নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘সুযোগ হারানোর বাজেট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, গত আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার একটি ব্যতিক্রমী সুযোগ পেয়েছিল—২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে পরিবর্তনের বার্তা দেওয়ার। সেই প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশাও ছিল অনেক বড়। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট সে প্রত্যাশাকে ধারণ করতে পারেনি, বরং তা রূপ নিয়েছে এক সুস্পষ্ট হতাশায়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: অবহেলিতরা কী পেয়েছে’ শীর্ষক বহুপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এমন মন্তব্য করেন।
বহুপক্ষীয় এই আলোচনায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মন্তব্য করে বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটটি সংস্কারবিমুখ ও সাম্যবিরোধী। এই বাজেটের প্রত্যাশা ছিল অনেক, কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি। এ সরকার সাধারণ সরকার নয়, অথচ বাজেট গতানুগতিক, পুরোনো রীতিতে তৈরি হয়েছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দাবি বাজেটে জায়গা পায়নি। তাই এই বাজেটকে আমি হতাশার বাজেট বলব।’
সিপিডির আরেক বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান (সিপিডি) বলেন, বয়স্ক ভাতা মাত্র ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে, অথচ মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে অনেক বেশি। অর্থাৎ সামাজিক নিরাপত্তার বেষ্টনী সংকীর্ণ হয়েছে। পরবর্তী সরকার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইলেও এই বাজেট তার ন্যায্য দাবির শক্তি কমিয়ে দিয়েছে।
বেসরকারি অপর একটি গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বাজেটকে ‘সুযোগ হারানোর বাজেট’ আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটে কোনো নতুন নীতি বা পরিকল্পনা নেই, পুরোনো কাঠামোতেই বাজেট তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা এখানে বিবেচনায় আনা হয়নি। সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম রাখা হয়েছে। বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে বাজেট গঠন হয়েছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অস্থায়ী হলেও গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছে, তাই কিছু নতুন পরিবর্তনের আশা ছিল। কিন্তু বাজেটে তা প্রতিফলিত হয়নি।
বাংলাদেশ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউটের (আইসিএমএবি) সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট সম্পূর্ণ অবহেলিত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে হিসাববিদ জিয়া হাসান বলেন, বাজারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমেছে; কিন্তু বাজেটে এই বাস্তবতার প্রতিফলন নেই।
সর্বাধিক অবহেলা পেয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী। অনুষ্ঠানে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি সঞ্জিবনী সুধা জানান, বাজেটে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবায়িত হয় না, ফলে তাদের জীবনমান ও কর্মসংস্থান উন্নত হয় না। তারা জীবিকা নির্বাহে দারিদ্র্যের মধ্যেই পড়ে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, কিন্তু এই বড় বাজেটেও নতুন উদ্ভাবনী কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেট অপ্রতুল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজেট প্রস্তুতিতে সরকারের উচিত ছিল দেশের বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া। তবেই সামষ্টিক উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হতো। অন্যথায় এই বাজেট শুধু সরকারের অদক্ষতা নয়, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় সংকেত হয়ে থাকবে।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘সুযোগ হারানোর বাজেট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, গত আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার একটি ব্যতিক্রমী সুযোগ পেয়েছিল—২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে পরিবর্তনের বার্তা দেওয়ার। সেই প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশাও ছিল অনেক বড়। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট সে প্রত্যাশাকে ধারণ করতে পারেনি, বরং তা রূপ নিয়েছে এক সুস্পষ্ট হতাশায়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: অবহেলিতরা কী পেয়েছে’ শীর্ষক বহুপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এমন মন্তব্য করেন।
বহুপক্ষীয় এই আলোচনায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মন্তব্য করে বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটটি সংস্কারবিমুখ ও সাম্যবিরোধী। এই বাজেটের প্রত্যাশা ছিল অনেক, কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি। এ সরকার সাধারণ সরকার নয়, অথচ বাজেট গতানুগতিক, পুরোনো রীতিতে তৈরি হয়েছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দাবি বাজেটে জায়গা পায়নি। তাই এই বাজেটকে আমি হতাশার বাজেট বলব।’
সিপিডির আরেক বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান (সিপিডি) বলেন, বয়স্ক ভাতা মাত্র ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে, অথচ মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে অনেক বেশি। অর্থাৎ সামাজিক নিরাপত্তার বেষ্টনী সংকীর্ণ হয়েছে। পরবর্তী সরকার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইলেও এই বাজেট তার ন্যায্য দাবির শক্তি কমিয়ে দিয়েছে।
বেসরকারি অপর একটি গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বাজেটকে ‘সুযোগ হারানোর বাজেট’ আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটে কোনো নতুন নীতি বা পরিকল্পনা নেই, পুরোনো কাঠামোতেই বাজেট তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা এখানে বিবেচনায় আনা হয়নি। সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম রাখা হয়েছে। বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে বাজেট গঠন হয়েছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অস্থায়ী হলেও গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছে, তাই কিছু নতুন পরিবর্তনের আশা ছিল। কিন্তু বাজেটে তা প্রতিফলিত হয়নি।
বাংলাদেশ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউটের (আইসিএমএবি) সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট সম্পূর্ণ অবহেলিত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে হিসাববিদ জিয়া হাসান বলেন, বাজারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমেছে; কিন্তু বাজেটে এই বাস্তবতার প্রতিফলন নেই।
সর্বাধিক অবহেলা পেয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী। অনুষ্ঠানে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি সঞ্জিবনী সুধা জানান, বাজেটে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবায়িত হয় না, ফলে তাদের জীবনমান ও কর্মসংস্থান উন্নত হয় না। তারা জীবিকা নির্বাহে দারিদ্র্যের মধ্যেই পড়ে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, কিন্তু এই বড় বাজেটেও নতুন উদ্ভাবনী কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেট অপ্রতুল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজেট প্রস্তুতিতে সরকারের উচিত ছিল দেশের বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া। তবেই সামষ্টিক উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হতো। অন্যথায় এই বাজেট শুধু সরকারের অদক্ষতা নয়, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় সংকেত হয়ে থাকবে।
সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সেবা বাবদ ফি’র অর্থ বিদেশে পাঠানো সহজ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শকের ফি, ব্যবস্থাপনা ফি এবং অন্যান্য চলতি সেবার অর্থ ব্যাংকগুলো বিদেশে
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২ জুলাই বিকেল ৫টার মধ্যে সদস্যভুক্ত সব চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের জন্য মনোনীত প্রতিনিধিদের তালিকা পাঠাতে হবে।
৯ ঘণ্টা আগেঅনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ৭০টি শ্রীলঙ্কান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির মধ্যে ১৫০টি বিটুবি ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দুদেশের উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসা ও বিনিয়োগবিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ পান, যা ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
৯ ঘণ্টা আগেদুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিদেশ থেকে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ গতকাল মঙ্গলবার থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম ও ঢাকা এবং তার আশপাশের জেলায় গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে