
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী মাল্টিমোড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিন্টু বর্তমানে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক রোকন উদ্দীন।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: বর্তমানে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি আপনার দৃষ্টিতে কেমন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।
দ্বিতীয়ত, আর্থিক খাতের যে সমস্যা, তাকে আমি ঠিক বিশৃঙ্খলা বলব না। তবে আর্থিক খাতের এখনকার পরিবেশ বিনিয়োগের জন্য ভালো নয়।
তৃতীয়ত, আমি বলব বিনিয়োগের সমস্যার কথা। যে হারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে, সে হারে মজুরি বাড়ছে না। এতে সঞ্চয় কমে যাচ্ছে। সঞ্চয় যদি কমে যায়, তবে বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে? এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের কিছু ভুলনীতি। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। এতে বিনিয়োগ বা কাঁচামাল কেনার জন্য যে এলসি খোলা দরকার, তা-ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এগুলোকে একত্র করে দেখলে বলা যায়, দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ হচ্ছে না; অতএব কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, অর্থনীতি যে দিকে যাওয়া দরকার, সে দিকে যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: এই অবস্থার জন্য দায়ী কে এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই প্রশ্ন আরও পরে করতে হবে। কারণ সমস্যা আরও আছে। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, ঠিক রাজনীতি না থাকে কিংবা ধরুন যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা অনিশ্চয়তা থাকে, তবে অর্থনীতির এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সহজ কোনো রাস্তা নেই।
আগে যাঁরা দেশ চালিয়েছেন, তাঁরা কী করেছেন তা তো সবাই জানেন। কিন্তু বর্তমানে যাঁরা দেশ চালাচ্ছেন, তাঁরা তো রাজনীতিক না। অতএব রাজনীতিকরা যেভাবে মানুষের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন, তাঁরা সেভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন না। কিংবা চেষ্টা করলেও পুরোপুরি সেভাবে বুঝবেন না।
অতএব উত্তরণের একটাই উপায়; সেটা হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এটা সম্ভব হবে, দেশে যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। পালিয়ে যাওয়া সরকারের মতো নয়।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের গত ছয় মাসের সিদ্ধান্তগুলো ব্যবসার জন্য কতটা সহায়ক বা ক্ষতিকর?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমি দেখিনি। আবার যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে, সেগুলোও যে ইচ্ছাকৃত ক্ষতি করার জন্য নিয়েছে, সেটাও নয়। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার বলেছিল টাকা ছাপাবে না। কিন্তু সবাই তো বলে, তারা টাকা ছাপিয়েছে। আমার প্রশ্ন, দেশের জিডিপির আকার অনুসারে ঠিক কতটুকু মুদ্রা দরকার, তা কি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে কেউ? মুদ্রানীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের কাছে ব্যাখ্যা দেন যে আমাদের কত মুদ্রার সরবরাহ দরকার। মুদ্রা অনেক সময় দেশের বাইরেও চলে যায়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ছাপানো মুদ্রার ২০-২২ শতাংশ অভ্যন্তরে থাকে। বাকিটা বাইরে চলে যায়। আমাদের তো এত যাবে না।
সংকুচিত মুদ্রানীতির জন্য আমাদের সুদের হার বেড়েছে, যা ব্যবসার জন্য বড় বাধা। যে দেশে পাট, চামড়া ও লবণ ছাড়া বাকি শিল্পের কাঁচামাল এবং সব খাদ্যপণ্য আমদানি করে চলতে হয়, সে দেশে শুধু সংকুচিত মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইলে হিতে বিপরীত হবে। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি খরচ বেড়েছে। আবার বাড়তি খরচের ওপর বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। অতএব সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বা অস্থিরতা কমার কোনো আভাস বা উদ্যোগ দেখছেন কি না?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা আলাদা করে দেখলে আমি বলব দুটোই পুরোপুরি বিদ্যমান। গত কয়েক দিনে দেখেছেন রাতভর ছেলেরা মারামারি করেছে। তার আগে ছিল বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের গণ্ডগোল। এখনো বহু কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। ছাত্রদের অসন্তোষ রয়েছে। আর সাধারণ মানুষের অসন্তোষ হলো তারা যে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য; সেটা এখনো পাওয়া যায়নি।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা দুটোই সমানভাবে রয়েছে। যেখানে সেখানে রাতে-দিনে চুরি ডাকাতি ছিনতাই হচ্ছে, খুন হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায়িক নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বলবেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: দেশের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গত দশ-পনেরো বছরই দলীয় লেজুড়বৃত্তি চালিয়ে গেছে। ওই সময়টাতে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোনো কথা হয়নি। সে হিসেবে এখন কিছু কিছু হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকার জোর দিয়ে সংস্কারের কথা বলছে। আপনি বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: সংস্কারের নানা ধরন আছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বুঝতে হবে, তারা কতটুকু সংস্কারের সামর্থ্য বা অধিকার রাখে। সবকিছু সংস্কার করতে হলে জনপ্রতিনিধি হয়ে আসতে হবে। আপনি সংবিধান সংস্কার করছেন, সবকিছু বাদ দিয়ে দেবেন, এই অধিকার আপনাকে কে দিল? এই ক্ষমতা কোত্থেকে এল? আর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করাই যায়। আপনি দুদক সংস্কার করেন, জুডিশিয়াল সংস্কার করেন, ছাত্ররাজনীতির সংস্কার করেন। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাচ্ছি সরকার আগে বলুক, ঠিক কী কী সংস্কার করবে। যেগুলো সম্ভব, সেগুলো তাড়াতাড়ি করে ফেলুক; আর দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিক।
আজকের পত্রিকা: আপনিতো লাল তীর সিড কোম্পানির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতেও যুক্ত হয়েছেন। এই খাত নিয়ে কিছু বলুন—
আবদুল আউয়াল মিন্টু: কৃষির সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান দুটোই যুক্ত। দেশের জিডিপিতে অবদান ও কর্মসংস্থান কমছে কৃষি খাত থেকে। অথচ এ খাতে এই সরকারের কোনো সংস্কার দেখছি না। যে খাত থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সম্ভব, সে খাতে নজর দেওয়া দরকার।
আজকের পত্রিকা: আপনি অর্থনীতির যে সার্বিক চিত্রের কথা বললেন; তাতে ২০২৬ সালে আমাদের কি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ করা উচিত হবে?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: অচিরেই এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে সমস্যা তো অবশ্যই হবে। কারণ কম সুদহারে ঋণ নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, উচ্চ শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করতে হবে। আগের সরকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তরণের পথে হেঁটেছে। উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবির সঙ্গে আমি একমত।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিজের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: আমার বয়স ৭৫ পার হয়ে গেছে। এখন আর কী বিশেষ পরিকল্পনা থাকতে পারে! তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে কয়েকটি নতুন শাখার কাজে হাত দিয়েছি। একটা হলো গাভি ও ষাঁড়ের জাত উন্নয়ন। আর একটা হলো খাগড়াছড়িতে কফি উৎপাদন। ইতিমধ্যে ৩৫ একর জমিতে কফির চাষ করা হয়েছে। পাহাড়ের কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে এটা করছি। আর রাজনৈতিক অবস্থান আগে যা ছিল, এখনো তা-ই আছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই থাকব। কোথাও নির্বাচন করার পরিকল্পনা আমার নেই। তারপরও বাকিটা আল্লাহ জানেন। দেখা যাক, পরিবেশ পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যায়।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি আপনার দৃষ্টিতে কেমন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।
দ্বিতীয়ত, আর্থিক খাতের যে সমস্যা, তাকে আমি ঠিক বিশৃঙ্খলা বলব না। তবে আর্থিক খাতের এখনকার পরিবেশ বিনিয়োগের জন্য ভালো নয়।
তৃতীয়ত, আমি বলব বিনিয়োগের সমস্যার কথা। যে হারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে, সে হারে মজুরি বাড়ছে না। এতে সঞ্চয় কমে যাচ্ছে। সঞ্চয় যদি কমে যায়, তবে বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে? এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের কিছু ভুলনীতি। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। এতে বিনিয়োগ বা কাঁচামাল কেনার জন্য যে এলসি খোলা দরকার, তা-ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এগুলোকে একত্র করে দেখলে বলা যায়, দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ হচ্ছে না; অতএব কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, অর্থনীতি যে দিকে যাওয়া দরকার, সে দিকে যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: এই অবস্থার জন্য দায়ী কে এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই প্রশ্ন আরও পরে করতে হবে। কারণ সমস্যা আরও আছে। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, ঠিক রাজনীতি না থাকে কিংবা ধরুন যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা অনিশ্চয়তা থাকে, তবে অর্থনীতির এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সহজ কোনো রাস্তা নেই।
আগে যাঁরা দেশ চালিয়েছেন, তাঁরা কী করেছেন তা তো সবাই জানেন। কিন্তু বর্তমানে যাঁরা দেশ চালাচ্ছেন, তাঁরা তো রাজনীতিক না। অতএব রাজনীতিকরা যেভাবে মানুষের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন, তাঁরা সেভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন না। কিংবা চেষ্টা করলেও পুরোপুরি সেভাবে বুঝবেন না।
অতএব উত্তরণের একটাই উপায়; সেটা হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এটা সম্ভব হবে, দেশে যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। পালিয়ে যাওয়া সরকারের মতো নয়।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের গত ছয় মাসের সিদ্ধান্তগুলো ব্যবসার জন্য কতটা সহায়ক বা ক্ষতিকর?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমি দেখিনি। আবার যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে, সেগুলোও যে ইচ্ছাকৃত ক্ষতি করার জন্য নিয়েছে, সেটাও নয়। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার বলেছিল টাকা ছাপাবে না। কিন্তু সবাই তো বলে, তারা টাকা ছাপিয়েছে। আমার প্রশ্ন, দেশের জিডিপির আকার অনুসারে ঠিক কতটুকু মুদ্রা দরকার, তা কি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে কেউ? মুদ্রানীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের কাছে ব্যাখ্যা দেন যে আমাদের কত মুদ্রার সরবরাহ দরকার। মুদ্রা অনেক সময় দেশের বাইরেও চলে যায়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ছাপানো মুদ্রার ২০-২২ শতাংশ অভ্যন্তরে থাকে। বাকিটা বাইরে চলে যায়। আমাদের তো এত যাবে না।
সংকুচিত মুদ্রানীতির জন্য আমাদের সুদের হার বেড়েছে, যা ব্যবসার জন্য বড় বাধা। যে দেশে পাট, চামড়া ও লবণ ছাড়া বাকি শিল্পের কাঁচামাল এবং সব খাদ্যপণ্য আমদানি করে চলতে হয়, সে দেশে শুধু সংকুচিত মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইলে হিতে বিপরীত হবে। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি খরচ বেড়েছে। আবার বাড়তি খরচের ওপর বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। অতএব সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বা অস্থিরতা কমার কোনো আভাস বা উদ্যোগ দেখছেন কি না?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা আলাদা করে দেখলে আমি বলব দুটোই পুরোপুরি বিদ্যমান। গত কয়েক দিনে দেখেছেন রাতভর ছেলেরা মারামারি করেছে। তার আগে ছিল বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের গণ্ডগোল। এখনো বহু কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। ছাত্রদের অসন্তোষ রয়েছে। আর সাধারণ মানুষের অসন্তোষ হলো তারা যে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য; সেটা এখনো পাওয়া যায়নি।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা দুটোই সমানভাবে রয়েছে। যেখানে সেখানে রাতে-দিনে চুরি ডাকাতি ছিনতাই হচ্ছে, খুন হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায়িক নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বলবেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: দেশের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গত দশ-পনেরো বছরই দলীয় লেজুড়বৃত্তি চালিয়ে গেছে। ওই সময়টাতে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোনো কথা হয়নি। সে হিসেবে এখন কিছু কিছু হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকার জোর দিয়ে সংস্কারের কথা বলছে। আপনি বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: সংস্কারের নানা ধরন আছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বুঝতে হবে, তারা কতটুকু সংস্কারের সামর্থ্য বা অধিকার রাখে। সবকিছু সংস্কার করতে হলে জনপ্রতিনিধি হয়ে আসতে হবে। আপনি সংবিধান সংস্কার করছেন, সবকিছু বাদ দিয়ে দেবেন, এই অধিকার আপনাকে কে দিল? এই ক্ষমতা কোত্থেকে এল? আর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করাই যায়। আপনি দুদক সংস্কার করেন, জুডিশিয়াল সংস্কার করেন, ছাত্ররাজনীতির সংস্কার করেন। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাচ্ছি সরকার আগে বলুক, ঠিক কী কী সংস্কার করবে। যেগুলো সম্ভব, সেগুলো তাড়াতাড়ি করে ফেলুক; আর দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিক।
আজকের পত্রিকা: আপনিতো লাল তীর সিড কোম্পানির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতেও যুক্ত হয়েছেন। এই খাত নিয়ে কিছু বলুন—
আবদুল আউয়াল মিন্টু: কৃষির সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান দুটোই যুক্ত। দেশের জিডিপিতে অবদান ও কর্মসংস্থান কমছে কৃষি খাত থেকে। অথচ এ খাতে এই সরকারের কোনো সংস্কার দেখছি না। যে খাত থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সম্ভব, সে খাতে নজর দেওয়া দরকার।
আজকের পত্রিকা: আপনি অর্থনীতির যে সার্বিক চিত্রের কথা বললেন; তাতে ২০২৬ সালে আমাদের কি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ করা উচিত হবে?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: অচিরেই এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে সমস্যা তো অবশ্যই হবে। কারণ কম সুদহারে ঋণ নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, উচ্চ শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করতে হবে। আগের সরকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তরণের পথে হেঁটেছে। উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবির সঙ্গে আমি একমত।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিজের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: আমার বয়স ৭৫ পার হয়ে গেছে। এখন আর কী বিশেষ পরিকল্পনা থাকতে পারে! তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে কয়েকটি নতুন শাখার কাজে হাত দিয়েছি। একটা হলো গাভি ও ষাঁড়ের জাত উন্নয়ন। আর একটা হলো খাগড়াছড়িতে কফি উৎপাদন। ইতিমধ্যে ৩৫ একর জমিতে কফির চাষ করা হয়েছে। পাহাড়ের কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে এটা করছি। আর রাজনৈতিক অবস্থান আগে যা ছিল, এখনো তা-ই আছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই থাকব। কোথাও নির্বাচন করার পরিকল্পনা আমার নেই। তারপরও বাকিটা আল্লাহ জানেন। দেখা যাক, পরিবেশ পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যায়।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী মাল্টিমোড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিন্টু বর্তমানে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক রোকন উদ্দীন।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: বর্তমানে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি আপনার দৃষ্টিতে কেমন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।
দ্বিতীয়ত, আর্থিক খাতের যে সমস্যা, তাকে আমি ঠিক বিশৃঙ্খলা বলব না। তবে আর্থিক খাতের এখনকার পরিবেশ বিনিয়োগের জন্য ভালো নয়।
তৃতীয়ত, আমি বলব বিনিয়োগের সমস্যার কথা। যে হারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে, সে হারে মজুরি বাড়ছে না। এতে সঞ্চয় কমে যাচ্ছে। সঞ্চয় যদি কমে যায়, তবে বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে? এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের কিছু ভুলনীতি। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। এতে বিনিয়োগ বা কাঁচামাল কেনার জন্য যে এলসি খোলা দরকার, তা-ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এগুলোকে একত্র করে দেখলে বলা যায়, দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ হচ্ছে না; অতএব কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, অর্থনীতি যে দিকে যাওয়া দরকার, সে দিকে যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: এই অবস্থার জন্য দায়ী কে এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই প্রশ্ন আরও পরে করতে হবে। কারণ সমস্যা আরও আছে। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, ঠিক রাজনীতি না থাকে কিংবা ধরুন যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা অনিশ্চয়তা থাকে, তবে অর্থনীতির এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সহজ কোনো রাস্তা নেই।
আগে যাঁরা দেশ চালিয়েছেন, তাঁরা কী করেছেন তা তো সবাই জানেন। কিন্তু বর্তমানে যাঁরা দেশ চালাচ্ছেন, তাঁরা তো রাজনীতিক না। অতএব রাজনীতিকরা যেভাবে মানুষের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন, তাঁরা সেভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন না। কিংবা চেষ্টা করলেও পুরোপুরি সেভাবে বুঝবেন না।
অতএব উত্তরণের একটাই উপায়; সেটা হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এটা সম্ভব হবে, দেশে যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। পালিয়ে যাওয়া সরকারের মতো নয়।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের গত ছয় মাসের সিদ্ধান্তগুলো ব্যবসার জন্য কতটা সহায়ক বা ক্ষতিকর?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমি দেখিনি। আবার যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে, সেগুলোও যে ইচ্ছাকৃত ক্ষতি করার জন্য নিয়েছে, সেটাও নয়। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার বলেছিল টাকা ছাপাবে না। কিন্তু সবাই তো বলে, তারা টাকা ছাপিয়েছে। আমার প্রশ্ন, দেশের জিডিপির আকার অনুসারে ঠিক কতটুকু মুদ্রা দরকার, তা কি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে কেউ? মুদ্রানীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের কাছে ব্যাখ্যা দেন যে আমাদের কত মুদ্রার সরবরাহ দরকার। মুদ্রা অনেক সময় দেশের বাইরেও চলে যায়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ছাপানো মুদ্রার ২০-২২ শতাংশ অভ্যন্তরে থাকে। বাকিটা বাইরে চলে যায়। আমাদের তো এত যাবে না।
সংকুচিত মুদ্রানীতির জন্য আমাদের সুদের হার বেড়েছে, যা ব্যবসার জন্য বড় বাধা। যে দেশে পাট, চামড়া ও লবণ ছাড়া বাকি শিল্পের কাঁচামাল এবং সব খাদ্যপণ্য আমদানি করে চলতে হয়, সে দেশে শুধু সংকুচিত মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইলে হিতে বিপরীত হবে। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি খরচ বেড়েছে। আবার বাড়তি খরচের ওপর বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। অতএব সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বা অস্থিরতা কমার কোনো আভাস বা উদ্যোগ দেখছেন কি না?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা আলাদা করে দেখলে আমি বলব দুটোই পুরোপুরি বিদ্যমান। গত কয়েক দিনে দেখেছেন রাতভর ছেলেরা মারামারি করেছে। তার আগে ছিল বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের গণ্ডগোল। এখনো বহু কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। ছাত্রদের অসন্তোষ রয়েছে। আর সাধারণ মানুষের অসন্তোষ হলো তারা যে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য; সেটা এখনো পাওয়া যায়নি।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা দুটোই সমানভাবে রয়েছে। যেখানে সেখানে রাতে-দিনে চুরি ডাকাতি ছিনতাই হচ্ছে, খুন হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায়িক নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বলবেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: দেশের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গত দশ-পনেরো বছরই দলীয় লেজুড়বৃত্তি চালিয়ে গেছে। ওই সময়টাতে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোনো কথা হয়নি। সে হিসেবে এখন কিছু কিছু হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকার জোর দিয়ে সংস্কারের কথা বলছে। আপনি বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: সংস্কারের নানা ধরন আছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বুঝতে হবে, তারা কতটুকু সংস্কারের সামর্থ্য বা অধিকার রাখে। সবকিছু সংস্কার করতে হলে জনপ্রতিনিধি হয়ে আসতে হবে। আপনি সংবিধান সংস্কার করছেন, সবকিছু বাদ দিয়ে দেবেন, এই অধিকার আপনাকে কে দিল? এই ক্ষমতা কোত্থেকে এল? আর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করাই যায়। আপনি দুদক সংস্কার করেন, জুডিশিয়াল সংস্কার করেন, ছাত্ররাজনীতির সংস্কার করেন। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাচ্ছি সরকার আগে বলুক, ঠিক কী কী সংস্কার করবে। যেগুলো সম্ভব, সেগুলো তাড়াতাড়ি করে ফেলুক; আর দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিক।
আজকের পত্রিকা: আপনিতো লাল তীর সিড কোম্পানির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতেও যুক্ত হয়েছেন। এই খাত নিয়ে কিছু বলুন—
আবদুল আউয়াল মিন্টু: কৃষির সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান দুটোই যুক্ত। দেশের জিডিপিতে অবদান ও কর্মসংস্থান কমছে কৃষি খাত থেকে। অথচ এ খাতে এই সরকারের কোনো সংস্কার দেখছি না। যে খাত থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সম্ভব, সে খাতে নজর দেওয়া দরকার।
আজকের পত্রিকা: আপনি অর্থনীতির যে সার্বিক চিত্রের কথা বললেন; তাতে ২০২৬ সালে আমাদের কি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ করা উচিত হবে?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: অচিরেই এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে সমস্যা তো অবশ্যই হবে। কারণ কম সুদহারে ঋণ নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, উচ্চ শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করতে হবে। আগের সরকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তরণের পথে হেঁটেছে। উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবির সঙ্গে আমি একমত।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিজের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: আমার বয়স ৭৫ পার হয়ে গেছে। এখন আর কী বিশেষ পরিকল্পনা থাকতে পারে! তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে কয়েকটি নতুন শাখার কাজে হাত দিয়েছি। একটা হলো গাভি ও ষাঁড়ের জাত উন্নয়ন। আর একটা হলো খাগড়াছড়িতে কফি উৎপাদন। ইতিমধ্যে ৩৫ একর জমিতে কফির চাষ করা হয়েছে। পাহাড়ের কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে এটা করছি। আর রাজনৈতিক অবস্থান আগে যা ছিল, এখনো তা-ই আছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই থাকব। কোথাও নির্বাচন করার পরিকল্পনা আমার নেই। তারপরও বাকিটা আল্লাহ জানেন। দেখা যাক, পরিবেশ পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যায়।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি আপনার দৃষ্টিতে কেমন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।
দ্বিতীয়ত, আর্থিক খাতের যে সমস্যা, তাকে আমি ঠিক বিশৃঙ্খলা বলব না। তবে আর্থিক খাতের এখনকার পরিবেশ বিনিয়োগের জন্য ভালো নয়।
তৃতীয়ত, আমি বলব বিনিয়োগের সমস্যার কথা। যে হারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে, সে হারে মজুরি বাড়ছে না। এতে সঞ্চয় কমে যাচ্ছে। সঞ্চয় যদি কমে যায়, তবে বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে? এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের কিছু ভুলনীতি। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। এতে বিনিয়োগ বা কাঁচামাল কেনার জন্য যে এলসি খোলা দরকার, তা-ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এগুলোকে একত্র করে দেখলে বলা যায়, দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ হচ্ছে না; অতএব কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, অর্থনীতি যে দিকে যাওয়া দরকার, সে দিকে যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: এই অবস্থার জন্য দায়ী কে এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: এই প্রশ্ন আরও পরে করতে হবে। কারণ সমস্যা আরও আছে। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, ঠিক রাজনীতি না থাকে কিংবা ধরুন যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা অনিশ্চয়তা থাকে, তবে অর্থনীতির এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সহজ কোনো রাস্তা নেই।
আগে যাঁরা দেশ চালিয়েছেন, তাঁরা কী করেছেন তা তো সবাই জানেন। কিন্তু বর্তমানে যাঁরা দেশ চালাচ্ছেন, তাঁরা তো রাজনীতিক না। অতএব রাজনীতিকরা যেভাবে মানুষের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন, তাঁরা সেভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন না। কিংবা চেষ্টা করলেও পুরোপুরি সেভাবে বুঝবেন না।
অতএব উত্তরণের একটাই উপায়; সেটা হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এটা সম্ভব হবে, দেশে যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। পালিয়ে যাওয়া সরকারের মতো নয়।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকারের গত ছয় মাসের সিদ্ধান্তগুলো ব্যবসার জন্য কতটা সহায়ক বা ক্ষতিকর?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমি দেখিনি। আবার যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে, সেগুলোও যে ইচ্ছাকৃত ক্ষতি করার জন্য নিয়েছে, সেটাও নয়। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার বলেছিল টাকা ছাপাবে না। কিন্তু সবাই তো বলে, তারা টাকা ছাপিয়েছে। আমার প্রশ্ন, দেশের জিডিপির আকার অনুসারে ঠিক কতটুকু মুদ্রা দরকার, তা কি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে কেউ? মুদ্রানীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের কাছে ব্যাখ্যা দেন যে আমাদের কত মুদ্রার সরবরাহ দরকার। মুদ্রা অনেক সময় দেশের বাইরেও চলে যায়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ছাপানো মুদ্রার ২০-২২ শতাংশ অভ্যন্তরে থাকে। বাকিটা বাইরে চলে যায়। আমাদের তো এত যাবে না।
সংকুচিত মুদ্রানীতির জন্য আমাদের সুদের হার বেড়েছে, যা ব্যবসার জন্য বড় বাধা। যে দেশে পাট, চামড়া ও লবণ ছাড়া বাকি শিল্পের কাঁচামাল এবং সব খাদ্যপণ্য আমদানি করে চলতে হয়, সে দেশে শুধু সংকুচিত মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইলে হিতে বিপরীত হবে। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি খরচ বেড়েছে। আবার বাড়তি খরচের ওপর বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। অতএব সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বা অস্থিরতা কমার কোনো আভাস বা উদ্যোগ দেখছেন কি না?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা আলাদা করে দেখলে আমি বলব দুটোই পুরোপুরি বিদ্যমান। গত কয়েক দিনে দেখেছেন রাতভর ছেলেরা মারামারি করেছে। তার আগে ছিল বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের গণ্ডগোল। এখনো বহু কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। ছাত্রদের অসন্তোষ রয়েছে। আর সাধারণ মানুষের অসন্তোষ হলো তারা যে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য; সেটা এখনো পাওয়া যায়নি।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা দুটোই সমানভাবে রয়েছে। যেখানে সেখানে রাতে-দিনে চুরি ডাকাতি ছিনতাই হচ্ছে, খুন হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায়িক নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বলবেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: দেশের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গত দশ-পনেরো বছরই দলীয় লেজুড়বৃত্তি চালিয়ে গেছে। ওই সময়টাতে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোনো কথা হয়নি। সে হিসেবে এখন কিছু কিছু হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকার জোর দিয়ে সংস্কারের কথা বলছে। আপনি বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: সংস্কারের নানা ধরন আছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বুঝতে হবে, তারা কতটুকু সংস্কারের সামর্থ্য বা অধিকার রাখে। সবকিছু সংস্কার করতে হলে জনপ্রতিনিধি হয়ে আসতে হবে। আপনি সংবিধান সংস্কার করছেন, সবকিছু বাদ দিয়ে দেবেন, এই অধিকার আপনাকে কে দিল? এই ক্ষমতা কোত্থেকে এল? আর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করাই যায়। আপনি দুদক সংস্কার করেন, জুডিশিয়াল সংস্কার করেন, ছাত্ররাজনীতির সংস্কার করেন। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাচ্ছি সরকার আগে বলুক, ঠিক কী কী সংস্কার করবে। যেগুলো সম্ভব, সেগুলো তাড়াতাড়ি করে ফেলুক; আর দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিক।
আজকের পত্রিকা: আপনিতো লাল তীর সিড কোম্পানির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতেও যুক্ত হয়েছেন। এই খাত নিয়ে কিছু বলুন—
আবদুল আউয়াল মিন্টু: কৃষির সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান দুটোই যুক্ত। দেশের জিডিপিতে অবদান ও কর্মসংস্থান কমছে কৃষি খাত থেকে। অথচ এ খাতে এই সরকারের কোনো সংস্কার দেখছি না। যে খাত থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সম্ভব, সে খাতে নজর দেওয়া দরকার।
আজকের পত্রিকা: আপনি অর্থনীতির যে সার্বিক চিত্রের কথা বললেন; তাতে ২০২৬ সালে আমাদের কি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ করা উচিত হবে?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: অচিরেই এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে সমস্যা তো অবশ্যই হবে। কারণ কম সুদহারে ঋণ নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, উচ্চ শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করতে হবে। আগের সরকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তরণের পথে হেঁটেছে। উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবির সঙ্গে আমি একমত।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিজের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আবদুল আউয়াল মিন্টু: আমার বয়স ৭৫ পার হয়ে গেছে। এখন আর কী বিশেষ পরিকল্পনা থাকতে পারে! তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে কয়েকটি নতুন শাখার কাজে হাত দিয়েছি। একটা হলো গাভি ও ষাঁড়ের জাত উন্নয়ন। আর একটা হলো খাগড়াছড়িতে কফি উৎপাদন। ইতিমধ্যে ৩৫ একর জমিতে কফির চাষ করা হয়েছে। পাহাড়ের কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে এটা করছি। আর রাজনৈতিক অবস্থান আগে যা ছিল, এখনো তা-ই আছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই থাকব। কোথাও নির্বাচন করার পরিকল্পনা আমার নেই। তারপরও বাকিটা আল্লাহ জানেন। দেখা যাক, পরিবেশ পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যায়।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
৪৪ মিনিট আগে
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
২ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে
৫ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
এই শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাঈফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের সালিসি ট্রাইব্যুনাল ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটে (আইসিএসআইডি) সালিসি দাবিটি তুলেছেন কুইন ইম্যানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান নামের আইনি পরামর্শক সংস্থা। দাবির নথির বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এস আলম পরিবারে দাবি, ‘নির্বিচারে সম্পদ জব্দ, বাজেয়াপ্ত এবং কোম্পানির মূল্য ধ্বংসে’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘লক্ষ্যভিত্তিক অভিযানের’ শিকার হয়েছে তাঁরা। খাদ্য, নির্মাণ, পোশাক ও ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে বড় বিনিয়োগ আছে এস আলমের।
এস আলমের এই সালিসি মামলাকে বিদেশ থেকে পাচারের টাকা ফেরত আনতে ইউনূস সরকারের প্রচেষ্টার ওপর এক বড় ধাক্কা হিসেবে উল্লেখ করেছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। গত ডিসেম্বর প্রকাশিত অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে এই পাচারের মোট পরিমাণ আনুমানিক ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাচার অর্থ উদ্ধারে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর অভিযোগ করেছেন, প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে এস আলম পরিবার। ‘কোনো ভিত্তি নেই’ বলে এ অভিযোগ বরাবর খারিজ করে আসছে এস আলম গ্রুপ।
এস আলম পরিবারের আইনজীবীরা গত ডিসেম্বরেই ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে বলেন, যদি ছয় মাসের মধ্যে এই বিরোধ নিষ্পত্তি না হয়, তবে তাঁরা সালিসি মামলা করবেন।
কুইন ইম্যানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ জব্দ করেছে, তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে ‘ভিত্তিহীন তদন্ত’ চালিয়েছে এবং পরিবারটির বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক অপপ্রচার’ চালাচ্ছে।
সালিসি আবেদনে বলা হয়, এর ফলে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে এস আলম গ্রুপের। তবে ক্ষতিপূরণের দাবিতে নির্দিষ্ট অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি।
এস আলমের সালিসি আবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘যখন আমাদের কাছে এটি পৌঁছাবে, আমরা যথাযথভাবে জবাব দেব।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে আসা আইনি নথিতে উল্লেখ করা হয়, সালিসি মামলাটি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় করা হয়েছে। এস আলম পরিবারের সদস্যরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন।
এস আলম পরিবার এর আগেও দাবি করেছে, তাঁরা যেহেতু সিঙ্গাপুরের নাগরিক, তাই বাংলাদেশের ১৯৮০ সালের বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আইনে প্রদত্ত সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, এস আলম পরিবার এবং তাদের সহযোগীরা সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় জোরপূর্বক ব্যাংক দখল করে ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ পাচার করেছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, এস আলম ও তাঁদের সহযোগীরা কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন ছয়টি ব্যাংকে ঋণ ও অতিমূল্যায়িত আমদানি চালানের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে।
মনসুর আরও বলেন, ‘তাঁরা কি পরিমাণ সম্পদ পাচার করেছে, আমরা তার অসংখ্য প্রমাণ পেয়েছি। এখন আমরা তাঁদের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কাজ করছি, যেগুলোর নিট সম্পদের পরিমাণ ঋণাত্মক এবং সরকারকেই সেগুলো উদ্ধার করতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, সালিসি মামলায় আলম পরিবার বলেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে মনসুর বলেছিলেন, যাঁরা দেশের অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে, তাঁদের সঙ্গে সালিসে নিষ্পত্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
এই শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাঈফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের সালিসি ট্রাইব্যুনাল ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটে (আইসিএসআইডি) সালিসি দাবিটি তুলেছেন কুইন ইম্যানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান নামের আইনি পরামর্শক সংস্থা। দাবির নথির বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এস আলম পরিবারে দাবি, ‘নির্বিচারে সম্পদ জব্দ, বাজেয়াপ্ত এবং কোম্পানির মূল্য ধ্বংসে’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘লক্ষ্যভিত্তিক অভিযানের’ শিকার হয়েছে তাঁরা। খাদ্য, নির্মাণ, পোশাক ও ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে বড় বিনিয়োগ আছে এস আলমের।
এস আলমের এই সালিসি মামলাকে বিদেশ থেকে পাচারের টাকা ফেরত আনতে ইউনূস সরকারের প্রচেষ্টার ওপর এক বড় ধাক্কা হিসেবে উল্লেখ করেছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। গত ডিসেম্বর প্রকাশিত অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে এই পাচারের মোট পরিমাণ আনুমানিক ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাচার অর্থ উদ্ধারে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর অভিযোগ করেছেন, প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে এস আলম পরিবার। ‘কোনো ভিত্তি নেই’ বলে এ অভিযোগ বরাবর খারিজ করে আসছে এস আলম গ্রুপ।
এস আলম পরিবারের আইনজীবীরা গত ডিসেম্বরেই ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে বলেন, যদি ছয় মাসের মধ্যে এই বিরোধ নিষ্পত্তি না হয়, তবে তাঁরা সালিসি মামলা করবেন।
কুইন ইম্যানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ জব্দ করেছে, তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে ‘ভিত্তিহীন তদন্ত’ চালিয়েছে এবং পরিবারটির বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক অপপ্রচার’ চালাচ্ছে।
সালিসি আবেদনে বলা হয়, এর ফলে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে এস আলম গ্রুপের। তবে ক্ষতিপূরণের দাবিতে নির্দিষ্ট অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি।
এস আলমের সালিসি আবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘যখন আমাদের কাছে এটি পৌঁছাবে, আমরা যথাযথভাবে জবাব দেব।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে আসা আইনি নথিতে উল্লেখ করা হয়, সালিসি মামলাটি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় করা হয়েছে। এস আলম পরিবারের সদস্যরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন।
এস আলম পরিবার এর আগেও দাবি করেছে, তাঁরা যেহেতু সিঙ্গাপুরের নাগরিক, তাই বাংলাদেশের ১৯৮০ সালের বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আইনে প্রদত্ত সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, এস আলম পরিবার এবং তাদের সহযোগীরা সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় জোরপূর্বক ব্যাংক দখল করে ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ পাচার করেছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, এস আলম ও তাঁদের সহযোগীরা কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন ছয়টি ব্যাংকে ঋণ ও অতিমূল্যায়িত আমদানি চালানের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে।
মনসুর আরও বলেন, ‘তাঁরা কি পরিমাণ সম্পদ পাচার করেছে, আমরা তার অসংখ্য প্রমাণ পেয়েছি। এখন আমরা তাঁদের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কাজ করছি, যেগুলোর নিট সম্পদের পরিমাণ ঋণাত্মক এবং সরকারকেই সেগুলো উদ্ধার করতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, সালিসি মামলায় আলম পরিবার বলেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে মনসুর বলেছিলেন, যাঁরা দেশের অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে, তাঁদের সঙ্গে সালিসে নিষ্পত্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
২ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে
৫ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-২০২৫ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির একত্র মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.০৪ টাকায়। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যা ছিল ২.৮৭ টাকা। একক (স্ট্যান্ডালোন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে।
একক মেয়াদি আমানতের (টার্ম ডিপোজিট) পরিমাণ ২০২৪ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪০৭ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির ঋণ পোর্টফোলিওর আকার ১২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স মূলত দক্ষ মূলধন ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পদক্ষেপের জের ধরে এই সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির একত্র রিটার্ন অন ইক্যুইটি (বার্ষিকীকৃত) বেড়ে ১১.৩৯ শতাংশ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। একইভাবে একত্র রিটার্ন অন অ্যাসেটস গত বছরের ১.১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৪৮ শতাংশ।
মন্দ ঋণের অনুপাত ৪.৭১ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে, যা শুধু গত বছরের একই সময়ের (৪.৯৮ শতাংশ) মন্দ ঋণ অনুপাতের চেয়ে কম নয়, সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের গড় অনুপাতের তুলনায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একক প্রভিশন কভারেজ অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১০১.৭৫ শতাংশ, যা প্রতিষ্ঠানটির সতর্ক ও দক্ষ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন ঘটায়।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আইডিএলসির সাফল্যের মূল সূত্র আমাদের অনন্য ব্যবসায়িক মডেল এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের কঠিন শৃঙ্খলা ও দৃঢ়তা। দীর্ঘ মেয়াদে গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধান তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে আইডিএলসি। আর্থিক লাভজনকতার নিশ্চয়তা এবং দায়িত্বশীল প্রশাসনিক পরিচালনা—এই দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
রাজধানীর গুলশানে আইডিএলসি করপোরেট হেড অফিসে অনুষ্ঠিত আইডিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৭তম সভায় ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনটি অনুমোদিত হয়।

২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-২০২৫ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির একত্র মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.০৪ টাকায়। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যা ছিল ২.৮৭ টাকা। একক (স্ট্যান্ডালোন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে।
একক মেয়াদি আমানতের (টার্ম ডিপোজিট) পরিমাণ ২০২৪ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪০৭ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির ঋণ পোর্টফোলিওর আকার ১২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স মূলত দক্ষ মূলধন ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পদক্ষেপের জের ধরে এই সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির একত্র রিটার্ন অন ইক্যুইটি (বার্ষিকীকৃত) বেড়ে ১১.৩৯ শতাংশ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। একইভাবে একত্র রিটার্ন অন অ্যাসেটস গত বছরের ১.১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৪৮ শতাংশ।
মন্দ ঋণের অনুপাত ৪.৭১ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে, যা শুধু গত বছরের একই সময়ের (৪.৯৮ শতাংশ) মন্দ ঋণ অনুপাতের চেয়ে কম নয়, সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের গড় অনুপাতের তুলনায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একক প্রভিশন কভারেজ অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১০১.৭৫ শতাংশ, যা প্রতিষ্ঠানটির সতর্ক ও দক্ষ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন ঘটায়।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আইডিএলসির সাফল্যের মূল সূত্র আমাদের অনন্য ব্যবসায়িক মডেল এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের কঠিন শৃঙ্খলা ও দৃঢ়তা। দীর্ঘ মেয়াদে গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধান তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে আইডিএলসি। আর্থিক লাভজনকতার নিশ্চয়তা এবং দায়িত্বশীল প্রশাসনিক পরিচালনা—এই দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
রাজধানীর গুলশানে আইডিএলসি করপোরেট হেড অফিসে অনুষ্ঠিত আইডিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৭তম সভায় ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনটি অনুমোদিত হয়।

এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
৪৪ মিনিট আগে
বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে
৫ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে তৈরি করে মতামত নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) অনুমোদন দিলে নতুন এ কাঠামোর আওতায় তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।
আজ বুধবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে আয়োজিত ‘বীমা শিল্পে তরুণদের কর্মসংস্থান: অ্যাকচুয়ারি পেশার বিকাশ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান আইডিআরএর চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম।
বর্তমানে পুরো বিমা সেক্টরে মাত্র চার থেকে পাঁচজন অ্যাকচুয়ারি কাজ করছেন। এর মধ্যে মাত্র দুজন দেশে অবস্থান করছেন, অন্যরা বিদেশে থেকে কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বিমা খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য অ্যাকচুয়ারিয়াল পেশাজীবীদের কোনো বিকল্প নেই। এ পেশা শুধু বিমা খাত নয়, পুরো আর্থিক খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে শক্ত ভিত্তি দেয়।
অ্যাকচুয়ারি পেশা হলো এমন একটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র, যেখানে গণিত, পরিসংখ্যান ও অর্থনীতির মডেল ব্যবহার করে ভবিষ্যতের আর্থিক ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা (যেমন গাড়ি দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা) পরিমাপ করা হয়। এটি মূলত বিমাশিল্প, পেনশন তহবিল ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্যতার বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যাকচুয়ারিরা ভবিষ্যতের ঘটনাজনিত ঝুঁকি গাণিতিকভাবে নির্ধারণ করেন, যা নতুন বিমা পণ্য ডিজাইন, প্রিমিয়াম নির্ধারণ ও দাবি নিষ্পত্তিতে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দেয়। উন্নত বিশ্বে অ্যাকচুয়ারিয়াল ডিগ্রিকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও উচ্চ আয়সম্পন্ন পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইডিআরএর সদস্য (প্রশাসন) মো. ফজলুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মুখ্য আলোচক ছিলেন অ্যাকচুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকচুয়ারি আফরিন হক, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, এশিয়া ইনস্যুরেন্সের মো. ইমাম শাহীন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী। এ ছাড়া বিমা খাতের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অ্যাকচুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, অ্যাকচুয়ারি ছাড়া বিমাশিল্প চলতে পারে না। অথচ বর্তমানে কোম্পানিগুলো ক্লেইম ও প্রিমিয়ামের তথ্যের ওপর নির্ভর করে নিজেরাই অনুমাননির্ভর পণ্য তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘এর আগেও দেশে অ্যাকচুয়ারি তৈরির কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনেকে আমার সঙ্গে কাজও করেছেন। কিন্ত তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন ও চাকরির সুবিধা না দেওয়ায় তাঁরা দেশের বাইরে চলে গেছেন।’
আইডিআরএর বর্তমান উদ্যোগের বিষয়ে সোহরাব বলেন, সব বিমা কোম্পানি যদি আন্তরিকভাবে আইডিআরএকে সহযোগিতা করে, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে নতুন অনেক অ্যাকচুয়ারি তৈরি করা সম্ভব হবে।
দেশে কর্মরত একমাত্র তরুণ অ্যাকচুয়ারি আফরিন হক বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে অ্যাকচুয়ারি বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বাবা-মায়েরা শুধু ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার পেশার প্রতিই গুরুত্ব দেন, ফলে অ্যাকচুয়ারি পেশা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়নি।
বর্তমান বিমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, জীবনবিমা খাতে অ্যাকচুয়ারির নিয়োগ বাধ্যতামূলক হলেও সাধারণ বিমা খাতে তা নয়। এ বিষয়ে ড. সোহরাব উদ্দীন বলেন, নন-লাইফ খাতেও অ্যাকচুয়ারি বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন, কারণ, এটি বিজ্ঞানভিত্তিক পণ্য ও প্রিমিয়াম নির্ধারণের জন্য অপরিহার্য।
আইডিআরএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উদ্যোগে তিনজন অ্যাকচুয়ারি ট্রেইনি অফিসার তৈরির একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা পরে তাঁদের অ্যাকচুয়ারি হতে সহায়তা করবে।

বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে তৈরি করে মতামত নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) অনুমোদন দিলে নতুন এ কাঠামোর আওতায় তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।
আজ বুধবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে আয়োজিত ‘বীমা শিল্পে তরুণদের কর্মসংস্থান: অ্যাকচুয়ারি পেশার বিকাশ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান আইডিআরএর চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম।
বর্তমানে পুরো বিমা সেক্টরে মাত্র চার থেকে পাঁচজন অ্যাকচুয়ারি কাজ করছেন। এর মধ্যে মাত্র দুজন দেশে অবস্থান করছেন, অন্যরা বিদেশে থেকে কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বিমা খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য অ্যাকচুয়ারিয়াল পেশাজীবীদের কোনো বিকল্প নেই। এ পেশা শুধু বিমা খাত নয়, পুরো আর্থিক খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে শক্ত ভিত্তি দেয়।
অ্যাকচুয়ারি পেশা হলো এমন একটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র, যেখানে গণিত, পরিসংখ্যান ও অর্থনীতির মডেল ব্যবহার করে ভবিষ্যতের আর্থিক ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা (যেমন গাড়ি দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা) পরিমাপ করা হয়। এটি মূলত বিমাশিল্প, পেনশন তহবিল ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্যতার বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যাকচুয়ারিরা ভবিষ্যতের ঘটনাজনিত ঝুঁকি গাণিতিকভাবে নির্ধারণ করেন, যা নতুন বিমা পণ্য ডিজাইন, প্রিমিয়াম নির্ধারণ ও দাবি নিষ্পত্তিতে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দেয়। উন্নত বিশ্বে অ্যাকচুয়ারিয়াল ডিগ্রিকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও উচ্চ আয়সম্পন্ন পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইডিআরএর সদস্য (প্রশাসন) মো. ফজলুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মুখ্য আলোচক ছিলেন অ্যাকচুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকচুয়ারি আফরিন হক, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, এশিয়া ইনস্যুরেন্সের মো. ইমাম শাহীন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী। এ ছাড়া বিমা খাতের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অ্যাকচুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, অ্যাকচুয়ারি ছাড়া বিমাশিল্প চলতে পারে না। অথচ বর্তমানে কোম্পানিগুলো ক্লেইম ও প্রিমিয়ামের তথ্যের ওপর নির্ভর করে নিজেরাই অনুমাননির্ভর পণ্য তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘এর আগেও দেশে অ্যাকচুয়ারি তৈরির কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনেকে আমার সঙ্গে কাজও করেছেন। কিন্ত তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন ও চাকরির সুবিধা না দেওয়ায় তাঁরা দেশের বাইরে চলে গেছেন।’
আইডিআরএর বর্তমান উদ্যোগের বিষয়ে সোহরাব বলেন, সব বিমা কোম্পানি যদি আন্তরিকভাবে আইডিআরএকে সহযোগিতা করে, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে নতুন অনেক অ্যাকচুয়ারি তৈরি করা সম্ভব হবে।
দেশে কর্মরত একমাত্র তরুণ অ্যাকচুয়ারি আফরিন হক বলেন, স্কুল ও কলেজপর্যায়ে অ্যাকচুয়ারি বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বাবা-মায়েরা শুধু ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার পেশার প্রতিই গুরুত্ব দেন, ফলে অ্যাকচুয়ারি পেশা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়নি।
বর্তমান বিমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, জীবনবিমা খাতে অ্যাকচুয়ারির নিয়োগ বাধ্যতামূলক হলেও সাধারণ বিমা খাতে তা নয়। এ বিষয়ে ড. সোহরাব উদ্দীন বলেন, নন-লাইফ খাতেও অ্যাকচুয়ারি বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন, কারণ, এটি বিজ্ঞানভিত্তিক পণ্য ও প্রিমিয়াম নির্ধারণের জন্য অপরিহার্য।
আইডিআরএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উদ্যোগে তিনজন অ্যাকচুয়ারি ট্রেইনি অফিসার তৈরির একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা পরে তাঁদের অ্যাকচুয়ারি হতে সহায়তা করবে।

এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
৪৪ মিনিট আগে
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
২ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতের বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি করা বিপুল পরিমাণ প্রযুক্তিপণ্য এই আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
১৮ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণের জন্য বিসিএস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় এবং অনলাইনে তথ্য দেওয়ার জন্য একটি ফরম সরবরাহ করে। আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি বলে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডাটাটেক কম্পিউটার, নিউটেক টেকনোলজি, দিহান এন্টারপ্রাইজ ও রিভ সিস্টেম।
এ প্রসঙ্গে বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। আমরা সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি এরচেয়ে বেশি হতে পারে।’
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা শুধু আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং পুরো আইসিটি খাতের জন্য বড় ধাক্কা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের প্রযুক্তি সরবরাহব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করা পণ্য দেশে পৌঁছানোর পর এভাবে পুড়ে যাওয়ায় বড় আকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান, বিমানবন্দরের এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতের বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি করা বিপুল পরিমাণ প্রযুক্তিপণ্য এই আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিএস। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
১৮ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণের জন্য বিসিএস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় এবং অনলাইনে তথ্য দেওয়ার জন্য একটি ফরম সরবরাহ করে। আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি বলে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডাটাটেক কম্পিউটার, নিউটেক টেকনোলজি, দিহান এন্টারপ্রাইজ ও রিভ সিস্টেম।
এ প্রসঙ্গে বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। আমরা সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি এরচেয়ে বেশি হতে পারে।’
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা শুধু আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং পুরো আইসিটি খাতের জন্য বড় ধাক্কা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের প্রযুক্তি সরবরাহব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করা পণ্য দেশে পৌঁছানোর পর এভাবে পুড়ে যাওয়ায় বড় আকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান, বিমানবন্দরের এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে।

এই মুহূর্তে সামাজিক শৃঙ্খলা বা আইন-শৃঙ্খলার যে অবস্থা, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঠিক অনুকূল পরিবেশ নয়। এটা আমার একার কথা নয়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার প্রতিদিন কথা হয়। তাঁদের সবার কথাই আমি বলছি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হওয়া’ সম্পদ উদ্ধারের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যবসা থেকে ‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
৪৪ মিনিট আগে
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এই মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
২ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতে অ্যাকচুয়ারি কর্মী সংকট নিরসন ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে গঠন করা হবে অ্যাকচুয়ারিয়াল ইনস্টিটিউট, অ্যাকচুয়ারিয়াল বোর্ড অব স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অ্যাকচুয়ারিয়াল কাউন্সিল। এ-সংক্রান্ত ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া এর মধ্যে
৫ ঘণ্টা আগে