আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের ৪০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পে বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে। এই ধাক্কা সামলাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পথ খোঁজা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে ধার্য হওয়া শুল্ক কমাতে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ। ট্রাম্প প্রশাসন যে কয়েকটি দেশের ওপর সর্বোচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এই পদক্ষেপ বস্ত্র রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিতে পারে।
টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লুমবার্গকে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘাটতি কমানোর সুযোগগুলো সক্রিয়ভাবে খতিয়ে দেখছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পোশাক ক্রেতা। ফলে এই শিল্পের ওপর আঘাত লাগলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। গত বছর ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নতুন শুল্ক পণ্যভিত্তিক মানদণ্ডের পরিবর্তে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এই পদ্ধতি বাংলাদেশের মতো বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকা অনেক ছোট অর্থনীতির দেশের জন্য অন্যায্য।
শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে পারি, তবে আমেরিকান তুলার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে গত ১৭ মার্চ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। বাংলাদেশ আগেই শুল্কের আওতায় রপ্তানি করলেও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঝুঁকি সব সময় থাকে। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি করি এবং সেই তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি করি, তাহলে তারা আমাদের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে।’
গত ২৭ মার্চ দেশীয় সুতাশিল্পের সুরক্ষায় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ওয়ালমার্ট এবং গ্যাপ ইনকরপোরেটেডের মতো বড় মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক কেনে। আনোয়ার হোসেনের মতে, শুল্ক বৃদ্ধি তাদের ক্রয় কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ তথা বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রপ্তানি দেড় শতাংশ কমে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
মুম্বাইয়ে ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অর্থনীতিবিদ অঙ্কুর শুক্লা মনে করেন, এই শুল্কের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য আইএমএফ নির্ধারিত ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি লিখেছেন, ‘এটি এই দেশগুলোতে তহবিলের ঋণকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, যা প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে।’
তবে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে। পোশাক খাতে দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা (৪৪ শতাংশ) এবং ভিয়েতনামের (৪৬ শতাংশ) তুলনায় বাংলাদেশের শুল্কের হার কম (৩৭ শতাংশ)। এ বিষয়ে অঙ্কুর শুক্লা বলেন, এটি ‘বাংলাদেশকে একটি তুলনামূলক সুবিধা দিতে পারে এবং কিছু বাজারের হিস্যা দখল করতে সাহায্য করতে পারে।’
কর্মকর্তারা বলছেন, পারস্পরিক বাণিজ্য আলোচনার অংশ হিসেবে শুল্ক সমন্বয়ের সুযোগ থাকতে পারে। তবে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বশির উদ্দিনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ‘মেঘ জমেছে’। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আর দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, এটি একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুনামি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের ৪০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পে বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে। এই ধাক্কা সামলাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পথ খোঁজা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে ধার্য হওয়া শুল্ক কমাতে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ। ট্রাম্প প্রশাসন যে কয়েকটি দেশের ওপর সর্বোচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এই পদক্ষেপ বস্ত্র রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিতে পারে।
টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লুমবার্গকে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘাটতি কমানোর সুযোগগুলো সক্রিয়ভাবে খতিয়ে দেখছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পোশাক ক্রেতা। ফলে এই শিল্পের ওপর আঘাত লাগলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। গত বছর ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নতুন শুল্ক পণ্যভিত্তিক মানদণ্ডের পরিবর্তে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এই পদ্ধতি বাংলাদেশের মতো বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকা অনেক ছোট অর্থনীতির দেশের জন্য অন্যায্য।
শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে পারি, তবে আমেরিকান তুলার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে গত ১৭ মার্চ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। বাংলাদেশ আগেই শুল্কের আওতায় রপ্তানি করলেও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঝুঁকি সব সময় থাকে। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি করি এবং সেই তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি করি, তাহলে তারা আমাদের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে।’
গত ২৭ মার্চ দেশীয় সুতাশিল্পের সুরক্ষায় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ওয়ালমার্ট এবং গ্যাপ ইনকরপোরেটেডের মতো বড় মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক কেনে। আনোয়ার হোসেনের মতে, শুল্ক বৃদ্ধি তাদের ক্রয় কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ তথা বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রপ্তানি দেড় শতাংশ কমে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
মুম্বাইয়ে ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অর্থনীতিবিদ অঙ্কুর শুক্লা মনে করেন, এই শুল্কের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য আইএমএফ নির্ধারিত ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি লিখেছেন, ‘এটি এই দেশগুলোতে তহবিলের ঋণকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, যা প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে।’
তবে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে। পোশাক খাতে দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা (৪৪ শতাংশ) এবং ভিয়েতনামের (৪৬ শতাংশ) তুলনায় বাংলাদেশের শুল্কের হার কম (৩৭ শতাংশ)। এ বিষয়ে অঙ্কুর শুক্লা বলেন, এটি ‘বাংলাদেশকে একটি তুলনামূলক সুবিধা দিতে পারে এবং কিছু বাজারের হিস্যা দখল করতে সাহায্য করতে পারে।’
কর্মকর্তারা বলছেন, পারস্পরিক বাণিজ্য আলোচনার অংশ হিসেবে শুল্ক সমন্বয়ের সুযোগ থাকতে পারে। তবে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বশির উদ্দিনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ‘মেঘ জমেছে’। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আর দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, এটি একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুনামি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের ৪০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পে বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে। এই ধাক্কা সামলাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পথ খোঁজা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে ধার্য হওয়া শুল্ক কমাতে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ। ট্রাম্প প্রশাসন যে কয়েকটি দেশের ওপর সর্বোচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এই পদক্ষেপ বস্ত্র রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিতে পারে।
টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লুমবার্গকে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘাটতি কমানোর সুযোগগুলো সক্রিয়ভাবে খতিয়ে দেখছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পোশাক ক্রেতা। ফলে এই শিল্পের ওপর আঘাত লাগলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। গত বছর ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নতুন শুল্ক পণ্যভিত্তিক মানদণ্ডের পরিবর্তে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এই পদ্ধতি বাংলাদেশের মতো বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকা অনেক ছোট অর্থনীতির দেশের জন্য অন্যায্য।
শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে পারি, তবে আমেরিকান তুলার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে গত ১৭ মার্চ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। বাংলাদেশ আগেই শুল্কের আওতায় রপ্তানি করলেও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঝুঁকি সব সময় থাকে। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি করি এবং সেই তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি করি, তাহলে তারা আমাদের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে।’
গত ২৭ মার্চ দেশীয় সুতাশিল্পের সুরক্ষায় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ওয়ালমার্ট এবং গ্যাপ ইনকরপোরেটেডের মতো বড় মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক কেনে। আনোয়ার হোসেনের মতে, শুল্ক বৃদ্ধি তাদের ক্রয় কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ তথা বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রপ্তানি দেড় শতাংশ কমে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
মুম্বাইয়ে ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অর্থনীতিবিদ অঙ্কুর শুক্লা মনে করেন, এই শুল্কের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য আইএমএফ নির্ধারিত ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি লিখেছেন, ‘এটি এই দেশগুলোতে তহবিলের ঋণকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, যা প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে।’
তবে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে। পোশাক খাতে দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা (৪৪ শতাংশ) এবং ভিয়েতনামের (৪৬ শতাংশ) তুলনায় বাংলাদেশের শুল্কের হার কম (৩৭ শতাংশ)। এ বিষয়ে অঙ্কুর শুক্লা বলেন, এটি ‘বাংলাদেশকে একটি তুলনামূলক সুবিধা দিতে পারে এবং কিছু বাজারের হিস্যা দখল করতে সাহায্য করতে পারে।’
কর্মকর্তারা বলছেন, পারস্পরিক বাণিজ্য আলোচনার অংশ হিসেবে শুল্ক সমন্বয়ের সুযোগ থাকতে পারে। তবে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বশির উদ্দিনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ‘মেঘ জমেছে’। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আর দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, এটি একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুনামি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের ৪০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পে বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে। এই ধাক্কা সামলাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পথ খোঁজা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে ধার্য হওয়া শুল্ক কমাতে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ। ট্রাম্প প্রশাসন যে কয়েকটি দেশের ওপর সর্বোচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এই পদক্ষেপ বস্ত্র রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিতে পারে।
টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লুমবার্গকে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘাটতি কমানোর সুযোগগুলো সক্রিয়ভাবে খতিয়ে দেখছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পোশাক ক্রেতা। ফলে এই শিল্পের ওপর আঘাত লাগলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। গত বছর ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নতুন শুল্ক পণ্যভিত্তিক মানদণ্ডের পরিবর্তে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এই পদ্ধতি বাংলাদেশের মতো বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকা অনেক ছোট অর্থনীতির দেশের জন্য অন্যায্য।
শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে পারি, তবে আমেরিকান তুলার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে গত ১৭ মার্চ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। বাংলাদেশ আগেই শুল্কের আওতায় রপ্তানি করলেও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঝুঁকি সব সময় থাকে। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি করি এবং সেই তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি করি, তাহলে তারা আমাদের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে।’
গত ২৭ মার্চ দেশীয় সুতাশিল্পের সুরক্ষায় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ওয়ালমার্ট এবং গ্যাপ ইনকরপোরেটেডের মতো বড় মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক কেনে। আনোয়ার হোসেনের মতে, শুল্ক বৃদ্ধি তাদের ক্রয় কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ তথা বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রপ্তানি দেড় শতাংশ কমে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
মুম্বাইয়ে ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অর্থনীতিবিদ অঙ্কুর শুক্লা মনে করেন, এই শুল্কের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য আইএমএফ নির্ধারিত ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি লিখেছেন, ‘এটি এই দেশগুলোতে তহবিলের ঋণকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, যা প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে।’
তবে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে। পোশাক খাতে দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা (৪৪ শতাংশ) এবং ভিয়েতনামের (৪৬ শতাংশ) তুলনায় বাংলাদেশের শুল্কের হার কম (৩৭ শতাংশ)। এ বিষয়ে অঙ্কুর শুক্লা বলেন, এটি ‘বাংলাদেশকে একটি তুলনামূলক সুবিধা দিতে পারে এবং কিছু বাজারের হিস্যা দখল করতে সাহায্য করতে পারে।’
কর্মকর্তারা বলছেন, পারস্পরিক বাণিজ্য আলোচনার অংশ হিসেবে শুল্ক সমন্বয়ের সুযোগ থাকতে পারে। তবে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বশির উদ্দিনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ‘মেঘ জমেছে’। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আর দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, এটি একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুনামি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ডাচ-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) ও তাদের সহযোগী প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স যৌথভাবে এক গ্রাহকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাদের প্রথম বিমা দাবি হস্তান্তর করেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বিমা দাবি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
১৫ মিনিট আগেজনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী ‘সুইফট আইএসও ২০২২ মাইগ্রেশন: ইন্ট্রোডিউসিং প্যাকস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট (ওবিডি) এ কোর্সের আয়োজন করে। ট্যাগ: ব্যাংক, , ,
২৬ মিনিট আগেচলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ডাচ-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) ও তাদের সহযোগী প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স যৌথভাবে এক গ্রাহকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাদের প্রথম বিমা দাবি হস্তান্তর করেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বিমা দাবি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
মৃত পলিসি হোল্ডারের নমিনির নিকট বিমা দাবির একটি চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিবিবিএল বাংলাদেশে ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে বিমা কভারেজের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছে। চলতি বছরের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ডিবিবিএল মোট ৮ হাজার ৩০৬টি পলিসি বিক্রি করেছে এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসায় বর্তমানে ডিবিবিএলের বাজার অংশীদারত্ব ৪১ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিমা দাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিন; প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আজিমসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সারা দেশে গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের জন্য ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্বার প্রতিফলিত করে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) ও তাদের সহযোগী প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স যৌথভাবে এক গ্রাহকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাদের প্রথম বিমা দাবি হস্তান্তর করেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বিমা দাবি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
মৃত পলিসি হোল্ডারের নমিনির নিকট বিমা দাবির একটি চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিবিবিএল বাংলাদেশে ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে বিমা কভারেজের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছে। চলতি বছরের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ডিবিবিএল মোট ৮ হাজার ৩০৬টি পলিসি বিক্রি করেছে এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসায় বর্তমানে ডিবিবিএলের বাজার অংশীদারত্ব ৪১ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিমা দাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিন; প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আজিমসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সারা দেশে গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের জন্য ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্বার প্রতিফলিত করে।
শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো।
০৫ এপ্রিল ২০২৫জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী ‘সুইফট আইএসও ২০২২ মাইগ্রেশন: ইন্ট্রোডিউসিং প্যাকস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট (ওবিডি) এ কোর্সের আয়োজন করে। ট্যাগ: ব্যাংক, , ,
২৬ মিনিট আগেচলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজে গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী ‘সুইফট আইএসও ২০২২ মাইগ্রেশন: ইন্ট্রোডিউসিং প্যাকস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট (ওবিডি) এ কোর্সের আয়োজন করে।ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মজিবর রহমান এ কোর্সের উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ২৫ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশনের (ওবিডি) জিএম মোহাম্মদ আনিস, ওবিডি ডিজিএম এম এম আজাদ ফারুক, জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের অধ্যক্ষ ইনচার্জ আহমাদ মুখলেসুর রহমানসহ অন্য নির্বাহী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজে গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী ‘সুইফট আইএসও ২০২২ মাইগ্রেশন: ইন্ট্রোডিউসিং প্যাকস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট (ওবিডি) এ কোর্সের আয়োজন করে।ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মজিবর রহমান এ কোর্সের উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ২৫ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশনের (ওবিডি) জিএম মোহাম্মদ আনিস, ওবিডি ডিজিএম এম এম আজাদ ফারুক, জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের অধ্যক্ষ ইনচার্জ আহমাদ মুখলেসুর রহমানসহ অন্য নির্বাহী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো।
০৫ এপ্রিল ২০২৫ডাচ-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) ও তাদের সহযোগী প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স যৌথভাবে এক গ্রাহকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাদের প্রথম বিমা দাবি হস্তান্তর করেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বিমা দাবি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
১৫ মিনিট আগেচলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত চীন ও জার্মানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৯০.৭ বিলিয়ন ডলার)। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৬২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো।
ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালে চীনের আট বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে জার্মানির শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এনে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চেয়েছিল বার্লিন। তবে চলতি বছর ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আরোপিত শুল্কের জেরে আগের বছরের বাণিজ্যিক গতি কমে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি কমেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৯৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি কমেছে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এই পতনের গতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বিজিএ ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডর্ক জান্দুরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও নতুন বাণিজ্য নীতি রপ্তানি কমার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি জানান, এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি, যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিকের মতো জনপ্রিয় জার্মান পণ্যের চাহিদা কমেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির গ্লোবাল হেড অব ম্যাক্রো কার্স্টেন ব্রেজেস্কি বলেন, ট্রাম্পের চলমান শুল্ক হুমকি এবং ইউরোর শক্তিশালী অবস্থানের কারণে অদূর ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনেও জার্মান রপ্তানি কমেছে। ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে চীনে জার্মান রপ্তানি ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৫৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে, চীন থেকে জার্মানিতে আমদানি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১০৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
ব্রেজেস্কি সতর্ক করে বলেন, চীন থেকে আমদানির এই নতুন উত্থান উদ্বেগজনক। কারণ, এই আমদানি পণ্যগুলোর বেশির ভাগই ডাম্পিং মূল্যে আসছে। তিনি আরও বলেন, এটি কেবল চীনের ওপর জার্মানির নির্ভরতা বাড়াবে না, বরং জার্মানির মূল শিল্পগুলোতে চাপ বাড়াবে। প্রকৃতপক্ষে চীন জার্মান শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।
ইউরোপীয় বেসরকারি ব্যাংক বেরেনবার্গের অর্থনীতিবিদ স্যালোমন ফিডলার বলেন, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক গতিশীলতার অভাবে বৈশ্বিক বাজারের যেকোনো পরিবর্তন এখন জার্মানিতে অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত চীন ও জার্মানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৯০.৭ বিলিয়ন ডলার)। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৬২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো।
ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালে চীনের আট বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে জার্মানির শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এনে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চেয়েছিল বার্লিন। তবে চলতি বছর ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আরোপিত শুল্কের জেরে আগের বছরের বাণিজ্যিক গতি কমে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি কমেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৯৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি কমেছে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এই পতনের গতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বিজিএ ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডর্ক জান্দুরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও নতুন বাণিজ্য নীতি রপ্তানি কমার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি জানান, এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি, যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিকের মতো জনপ্রিয় জার্মান পণ্যের চাহিদা কমেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির গ্লোবাল হেড অব ম্যাক্রো কার্স্টেন ব্রেজেস্কি বলেন, ট্রাম্পের চলমান শুল্ক হুমকি এবং ইউরোর শক্তিশালী অবস্থানের কারণে অদূর ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনেও জার্মান রপ্তানি কমেছে। ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে চীনে জার্মান রপ্তানি ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৫৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে, চীন থেকে জার্মানিতে আমদানি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১০৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
ব্রেজেস্কি সতর্ক করে বলেন, চীন থেকে আমদানির এই নতুন উত্থান উদ্বেগজনক। কারণ, এই আমদানি পণ্যগুলোর বেশির ভাগই ডাম্পিং মূল্যে আসছে। তিনি আরও বলেন, এটি কেবল চীনের ওপর জার্মানির নির্ভরতা বাড়াবে না, বরং জার্মানির মূল শিল্পগুলোতে চাপ বাড়াবে। প্রকৃতপক্ষে চীন জার্মান শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।
ইউরোপীয় বেসরকারি ব্যাংক বেরেনবার্গের অর্থনীতিবিদ স্যালোমন ফিডলার বলেন, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক গতিশীলতার অভাবে বৈশ্বিক বাজারের যেকোনো পরিবর্তন এখন জার্মানিতে অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো।
০৫ এপ্রিল ২০২৫ডাচ-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) ও তাদের সহযোগী প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স যৌথভাবে এক গ্রাহকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাদের প্রথম বিমা দাবি হস্তান্তর করেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বিমা দাবি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
১৫ মিনিট আগেজনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী ‘সুইফট আইএসও ২০২২ মাইগ্রেশন: ইন্ট্রোডিউসিং প্যাকস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট (ওবিডি) এ কোর্সের আয়োজন করে। ট্যাগ: ব্যাংক, , ,
২৬ মিনিট আগেপ্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি আজ বুধবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আরেকটি হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপকরণ সংগ্রহ।
চলতি বছরের ৩৪তম অর্থনৈতিকবিষয়ক কমিটির সভায় এসব সুপারিশ করা হয়। আজ অনুষ্ঠিত এ সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়।
কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করার পর নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় প্রস্তাবটি আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এটি ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ প্রকল্পের আওতায়।
প্রস্তাব অনুযায়ী ১ কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ৫০ লাখ কাঁচামাল বইয়ে রূপান্তর করা যাবে। এ ছাড়া ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বই ও সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্যাকেজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে।
বিস্তারিত আলোচনার পর কমিটি প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। কমিটি উল্লেখ করে, ই-পাসপোর্ট বিতরণ অব্যাহত রাখা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই প্রকল্প কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি আজ বুধবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আরেকটি হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপকরণ সংগ্রহ।
চলতি বছরের ৩৪তম অর্থনৈতিকবিষয়ক কমিটির সভায় এসব সুপারিশ করা হয়। আজ অনুষ্ঠিত এ সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়।
কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করার পর নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় প্রস্তাবটি আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এটি ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ প্রকল্পের আওতায়।
প্রস্তাব অনুযায়ী ১ কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ৫০ লাখ কাঁচামাল বইয়ে রূপান্তর করা যাবে। এ ছাড়া ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বই ও সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্যাকেজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে।
বিস্তারিত আলোচনার পর কমিটি প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। কমিটি উল্লেখ করে, ই-পাসপোর্ট বিতরণ অব্যাহত রাখা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই প্রকল্প কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন করতে বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ মূল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো।
০৫ এপ্রিল ২০২৫ডাচ-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) ও তাদের সহযোগী প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স যৌথভাবে এক গ্রাহকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাদের প্রথম বিমা দাবি হস্তান্তর করেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বিমা দাবি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
১৫ মিনিট আগেজনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী ‘সুইফট আইএসও ২০২২ মাইগ্রেশন: ইন্ট্রোডিউসিং প্যাকস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট (ওবিডি) এ কোর্সের আয়োজন করে। ট্যাগ: ব্যাংক, , ,
২৬ মিনিট আগেচলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে