Ajker Patrika

দেশেই তৈরি হবে ইভির বড় বাজার

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৩৫
দেশেই তৈরি হবে ইভির বড় বাজার

ইঞ্জিন ও তেলচালিত গাড়ির পরিবর্তে বিশ্বখ্যাত চীনের বিওয়াইডির বৈদ্যুতিক যন্ত্রের গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) দেশে এনেছে অটোমোবাইল খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রানার। পেয়েছে জনপ্রিয়তাও। এখন ইভির বাজার সম্প্রসারণ ও ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে খাতটি কীভাবে দাঁড় করানো সম্ভব, এ নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন রানার গ্রুপের পরিচালক মার্কেটিং আমিদ সাকিফ খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান। 

আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বাজারে ইভি ইন্ডাস্ট্রি বিকাশের সুযোগ কীভাবে গ্রহণ করা যায়? 
আমিদ সাকিফ খান: বাংলাদেশের বাজারে ইভি ইন্ডাস্ট্রি বিকাশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এর জন্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং সেখানে বেসরকারি খাতের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে আমরা যদি ফুল কমার্শিয়াল ফ্লিট, যেমন বাস-ট্রাক—এগুলো ধীরে ধীরে ইভিতে পরিবর্তন করতে পারি, অথবা প্লাগ-ইন হাইব্রিড বা পিএইচইভি করতে পারি, তা হলেও দেশে অনেক বড় একটি ইভির বাজার সৃষ্টি হবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, তখন জ্বালানি খরচ অনেক কমে আসবে। বর্তমানে বিপুল পরিমাণে ডিজেল বা ক্রুড অয়েল আমদানি করতে হয়, যার পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। তাই ইভির বাজার দেশে যত বড় হবে, জ্বালানির খরচে তত বড় প্রভাব দেখা যাবে। তখন এত জ্বালানি আমাদের আমদানি করতে হবে না। এর সুফল যেমন আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে দেখতে পাব, তেমনি আমাদের অর্থনীতিতেও দেখতে পাব। তখন জ্বালানি আমদানির যে পরিমাণ অর্থ কম খরচ হবে, তা আমরা অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে পারব।

আজকের পত্রিকা: ইভি কীভাবে জলবায়ু অবনতি ঠেকাতে কাজ করে, একটু ব্যাখ্যা করে বলবেন কি? 
আমিদ সাকিফ খান: অবশ্যই। ধরুন, একটি সাধারণ গাড়ি যখন চলে, তখন কার্বন নির্গমন হয়, যা পরিবেশ নষ্ট করে। এখন খুব সহজেই বায়ুর গুণগতমান পরিমাপ করা যায় ও জানা যায় বায়ুদূষণ কোন পর্যায়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব হওয়ায় ইভি চলার সময় কোনো ধরনের কার্বনই নির্গমন করে না, তাই ইভিকে বলা হয় জিরো অ্যামিশন ভেহিকল। তা ছাড়া ইভির ব্যাটারিও এখন বেশ উন্নত মানের। সাধারণত, অনবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর গাড়িতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়, তা লেড এসিড ব্যাটারি। সেখানে বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি, যার উৎপাদন থেকে শুরু করে নিষ্পত্তি করা পর্যন্ত গোটা জীবনচক্র লেড এসিড ব্যাটারি থেকে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। তাই, একটি গাড়ির সম্পূর্ণ জীবনচক্র বিবেচনা করলে দেখা যায়, দেশে জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে ইভির ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

আজকের পত্রিকা: দেশের বাজারে ইভি সরবরাহ করছে বিওয়াইডি। যার স্থানীয় পরিবেশক হিসেবে রয়েছে রানার গ্রুপ। বিওয়াইডির ইভিতে কী ধরনের সুবিধা রয়েছে গ্রাহকদের জন্য? 
আমিদ সাকিফ খান: আমরা আমাদের গাড়িতে দিচ্ছি ৮ বছরের ওয়ারেন্টি। ফলে ৮ বছরের জন্য গাড়ির ব্যাটারি নিয়ে ইভি ব্যবহারকারীকে কোনো দুশ্চিন্তাই করতে হবে না। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা বাংলাদেশের গ্রাহকের সক্ষমতাও বিবেচনায় রাখছি। তাই প্রায় কোটি টাকার গাড়ির পাশাপাশি মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ৫৫ লাখ টাকার মধ্যেও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন লেটেস্ট মডেলের ইভি রয়েছে বিওয়াইডির শোরুমে।

আজকের পত্রিকা: বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকল (এনইভি) প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ নিয়ে বিওয়াইডির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? 
আমিদ সাকিফ খান: বিওয়াইডি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকল প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে বিওয়াইডি কাজ করে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রায় অনেক পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে। বিশেষ করে ঢাকার বায়ুর গুণগতমান খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দিন দিন এ দূষণের তীব্রতা বাড়ছে। এ বায়ুদূষণের তীব্রতা কমাতে আমরা বিশেষ অবদান রাখতে চাই। তাই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, আরও অনেক ইভি নিয়ে আসার, ইভিশিল্পকে উন্নত করার এবং সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে একত্রে কাজ করার।

আজকের পত্রিকা: দেশে ইভির ব্যবহার বাড়াতে বাধাগুলো কোথায়? 
আমিদ সাকিফ খান: বাধা আসলে খুব বেশি কিছু নেই, যা আছে প্রক্রিয়াগত। যেহেতু ইভি বাংলাদেশে এখনো নতুন। এ কারণে পর্যাপ্ত ইভি চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার এখনো সম্পূর্ণরূপে গড়ে ওঠেনি। অন্যদিকে প্রচার-প্রচারণার অভাব ও জানার সীমাবদ্ধতাও কিছুটা আছে। এ কারণে সবার মধ্যে এখনো ‘চার্জিং অ্যাংজাইটি’ বা চার্জিং নিয়ে ভয় কাজ করছে। আমি বিশ্বাস করি, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যখন দেশে এ নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হবে, তখন এ ভয় কেটে যাবে। আশার খবর হচ্ছে, দেশে ইতিমধ্যে বেশ কিছু চার্জিং স্টেশন স্থাপনের কাজ হচ্ছে, ইতিমধ্যে কয়েকটির কাজ শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাসায় বসেও ইভিতে চার্জ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে; তাই চার্জিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

আজকের পত্রিকা: ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে দেশে ইভির বিকাশে উৎপাদক এবং গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি কতটা সহায়ক? 
আমিদ সাকিফ খান: নীতি-সহায়তার ইস্যুটি বিচেনায় নিলে বলব, বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে। কারণ, দেশে ইভি এবং প্লাগ-ইন হাইব্রিড বা পিএইচইভির ওপর ৮৯ শতাংশ করভার রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সেই করভার মাত্র ১০-২০ শতাংশের মধ্যে। নরওয়ে এবং কিছু উন্নত দেশে তো ইভির ওপর কোনো করভারই নেই। বিভিন্ন দেশে সরকার জনগণকে ইভি ব্যাবহারে উদ্বুদ্ধ করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, ইভি পরিবেশবান্ধব ও অনেক কম এনার্জি খরচেই চলে। আমরা বলছি না ইভির করভার সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হোক, কিন্তু আমরা বিদ্যমান করহার অবশ্যই কমানোর আশা করছি। এ ছাড়া সম্প্রতি এনবিআর একাধিক গাড়ির মালিকদের জন্য পরিবেশগত সারচার্জ বা কার্বন ট্যাক্স চালু করেছে, যা তেলচালিত গাড়ি ও ইভি উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। আমি মনে করি, ইভির ক্ষেত্রে এ ট্যাক্স রাখা উচিত নয়। কেননা, ইভি কার্বন নির্গমন করে না। উল্টো পরিবেশের সুরক্ষা দেয়।

তাই গ্রাহকপর্যায়ে যদি ইভি ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে দেশে ইভিশিল্প অনেক অগ্রসর হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, দেশে এ মুহূর্তে ইভি উৎপাদনের কোনো নীতিমালা নেই। এ ক্ষেত্রে আমরা সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এএমএল আবারও স্পটলাইটে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ দুটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এএমএল আবারও দক্ষিণ এশিয়ার বিজ্ঞাপনী বাজারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। এ বছর এএমএল ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া ডিজিটাল ইনোভেশন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে এবং ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া মিডিয়া এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে দুটি ব্রোঞ্জ অর্জন করেছে।

নব্বই দশকের গোড়া থেকে ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অ্যাডভার্টাইজিং, কমিউনিকেশন, মিডিয়া ও ডিজিটাল ইনোভেশনের সেরা সাফল্যগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। শুধু সৃজনশীল কাজই নয়, দূরদর্শী নেতৃত্ব, অপারেশনাল দক্ষতা এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পারফরম্যান্সও এই পুরস্কারের বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এই বছরের স্বীকৃতিগুলো এএমএলের ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন এবং মিডিয়া এফেক্টিভনেস—উভয় ক্ষেত্রেই ধারাবাহিক অগ্রযাত্রার প্রমাণ। ডেটাভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি, ভবিষ্যৎ উপযোগী সমাধান এবং ক্রমবর্ধমান ভোক্তা আচরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এএমএল তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য বাস্তবধর্মী সাফল্য নিশ্চিত করে আসছে।

বিগত বছরগুলোর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এএমএল তাদের সাবমিশন প্রস্তুত করে—যেখানে এজেন্সির ভিশন, ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান, সাসটেইনেবল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং ক্লায়েন্টদের জন্য অর্জিত সাফল্যগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনীতির পরিবর্তিত বাস্তবতায় ব্র্যান্ডগুলোর দ্রুত ট্রান্সফরমেশন সহজ করতে এএমএলের স্ট্র্যাটেজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতামূলক কাজ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

যদিও এটা এএমএলের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়, তবু প্রতিটি অর্জনই পুরো দলের জন্য বিশেষ গর্বের। এই পুরস্কারগুলো প্রতিষ্ঠানটির সব সদস্যের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের প্রতিফলন, পাশাপাশি অংশীদার ও ক্লায়েন্টদের অবিচল আস্থার ফল।

এএমএল তাদের সব ক্লায়েন্ট, সহযোগী ও অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে, যাদের বিশ্বাস ও সমর্থনই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিবছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা জোগায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিষিদ্ধ ঘনচিনির আরও ৪২০০ কেজি চালান জব্দ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এ নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে ঘনচিনির তিনটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনটি চালানে ১০৪ টন ঘনচিনি রয়েছে। ছবি: চট্টগ্রাম কাস্টমস
এ নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে ঘনচিনির তিনটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনটি চালানে ১০৪ টন ঘনচিনি রয়েছে। ছবি: চট্টগ্রাম কাস্টমস

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনির আরও একটি চালান জব্দ করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। চালানটিতে ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘনচিনি রয়েছে।

ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে চালান জব্দের কথা জানায় এনবিআর। এ নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে ঘনচিনির তিনটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনটি চালানে ১০৪ টন ঘনচিনি রয়েছে।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার কেরানীগঞ্জের এজাজ ট্রেডিং চীন থেকে ‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ ঘোষণায় এক কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। এই পণ্য বর্জ্যপানি পরিশোধনে ব্যবহৃত হয়। গত ২১ অক্টোবর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে নামানো হয়। তবে চালানটি নিয়ে সন্দেহজনক তথ্য পাওয়ায় সেটির খালাস স্থগিত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ নভেম্বর কনটেইনার খুলে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, যার নমুনা চট্টগ্রাম কাস্টমসের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চালানটিতে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি ‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ পাওয়া গেলেও বাকি ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করে থাকেন। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যানসারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে।

নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন অনুসারে পণ্যের চালানটি আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় এনবিআর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাবি মেনে নিয়ে ৬ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হলেন অর্থ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ২৪
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

সচিবালয় ভাতার দাবিতে কর্মচারীদের কাছে প্রায় ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সচিবালয় থেকে বের হয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর সচিবালয় ত্যাগ করেন অর্থ উপদেষ্টা।

এর আগে বেলা আড়াইটা থেকে সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতার সরকারি প্রজ্ঞাপন (জিও) জারির দাবিতে করা আন্দোলনের সময় তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ বিকেল আড়াইটার দিকে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মচারী সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলায় অর্থ উপদেষ্টাকে তাঁর দপ্তরে অবরুদ্ধ করেন। এরপর অন্য কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।

কয়েক শ কর্মচারী অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেন। সচিবালয় ভাতা চালু করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত অবরোধ তোলা হবে না বলে ঘোষণা দেন তাঁরা। বিক্ষোভের মধ্যে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

কর্মচারীদের নেতা বাদিউল কবির আজ রাত ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। অন্যান্য সংস্থার কর্মীদের মতো করেই সচিবালয় ভাতা চালু করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিডার অনুমতি ছাড়াই বিদেশি ঋণে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি করা যাবে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

শিল্প উদ্যোক্তাদের মূলধনি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রক্রিয়া আর মানতে হবে না। এখন থেকে তিন বছরের মেয়াদে বিদেশি ঋণ নিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরাসরি আমদানি করা যাবে। এ জন্য আর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন লাগবে না।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিডার বৈদেশিক ঋণ কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই শিল্পবান্ধব ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগে কেবল নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে এই দীর্ঘমেয়াদি ক্রেডিট সুবিধা পাওয়া যেত। এখন থেকে জাহাজ, বিভিন্ন সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতিসহ নানা ধরনের মূলধনি পণ্য তিন বছর মেয়াদি কিস্তিতে আমদানি করা যাবে। বিদেশি সরবরাহকারী বা ব্যাংক—উভয় পক্ষ থেকেই এই ঋণ নেওয়া যাবে।

উদ্যোক্তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আমদানির জটিলতা কমাবে এবং প্রয়োজনীয় মূলধনি পণ্য দ্রুত সংগ্রহে সহায়তা করবে, যা উৎপাদন বৃদ্ধি ও শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন নিয়ম শিল্প ও উৎপাদন খাতে গতি আনবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নতুন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত