আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
দেশের পুঁজিবাজার ২০২৪ সালে এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে; যেখানে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ, প্রতিবাদ এবং বাজার স্থিতিশীলতায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দরপতন, আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং নীতিগত পরিবর্তনের ছোঁয়ায় এই বছরটি বিনিয়োগকারীদের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং ছিল, তেমনি শিক্ষণীয়ও।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছরের শুরুতে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসের ধকল গেছে। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি বদলের আশা থাকলেও ইতিবাচক সাড়া নেই। প্রধান বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে না। পুঁজিবাজারে মৌলিক পরিবর্তন নেই। সুশাসনের দিক থেকেও ভালো কিছু দেখা যাচ্ছে না। পুঁজিবাজার নিয়ে রোডম্যাপ নেই।
বছরজুড়ে যা ঘটেছে
পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এতে একধরনের স্থবিরতা নেমে আসে পুঁজিবাজারে। ফলে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে কয়েক দফায় ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। এরপরই দরপতন শুরু হয়। ধারাবাহিক দরপতনের কারণে প্রায় সোয়া ১ লাখ কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে।
তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের শেষ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা, যা গতকাল দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে আগের বছরের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২৪২ পয়েন্ট, যা গতকাল দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে সূচক কমেছে ১ হাজার ২৬ পয়েন্ট।
নতুন কমিশন গঠন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগে দায়িত্ব নেয় সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন। পরিবর্তন করা হয়েছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারের পরিচালনা পর্ষদও।
এরপরও আস্থা ফেরেনি পুঁজিবাজারে। ধারাবাহিক দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পর্যায়ে চলে আসেন বিনিয়োগকারীরা, যা নতুন কমিশনও ঠেকাতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বারবার বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিএসইসির ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের কাজ চলমান রয়েছে।
মন্দা আইপিও বাজার
২০২৪ সালে তিনটি প্রতিষ্ঠানের আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে। আর আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করেছে এনআরবি ব্যাংক, বেস্ট হোল্ডিং, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ এবং টেকনো ড্রাগস। চারটি কোম্পানি মোট ৬৪৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। আগের দুই বছরে ১০টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছিল। আর ২০২১ সালে ১৫টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে ১ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল।
আইপিও বাজারের দুর্দশার কারণ হিসেবে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে যেভাবে আসতে চায়, সেভাবে আসতে পারছে না। প্রাইসিং মেথডের সমস্যা।’
জরিমানার বছর
নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর পুঁজিবাজারে ১২টি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৭২২ কোটি টাকার জরিমানা করা হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে কোনো একটি বছরের সর্বোচ্চ।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের উদ্দেশ্যে টাস্কফোর্স গঠনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কমিশন আশা করছে, আগামী বছরে এসব উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পুঁজিবাজারে।
দেশের পুঁজিবাজার ২০২৪ সালে এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে; যেখানে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ, প্রতিবাদ এবং বাজার স্থিতিশীলতায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দরপতন, আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং নীতিগত পরিবর্তনের ছোঁয়ায় এই বছরটি বিনিয়োগকারীদের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং ছিল, তেমনি শিক্ষণীয়ও।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছরের শুরুতে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসের ধকল গেছে। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি বদলের আশা থাকলেও ইতিবাচক সাড়া নেই। প্রধান বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে না। পুঁজিবাজারে মৌলিক পরিবর্তন নেই। সুশাসনের দিক থেকেও ভালো কিছু দেখা যাচ্ছে না। পুঁজিবাজার নিয়ে রোডম্যাপ নেই।
বছরজুড়ে যা ঘটেছে
পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এতে একধরনের স্থবিরতা নেমে আসে পুঁজিবাজারে। ফলে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে কয়েক দফায় ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। এরপরই দরপতন শুরু হয়। ধারাবাহিক দরপতনের কারণে প্রায় সোয়া ১ লাখ কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে।
তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের শেষ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা, যা গতকাল দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে আগের বছরের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২৪২ পয়েন্ট, যা গতকাল দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে সূচক কমেছে ১ হাজার ২৬ পয়েন্ট।
নতুন কমিশন গঠন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগে দায়িত্ব নেয় সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন। পরিবর্তন করা হয়েছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারের পরিচালনা পর্ষদও।
এরপরও আস্থা ফেরেনি পুঁজিবাজারে। ধারাবাহিক দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পর্যায়ে চলে আসেন বিনিয়োগকারীরা, যা নতুন কমিশনও ঠেকাতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বারবার বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিএসইসির ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের কাজ চলমান রয়েছে।
মন্দা আইপিও বাজার
২০২৪ সালে তিনটি প্রতিষ্ঠানের আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে। আর আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করেছে এনআরবি ব্যাংক, বেস্ট হোল্ডিং, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ এবং টেকনো ড্রাগস। চারটি কোম্পানি মোট ৬৪৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। আগের দুই বছরে ১০টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছিল। আর ২০২১ সালে ১৫টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে ১ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল।
আইপিও বাজারের দুর্দশার কারণ হিসেবে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে যেভাবে আসতে চায়, সেভাবে আসতে পারছে না। প্রাইসিং মেথডের সমস্যা।’
জরিমানার বছর
নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর পুঁজিবাজারে ১২টি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৭২২ কোটি টাকার জরিমানা করা হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে কোনো একটি বছরের সর্বোচ্চ।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের উদ্দেশ্যে টাস্কফোর্স গঠনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কমিশন আশা করছে, আগামী বছরে এসব উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পুঁজিবাজারে।
পশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১৮ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১৮ ঘণ্টা আগেসরকারের ব্যাপক চাল আমদানি এবং দেশের ৬৪ জেলায় ওএমএসের (খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়) মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির ঘোষণার প্রভাব বাজারে ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখন নিম্নমুখী।
১৮ ঘণ্টা আগে