ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয়। আগুনে অবকাঠামো, মেশিনারি, কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য—সবই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা। এরপর থেকে দেশে ভিআইপির ব্যাগ ও লাগেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, আর কারখানাটি আর্থিক সংকটে রয়েছে।
রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম অনুযায়ী বিমার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক। ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজসহ ওই অঞ্চলে তাদের মোট আটটি কারখানাই বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) সঙ্গে বিমা চুক্তি করেছে এবং নিয়ম মেনে বিমার নবায়ন করছিল। ২০২৩ সালের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ যৌথ সার্ভেয়ার জরিপে ধরা পড়ে প্রায় ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার পরে জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়লেও আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও পুরো টাকা এখনো মেলেনি। এ পর্যন্ত বিজিআইসি মাত্র ১১ কোটি টাকা দিয়েছে, বাকি ৫৪ কোটি ২৯ লাখ ২৭ হাজার ২৮৩ টাকা এখনো বকেয়া। এ ছাড়া বিমার উদ্ধারমূল্য এবং কর্তনযোগ্য সমন্বয় বাবদ ৩,৩২,৫৫,৩৯৩ টাকা।
ভারতভিত্তিক স্যুটকেস ও লাগেজ প্রস্তুতকারক ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে তারা ২০১৩ সালে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানি খোলে।
দুর্ঘটনার পর বিমার পুরো টাকা পেতে নিজে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তারা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে চিঠি দিয়ে দ্রুত টাকা পেতে সাহায্য চায়। তবু কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে দিয়ে তদবির করানো হলেও লাভ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত ৪ জুন বেপজা বিজিআইসিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমা দাবি দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। অন্যদিকে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে বিমা দাবি নিষ্পত্তি না হওয়ায় কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং আর্থিক সংকটে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি এ অবস্থাই থাকে, তাহলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এরপর ১০ জুলাই ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে একই অনুরোধ পুনরায় করা হয়।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনে পোড়ার পর থেকে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারখানা পুনরায় চালুর জন্য বিমার টাকা প্রয়োজন। আমরা কিছু টাকা পেয়েছি, বাকি টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য চেষ্টা করছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বিমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে বিমার টাকা বকেয়া রয়েছে। তারা টাকা দিলেই কোম্পানিকে দেওয়া হবে।
তাহলে পুনর্বিমা বাইরের টাকা পরিশোধ করছেন না কেন—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞেস করুন। এরপর কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে এসবিসির (পুনর্বিমা বিভাগ) মহাব্যবস্থাপক এস এম শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৬৮ কোটি টাকার বিমার মধ্যে এসবিসির কাছে পাওনা ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা। আমরা এই টাকা দ্রুত পরিশোধের জন্য কাজ করছি।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি দ্রুত সুরাহার কাজ চলছে।
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয়। আগুনে অবকাঠামো, মেশিনারি, কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য—সবই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা। এরপর থেকে দেশে ভিআইপির ব্যাগ ও লাগেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, আর কারখানাটি আর্থিক সংকটে রয়েছে।
রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম অনুযায়ী বিমার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক। ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজসহ ওই অঞ্চলে তাদের মোট আটটি কারখানাই বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) সঙ্গে বিমা চুক্তি করেছে এবং নিয়ম মেনে বিমার নবায়ন করছিল। ২০২৩ সালের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ যৌথ সার্ভেয়ার জরিপে ধরা পড়ে প্রায় ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার পরে জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়লেও আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও পুরো টাকা এখনো মেলেনি। এ পর্যন্ত বিজিআইসি মাত্র ১১ কোটি টাকা দিয়েছে, বাকি ৫৪ কোটি ২৯ লাখ ২৭ হাজার ২৮৩ টাকা এখনো বকেয়া। এ ছাড়া বিমার উদ্ধারমূল্য এবং কর্তনযোগ্য সমন্বয় বাবদ ৩,৩২,৫৫,৩৯৩ টাকা।
ভারতভিত্তিক স্যুটকেস ও লাগেজ প্রস্তুতকারক ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে তারা ২০১৩ সালে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানি খোলে।
দুর্ঘটনার পর বিমার পুরো টাকা পেতে নিজে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তারা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে চিঠি দিয়ে দ্রুত টাকা পেতে সাহায্য চায়। তবু কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে দিয়ে তদবির করানো হলেও লাভ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত ৪ জুন বেপজা বিজিআইসিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমা দাবি দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। অন্যদিকে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে বিমা দাবি নিষ্পত্তি না হওয়ায় কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং আর্থিক সংকটে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি এ অবস্থাই থাকে, তাহলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এরপর ১০ জুলাই ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে একই অনুরোধ পুনরায় করা হয়।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনে পোড়ার পর থেকে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারখানা পুনরায় চালুর জন্য বিমার টাকা প্রয়োজন। আমরা কিছু টাকা পেয়েছি, বাকি টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য চেষ্টা করছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বিমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে বিমার টাকা বকেয়া রয়েছে। তারা টাকা দিলেই কোম্পানিকে দেওয়া হবে।
তাহলে পুনর্বিমা বাইরের টাকা পরিশোধ করছেন না কেন—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞেস করুন। এরপর কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে এসবিসির (পুনর্বিমা বিভাগ) মহাব্যবস্থাপক এস এম শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৬৮ কোটি টাকার বিমার মধ্যে এসবিসির কাছে পাওনা ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা। আমরা এই টাকা দ্রুত পরিশোধের জন্য কাজ করছি।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি দ্রুত সুরাহার কাজ চলছে।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয়। আগুনে অবকাঠামো, মেশিনারি, কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য—সবই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা। এরপর থেকে দেশে ভিআইপির ব্যাগ ও লাগেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, আর কারখানাটি আর্থিক সংকটে রয়েছে।
রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম অনুযায়ী বিমার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক। ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজসহ ওই অঞ্চলে তাদের মোট আটটি কারখানাই বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) সঙ্গে বিমা চুক্তি করেছে এবং নিয়ম মেনে বিমার নবায়ন করছিল। ২০২৩ সালের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ যৌথ সার্ভেয়ার জরিপে ধরা পড়ে প্রায় ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার পরে জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়লেও আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও পুরো টাকা এখনো মেলেনি। এ পর্যন্ত বিজিআইসি মাত্র ১১ কোটি টাকা দিয়েছে, বাকি ৫৪ কোটি ২৯ লাখ ২৭ হাজার ২৮৩ টাকা এখনো বকেয়া। এ ছাড়া বিমার উদ্ধারমূল্য এবং কর্তনযোগ্য সমন্বয় বাবদ ৩,৩২,৫৫,৩৯৩ টাকা।
ভারতভিত্তিক স্যুটকেস ও লাগেজ প্রস্তুতকারক ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে তারা ২০১৩ সালে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানি খোলে।
দুর্ঘটনার পর বিমার পুরো টাকা পেতে নিজে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তারা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে চিঠি দিয়ে দ্রুত টাকা পেতে সাহায্য চায়। তবু কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে দিয়ে তদবির করানো হলেও লাভ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত ৪ জুন বেপজা বিজিআইসিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমা দাবি দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। অন্যদিকে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে বিমা দাবি নিষ্পত্তি না হওয়ায় কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং আর্থিক সংকটে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি এ অবস্থাই থাকে, তাহলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এরপর ১০ জুলাই ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে একই অনুরোধ পুনরায় করা হয়।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনে পোড়ার পর থেকে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারখানা পুনরায় চালুর জন্য বিমার টাকা প্রয়োজন। আমরা কিছু টাকা পেয়েছি, বাকি টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য চেষ্টা করছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বিমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে বিমার টাকা বকেয়া রয়েছে। তারা টাকা দিলেই কোম্পানিকে দেওয়া হবে।
তাহলে পুনর্বিমা বাইরের টাকা পরিশোধ করছেন না কেন—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞেস করুন। এরপর কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে এসবিসির (পুনর্বিমা বিভাগ) মহাব্যবস্থাপক এস এম শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৬৮ কোটি টাকার বিমার মধ্যে এসবিসির কাছে পাওনা ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা। আমরা এই টাকা দ্রুত পরিশোধের জন্য কাজ করছি।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি দ্রুত সুরাহার কাজ চলছে।
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয়। আগুনে অবকাঠামো, মেশিনারি, কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য—সবই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা। এরপর থেকে দেশে ভিআইপির ব্যাগ ও লাগেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, আর কারখানাটি আর্থিক সংকটে রয়েছে।
রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম অনুযায়ী বিমার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক। ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজসহ ওই অঞ্চলে তাদের মোট আটটি কারখানাই বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) সঙ্গে বিমা চুক্তি করেছে এবং নিয়ম মেনে বিমার নবায়ন করছিল। ২০২৩ সালের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ যৌথ সার্ভেয়ার জরিপে ধরা পড়ে প্রায় ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার পরে জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়লেও আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও পুরো টাকা এখনো মেলেনি। এ পর্যন্ত বিজিআইসি মাত্র ১১ কোটি টাকা দিয়েছে, বাকি ৫৪ কোটি ২৯ লাখ ২৭ হাজার ২৮৩ টাকা এখনো বকেয়া। এ ছাড়া বিমার উদ্ধারমূল্য এবং কর্তনযোগ্য সমন্বয় বাবদ ৩,৩২,৫৫,৩৯৩ টাকা।
ভারতভিত্তিক স্যুটকেস ও লাগেজ প্রস্তুতকারক ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে তারা ২০১৩ সালে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানি খোলে।
দুর্ঘটনার পর বিমার পুরো টাকা পেতে নিজে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তারা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে চিঠি দিয়ে দ্রুত টাকা পেতে সাহায্য চায়। তবু কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে দিয়ে তদবির করানো হলেও লাভ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত ৪ জুন বেপজা বিজিআইসিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমা দাবি দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। অন্যদিকে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে বিমা দাবি নিষ্পত্তি না হওয়ায় কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং আর্থিক সংকটে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি এ অবস্থাই থাকে, তাহলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এরপর ১০ জুলাই ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে একই অনুরোধ পুনরায় করা হয়।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনে পোড়ার পর থেকে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারখানা পুনরায় চালুর জন্য বিমার টাকা প্রয়োজন। আমরা কিছু টাকা পেয়েছি, বাকি টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য চেষ্টা করছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বিমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে বিমার টাকা বকেয়া রয়েছে। তারা টাকা দিলেই কোম্পানিকে দেওয়া হবে।
তাহলে পুনর্বিমা বাইরের টাকা পরিশোধ করছেন না কেন—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞেস করুন। এরপর কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে এসবিসির (পুনর্বিমা বিভাগ) মহাব্যবস্থাপক এস এম শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৬৮ কোটি টাকার বিমার মধ্যে এসবিসির কাছে পাওনা ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা। আমরা এই টাকা দ্রুত পরিশোধের জন্য কাজ করছি।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি দ্রুত সুরাহার কাজ চলছে।
১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে
৭ ঘণ্টা আগেনির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
১৩ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেএকনেক সভা আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।
চলতি অর্থবছরের চতুর্থ জাতীয় একনেক সভা আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ১৫তম একনেক সভা। সভায় মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৪টি নতুন, ৫টি সংশোধিত এবং ৩টি মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টি সরকারি অর্থায়ন, ১টি সরকারি ও বৈদেশিক ঋণসহায়তা, ১টি সরকারি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং ১টি বৈদেশিক অনুদানভিত্তিক প্রকল্প।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল বলেন, আজ মঙ্গলবার একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চার বিভাগের বেশ কিছু প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে।
একনেকে যেসব প্রকল্প উঠছে, সেগুলো হলো—পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ৪টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ: কক্সবাজারে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের মাধ্যমে সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প’। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ (এইচবিবি)’ প্রকল্পের মেয়াদ তৃতীয়বার বাড়ানো হয়েছে। ৩ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। এই বিভাগের চতুর্থ প্রকল্প হলো ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ (তৃতীয় সংশোধন)। ২ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকায় শুরু হওয়া প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৫টি প্রকল্পে উঠছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধন) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৮ কোটি টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) ষষ্ঠবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্পটির ব্যয় ৯০ কোটি টাকা। ব্যয় ব্যতিরেকে সময় বাড়ছে ২০২৬ সালে জুন পর্যন্ত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি টাকা। ২০২৬ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া, মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (প্রথম সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
শিল্প ও শক্তি বিভাগের রয়েছে ২টি প্রকল্প। এর মধ্যে ‘বিএসটিআই পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্প। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫২ কোটি টাকা। অপর প্রকল্প হলো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ‘ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্প। ২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে।
এ ছাড়া আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ১টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির নাম হলো মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, পাবনা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।
১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।
চলতি অর্থবছরের চতুর্থ জাতীয় একনেক সভা আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ১৫তম একনেক সভা। সভায় মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৪টি নতুন, ৫টি সংশোধিত এবং ৩টি মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টি সরকারি অর্থায়ন, ১টি সরকারি ও বৈদেশিক ঋণসহায়তা, ১টি সরকারি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং ১টি বৈদেশিক অনুদানভিত্তিক প্রকল্প।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল বলেন, আজ মঙ্গলবার একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চার বিভাগের বেশ কিছু প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে।
একনেকে যেসব প্রকল্প উঠছে, সেগুলো হলো—পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ৪টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ: কক্সবাজারে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের মাধ্যমে সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প’। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ (এইচবিবি)’ প্রকল্পের মেয়াদ তৃতীয়বার বাড়ানো হয়েছে। ৩ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। এই বিভাগের চতুর্থ প্রকল্প হলো ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ (তৃতীয় সংশোধন)। ২ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকায় শুরু হওয়া প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৫টি প্রকল্পে উঠছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধন) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৮ কোটি টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) ষষ্ঠবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্পটির ব্যয় ৯০ কোটি টাকা। ব্যয় ব্যতিরেকে সময় বাড়ছে ২০২৬ সালে জুন পর্যন্ত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি টাকা। ২০২৬ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া, মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (প্রথম সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
শিল্প ও শক্তি বিভাগের রয়েছে ২টি প্রকল্প। এর মধ্যে ‘বিএসটিআই পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্প। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫২ কোটি টাকা। অপর প্রকল্প হলো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ‘ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্প। ২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে।
এ ছাড়া আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ১টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির নাম হলো মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, পাবনা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে
৭ ঘণ্টা আগেনির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
১৩ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেটাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিবিএসকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এমনই চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে বিবিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাস্কফোর্সের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ (এসআইডি) চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল আট সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ টাস্কফোর্স গঠন করে। তাদের দায়িত্ব ছিল বিবিএসের মান, স্বচ্ছতা, জরিপের পদ্ধতি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করে সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করা।
স্বাধীন টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বিবিএসকে শক্তিশালী করার জন্য নীতিগত কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংস্থাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত রেখে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপান্তর করার সময় এসেছে। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম পরিবর্তন করে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’ করার প্রস্তাব এসেছে। প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদের মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ রাখা হয়েছে। জনবলসংকট মোকাবিলায় বর্তমান আটটি উইং ১৬টিতে বৃদ্ধি, উপজেলা পর্যায়ে ৪৩৭টি নতুন পদ সৃষ্টি এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একীভূত করে পরিসংখ্যানবিদদের জন্য অভিন্ন পেশাগত কাঠামো গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা, জটিল আমলাতান্ত্রিক কাঠামো এবং বহিরাগত অর্থায়ননির্ভর প্রকল্পের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বিবিএসের তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতিকে বিলম্বিত ও বিকৃত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থা এমন প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতিতে আবদ্ধ থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়েছে, অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে এবং সদর দপ্তরকেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির কারণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমও দুর্বল হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে তহবিলের অনিশ্চয়তার কারণে বিবিএস দাতানির্ভর হয়ে পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্ভরতা প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতিতে রূপ নেয়। এর ফলে ‘ডেটা সাইলো’ তৈরি হয়েছে, বহিরাগতভাবে চাপানো পদ্ধতি চালু হয়েছে এবং ব্যুরোর বাজেট ব্যবস্থায় অদক্ষতা ও অপচয় বেড়েছে।
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বিবিএসকে আধুনিক, পেশাদার ও স্বাধীন জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থায় রূপ দিতে হলে প্রকল্পনির্ভরতা কাটিয়ে একটি স্থায়ী কাঠামো গঠন ও নীতিগত সংস্কার অপরিহার্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবিএস রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন তথ্য প্রকাশে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থাকার ফলে ডেটার নির্ভরযোগ্যতা ও সময়োপযোগিতা ব্যাহত হচ্ছে। টাস্কফোর্স জানিয়েছে, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (এনএসও) আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি। এটি সরকারের প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, জবাবদিহি, সম্পদের কার্যকর বরাদ্দ এবং সামাজিক আলোচনার স্বচ্ছ ও সচল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর আস্থা তখনই তৈরি হবে, যখন তা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, পেশাদার ও স্বচ্ছভাবে তৈরি হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিবিএসকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এমনই চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে বিবিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাস্কফোর্সের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ (এসআইডি) চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল আট সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ টাস্কফোর্স গঠন করে। তাদের দায়িত্ব ছিল বিবিএসের মান, স্বচ্ছতা, জরিপের পদ্ধতি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করে সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করা।
স্বাধীন টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বিবিএসকে শক্তিশালী করার জন্য নীতিগত কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংস্থাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত রেখে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপান্তর করার সময় এসেছে। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম পরিবর্তন করে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’ করার প্রস্তাব এসেছে। প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদের মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ রাখা হয়েছে। জনবলসংকট মোকাবিলায় বর্তমান আটটি উইং ১৬টিতে বৃদ্ধি, উপজেলা পর্যায়ে ৪৩৭টি নতুন পদ সৃষ্টি এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একীভূত করে পরিসংখ্যানবিদদের জন্য অভিন্ন পেশাগত কাঠামো গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা, জটিল আমলাতান্ত্রিক কাঠামো এবং বহিরাগত অর্থায়ননির্ভর প্রকল্পের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বিবিএসের তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতিকে বিলম্বিত ও বিকৃত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থা এমন প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতিতে আবদ্ধ থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়েছে, অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে এবং সদর দপ্তরকেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির কারণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমও দুর্বল হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে তহবিলের অনিশ্চয়তার কারণে বিবিএস দাতানির্ভর হয়ে পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্ভরতা প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতিতে রূপ নেয়। এর ফলে ‘ডেটা সাইলো’ তৈরি হয়েছে, বহিরাগতভাবে চাপানো পদ্ধতি চালু হয়েছে এবং ব্যুরোর বাজেট ব্যবস্থায় অদক্ষতা ও অপচয় বেড়েছে।
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বিবিএসকে আধুনিক, পেশাদার ও স্বাধীন জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থায় রূপ দিতে হলে প্রকল্পনির্ভরতা কাটিয়ে একটি স্থায়ী কাঠামো গঠন ও নীতিগত সংস্কার অপরিহার্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবিএস রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন তথ্য প্রকাশে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থাকার ফলে ডেটার নির্ভরযোগ্যতা ও সময়োপযোগিতা ব্যাহত হচ্ছে। টাস্কফোর্স জানিয়েছে, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (এনএসও) আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি। এটি সরকারের প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, জবাবদিহি, সম্পদের কার্যকর বরাদ্দ এবং সামাজিক আলোচনার স্বচ্ছ ও সচল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর আস্থা তখনই তৈরি হবে, যখন তা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, পেশাদার ও স্বচ্ছভাবে তৈরি হবে।
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
১১ আগস্ট ২০২৫১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
৭ ঘণ্টা আগেনির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
১৩ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশনস, ২৭ তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশনস এবং সপ্তম ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম। এ সময় গ্রুপ সিইও এস এস সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম ও পরিচালক অভিষেক দাস উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্যসহ ২০ টিরও বেশি দেশের ২০০ টির বেশি প্রতিষ্ঠান এ আয়োজনে অংশ নেবে। ৫০০ টির বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে চারটি সেমিনার ও জ্ঞানবিনিময় সেশন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা ও উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করবেন।
ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা, এসএসজিসহ দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো তাদের নতুন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। ২২ তম সোলার বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫-এর নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড যৌথভাবে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবিতে আয়োজন করবে ‘শেপিং টুমরোস এনার্জি ওয়ার্কফোর্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলন। প্রদর্শনীর ভ্রমণ, কুরিয়ার ও কার্গো পার্টনার হিসেবে থাকছে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেমস-গ্লোবাল এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭৬০ টির বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করেছে, যেখানে অংশ নিয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী দর্শনার্থী। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল সিরিজ, পাওয়ার সিরিজ, বিল্ড সিরিজ, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপো, মেডিটেক্স ও অটো সিরিজ।
নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশনস, ২৭ তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশনস এবং সপ্তম ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম। এ সময় গ্রুপ সিইও এস এস সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম ও পরিচালক অভিষেক দাস উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্যসহ ২০ টিরও বেশি দেশের ২০০ টির বেশি প্রতিষ্ঠান এ আয়োজনে অংশ নেবে। ৫০০ টির বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে চারটি সেমিনার ও জ্ঞানবিনিময় সেশন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা ও উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করবেন।
ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা, এসএসজিসহ দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো তাদের নতুন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। ২২ তম সোলার বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫-এর নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড যৌথভাবে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবিতে আয়োজন করবে ‘শেপিং টুমরোস এনার্জি ওয়ার্কফোর্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলন। প্রদর্শনীর ভ্রমণ, কুরিয়ার ও কার্গো পার্টনার হিসেবে থাকছে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেমস-গ্লোবাল এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭৬০ টির বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করেছে, যেখানে অংশ নিয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী দর্শনার্থী। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল সিরিজ, পাওয়ার সিরিজ, বিল্ড সিরিজ, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপো, মেডিটেক্স ও অটো সিরিজ।
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
১১ আগস্ট ২০২৫১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে
৭ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। ’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিবিএসের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সার্ভে পদ্ধতি জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই জরিপ পরিচালনা জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য তৈরি করাও একটি বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে প্রবেশের আগে তার পরিসংখ্যান দেখেন। তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে, দেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য তৈরি করতে হবে। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে দেশের উন্নয়ন মাপা যাবে না। মানুষের জীবনমান ও সামাজিক সূচকের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগে সরকার ভালো করছে—সেটা দেখাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হতো। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
পরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। ’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিবিএসের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সার্ভে পদ্ধতি জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই জরিপ পরিচালনা জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য তৈরি করাও একটি বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে প্রবেশের আগে তার পরিসংখ্যান দেখেন। তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে, দেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য তৈরি করতে হবে। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে দেশের উন্নয়ন মাপা যাবে না। মানুষের জীবনমান ও সামাজিক সূচকের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগে সরকার ভালো করছে—সেটা দেখাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হতো। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
১১ আগস্ট ২০২৫১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে
৭ ঘণ্টা আগেনির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
১৩ ঘণ্টা আগে