অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর কারণ, দেশের বিপুল তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং দ্রুত নগরায়ণ।
অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত পরামর্শক ও শিক্ষাবিদ পিটার ড্রকার বলেছিলেন, ‘জনমিতিই নিয়তি নির্ধারণ করে।’ বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে উন্মোচিত জনমিতিক প্রবণতাকে পুঁজি করার এক অনন্য সুযোগ পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭ শতাংশের বেশি বাড়বে।
১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হামিদুর রহমান সিনহা একটি ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একমি ল্যাবরেটরিজ নামে। এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও অন্যতম সফল কোম্পানি।
১৯৫০-এর দশকে আঞ্চলিক বাজারের ৮০ শতাংশ ওষুধই ছিল নকল (ফর্মুলা কপি করে বানানো) এবং বেশির ভাগই ছিল আমদানি করা ব্যয়বহুল ওষুধ।
তবে আজ ওষুধশিল্প বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে গতিশীল খাতগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী ওষুধ উৎপাদনে ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। এটি স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে। বিষয়টি বাংলাদেশকে কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত করেছে, যারা ওষুধ উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে।
দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি পরিবার মধ্যবিত্ত ও বিত্তবান শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য খাত ১০ শতাংশের বেশি সিএজিআর বা চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হারে বাড়ছে, যা দেশের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। সামাজিক উন্নয়নের সূচকগুলোতে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো করছে, যা সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রতিফলিত করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭৫ শতাংশের বেশি আসে বেসরকারি খাত থেকে, যা ভোক্তার আচরণে পরিবর্তন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য সুযোগের বিশালতাকে তুলে ধরে। এমনকি ৩৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের প্রথম পর্যায়ে বেসরকারি ব্যবস্থাকে বেছে নিচ্ছে।
তবে, বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো প্রতি হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি শয্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের চেয়ে কমসংখ্যক দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা, পেশাদার ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় যাঁরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা একেবারে প্রথম থেকেই শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগের এখন উপযুক্ত সময়। মানসম্পন্ন সেবার একটি সুস্পষ্ট চাহিদা পূরণে বিনিয়োগকারীরা এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। সরকার বিদেশিদের কাছে এখানে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করে তুলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং ২০৪০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
গত দুই দশকে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে এবং আরও সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা মানকে প্রাধান্য দেন তাঁদের জন্য। রোগীরা ক্রমশ মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং সচেতন হচ্ছে। বাংলাদেশে এবং অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ শুধু দারিদ্র্য নয়, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মানেরও অভাব। এসব দেশে আরও মৌলিক মানের অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রয়োজন; যেমন ক্লিনিক, ল্যাব, হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং অনেক কিছু।
স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ কেবল জরুরি প্রয়োজনই সমাধান করে না, বরং উল্লেখযোগ্য আর্থিক মুনাফারও প্রতিশ্রুতি দেয়। এশিয়াজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিলিয়নিয়ারের উত্থান থেকে এটি প্রমাণিত। একটি ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি করা শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি একটি স্মার্ট আর্থিক বিনিয়োগও।
অবকাঠামো ছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের উচিত ওষুধ, ওষুধ তৈরি, এপিআই (কাঁচামাল) উৎপাদন এবং বায়োটেকের (জৈবপ্রযুক্তি) দিকে নজর দেওয়া। বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের জন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানা এবং করছাড়ের মতো প্রণোদনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। এই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্যবিমা খাতে এক বিশাল, অব্যবহৃত বাজারের নির্দেশক। ব্যাপক স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প তৈরি করা চিকিৎসা ব্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়াতে পারে।
বিনিয়োগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা।
বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাজার এরই মধ্যেই ১০ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং আগামী বছরগুলোতে এই বাজার প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালকে ত্বরান্বিত করছে, ওষুধ কোম্পানি ও সরবরাহকারীদের পথ সুগম করছে, দূরবর্তী পর্যবেক্ষণের (টেলিমেডিসিন ইত্যাদি) মাধ্যমে চিকিৎসাপ্রাপ্তি সহজ করছে এবং দেশজুড়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সম্প্রসারণ করছে।
ডিজিটাল অ্যাকসেস সমান্তরালভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে যেখানে বাংলাদেশি পরিবারগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৮ শতাংশ ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। একই সময় ব্যক্তিগত ব্যবহার ৩৭ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত আজ এশিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। উন্নত সেবা পেতে আগ্রহী জনসংখ্যা, বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহদানকারী সরকার এবং চাহিদা ধারাবাহিকভাবে সরবরাহের চেয়ে বেশি হওয়ায়, এটি এক বিশাল সুযোগের মুহূর্ত। বিনিয়োগকারীদের এই বাজারে আগেভাগে প্রবেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ গঠন এবং যুগান্তকারী ব্যবসা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর কারণ, দেশের বিপুল তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং দ্রুত নগরায়ণ।
অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত পরামর্শক ও শিক্ষাবিদ পিটার ড্রকার বলেছিলেন, ‘জনমিতিই নিয়তি নির্ধারণ করে।’ বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে উন্মোচিত জনমিতিক প্রবণতাকে পুঁজি করার এক অনন্য সুযোগ পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭ শতাংশের বেশি বাড়বে।
১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হামিদুর রহমান সিনহা একটি ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একমি ল্যাবরেটরিজ নামে। এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও অন্যতম সফল কোম্পানি।
১৯৫০-এর দশকে আঞ্চলিক বাজারের ৮০ শতাংশ ওষুধই ছিল নকল (ফর্মুলা কপি করে বানানো) এবং বেশির ভাগই ছিল আমদানি করা ব্যয়বহুল ওষুধ।
তবে আজ ওষুধশিল্প বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে গতিশীল খাতগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী ওষুধ উৎপাদনে ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। এটি স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে। বিষয়টি বাংলাদেশকে কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটিতে পরিণত করেছে, যারা ওষুধ উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে।
দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি পরিবার মধ্যবিত্ত ও বিত্তবান শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য খাত ১০ শতাংশের বেশি সিএজিআর বা চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হারে বাড়ছে, যা দেশের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। সামাজিক উন্নয়নের সূচকগুলোতে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো করছে, যা সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রতিফলিত করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭৫ শতাংশের বেশি আসে বেসরকারি খাত থেকে, যা ভোক্তার আচরণে পরিবর্তন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য সুযোগের বিশালতাকে তুলে ধরে। এমনকি ৩৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের প্রথম পর্যায়ে বেসরকারি ব্যবস্থাকে বেছে নিচ্ছে।
তবে, বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো প্রতি হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি শয্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের চেয়ে কমসংখ্যক দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা, পেশাদার ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় যাঁরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা একেবারে প্রথম থেকেই শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগের এখন উপযুক্ত সময়। মানসম্পন্ন সেবার একটি সুস্পষ্ট চাহিদা পূরণে বিনিয়োগকারীরা এখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। সরকার বিদেশিদের কাছে এখানে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করে তুলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং ২০৪০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
গত দুই দশকে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে এবং আরও সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা মানকে প্রাধান্য দেন তাঁদের জন্য। রোগীরা ক্রমশ মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং সচেতন হচ্ছে। বাংলাদেশে এবং অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ শুধু দারিদ্র্য নয়, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মানেরও অভাব। এসব দেশে আরও মৌলিক মানের অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রয়োজন; যেমন ক্লিনিক, ল্যাব, হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং অনেক কিছু।
স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ কেবল জরুরি প্রয়োজনই সমাধান করে না, বরং উল্লেখযোগ্য আর্থিক মুনাফারও প্রতিশ্রুতি দেয়। এশিয়াজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিলিয়নিয়ারের উত্থান থেকে এটি প্রমাণিত। একটি ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি করা শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি একটি স্মার্ট আর্থিক বিনিয়োগও।
অবকাঠামো ছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের উচিত ওষুধ, ওষুধ তৈরি, এপিআই (কাঁচামাল) উৎপাদন এবং বায়োটেকের (জৈবপ্রযুক্তি) দিকে নজর দেওয়া। বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের জন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানা এবং করছাড়ের মতো প্রণোদনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। এই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্যবিমা খাতে এক বিশাল, অব্যবহৃত বাজারের নির্দেশক। ব্যাপক স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প তৈরি করা চিকিৎসা ব্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়াতে পারে।
বিনিয়োগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা।
বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাজার এরই মধ্যেই ১০ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং আগামী বছরগুলোতে এই বাজার প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান। এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালকে ত্বরান্বিত করছে, ওষুধ কোম্পানি ও সরবরাহকারীদের পথ সুগম করছে, দূরবর্তী পর্যবেক্ষণের (টেলিমেডিসিন ইত্যাদি) মাধ্যমে চিকিৎসাপ্রাপ্তি সহজ করছে এবং দেশজুড়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সম্প্রসারণ করছে।
ডিজিটাল অ্যাকসেস সমান্তরালভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে যেখানে বাংলাদেশি পরিবারগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৮ শতাংশ ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। একই সময় ব্যক্তিগত ব্যবহার ৩৭ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত আজ এশিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। উন্নত সেবা পেতে আগ্রহী জনসংখ্যা, বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহদানকারী সরকার এবং চাহিদা ধারাবাহিকভাবে সরবরাহের চেয়ে বেশি হওয়ায়, এটি এক বিশাল সুযোগের মুহূর্ত। বিনিয়োগকারীদের এই বাজারে আগেভাগে প্রবেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ গঠন এবং যুগান্তকারী ব্যবসা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধিতে অনিশ্চয়তায় পড়েছে শিল্প খাত। বিশেষ করে ছোট কারখানাগুলো বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, ব্যাংকঋণের চড়া সুদহার, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই নতুন কারখানার জন্য গ্যাসের মূল্য বাড়ানোটা বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। এতে নতুন উদ্যোক্তারা অস
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত বে টার্মিনাল প্রকল্পে অবশেষে নতুন করে গতি দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন নানা জটিলতা ও বিলম্বের মুখে থাকা এ প্রকল্পের তিনটি প্রধান অবকাঠামোগত অংশকে একত্র করে একটি বড় প্রকল্প হিসেবে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি এখন একনেক সভায়
৩ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংকগুলো করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর খাতে ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত তিন বছরে এই ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০২২ সালে সিএসআর ব্যয় ছিল ১ হাজার ১২৯ কোটি, ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৯২৪ কোটি টাকায়। আর ২০২৪ সালে ব্যয় আরও নেমে এসেছে ৬১৫ কোটি
৪ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) অধিকতর শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বুধবার বেলা ৩টায় পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ১০ প্রতিষ্ঠানের প্রতি
৭ ঘণ্টা আগে