Ajker Patrika

শেষ হচ্ছে শূন্য শুল্কের দিন

ফারুক মেহেদী, ঢাকা
আপডেট : ২০ মে ২০২৪, ১১: ৫৮
শেষ হচ্ছে শূন্য শুল্কের দিন

জিনিসপত্রের লাগামহীন দামে ভোক্তাদের প্রায় দিশেহারা অবস্থা। প্রতিটি পণ্যে বাড়তি দাম দিতে গিয়ে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখনই প্রতিদিনকার ব্যবহার্য শত শত আমদানি পণ্যে নতুন করে শুল্ক বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী অর্থবছরের বাজেটেই আসতে পারে খাদ্যপণ্য, সার, গ্যাস, ওষুধ, শিল্পের কাঁচামাল, কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন খাতের অন্তত ৩৩৫টি পণ্যে ন্যূনতম ১ শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর ঘোষণা।

ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে সব পণ্যে শুল্ক বসানোর উদ্যোগে বাজারে আরেক দফা দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়াতে তৎপর হবেন, যার প্রভাব সরাসরি পড়বে ভোক্তার ঘাড়ে।

অবশ্য, ব্যবসায়ী নেতারা অত্যাবশ্যক পণ্যের শুল্ক না বাড়িয়ে প্রত্যক্ষ করা বাড়ানোতে জোর দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার শুল্ক কম রেখে ভোক্তার চাপ কমাবে, নাকি শুল্ক বসিয়ে ভোক্তার গলা কেটে রাজস্ব আদায় বাড়াবে—এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তবে অত্যাবশ্যক পণ্যের ওপর শূন্য শুল্ক তুলে দিয়ে যদি ১ শতাংশ শুল্কও বসানো হয়, তাতে জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়বে। আমি মনে করি, শুল্ক নয়, বরং নতুন করদাতা খুঁজে বের করে ব্যক্তিগত কর আদায় বাড়াতে হবে। সক্ষম অন্তত ২ কোটি ব্যবসায়ী রয়েছে, তাদের থেকে কর আদায় করা যায়। সেটা না করে সাধারণ জনগণের ওপর কেন চাপাচ্ছে, এটা বোধগম্য নয়।’

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোনো শুল্ক নেই এমন আমদানি পণ্যের সংখ্যা ৩৩৫টি। এসব পণ্যে ক্ষেত্রবিশেষে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা উৎসে কর দিতে হলেও কোনো আমদানি শুল্ক দিতে হয় না। মূলত পণ্যগুলো সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, শিল্পের প্রসার, রপ্তানি পণ্যের বাজার টেকসই করা, স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এসব পণ্যে শুল্কহার শূন্য রাখা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, কোনো পণ্যেই শূন্য শুল্ক রাখা যাবে না। রাজস্ব বাড়াতেই হবে। এ জন্য সম্ভাব্য সব খাত থেকে কিছু না কিছু কর আহরণ করতে হবে। সংস্থাটির এ শর্ত মানতে গিয়ে আসছে বাজেটে প্রায় সব পণ্যেই ন্যূনতম ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআরের শুল্ক বিভাগ ।

বর্তমানে শূন্য শুল্ক আছে এবং আসছে বাজেটে অন্তত ১ শতাংশ শুল্ক বসতে পারে এমন পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—চাল, গম, ভুট্টা, সরিষা বীজ, পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েল, সানফ্লাওয়ার বীজ, তুলা বীজ, বিভিন্ন শাকসবজির বীজ, ক্রুড অয়েল, সার, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিটুমিন, কয়লা, জিপসাম, ভিটামিন, পেনিসিলিন, ইনসুলিন, কিডনি এরপর ডায়ালাইসিস মেশিন, পেসমেকার, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যক ওষুধ, ভ্যাকসিন ও ওষুধের কাঁচামাল, বিভিন্ন ধরনের দরকারি রাসায়নিক, প্লাস্টিক কয়েল, পেপার বোর্ড, বিভিন্ন স্টিলজাতীয় পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, বিমান ও হেলিকপ্টার, বিভিন্ন ধরনের হাতঘড়িসহ আরও বহু দরকারি পণ্য।

নামমাত্র শুল্ক বসালে পণ্যের দামে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করে এনবিআর। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারকে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। এ জন্য কিছু পণ্যে ন্যূনতম শুল্ক আরোপের চিন্তা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে শীর্ষ মহল থেকে।

রাজস্ব আয়ের স্বার্থে এসব পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে বড় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না বলে মন্তব্য করেছেন এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণত শূন্য শুল্কের পণ্যগুলো নানা কারণে অত্যাবশ্যক পণ্য হিসেবে বিবেচিত। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম শুল্কহারের সঙ্গে মিল রেখে ১ শতাংশ বাড়ালে খুব একটা দাম বাড়ার কথা না; কিন্তু তারা যদি এর অপব্যবহার করে এর চেয়ে বেশি মুনাফা করার চেষ্টা করে, তখনই হয়তো পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।

পণ্য আমদানিতে শূন্য শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি এমপিদের বিনা শুল্কে আমদানি করা বিলাসবহুল গাড়িতেও শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এমপিরা এখন বিশেষ সুবিধায় বিনা শুল্কে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করে আসছেন। তাঁদের গাড়িতে শুল্কসহ অন্তত ৪০ শতাংশ কর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। যদিও সাধারণ নাগরিকদের গাড়ি আমদানিতে সর্বোচ্চ ৮০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ককর রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাজেটে যদি সব পণ্যের শূন্য শুল্ক তুলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে এটি হবে শুল্ক খাতের একটি বড় সাহসী পদক্ষেপ। বাংলাদেশে তখন বিনা শুল্কে পণ্য আমদানির দিনের অবসান হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে বিনা মূল্যে ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বিনা মূল্যে ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন। ২৩-৩১ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে।

বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন। চেকআপ ছাড়াও এখানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনে পরবর্তী চিকিৎসাসংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণেরও সুযোগ থাকবে।

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল ও রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন (Breast Self-Examination পদ্ধতিতে নিজেরাই শনাক্ত করতে পারবেন। সেটি করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসার চিকিৎসাযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য। তাই সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্র থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, কোনো প্রকার অবহেলা না করে বরং ব্রেস্ট ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে, লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীকে ডায়াগনসিসের আওতায় আনতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের মা-বোনেরা যদি সুস্থ থাকে, তবে আপনিও ভালো থাকবেন, আর সুস্থ সমাজ গঠনও সম্ভব হবে।’

হসপিটালের বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৪ হাজারের বেশি নারী ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে বেশির ভাগ রোগীই চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসা শুরু করেন। অথচ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চেকআপের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো ও জীবন বাঁচানো সম্ভব।

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বরাবরই নারীদের সুস্থতার জন্য কাজ করে থাকে। রোগীরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় চেকআপ, ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। এ ছাড়া রোগীদের নিয়মিতভাবে চিকিৎসা-পরবর্তী মনিটরিং সেবাও এখানে দেওয়া হয়ে থাকে।

সমাজের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, একই সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠন করা।

ফ্রি ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে কিংবা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন ০৯৬১০-৮০০৪৪৪ হটলাইন নম্বরে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রয়টার্সের প্রতিবেদন /মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত করল চীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাশিয়ার প্রধান দুটি তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রধান দুটি তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রধান দুটি তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর, চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এই পদক্ষেপ এসেছে এমন সময়, যখন রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্রেতা ভারতও রুশ তেল আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তাল মেলাতে ভারতীয় শোধনাগারগুলো এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

রাশিয়ার দুই বৃহত্তম ক্রেতা—চীন ও ভারতের তেলের চাহিদা হঠাৎ কমে গেলে মস্কোর আয়ে বড় ধাক্কা লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বড় আমদানিকারক দেশগুলো বিকল্প জ্বালানি উৎস খুঁজতে বাধ্য হবে, যা বৈশ্বিক তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।

চীনের চারটি রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি—পেট্রোচায়না, সিনোপেক, সিএনওওসি এবং ঝেনহুয়া অয়েল সাময়িকভাবে সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে পড়তে চায় না বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।

তবে এ ব্যাপারে এই কোম্পানিগুলোর কেউই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

চীন প্রতিদিন প্রায় ১৪ লাখ ব্যারেল রুশ তেল সমুদ্রপথে আমদানি করে, যার বেশির ভাগই স্বাধীন রিফাইনারি বা ‘টি-পট’ নামে পরিচিত ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো কেনে। রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর ক্রয়ের পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন অনুমান রয়েছে।

জ্বালানি বাজার ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ভরটেক্স অ্যানালিটিকস জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে রাশিয়া থেকে চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর গড় আমদানির পরিমাণ ছিল প্রতিদিন ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলের নিচে। অন্যদিকে জ্বালানি বাজার ডেটা বিশ্লেষণকারী আরেক প্রতিষ্ঠান এনার্জি অ্যাসপেক্টস জানায়, এই সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল।

সংশ্লিষ্ট দুটি বাণিজ্যিক সূত্র জানিয়েছে, সিনোপেকের বাণিজ্যিক শাখা ইউনিপেক গত সপ্তাহেই রুশ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, যখন ব্রিটেন রসনেফট ও লুকঅয়েলসহ কিছু চীনা কোম্পানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

সূত্রগুলোর মতে, রসনেফট ও লুকঅয়েল সাধারণত তাদের তেল সরাসরি বিক্রি না করে মধ্যস্বত্বভোগী বা মধ্যস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে চীনে রপ্তানি করে থাকে। অন্যদিকে, চীনের স্বাধীন শোধনাগারগুলো (টি-পট) নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে আপাতত রুশ তেল কেনা স্থগিত রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে তারা রুশ তেল কেনা চালিয়ে যেতে পারে, বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের ক্রিপ্টো কোম্পানিকে মুনাফা এনে দিয়ে মাফ পেলেন বাইন্যান্স প্রতিষ্ঠাতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৫৪
সাজাপ্রাপ্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাও। ছবি: সংগৃহীত
সাজাপ্রাপ্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাও। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাজাপ্রাপ্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাওকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই ক্ষমা পাওয়ার জন্য ঝাও গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টো কোম্পানিকে সহায়তা করে আসছিলেন।

একাধিক সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল বুধবার এই ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষর করেন। এক সূত্র জানায়, সম্প্রতি ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের বলেছেন, ঝাওসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির অভিযোগের প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ট্রাম্প সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ঝাওকে ক্ষমা করেছেন। বাইডেন প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। বাইডেন প্রশাসনের ক্রিপ্টোবিরোধী যুদ্ধ এখন শেষ।

বাইন্যান্স এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এই ক্ষমা ঘোষণার ফলে সম্ভবত বাইন্যান্সের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথ খুলে যাবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ২০২৩ সালে অর্থ পাচারবিরোধী আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা থেকে নিষিদ্ধ হয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে চার মাসের সাজা ভোগ শেষে কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝাও। এরপর বাইন্যান্স প্রায় এক বছর ধরে তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ বছর সংস্থাটি লবিস্ট চেস ম্যাকডোয়েলকে নিয়োগ দেয় এই কাজ এগিয়ে নিতে।

নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাইন্যান্স ট্রাম্পের পরিবারের ক্রিপ্টো ব্যবসা ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’কে সহযোগিতা করে আসছে। এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা রাখছে।

মার্কিন বিচার বিভাগ বাইন্যান্সকে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড জরিমানা ও কঠোর নজরদারি আরোপ করেছিল। বিভাগটির দাবি ছিল, বাইন্যান্স একটি বিশাল অর্থ পাচারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল, যার মাধ্যমে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ও অপরাধীরা বিলিয়ন ডলার পাচার করত।

এই ক্ষমা ঘোষণার ফলে বিচার বিভাগ থেকে জারি করা বাইন্যান্সের ওপর তিন বছরের নজরদারি কার্যক্রম আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে, যা সংস্থাটির আর্থিক অপরাধবিষয়ক আইন মানা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছিল। তবে ট্রেজারি বিভাগের আলাদা নজরদারি কার্যক্রম বন্ধ করতে হলে ট্রাম্প বা মার্কিন অর্থমন্ত্রী—উভয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, গত বসন্তে বাইন্যান্স ট্রেজারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের তদারকি কিছুটা শিথিল করার অনুরোধ জানিয়েছিল, কারণ আইনি জটিলতার কারণে সংস্থাটি প্রতিযোগীদের কাছে বাজার হারাচ্ছিল।

বাইন্যান্স প্রথম ট্রাম্প পরিবারের মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্যবসায়িক চুক্তির প্রস্তাব দেয়। এরপর ট্রাম্প পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাইন্যান্সের মার্কিন শাখায় আর্থিক অংশীদার হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সে সময় ঝাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছিলেন, ‘ক্ষমা পেলে কোনো অপরাধীই আপত্তি করবে না।’ পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমার আবেদন করেন এবং মার্কিন লবিস্ট নিয়োগ দেন।

ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল গত এক বছরে ট্রাম্প পরিবারের জন্য আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি আয় করেছে। বাইন্যান্স এই প্রতিষ্ঠানের ডলারনির্ভর ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘ইউএসডি১’-এর দ্রুত উত্থানের অন্যতম প্রধান চালক। এ বছর বসন্তে ২ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় বিনিয়োগ গ্রহণের সময় বাইন্যান্স ‘ইউএসডি১’-এর মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুযোগ দেয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই মুদ্রায় লেনদেন বাড়াতে উৎসাহ দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শরিয়াহভিত্তিক ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’ আনছে আকিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ রাজধানীর গুলশানের লিংকরোডের আকিজ হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
আজ রাজধানীর গুলশানের লিংকরোডের আকিজ হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত প্রস্তাবিত মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংকটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত হবে। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রাহকেরা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সব ধরনের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা পাবেন।

শরিয়াহভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে সনদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদ পেলে দ্রুত সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা রয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্যাংকটির নাম হবে ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে আকিজ হাউসে আয়োজিত ‘আকিজ রিসোর্স ডিজিটাল ইকোসিস্টেম: পরিবর্তনে নেতৃত্বদানকারী’ শীর্ষক এক প্রেস মিটে এসব তথ্য জানান আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ জসিম উদ্দিন।

শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আকিজ রিসোর্স বিশ্বাস করে, ব্যাংকিং শুধু লেনদেন নয়, এটি মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অগ্রগতির হাতিয়ার। আমাদের ঐতিহ্যের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এমন একটি ডিজিটাল ব্যাংক তৈরি করতে চাই, যা প্রযুক্তি, নৈতিকতা ও মানবিকতার সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।’

চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার তৌফিক হাসান বলেন, ‘আমরা এমন এক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গড়ে তুলতে চাই, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসেন—এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

চিফ ডিজিটাল ও ইনোভেশন অফিসার ইঞ্জি. মো. ফিরোজ কবির বলেন, ‘আকিজ রিসোর্সের প্রযুক্তি টিম এরই মধ্যে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং অবকাঠামো তৈরি করছে। আমরা এমন একটি স্মার্ট সিস্টেম তৈরি করছি, যেখানে ব্যাংকিং হবে দ্রুত, সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। ব্যাংকের দরজায় না গিয়েও গ্রাহক তাঁর সব আর্থিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আকিজ রিসোর্স শুধু একটি ব্যাংক নয়, এটি হবে একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান। দেশি-বিদেশি পার্টনার থাকবে। তবে বিদেশিদের আনার জন্য আগামী ২ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় কম মনে হয়। যদিও তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু সময় বাড়ানো হলে বিদেশি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ব্যবসায় সংযুক্ত করাটা সুবিধাজনক হবে। আর নিরাপত্তার জন্য বিদেশে সেরা ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনা করছে—এমন সফটওয়্যার ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে।

আরও জানানো হয়, আকিজ রিসোর্স শুধু একটি ব্যাংক নয়, বরং একটি ডিজিটাল ফাইন্যান্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে; যা মানুষ, ব্যবসা ও সমাজকে নিরাপদ প্রযুক্তির মাধ্যমে একত্রে সংযুক্ত করবে। শহরের পেশাজীবী থেকে শুরু করে গ্রামের উদ্যোক্তা—সবাই যেন দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির যাত্রায় যুক্ত হতে পারেন। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ইসলামি ফাইন্যান্স খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি হবে এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যেখানে প্রযুক্তি ও শরিয়াহ নীতির সমন্বয়ে তৈরি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক অভিজ্ঞতা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিফ পিপল অফিসার মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন এবং আই-বিওএস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এস কে মো. জায়েদ বিন রশিদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত