জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
এই নতুন শর্ত শুধু কর্মকর্তাদের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করেনি; বরং ব্যাংকিং খাতে শুরু করেছে তীব্র বিতর্ক। ক্ষুব্ধ ব্যাংকাররা এই নীতিমালাকে ‘বাস্তবতাবর্জিত ও বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে নীতিমালা বাতিলের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
নীতিমালার এই বেড়াজাল ব্যাংকিং কার্যক্রম ও পেশাদারত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে?
জানা গেছে, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) থেকে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য ২৫৮ জনের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ৪ নভেম্বর থেকে পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু হয়েছে, যা ২৭ নভেম্বর শেষ হবে। এর আগে ২০২৩ সালের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করা নীতিমালায় ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (আইবিবি) দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পেশাগত মাস্টার্স এবং গবেষণা-সংক্রান্ত নতুন নিয়ম চালু করা হয়। এতে নতুন নীতিমালায় জিএম পদে পদোন্নতির জন্য প্রার্থীদের ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুটি পর্ব পাস করা, দুই বছরের পেশাগত মাস্টার্স সম্পন্ন করা এবং গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এখন আইবিবির আরোপিত এসব শর্ত নিয়েই বড় আপত্তি তুলেছেন পদোন্নতিপ্রত্যাশীরা। তাদের একটি বড় অংশ মনে করছে, এসব শর্ত কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করবে।
পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের মধ্যে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, এই নতুন শর্ত বাস্তবায়ন হলে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা এবং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে না। এতে ব্যাংকিং খাতে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে পদোন্নতির নীতিমালা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন এফআইডির অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং অনুবিভাগ) বদরে মুনির ফেরদৌস। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য সরকারী ব্যাংকের ২৫৮ জন কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান নীতিমালার ভিত্তিতেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন এলে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী পদোন্নতির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এ মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, পদোন্নতির বর্তমান প্রক্রিয়ায় কিছুটা স্থিতিশীলতা থাকলেও নীতিমালার পরিবর্তনের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
যদিও ব্যাংকারদের এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (আইবিবি) মহাসচিব লাইলা বিলকিস আরা। একই সঙ্গে নতুন শর্তারোপের পক্ষে সাফাই গেয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাস্তবতার আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলেবাস পরিবর্তন এবং পরীক্ষার পদ্ধতিতে উন্নয়ন আনা হয়েছে। ফলে পাসের হারও বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিবর্তন দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক, তাই এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমীচীন নয়।’
অন্যদিকে, ক্ষুব্ধ ব্যাংকারদের মতে, ‘এটি একটি বৈষম্যমূলক নীতি।’ তাঁদের দাবি, বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যাংকারদের ওপর ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই। এ ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বাস্তব পরিস্থিতি ও ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা পেশাদারত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য আইবিবির কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এসব আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘ব্যাংকারদের দাবি যাচাই-বাছাই করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পেলে নীতিমালা সংশোধন বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
এই নতুন শর্ত শুধু কর্মকর্তাদের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করেনি; বরং ব্যাংকিং খাতে শুরু করেছে তীব্র বিতর্ক। ক্ষুব্ধ ব্যাংকাররা এই নীতিমালাকে ‘বাস্তবতাবর্জিত ও বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে নীতিমালা বাতিলের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
নীতিমালার এই বেড়াজাল ব্যাংকিং কার্যক্রম ও পেশাদারত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে?
জানা গেছে, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) থেকে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য ২৫৮ জনের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ৪ নভেম্বর থেকে পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু হয়েছে, যা ২৭ নভেম্বর শেষ হবে। এর আগে ২০২৩ সালের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করা নীতিমালায় ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (আইবিবি) দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পেশাগত মাস্টার্স এবং গবেষণা-সংক্রান্ত নতুন নিয়ম চালু করা হয়। এতে নতুন নীতিমালায় জিএম পদে পদোন্নতির জন্য প্রার্থীদের ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুটি পর্ব পাস করা, দুই বছরের পেশাগত মাস্টার্স সম্পন্ন করা এবং গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এখন আইবিবির আরোপিত এসব শর্ত নিয়েই বড় আপত্তি তুলেছেন পদোন্নতিপ্রত্যাশীরা। তাদের একটি বড় অংশ মনে করছে, এসব শর্ত কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করবে।
পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের মধ্যে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, এই নতুন শর্ত বাস্তবায়ন হলে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা এবং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে না। এতে ব্যাংকিং খাতে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে পদোন্নতির নীতিমালা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন এফআইডির অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং অনুবিভাগ) বদরে মুনির ফেরদৌস। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য সরকারী ব্যাংকের ২৫৮ জন কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান নীতিমালার ভিত্তিতেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন এলে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী পদোন্নতির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এ মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, পদোন্নতির বর্তমান প্রক্রিয়ায় কিছুটা স্থিতিশীলতা থাকলেও নীতিমালার পরিবর্তনের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
যদিও ব্যাংকারদের এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (আইবিবি) মহাসচিব লাইলা বিলকিস আরা। একই সঙ্গে নতুন শর্তারোপের পক্ষে সাফাই গেয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাস্তবতার আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলেবাস পরিবর্তন এবং পরীক্ষার পদ্ধতিতে উন্নয়ন আনা হয়েছে। ফলে পাসের হারও বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিবর্তন দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক, তাই এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমীচীন নয়।’
অন্যদিকে, ক্ষুব্ধ ব্যাংকারদের মতে, ‘এটি একটি বৈষম্যমূলক নীতি।’ তাঁদের দাবি, বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যাংকারদের ওপর ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই। এ ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বাস্তব পরিস্থিতি ও ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা পেশাদারত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য আইবিবির কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এসব আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘ব্যাংকারদের দাবি যাচাই-বাছাই করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পেলে নীতিমালা সংশোধন বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
এই নতুন শর্ত শুধু কর্মকর্তাদের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করেনি; বরং ব্যাংকিং খাতে শুরু করেছে তীব্র বিতর্ক। ক্ষুব্ধ ব্যাংকাররা এই নীতিমালাকে ‘বাস্তবতাবর্জিত ও বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে নীতিমালা বাতিলের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
নীতিমালার এই বেড়াজাল ব্যাংকিং কার্যক্রম ও পেশাদারত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে?
জানা গেছে, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) থেকে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য ২৫৮ জনের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ৪ নভেম্বর থেকে পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু হয়েছে, যা ২৭ নভেম্বর শেষ হবে। এর আগে ২০২৩ সালের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করা নীতিমালায় ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (আইবিবি) দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পেশাগত মাস্টার্স এবং গবেষণা-সংক্রান্ত নতুন নিয়ম চালু করা হয়। এতে নতুন নীতিমালায় জিএম পদে পদোন্নতির জন্য প্রার্থীদের ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুটি পর্ব পাস করা, দুই বছরের পেশাগত মাস্টার্স সম্পন্ন করা এবং গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এখন আইবিবির আরোপিত এসব শর্ত নিয়েই বড় আপত্তি তুলেছেন পদোন্নতিপ্রত্যাশীরা। তাদের একটি বড় অংশ মনে করছে, এসব শর্ত কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করবে।
পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের মধ্যে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, এই নতুন শর্ত বাস্তবায়ন হলে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা এবং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে না। এতে ব্যাংকিং খাতে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে পদোন্নতির নীতিমালা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন এফআইডির অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং অনুবিভাগ) বদরে মুনির ফেরদৌস। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য সরকারী ব্যাংকের ২৫৮ জন কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান নীতিমালার ভিত্তিতেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন এলে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী পদোন্নতির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এ মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, পদোন্নতির বর্তমান প্রক্রিয়ায় কিছুটা স্থিতিশীলতা থাকলেও নীতিমালার পরিবর্তনের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
যদিও ব্যাংকারদের এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (আইবিবি) মহাসচিব লাইলা বিলকিস আরা। একই সঙ্গে নতুন শর্তারোপের পক্ষে সাফাই গেয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাস্তবতার আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলেবাস পরিবর্তন এবং পরীক্ষার পদ্ধতিতে উন্নয়ন আনা হয়েছে। ফলে পাসের হারও বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিবর্তন দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক, তাই এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমীচীন নয়।’
অন্যদিকে, ক্ষুব্ধ ব্যাংকারদের মতে, ‘এটি একটি বৈষম্যমূলক নীতি।’ তাঁদের দাবি, বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যাংকারদের ওপর ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই। এ ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বাস্তব পরিস্থিতি ও ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা পেশাদারত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য আইবিবির কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এসব আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘ব্যাংকারদের দাবি যাচাই-বাছাই করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পেলে নীতিমালা সংশোধন বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
এই নতুন শর্ত শুধু কর্মকর্তাদের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করেনি; বরং ব্যাংকিং খাতে শুরু করেছে তীব্র বিতর্ক। ক্ষুব্ধ ব্যাংকাররা এই নীতিমালাকে ‘বাস্তবতাবর্জিত ও বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে নীতিমালা বাতিলের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
নীতিমালার এই বেড়াজাল ব্যাংকিং কার্যক্রম ও পেশাদারত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে?
জানা গেছে, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) থেকে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য ২৫৮ জনের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ৪ নভেম্বর থেকে পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু হয়েছে, যা ২৭ নভেম্বর শেষ হবে। এর আগে ২০২৩ সালের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করা নীতিমালায় ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (আইবিবি) দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পেশাগত মাস্টার্স এবং গবেষণা-সংক্রান্ত নতুন নিয়ম চালু করা হয়। এতে নতুন নীতিমালায় জিএম পদে পদোন্নতির জন্য প্রার্থীদের ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুটি পর্ব পাস করা, দুই বছরের পেশাগত মাস্টার্স সম্পন্ন করা এবং গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এখন আইবিবির আরোপিত এসব শর্ত নিয়েই বড় আপত্তি তুলেছেন পদোন্নতিপ্রত্যাশীরা। তাদের একটি বড় অংশ মনে করছে, এসব শর্ত কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করবে।
পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের মধ্যে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, এই নতুন শর্ত বাস্তবায়ন হলে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা এবং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে না। এতে ব্যাংকিং খাতে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে পদোন্নতির নীতিমালা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন এফআইডির অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং অনুবিভাগ) বদরে মুনির ফেরদৌস। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য সরকারী ব্যাংকের ২৫৮ জন কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান নীতিমালার ভিত্তিতেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন এলে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী পদোন্নতির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এ মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, পদোন্নতির বর্তমান প্রক্রিয়ায় কিছুটা স্থিতিশীলতা থাকলেও নীতিমালার পরিবর্তনের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
যদিও ব্যাংকারদের এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (আইবিবি) মহাসচিব লাইলা বিলকিস আরা। একই সঙ্গে নতুন শর্তারোপের পক্ষে সাফাই গেয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাস্তবতার আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলেবাস পরিবর্তন এবং পরীক্ষার পদ্ধতিতে উন্নয়ন আনা হয়েছে। ফলে পাসের হারও বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিবর্তন দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক, তাই এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমীচীন নয়।’
অন্যদিকে, ক্ষুব্ধ ব্যাংকারদের মতে, ‘এটি একটি বৈষম্যমূলক নীতি।’ তাঁদের দাবি, বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যাংকারদের ওপর ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই। এ ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বাস্তব পরিস্থিতি ও ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা পেশাদারত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য আইবিবির কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এসব আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘ব্যাংকারদের দাবি যাচাই-বাছাই করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পেলে নীতিমালা সংশোধন বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১৫ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

ব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
২২ নভেম্বর ২০২৪
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

ব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
২২ নভেম্বর ২০২৪
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
১২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

ব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
২২ নভেম্বর ২০২৪
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

ব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
২২ নভেম্বর ২০২৪
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৫ ঘণ্টা আগে