নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছয় মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় বকেয়া পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতিতে রয়েছেন রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকেরা। এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত এই কারখানায় সাত দিন ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
সরকার মজুরি বাড়ানোর পর থেকে বেতন বন্ধ আছে। শ্রমিকেরা বলছেন, বর্ধিত মজুরিতে বকেয়া সব বেতন একসঙ্গে পরিশোধ না করলে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না।
১৯৬১ সালে রাজশাহী রেশম কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এটি বন্ধ করে দেয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে কারখানাটি চালু হলে পুরোনো কিছু দক্ষ শ্রমিক কারখানায় ফেরেন।
ওই শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামেমাত্র মজুরিতে তাঁরা কাজ করে আসছেন। কিন্তু ছয় মাস ধরে বেতন না পেয়ে চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। বাধ্য হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা।
শ্রমিকেরা জানান, কারখানায় উইভার, ডাবলার ও প্রিন্টারসহ বিভিন্ন পদের ৪০ জন শ্রমিক আছেন। এর মধ্যে ১০ জন দক্ষ উইভার কাপড় বোনেন। ২০০২ সালে কারখানা বন্ধ হওয়ার আগেই ২০ থেকে ২৬ বছর ধরে কাজ করছিলেন তাঁরা। প্রতি গজ কাপড় বুননের জন্য তাঁরা ৫০ টাকা পান। দিনে সর্বোচ্চ ৫ গজ কাপড় হয়। ছুটির দিনে কোনো কাজ হয় না। মজুরিও পান না। মাসে মজুরি হয় বড়জোর সাত হাজার টাকা।
অন্য ৩০ জন শ্রমিক কাজ করেন দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে। ছুটির দিনে কারখানা বন্ধ থাকে বলে তাঁরা সেদিন মজুরিও পান না। মাসে বড়জোর সাড়ে ৭ হাজার টাকা পান। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাঁরা মজুরির কোনো টাকা না পেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন।
কারখানার উইভার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছয় মাস ধরে অনেক কষ্টে বেঁচে আছি। পকেটে টাকা নেই, দোকানদার এখন বাকি দেয় না। সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার পথে। বাড়ি ভাড়া দিতে পারছি না। অনেকে চিকিৎসার খরচও জোগাড় করতে পারছেন না। কিছুদিন আগে কারখানার এক শ্রমিকের ছেলে মারা গেল বিনা চিকিৎসায়।’
শ্রমিকেরা আরও জানান, দীর্ঘদিন পর রেশম কারখানা চালু হচ্ছে দেখে কম মজুরিতেই তাঁরা কাজে যোগ দিতে রাজি হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে বিভাগীয় শহর এলাকার দক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ৬০০ টাকা এবং অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিকের মজুরি ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু এই চিঠির কথা তাঁদের জানতেই দেননি রেশম বোর্ডের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শিরোইল এলাকায় রেশম কারখানায় গিয়ে প্রধান ফটকের সামনেই শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
কারখানার শ্রমিক আশরাফ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মজুরি বাড়ানোর চিঠি এলেও সেটা এখানকার কর্মকর্তারা আড়াই বছর ধরে জানতে দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়তি মজুরির টাকা তুলে নিয়েছেন কর্মকর্তারা। ছয় মাস আগে চিঠি সংগ্রহ করে যখন থেকে বাড়তি মজুরি দাবি করছি, তখন থেকে বেতনও বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে কারখানা চালুর পর গত চার বছর রাজস্ব খাত থেকে নিয়মিতই বেতন পরিশোধ করা হয়েছে।’
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রমিকেরা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রধান ফটকের সামনে বসে আন্দোলন করছেন। বকেয়া পরিশোধের দাবিতে থেমে থেমে তাঁরা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। শ্রমিকেরা এভাবে কর্মবিরতিতে থাকার কারণে রেশম কারখানা অচল হয়ে পড়েছে। গত সাত দিনে কারখানায় এক গজ কাপড়ও উৎপাদন হয়নি। কারখানা চালুর পর প্রতিদিন গড়ে ১৬০ গজ রেশম কাপড় উৎপাদন হতো এখানে।
শ্রমিক শিল্পী রহমান বলেন, ‘মজুরি ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৫৫০ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখানকার কর্মকর্তারা সেই বাড়তি টাকা আমাদের দেননি। বাড়তি মজুরি চাওয়ার পর থেকে ছয় মাস এক টাকাও দেওয়া হয়নি। এখন আমরা চলতে পারছি না। টাকা না পেলে আমরা কাজে ফিরব না।’
শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক ও রেশম কারখানার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক কাজী মাসুদ রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে রেশম কারখানার নিজস্ব টাকা থেকে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হতো। পরে মন্ত্রণালয় মজুরি বৃদ্ধির চিঠি দিলেও সেটি আবার মন্ত্রণালয় থেকেই অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে। এই অনুমোদন প্রক্রিয়া আটকে থাকার কারণে শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না।
মজুরি বৃদ্ধির চিঠি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য না করে তিনি বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের পরিচালক (উৎপাদন ও বিপণন) নাছিমা খাতুনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
নাছিমা খাতুনকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে কথা বলতে চাননি। তাই এ বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ছয় মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় বকেয়া পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতিতে রয়েছেন রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকেরা। এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত এই কারখানায় সাত দিন ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
সরকার মজুরি বাড়ানোর পর থেকে বেতন বন্ধ আছে। শ্রমিকেরা বলছেন, বর্ধিত মজুরিতে বকেয়া সব বেতন একসঙ্গে পরিশোধ না করলে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না।
১৯৬১ সালে রাজশাহী রেশম কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এটি বন্ধ করে দেয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে কারখানাটি চালু হলে পুরোনো কিছু দক্ষ শ্রমিক কারখানায় ফেরেন।
ওই শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামেমাত্র মজুরিতে তাঁরা কাজ করে আসছেন। কিন্তু ছয় মাস ধরে বেতন না পেয়ে চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। বাধ্য হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা।
শ্রমিকেরা জানান, কারখানায় উইভার, ডাবলার ও প্রিন্টারসহ বিভিন্ন পদের ৪০ জন শ্রমিক আছেন। এর মধ্যে ১০ জন দক্ষ উইভার কাপড় বোনেন। ২০০২ সালে কারখানা বন্ধ হওয়ার আগেই ২০ থেকে ২৬ বছর ধরে কাজ করছিলেন তাঁরা। প্রতি গজ কাপড় বুননের জন্য তাঁরা ৫০ টাকা পান। দিনে সর্বোচ্চ ৫ গজ কাপড় হয়। ছুটির দিনে কোনো কাজ হয় না। মজুরিও পান না। মাসে মজুরি হয় বড়জোর সাত হাজার টাকা।
অন্য ৩০ জন শ্রমিক কাজ করেন দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে। ছুটির দিনে কারখানা বন্ধ থাকে বলে তাঁরা সেদিন মজুরিও পান না। মাসে বড়জোর সাড়ে ৭ হাজার টাকা পান। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাঁরা মজুরির কোনো টাকা না পেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন।
কারখানার উইভার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছয় মাস ধরে অনেক কষ্টে বেঁচে আছি। পকেটে টাকা নেই, দোকানদার এখন বাকি দেয় না। সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার পথে। বাড়ি ভাড়া দিতে পারছি না। অনেকে চিকিৎসার খরচও জোগাড় করতে পারছেন না। কিছুদিন আগে কারখানার এক শ্রমিকের ছেলে মারা গেল বিনা চিকিৎসায়।’
শ্রমিকেরা আরও জানান, দীর্ঘদিন পর রেশম কারখানা চালু হচ্ছে দেখে কম মজুরিতেই তাঁরা কাজে যোগ দিতে রাজি হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে বিভাগীয় শহর এলাকার দক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ৬০০ টাকা এবং অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিকের মজুরি ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু এই চিঠির কথা তাঁদের জানতেই দেননি রেশম বোর্ডের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শিরোইল এলাকায় রেশম কারখানায় গিয়ে প্রধান ফটকের সামনেই শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
কারখানার শ্রমিক আশরাফ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মজুরি বাড়ানোর চিঠি এলেও সেটা এখানকার কর্মকর্তারা আড়াই বছর ধরে জানতে দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়তি মজুরির টাকা তুলে নিয়েছেন কর্মকর্তারা। ছয় মাস আগে চিঠি সংগ্রহ করে যখন থেকে বাড়তি মজুরি দাবি করছি, তখন থেকে বেতনও বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে কারখানা চালুর পর গত চার বছর রাজস্ব খাত থেকে নিয়মিতই বেতন পরিশোধ করা হয়েছে।’
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রমিকেরা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রধান ফটকের সামনে বসে আন্দোলন করছেন। বকেয়া পরিশোধের দাবিতে থেমে থেমে তাঁরা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। শ্রমিকেরা এভাবে কর্মবিরতিতে থাকার কারণে রেশম কারখানা অচল হয়ে পড়েছে। গত সাত দিনে কারখানায় এক গজ কাপড়ও উৎপাদন হয়নি। কারখানা চালুর পর প্রতিদিন গড়ে ১৬০ গজ রেশম কাপড় উৎপাদন হতো এখানে।
শ্রমিক শিল্পী রহমান বলেন, ‘মজুরি ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৫৫০ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখানকার কর্মকর্তারা সেই বাড়তি টাকা আমাদের দেননি। বাড়তি মজুরি চাওয়ার পর থেকে ছয় মাস এক টাকাও দেওয়া হয়নি। এখন আমরা চলতে পারছি না। টাকা না পেলে আমরা কাজে ফিরব না।’
শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক ও রেশম কারখানার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক কাজী মাসুদ রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে রেশম কারখানার নিজস্ব টাকা থেকে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হতো। পরে মন্ত্রণালয় মজুরি বৃদ্ধির চিঠি দিলেও সেটি আবার মন্ত্রণালয় থেকেই অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে। এই অনুমোদন প্রক্রিয়া আটকে থাকার কারণে শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না।
মজুরি বৃদ্ধির চিঠি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য না করে তিনি বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের পরিচালক (উৎপাদন ও বিপণন) নাছিমা খাতুনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
নাছিমা খাতুনকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে কথা বলতে চাননি। তাই এ বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। সভাপতি বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বিষয়টি পেয়েছি। এরপরই আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য ইউএস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ইউএস কাস্টমস যাতে বিষয়টির বাস্তবায়ন করে, সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা
১৭ মিনিট আগেবাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পাল্টা শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান হওয়ায় এটি ব্যবস্থাপনাযোগ্য বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এখন পাল্টা শুল্কের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে
১৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
১৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে
১ দিন আগে