নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণের পর প্রতি লিটার অকটেন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। আর এই নতুন দামে অকটেন বিক্রি করে লিটার প্রতি প্রায় ২৫ টাকা লাভ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে অকটেনে লাভের মুখ দেখলেও প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ডলার-সংকট ও বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এখন ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রল ১৩০ ও অকটেন ১৩৫ টাকা। নতুন দামে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা থেকে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ১৬ এবং অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান এমন সময় সংবাদ সম্মেলনে আসলেন যখন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে সংস্থাটি দাবি করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতিটি পণ্যে বিপিসি মুনাফা করবে।
তড়িঘড়ি করে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিপিসির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, ‘এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত সেটি বহাল আছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেল ক্রয়ে ব্যারেল প্রতি খরচ হতো ৯৬.৯৫ ডলার ডলার। পরিশোধন করে তখন প্রতি লিটারে খরচ পড়ত ৮৩ টাকা ৬ পয়সা। ওই সময়ে বিপিসি বিক্রয় করত ৮০ টাকা করে। সেখানে লিটারে ৩ টাকার মতো লোকসান ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০৮.৫৫ ডলার ছুঁয়েছে। তখনো বিপিসি বিক্রি করেছে ৮০ টাকা লিটার। যে কারণে ওই মাসে ৯ টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে।’
দেশে জ্বালানি তেলের মজুতের হিসাব দিয়ে বিপিসি প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ৩০ দিনের ডিজেল, ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রল ও ৩২ দিনের জেট ফুয়েল মজুত রয়েছে।’
উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্যই কি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে ক্রুডের দাম বাড়ার কারণে। ক্রুডের দাম বাড়ার কারণে কৌশলগত কারণে পেট্রল ও অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে।’
বিগত বছরে ৪৭ হাজার কোটি টাকা বিপিসি লাভ করলেও কেন কয়েক মাসের লোকসানের মুখে দাম বাড়ানো হল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুনতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকার মতো। তার মধ্যে সরকার ভর্তুকি বাবদ ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার মতো বিপিসিকে প্রদান করে। পরে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল যা আমরা পরে মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করি।’
বিপিসি চেয়ারম্যান দাবি করেন গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত লোকসান ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা।
জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণের পর প্রতি লিটার অকটেন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। আর এই নতুন দামে অকটেন বিক্রি করে লিটার প্রতি প্রায় ২৫ টাকা লাভ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে অকটেনে লাভের মুখ দেখলেও প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ডলার-সংকট ও বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এখন ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রল ১৩০ ও অকটেন ১৩৫ টাকা। নতুন দামে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা থেকে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ১৬ এবং অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান এমন সময় সংবাদ সম্মেলনে আসলেন যখন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে সংস্থাটি দাবি করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতিটি পণ্যে বিপিসি মুনাফা করবে।
তড়িঘড়ি করে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিপিসির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, ‘এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত সেটি বহাল আছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেল ক্রয়ে ব্যারেল প্রতি খরচ হতো ৯৬.৯৫ ডলার ডলার। পরিশোধন করে তখন প্রতি লিটারে খরচ পড়ত ৮৩ টাকা ৬ পয়সা। ওই সময়ে বিপিসি বিক্রয় করত ৮০ টাকা করে। সেখানে লিটারে ৩ টাকার মতো লোকসান ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০৮.৫৫ ডলার ছুঁয়েছে। তখনো বিপিসি বিক্রি করেছে ৮০ টাকা লিটার। যে কারণে ওই মাসে ৯ টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে।’
দেশে জ্বালানি তেলের মজুতের হিসাব দিয়ে বিপিসি প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ৩০ দিনের ডিজেল, ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রল ও ৩২ দিনের জেট ফুয়েল মজুত রয়েছে।’
উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্যই কি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে ক্রুডের দাম বাড়ার কারণে। ক্রুডের দাম বাড়ার কারণে কৌশলগত কারণে পেট্রল ও অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে।’
বিগত বছরে ৪৭ হাজার কোটি টাকা বিপিসি লাভ করলেও কেন কয়েক মাসের লোকসানের মুখে দাম বাড়ানো হল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুনতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকার মতো। তার মধ্যে সরকার ভর্তুকি বাবদ ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার মতো বিপিসিকে প্রদান করে। পরে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল যা আমরা পরে মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করি।’
বিপিসি চেয়ারম্যান দাবি করেন গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত লোকসান ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা।
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
৪ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে