আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতির ভারে জর্জরিত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজে আবারও আলো দেখাচ্ছে সরকারি অর্ডার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটির কাছ থেকে সরাসরি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩ লাখ পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগ কিনতে যাচ্ছে। প্রতিটি ব্যাগের দাম ধরা হয়েছে ৩৭ টাকা ৪৪ পয়সা। এই ব্যাগগুলো ব্যবহার হবে ইউরিয়া সার বস্তাবন্দী করতে। দীর্ঘদিন পর আবারও সরাসরি সরবরাহের সুযোগ পাওয়ায় কোম্পানিটির ভাগ্যে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে—যা পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সুখবর বটে।
পেছনের গল্প এবং প্রত্যাবর্তন
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯৭ সালে বিসিআইসির প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উদ্যোগে। শুরুর দিকে সরকার সরাসরি ব্যাগ কিনত (ডিপিএম) প্রতিষ্ঠানটি থেকে, ফলে লাভজনক ও স্থিতিশীল ছিল ব্যবসা। কিন্তু ২০০৭ সালে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কোম্পানিটি থেকে সরকারের সরাসরি ব্যাগ কেনা বন্ধ হয়ে যায়, শুরু হয় টেন্ডার প্রক্রিয়া। এর ফলে প্রতিযোগিতা বাড়লে বাজার হারাতে থাকে মিরাকল, মালিকানা বদলায়, কোম্পানি জর্জরিত হয় লোকসান ও ঋণে।
নতুন সরকার, নতুন সমঝোতা
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিসিআইসির সঙ্গে মিরাকলের ম্যানেজমেন্ট নতুন করে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এরই ফলাফল, ফের ডিপিএম পদ্ধতিতে ব্যাগ কেনার অনুমোদন। সূত্র বলছে, সিদ্ধান্তটি এসেছে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে, যেখানে সময় ও কার্যকারিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বিসিআইসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নূরুজ্জামান বলেন, সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুবিধা হলো—এটা সময় বাঁচায়, আর টাকাও ঘুরেফিরে সরকারের মধ্যেই থাকে।
তবু মুনাফার আশা ম্লান
তবে ব্যাগ বিক্রি শুরু হলেও মিরাকলের জন্য এটি তাৎক্ষণিক মুনাফার নিশ্চয়তা নয়। কোম্পানির সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা টেন্ডারে অংশ নিইনি, সরকার সরাসরি ডিপিএমে অর্ডার দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে প্রতিযোগিতার কারণে আমাদের নির্ধারিত মূল্যে ব্যাগ দিতে হচ্ছে—যা দিয়ে মুনাফা তোলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় কাঁচামালের খরচও বেড়ে গেছে।’
মালিকানা ও শেয়ারকাঠামো
বর্তমানে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তাদের হাতে, সরকারের হাতে আছে ২০ শতাংশ, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৭০ শতাংশ। সরকারি এই অর্ডার তাদের প্রত্যাশার পালে নতুন করে হাওয়া দিচ্ছে—তবে সামনে টিকে থাকতে হলে কোম্পানিকে আরও কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হবে।
শেষ কথা নয়, নতুন শুরু
ডিপিএম পদ্ধতির এই একক সরকারি অর্ডার মিরাকলের জন্য পুরোনো গৌরব ফিরে পাওয়ার এক সম্ভাব্য সূচনা মাত্র। তবে এটি স্থায়ী হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে কোম্পানির ব্যবসায়িক কৌশল, কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যতের সরকারি সমর্থনের ওপর।
দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতির ভারে জর্জরিত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজে আবারও আলো দেখাচ্ছে সরকারি অর্ডার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটির কাছ থেকে সরাসরি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩ লাখ পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগ কিনতে যাচ্ছে। প্রতিটি ব্যাগের দাম ধরা হয়েছে ৩৭ টাকা ৪৪ পয়সা। এই ব্যাগগুলো ব্যবহার হবে ইউরিয়া সার বস্তাবন্দী করতে। দীর্ঘদিন পর আবারও সরাসরি সরবরাহের সুযোগ পাওয়ায় কোম্পানিটির ভাগ্যে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে—যা পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সুখবর বটে।
পেছনের গল্প এবং প্রত্যাবর্তন
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯৭ সালে বিসিআইসির প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উদ্যোগে। শুরুর দিকে সরকার সরাসরি ব্যাগ কিনত (ডিপিএম) প্রতিষ্ঠানটি থেকে, ফলে লাভজনক ও স্থিতিশীল ছিল ব্যবসা। কিন্তু ২০০৭ সালে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কোম্পানিটি থেকে সরকারের সরাসরি ব্যাগ কেনা বন্ধ হয়ে যায়, শুরু হয় টেন্ডার প্রক্রিয়া। এর ফলে প্রতিযোগিতা বাড়লে বাজার হারাতে থাকে মিরাকল, মালিকানা বদলায়, কোম্পানি জর্জরিত হয় লোকসান ও ঋণে।
নতুন সরকার, নতুন সমঝোতা
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিসিআইসির সঙ্গে মিরাকলের ম্যানেজমেন্ট নতুন করে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এরই ফলাফল, ফের ডিপিএম পদ্ধতিতে ব্যাগ কেনার অনুমোদন। সূত্র বলছে, সিদ্ধান্তটি এসেছে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে, যেখানে সময় ও কার্যকারিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বিসিআইসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নূরুজ্জামান বলেন, সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুবিধা হলো—এটা সময় বাঁচায়, আর টাকাও ঘুরেফিরে সরকারের মধ্যেই থাকে।
তবু মুনাফার আশা ম্লান
তবে ব্যাগ বিক্রি শুরু হলেও মিরাকলের জন্য এটি তাৎক্ষণিক মুনাফার নিশ্চয়তা নয়। কোম্পানির সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা টেন্ডারে অংশ নিইনি, সরকার সরাসরি ডিপিএমে অর্ডার দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে প্রতিযোগিতার কারণে আমাদের নির্ধারিত মূল্যে ব্যাগ দিতে হচ্ছে—যা দিয়ে মুনাফা তোলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় কাঁচামালের খরচও বেড়ে গেছে।’
মালিকানা ও শেয়ারকাঠামো
বর্তমানে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তাদের হাতে, সরকারের হাতে আছে ২০ শতাংশ, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৭০ শতাংশ। সরকারি এই অর্ডার তাদের প্রত্যাশার পালে নতুন করে হাওয়া দিচ্ছে—তবে সামনে টিকে থাকতে হলে কোম্পানিকে আরও কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হবে।
শেষ কথা নয়, নতুন শুরু
ডিপিএম পদ্ধতির এই একক সরকারি অর্ডার মিরাকলের জন্য পুরোনো গৌরব ফিরে পাওয়ার এক সম্ভাব্য সূচনা মাত্র। তবে এটি স্থায়ী হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে কোম্পানির ব্যবসায়িক কৌশল, কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যতের সরকারি সমর্থনের ওপর।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারকেরা। ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল বাবদ কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি। এই কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে...
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বিপর্যয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। এই এয়ারলাইনসগুলোর এসব ফ্লাইটে আরোপিত চার্জ মওকুফের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
৫ ঘণ্টা আগে