায় করে নিতে হচ্ছে। তা ছাড়া আসার সময়ও অনেক দূর হেঁটে আসতে হচ্ছে।’
৮ নম্বর গেটটি খুলে দেওয়ার দাবি জানান আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এখন এই গেট দিয়ে কর্মকর্তারা গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারছেন। চাইলে পণ্যের ট্রলি বা গাড়িও ঢুকতে পারবে।
তবে বিমান ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, পণ্য ডেলিভারির অনেক সরঞ্জাম পুড়ে যাওয়ায় আপাতত একটি গেট দিয়েই পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব কটি চালু করা হবে।
ঢাকা কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আগুনে পণ্যের সঙ্গে কম্পিউটার, স্ক্যানার, ট্রলিসহ অনেক ইকুইপমেন্ট পুড়ে গেছে। এ জন্য যেখানে সবকিছু রয়েছে, সেখান দিয়ে পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সবই খোলার চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিষয়টি বিমান বাংলাদেশ আরও ভালো বলতে পারবে।
গতকাল নির্ধারিত পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে আগুন লাগার আগে আসা অক্ষত পণ্যের ডেলিভারিও নিতে দেখা গেছে।
পার্লশিপিং নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, গতকালের চেয়ে আজকে পণ্য ডেলিভারি কিছুটা বেড়েছে। আগুন লাগার আগে আসা পণ্যও এখন পাচ্ছি অনেকে। আজ দুপুরে আমার সঙ্গে একজন ১৬ ও ১৮ অক্টোবরে আসা দুটি শিপমেন্টের পণ্যের ডেলিভারি নিয়েছেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত সোমবার বিমানের এমডির সঙ্গে বৈঠক করেছি। যেহেতু আমাদের পণ্যগুলো ওষুধের কাঁচামাল এবং তাঁরা পণ্যের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক কী হয়।’ তবে কী পরিমাণ পণ্য অক্ষত রয়েছে এবং কত পণ্য পুড়েছে, তার হিসাব এখনো শেষ হয়নি।
এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা রপ্তানিকারকদের তথ্য দিতে বলেছি। তবে সব তথ্য এখনো আসেনি। অনেকে পণ্য অক্ষত পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবাই তথ্য দিতে কিছুটা সময় নিচ্ছেন।’
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
তবে তা আশানুরূপ নয় বলে দাবি করছেন আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তাঁরা বলছেন, পণ্য সরবরাহ নিতে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া একটিমাত্র গেট খোলা থাকায় পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। পণ্য খালাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভোগান্তি লাঘবে আরও একটি গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা; বিশেষ করে ৮ ও ৯ গেটে দিয়ে গাড়ি ও মানুষ প্রবেশ করায় এই গেট দিয়ে পণ্যও পরিবহনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। নতুন আসা পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে অক্ষত পণ্যগুলোও ফেরত আসা শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার কার্গো ভিলেজে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার বিশেষ ব্যবস্থায় ৯ নম্বর গেট দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু করে বিমান কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিন একটি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন হয়েছে ১১টির। মঙ্গলবার তৃতীয় দিন ১০০টি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়। সর্বশেষ বুধবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩০টি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত এটি চার থেকে সাড়ে চার শ হবে।
জানা যায়, আগে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ৪টি গেট দিয়ে আমদানি পণ্য খালাস হতো। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার শিপমেন্টের ডেলিভারি পাওয়া যেত। এখন যে গেট দিয়ে হচ্ছে, সেটা মূলত রপ্তানির জন্য নির্ধারিত গেট; যা উত্তর দিকে কার্গো ভিলেজের শেষ প্রান্তে অবস্থিত।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খাইরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘শিপমেন্ট গ্র্যাজুয়েলি বাড়ছে। তবে এটি আশানুরূপ নয়।
যদিও অনেক কার্গো ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এরপরও যা আসছে, সেগুলোও খালাস হতে অনেক সময় লাগছে। এ ছাড়া ৯ নম্বর গেটটি যেখানে-সেখানে পাবলিক পরিবহন বা ছোট ছোট যানবাহন ঢুকতে পারে না। তাই যাদের অল্প পণ্য, তাদের আসা-যাওয়া ও পণ্য পরিবহন দুরূহ হয়ে উঠেছে। হয় তাদের অল্প পণ্যের জন্য একটা পিকআপ ভাড়া করতে হচ্ছে, অথবা মাথায় করে নিতে হচ্ছে। তা ছাড়া আসার সময়ও অনেক দূর হেঁটে আসতে হচ্ছে।’
৮ নম্বর গেটটি খুলে দেওয়ার দাবি জানান আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এখন এই গেট দিয়ে কর্মকর্তারা গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারছেন। চাইলে পণ্যের ট্রলি বা গাড়িও ঢুকতে পারবে।
তবে বিমান ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, পণ্য ডেলিভারির অনেক সরঞ্জাম পুড়ে যাওয়ায় আপাতত একটি গেট দিয়েই পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব কটি চালু করা হবে।
ঢাকা কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আগুনে পণ্যের সঙ্গে কম্পিউটার, স্ক্যানার, ট্রলিসহ অনেক ইকুইপমেন্ট পুড়ে গেছে। এ জন্য যেখানে সবকিছু রয়েছে, সেখান দিয়ে পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সবই খোলার চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিষয়টি বিমান বাংলাদেশ আরও ভালো বলতে পারবে।
গতকাল নির্ধারিত পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে আগুন লাগার আগে আসা অক্ষত পণ্যের ডেলিভারিও নিতে দেখা গেছে।
পার্লশিপিং নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, গতকালের চেয়ে আজকে পণ্য ডেলিভারি কিছুটা বেড়েছে। আগুন লাগার আগে আসা পণ্যও এখন পাচ্ছি অনেকে। আজ দুপুরে আমার সঙ্গে একজন ১৬ ও ১৮ অক্টোবরে আসা দুটি শিপমেন্টের পণ্যের ডেলিভারি নিয়েছেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত সোমবার বিমানের এমডির সঙ্গে বৈঠক করেছি। যেহেতু আমাদের পণ্যগুলো ওষুধের কাঁচামাল এবং তাঁরা পণ্যের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক কী হয়।’ তবে কী পরিমাণ পণ্য অক্ষত রয়েছে এবং কত পণ্য পুড়েছে, তার হিসাব এখনো শেষ হয়নি।
এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা রপ্তানিকারকদের তথ্য দিতে বলেছি। তবে সব তথ্য এখনো আসেনি। অনেকে পণ্য অক্ষত পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবাই তথ্য দিতে কিছুটা সময় নিচ্ছেন।’
সেই ভাটার টানেই খাবি খাচ্ছে দেশের আমদানি উদ্যোগ। দিন পেরিয়ে মাসের পর বছর পেরোলেও জোয়ার আসছে না আমদানিতে। উল্টো সময়ের পালাবদলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানিতে আরও ভাটা দেখা গেছে। আমদানির বেশির ভাগ হয় বেসরকারিভাবে। এ প্রক্রিয়া সচল রাখার ‘ফুয়েল’ হলো ডলার। দেশে ডলারের অব্যাহত সংকট এখন আ
২৮ অক্টোবর ২০২৪প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
সেই ভাটার টানেই খাবি খাচ্ছে দেশের আমদানি উদ্যোগ। দিন পেরিয়ে মাসের পর বছর পেরোলেও জোয়ার আসছে না আমদানিতে। উল্টো সময়ের পালাবদলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানিতে আরও ভাটা দেখা গেছে। আমদানির বেশির ভাগ হয় বেসরকারিভাবে। এ প্রক্রিয়া সচল রাখার ‘ফুয়েল’ হলো ডলার। দেশে ডলারের অব্যাহত সংকট এখন আ
২৮ অক্টোবর ২০২৪প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি করদাতারা মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ই-মেইলের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) গ্রহণ করে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকগুলোর সুদ-স্বার্থ কৌশলের নীরব ফাঁদে পড়েছে রপ্তানি খাতের জন্য গঠিত ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএ)। ২০২৩ সালের শুরুতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল তৈরি করেছিল রপ্তানিকারকদের স্বল্প সুদে মূলধন জোগাতে, যাতে বৈশ্বিক মন্দা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেও উৎপাদন...
১৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে