ফারুক মেহেদী, ঢাকা

অর্থসংকটে পড়েছে সরকার। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত ধার করে মেটানো হচ্ছে অপরিহার্য ব্যয়।
সেই সঙ্গে নগদ টাকা ছাপিয়েও খরচ মেটানোর চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য অনুমোদিত বিশাল বরাদ্দের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বড় কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশন। নীতিমালায় বিভিন্ন কৌশলে কড়াকড়ি আরোপ করে প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত করে আনা হচ্ছে। নীতিমালাটি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে ক্ষুদ্র, অপেক্ষাকৃত কম দরকারি ও ধীরগতির প্রকল্প, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের একই ধরনের প্রকল্প, এনজিওগুলোর সঙ্গে যৌথ প্রকল্পসহ আরও বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রকল্প এডিপি সংশোধনকালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ পড়ে যায়।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার এডিপি। সব মিলিয়ে এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা আসবে ঋণ ও অনুদান থেকে। বাকিটা স্থানীয় মুদ্রায় খরচের পরিকল্পনা আছে। কিন্তু জনতুষ্টির এই এডিপি শেষ পর্যন্ত থাকছে না। সংশোধিত এডিপিতে ব্যাপক কাটছাঁট করে বরাদ্দ অনেক কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নীতিমালার আলোকে কত টাকা কাটছাঁট করা যাবে, তা এখনো নিশ্চিত নন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, এডিপি সংশোধনের নীতিমালাটি এরই মধ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা নীতিমালার আলোকে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প ও বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠায়। নীতিমালায় দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান উপযোগী কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি সহায়ক, বিদ্যুৎ-জ্বালানিবিষয়ক, প্রযুক্তি, জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলাসংক্রান্ত প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন মূলত সীমিত সম্পদের প্রসঙ্গটি সামনে এনে এডিপি কাটছাঁটের নীতিমালায় এসব কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে না করলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না, এমন প্রকল্প বাদ দিতে হবে। আমাদের সম্পদ সীমিত বলেই আমরা দরকারি প্রকল্পের কথা বলছি। অদরকারি প্রকল্প তো আমরা নেব না। বেশি মানুষের উপকার হয়—এমন প্রকল্পই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
পরিকল্পনা কমিশনের তৈরি করা নীতিমালার বিভিন্ন অংশে একাধিকবার কৃচ্ছ্রসাধনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়, নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের জন্য আগে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, ওই অর্থ থেকেই প্রকল্প প্রস্তাব করতে হবে। বাড়তি অর্থ চাওয়া যাবে না। শুধু অনুমোদিত প্রকল্পই বরাদ্দের জন্য বিবেচনায় নিতে হবে। এমনকি এডিপি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস বা এএমএসে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে কোনো নতুন অনুমোদিত প্রকল্পের জন্যও অর্থ চাওয়া যাবে না।
আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে—এমন প্রকল্প চিহ্নিত করে, প্রয়োজনে ধীরগতির প্রকল্প অথবা অন্য কোনো প্রকল্পের বরাদ্দ চাহিদা কমিয়ে এসব প্রকল্পে অর্থ সংস্থান করতে বলা হয়েছে নীতিমালায়। ঋণ-অনুদানের প্রকল্পের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বা ইআরডি যে নির্ধারিত বরাদ্দ ঠিক করে দেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। অনুমোদিত নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে প্রথম বছর শুধু ওই খাতেই অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প শুরুর অত্যাবশ্যক কাজের চাহিদা দেওয়া যাবে। এর বাইরে নয়। জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলাসংক্রান্ত প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে। যেসব স্থানের প্রকল্পে পরিবেশগত সংকট তৈরি করার ঝুঁকি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা মেনে প্রস্তাব দিতে হবে।
এডিপিতে কাটছাঁটের এমন পরিকল্পনার বিষয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় কাটছাঁটের ফলে প্রবৃদ্ধির ওপরে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালে পরের বছর প্রবৃদ্ধি আবারও স্বাভাবিক হবে। আর প্রকল্পে খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়, এমন প্রকল্পে অগ্রাধিকার এই সংকটময় সময়ে অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’

অর্থসংকটে পড়েছে সরকার। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত ধার করে মেটানো হচ্ছে অপরিহার্য ব্যয়।
সেই সঙ্গে নগদ টাকা ছাপিয়েও খরচ মেটানোর চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য অনুমোদিত বিশাল বরাদ্দের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বড় কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশন। নীতিমালায় বিভিন্ন কৌশলে কড়াকড়ি আরোপ করে প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত করে আনা হচ্ছে। নীতিমালাটি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে ক্ষুদ্র, অপেক্ষাকৃত কম দরকারি ও ধীরগতির প্রকল্প, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের একই ধরনের প্রকল্প, এনজিওগুলোর সঙ্গে যৌথ প্রকল্পসহ আরও বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রকল্প এডিপি সংশোধনকালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ পড়ে যায়।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার এডিপি। সব মিলিয়ে এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা আসবে ঋণ ও অনুদান থেকে। বাকিটা স্থানীয় মুদ্রায় খরচের পরিকল্পনা আছে। কিন্তু জনতুষ্টির এই এডিপি শেষ পর্যন্ত থাকছে না। সংশোধিত এডিপিতে ব্যাপক কাটছাঁট করে বরাদ্দ অনেক কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নীতিমালার আলোকে কত টাকা কাটছাঁট করা যাবে, তা এখনো নিশ্চিত নন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, এডিপি সংশোধনের নীতিমালাটি এরই মধ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা নীতিমালার আলোকে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প ও বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠায়। নীতিমালায় দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান উপযোগী কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি সহায়ক, বিদ্যুৎ-জ্বালানিবিষয়ক, প্রযুক্তি, জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলাসংক্রান্ত প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন মূলত সীমিত সম্পদের প্রসঙ্গটি সামনে এনে এডিপি কাটছাঁটের নীতিমালায় এসব কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে না করলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না, এমন প্রকল্প বাদ দিতে হবে। আমাদের সম্পদ সীমিত বলেই আমরা দরকারি প্রকল্পের কথা বলছি। অদরকারি প্রকল্প তো আমরা নেব না। বেশি মানুষের উপকার হয়—এমন প্রকল্পই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
পরিকল্পনা কমিশনের তৈরি করা নীতিমালার বিভিন্ন অংশে একাধিকবার কৃচ্ছ্রসাধনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়, নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের জন্য আগে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, ওই অর্থ থেকেই প্রকল্প প্রস্তাব করতে হবে। বাড়তি অর্থ চাওয়া যাবে না। শুধু অনুমোদিত প্রকল্পই বরাদ্দের জন্য বিবেচনায় নিতে হবে। এমনকি এডিপি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস বা এএমএসে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে কোনো নতুন অনুমোদিত প্রকল্পের জন্যও অর্থ চাওয়া যাবে না।
আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে—এমন প্রকল্প চিহ্নিত করে, প্রয়োজনে ধীরগতির প্রকল্প অথবা অন্য কোনো প্রকল্পের বরাদ্দ চাহিদা কমিয়ে এসব প্রকল্পে অর্থ সংস্থান করতে বলা হয়েছে নীতিমালায়। ঋণ-অনুদানের প্রকল্পের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বা ইআরডি যে নির্ধারিত বরাদ্দ ঠিক করে দেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। অনুমোদিত নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে প্রথম বছর শুধু ওই খাতেই অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প শুরুর অত্যাবশ্যক কাজের চাহিদা দেওয়া যাবে। এর বাইরে নয়। জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলাসংক্রান্ত প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে। যেসব স্থানের প্রকল্পে পরিবেশগত সংকট তৈরি করার ঝুঁকি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা মেনে প্রস্তাব দিতে হবে।
এডিপিতে কাটছাঁটের এমন পরিকল্পনার বিষয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় কাটছাঁটের ফলে প্রবৃদ্ধির ওপরে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালে পরের বছর প্রবৃদ্ধি আবারও স্বাভাবিক হবে। আর প্রকল্পে খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়, এমন প্রকল্পে অগ্রাধিকার এই সংকটময় সময়ে অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’
ফারুক মেহেদী, ঢাকা

অর্থসংকটে পড়েছে সরকার। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত ধার করে মেটানো হচ্ছে অপরিহার্য ব্যয়।
সেই সঙ্গে নগদ টাকা ছাপিয়েও খরচ মেটানোর চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য অনুমোদিত বিশাল বরাদ্দের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বড় কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশন। নীতিমালায় বিভিন্ন কৌশলে কড়াকড়ি আরোপ করে প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত করে আনা হচ্ছে। নীতিমালাটি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে ক্ষুদ্র, অপেক্ষাকৃত কম দরকারি ও ধীরগতির প্রকল্প, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের একই ধরনের প্রকল্প, এনজিওগুলোর সঙ্গে যৌথ প্রকল্পসহ আরও বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রকল্প এডিপি সংশোধনকালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ পড়ে যায়।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার এডিপি। সব মিলিয়ে এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা আসবে ঋণ ও অনুদান থেকে। বাকিটা স্থানীয় মুদ্রায় খরচের পরিকল্পনা আছে। কিন্তু জনতুষ্টির এই এডিপি শেষ পর্যন্ত থাকছে না। সংশোধিত এডিপিতে ব্যাপক কাটছাঁট করে বরাদ্দ অনেক কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নীতিমালার আলোকে কত টাকা কাটছাঁট করা যাবে, তা এখনো নিশ্চিত নন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, এডিপি সংশোধনের নীতিমালাটি এরই মধ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা নীতিমালার আলোকে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প ও বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠায়। নীতিমালায় দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান উপযোগী কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি সহায়ক, বিদ্যুৎ-জ্বালানিবিষয়ক, প্রযুক্তি, জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলাসংক্রান্ত প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন মূলত সীমিত সম্পদের প্রসঙ্গটি সামনে এনে এডিপি কাটছাঁটের নীতিমালায় এসব কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে না করলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না, এমন প্রকল্প বাদ দিতে হবে। আমাদের সম্পদ সীমিত বলেই আমরা দরকারি প্রকল্পের কথা বলছি। অদরকারি প্রকল্প তো আমরা নেব না। বেশি মানুষের উপকার হয়—এমন প্রকল্পই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
পরিকল্পনা কমিশনের তৈরি করা নীতিমালার বিভিন্ন অংশে একাধিকবার কৃচ্ছ্রসাধনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়, নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের জন্য আগে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, ওই অর্থ থেকেই প্রকল্প প্রস্তাব করতে হবে। বাড়তি অর্থ চাওয়া যাবে না। শুধু অনুমোদিত প্রকল্পই বরাদ্দের জন্য বিবেচনায় নিতে হবে। এমনকি এডিপি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস বা এএমএসে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে কোনো নতুন অনুমোদিত প্রকল্পের জন্যও অর্থ চাওয়া যাবে না।
আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে—এমন প্রকল্প চিহ্নিত করে, প্রয়োজনে ধীরগতির প্রকল্প অথবা অন্য কোনো প্রকল্পের বরাদ্দ চাহিদা কমিয়ে এসব প্রকল্পে অর্থ সংস্থান করতে বলা হয়েছে নীতিমালায়। ঋণ-অনুদানের প্রকল্পের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বা ইআরডি যে নির্ধারিত বরাদ্দ ঠিক করে দেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। অনুমোদিত নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে প্রথম বছর শুধু ওই খাতেই অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প শুরুর অত্যাবশ্যক কাজের চাহিদা দেওয়া যাবে। এর বাইরে নয়। জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলাসংক্রান্ত প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে। যেসব স্থানের প্রকল্পে পরিবেশগত সংকট তৈরি করার ঝুঁকি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা মেনে প্রস্তাব দিতে হবে।
এডিপিতে কাটছাঁটের এমন পরিকল্পনার বিষয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় কাটছাঁটের ফলে প্রবৃদ্ধির ওপরে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালে পরের বছর প্রবৃদ্ধি আবারও স্বাভাবিক হবে। আর প্রকল্পে খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়, এমন প্রকল্পে অগ্রাধিকার এই সংকটময় সময়ে অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’

অর্থসংকটে পড়েছে সরকার। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত ধার করে মেটানো হচ্ছে অপরিহার্য ব্যয়।
সেই সঙ্গে নগদ টাকা ছাপিয়েও খরচ মেটানোর চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য অনুমোদিত বিশাল বরাদ্দের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বড় কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশন। নীতিমালায় বিভিন্ন কৌশলে কড়াকড়ি আরোপ করে প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত করে আনা হচ্ছে। নীতিমালাটি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে ক্ষুদ্র, অপেক্ষাকৃত কম দরকারি ও ধীরগতির প্রকল্প, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের একই ধরনের প্রকল্প, এনজিওগুলোর সঙ্গে যৌথ প্রকল্পসহ আরও বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রকল্প এডিপি সংশোধনকালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ পড়ে যায়।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার এডিপি। সব মিলিয়ে এডিপির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা আসবে ঋণ ও অনুদান থেকে। বাকিটা স্থানীয় মুদ্রায় খরচের পরিকল্পনা আছে। কিন্তু জনতুষ্টির এই এডিপি শেষ পর্যন্ত থাকছে না। সংশোধিত এডিপিতে ব্যাপক কাটছাঁট করে বরাদ্দ অনেক কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নীতিমালার আলোকে কত টাকা কাটছাঁট করা যাবে, তা এখনো নিশ্চিত নন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, এডিপি সংশোধনের নীতিমালাটি এরই মধ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা নীতিমালার আলোকে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প ও বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠায়। নীতিমালায় দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান উপযোগী কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি সহায়ক, বিদ্যুৎ-জ্বালানিবিষয়ক, প্রযুক্তি, জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলাসংক্রান্ত প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন মূলত সীমিত সম্পদের প্রসঙ্গটি সামনে এনে এডিপি কাটছাঁটের নীতিমালায় এসব কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে না করলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না, এমন প্রকল্প বাদ দিতে হবে। আমাদের সম্পদ সীমিত বলেই আমরা দরকারি প্রকল্পের কথা বলছি। অদরকারি প্রকল্প তো আমরা নেব না। বেশি মানুষের উপকার হয়—এমন প্রকল্পই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
পরিকল্পনা কমিশনের তৈরি করা নীতিমালার বিভিন্ন অংশে একাধিকবার কৃচ্ছ্রসাধনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়, নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের জন্য আগে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, ওই অর্থ থেকেই প্রকল্প প্রস্তাব করতে হবে। বাড়তি অর্থ চাওয়া যাবে না। শুধু অনুমোদিত প্রকল্পই বরাদ্দের জন্য বিবেচনায় নিতে হবে। এমনকি এডিপি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস বা এএমএসে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে কোনো নতুন অনুমোদিত প্রকল্পের জন্যও অর্থ চাওয়া যাবে না।
আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে—এমন প্রকল্প চিহ্নিত করে, প্রয়োজনে ধীরগতির প্রকল্প অথবা অন্য কোনো প্রকল্পের বরাদ্দ চাহিদা কমিয়ে এসব প্রকল্পে অর্থ সংস্থান করতে বলা হয়েছে নীতিমালায়। ঋণ-অনুদানের প্রকল্পের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বা ইআরডি যে নির্ধারিত বরাদ্দ ঠিক করে দেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। অনুমোদিত নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে প্রথম বছর শুধু ওই খাতেই অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প শুরুর অত্যাবশ্যক কাজের চাহিদা দেওয়া যাবে। এর বাইরে নয়। জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলাসংক্রান্ত প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে। যেসব স্থানের প্রকল্পে পরিবেশগত সংকট তৈরি করার ঝুঁকি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা মেনে প্রস্তাব দিতে হবে।
এডিপিতে কাটছাঁটের এমন পরিকল্পনার বিষয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় কাটছাঁটের ফলে প্রবৃদ্ধির ওপরে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালে পরের বছর প্রবৃদ্ধি আবারও স্বাভাবিক হবে। আর প্রকল্পে খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়, এমন প্রকল্পে অগ্রাধিকার এই সংকটময় সময়ে অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমানো হবে। তিনি বলেছেন, ‘বেইজিং অবৈধ ফেন্টানিলের বাণিজ্য বন্ধ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু এবং বিরল উপাদান রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘অসাধারণ একটি বৈঠক হয়েছে—আমি একে ১০-এর মধ্যে ১২ দেব।’
ট্রাম্প জানান, চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হবে। বিশেষ করে, ফেন্টানিল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, সি চিন পিং কথা দিয়েছেন, ফেন্টানিলের পাচার রোধে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
প্রসঙ্গত, ফেন্টানিল সাধারণত চিকিৎসায় ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি মরফিন বা হেরোইনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক মাদকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চীন বিরল খনিজ উপাদান রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই উপাদানগুলো গাড়ি, বিমান ও অস্ত্রশিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এগুলো বেইজিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।
এ ছাড়া দুই দেশ কৃষি-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এর পাশাপাশি টিকটক অ্যাপসংক্রান্ত মালিকানা সমস্যার সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
যদিও ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘অসাধারণ সাফল্য’ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে এর প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কিছুটা নেমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন ফিউচারও দুর্বল ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম বাক পরামর্শক সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ বেসা ডেডা রয়টার্সকে বলেন, বাজারের প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের বর্ণনার মতো উচ্ছ্বসিত নয়—বরং বেশ সতর্ক।
অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প চীনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন—তাঁর কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
বুসানে সির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত চুক্তির অধিকাংশ বিষয় চূড়ান্ত করেন। ট্রাম্প জানান, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, আলাস্কায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের চুক্তি হতে পারে। তিনি আরও জানান, আগামী এপ্রিলে তিনি চীন সফর করবেন এবং পরে সি চিন পিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাবেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ বৈঠককে সির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে বৈঠকে তাইওয়ান বা এনভিডিয়ার আধুনিক ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে ট্রাম্প জানান। এতে চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের এআই বাজারে এনভিডিয়ার অবস্থান আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের প্রধান বাণিজ্য আলোচক জানান, তিনি এপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিট আগে ৩৩ বছর পর আবারও পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানান, রাশিয়া ও চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নীতি বজায় রাখবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমানো হবে। তিনি বলেছেন, ‘বেইজিং অবৈধ ফেন্টানিলের বাণিজ্য বন্ধ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু এবং বিরল উপাদান রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘অসাধারণ একটি বৈঠক হয়েছে—আমি একে ১০-এর মধ্যে ১২ দেব।’
ট্রাম্প জানান, চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হবে। বিশেষ করে, ফেন্টানিল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, সি চিন পিং কথা দিয়েছেন, ফেন্টানিলের পাচার রোধে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
প্রসঙ্গত, ফেন্টানিল সাধারণত চিকিৎসায় ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি মরফিন বা হেরোইনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক মাদকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চীন বিরল খনিজ উপাদান রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই উপাদানগুলো গাড়ি, বিমান ও অস্ত্রশিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এগুলো বেইজিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।
এ ছাড়া দুই দেশ কৃষি-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এর পাশাপাশি টিকটক অ্যাপসংক্রান্ত মালিকানা সমস্যার সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
যদিও ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘অসাধারণ সাফল্য’ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে এর প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কিছুটা নেমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন ফিউচারও দুর্বল ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম বাক পরামর্শক সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ বেসা ডেডা রয়টার্সকে বলেন, বাজারের প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের বর্ণনার মতো উচ্ছ্বসিত নয়—বরং বেশ সতর্ক।
অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প চীনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন—তাঁর কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
বুসানে সির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত চুক্তির অধিকাংশ বিষয় চূড়ান্ত করেন। ট্রাম্প জানান, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, আলাস্কায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের চুক্তি হতে পারে। তিনি আরও জানান, আগামী এপ্রিলে তিনি চীন সফর করবেন এবং পরে সি চিন পিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাবেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ বৈঠককে সির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে বৈঠকে তাইওয়ান বা এনভিডিয়ার আধুনিক ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে ট্রাম্প জানান। এতে চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের এআই বাজারে এনভিডিয়ার অবস্থান আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের প্রধান বাণিজ্য আলোচক জানান, তিনি এপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিট আগে ৩৩ বছর পর আবারও পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানান, রাশিয়া ও চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নীতি বজায় রাখবে।

অর্থসংকটে পড়েছে সরকার। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত ধার করে মেটানো হচ্ছে অপরিহার্য ব্যয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সাহেব সম্মত হয়েছেন, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ। বৈঠকে উনারা ঠিক করবেন কোনটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ। সেটিই গ্রহণযোগ্য হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা সফল হয়েছি।’
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক প্রসারে প্রতিবন্ধক ওজন স্কেল, বন্দর ট্রাফিক ও চিটাগাং চেম্বারকে জবাবদিহিমূলক ও ব্যবসায়ীবান্ধব করার প্রত্যয়ে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের প্রথম সভায় এক সপ্তাহ আগে আলটিমেটাম দেওয়ার পর বন্দরের চেয়ারম্যান স্বপ্রণোদিত হয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখে চারটি খাতে ট্রাক, প্রাইমমুভার, ট্রেইলার, গেট ফি খাতে বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিতের ব্যবস্থা করেছিলেন। সিঅ্যান্ডএফ ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছিল, সে কারণে কর্মসূচি উইথড্র করে নিয়েছি। আমরা চাইনি চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো ক্ষতি হোক।’
পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। উনি একটি পক্ষকে আমাদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য নিযুক্ত করেছেন। গতকাল (বুধবার) বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমি অত্যন্ত খুশি হয়ে বলতে পারি আপনাদের, বন্দরের চেয়ারম্যান সম্মত হয়েছেন যে, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ।’
পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুরোধ করব সব অ্যাসোসিয়েশনকে বন্দরের ট্যারিফ কোন কোন খাতে বেশি হয়েছে, তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ যাতে নির্ধারণ করতে পারি। আমরা আশা করব, সরকার ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে।’
সভার বিশেষ অতিথি বিজিএমইএর পরিচালক এম এ সালাম বলেন, আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন চিটাগাং চেম্বারে গতিশীল নেতৃত্ব দরকার। বিভিন্ন সেক্টর থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের প্যানেল দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে এ ফোরাম সোচ্চার ছিল।
ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, ‘আপনারা শুনে লজ্জিত হবেন, খুবই দুঃখজনক মহাসড়কে একটা স্কেলের জন্য চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পাথর, কয়লা যায় না। মোংলা বন্দর থেকে ট্রাকে মিরসরাইর ইকোনমিক জোনে কয়লা-পাথর আসে। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ দুর্ভোগ আমাদের দিয়ে গেছে।’
বক্তরা জানান, বন্দর ট্যারিফ ৪১ শতাংশ বেড়েছে প্রচার করলেও কোনো ক্ষেত্রে ৩০০ শতাংশও বেড়েছে। আগে ৩৭১ ডলার দিতে হতো, এখন ১৫০০ ডলার দিতে হচ্ছে। ব্যাপারটা উদ্বেগজনক।
বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রপ্তানির লাইফলাইন। সম্প্রতি বন্দরের সেবার ওপর যেভাবে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে, তাতে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। চট্টগ্রাম চেম্বারে এক বছর ধরে প্রশাসক।
নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর প্রথম সহসভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর উপদেষ্টা লতিফুর রহমান আজিম, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন ও সভাপতি আবদুল মান্নান, টায়ার টিউব ডিলার গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান, চাক্তাই=খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ, সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম টিটু, ফিনলে স্কয়ার ব্যবসায়ী সমিতির মিয়া মো. খালেদ, ব্যবসায়ী নেতা এরফান উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সাহেব সম্মত হয়েছেন, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ। বৈঠকে উনারা ঠিক করবেন কোনটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ। সেটিই গ্রহণযোগ্য হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা সফল হয়েছি।’
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক প্রসারে প্রতিবন্ধক ওজন স্কেল, বন্দর ট্রাফিক ও চিটাগাং চেম্বারকে জবাবদিহিমূলক ও ব্যবসায়ীবান্ধব করার প্রত্যয়ে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের প্রথম সভায় এক সপ্তাহ আগে আলটিমেটাম দেওয়ার পর বন্দরের চেয়ারম্যান স্বপ্রণোদিত হয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখে চারটি খাতে ট্রাক, প্রাইমমুভার, ট্রেইলার, গেট ফি খাতে বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিতের ব্যবস্থা করেছিলেন। সিঅ্যান্ডএফ ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছিল, সে কারণে কর্মসূচি উইথড্র করে নিয়েছি। আমরা চাইনি চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো ক্ষতি হোক।’
পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। উনি একটি পক্ষকে আমাদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য নিযুক্ত করেছেন। গতকাল (বুধবার) বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমি অত্যন্ত খুশি হয়ে বলতে পারি আপনাদের, বন্দরের চেয়ারম্যান সম্মত হয়েছেন যে, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ।’
পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুরোধ করব সব অ্যাসোসিয়েশনকে বন্দরের ট্যারিফ কোন কোন খাতে বেশি হয়েছে, তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ যাতে নির্ধারণ করতে পারি। আমরা আশা করব, সরকার ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে।’
সভার বিশেষ অতিথি বিজিএমইএর পরিচালক এম এ সালাম বলেন, আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন চিটাগাং চেম্বারে গতিশীল নেতৃত্ব দরকার। বিভিন্ন সেক্টর থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের প্যানেল দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে এ ফোরাম সোচ্চার ছিল।
ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, ‘আপনারা শুনে লজ্জিত হবেন, খুবই দুঃখজনক মহাসড়কে একটা স্কেলের জন্য চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পাথর, কয়লা যায় না। মোংলা বন্দর থেকে ট্রাকে মিরসরাইর ইকোনমিক জোনে কয়লা-পাথর আসে। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ দুর্ভোগ আমাদের দিয়ে গেছে।’
বক্তরা জানান, বন্দর ট্যারিফ ৪১ শতাংশ বেড়েছে প্রচার করলেও কোনো ক্ষেত্রে ৩০০ শতাংশও বেড়েছে। আগে ৩৭১ ডলার দিতে হতো, এখন ১৫০০ ডলার দিতে হচ্ছে। ব্যাপারটা উদ্বেগজনক।
বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রপ্তানির লাইফলাইন। সম্প্রতি বন্দরের সেবার ওপর যেভাবে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে, তাতে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। চট্টগ্রাম চেম্বারে এক বছর ধরে প্রশাসক।
নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর প্রথম সহসভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর উপদেষ্টা লতিফুর রহমান আজিম, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন ও সভাপতি আবদুল মান্নান, টায়ার টিউব ডিলার গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান, চাক্তাই=খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ, সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম টিটু, ফিনলে স্কয়ার ব্যবসায়ী সমিতির মিয়া মো. খালেদ, ব্যবসায়ী নেতা এরফান উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

অর্থসংকটে পড়েছে সরকার। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত ধার করে মেটানো হচ্ছে অপরিহার্য ব্যয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে স্পট সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৭০ দশমিক ৩৬ ডলার, যা দিনের শুরুতে প্রায় ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সোনার ভবিষ্যৎ ক্রয়াদেশ (গোল্ড ফিউচারস) স্থিতিশীল ছিল, প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯৯২ দশমিক ৪০ ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশে আনবেন। বিনিময়ে বেইজিং আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা শুরু করবে, বিরল খনিজ রপ্তানি পুনরায় চালু করবে এবং অবৈধ ফেন্টানিল ব্যবসা দমনে পদক্ষেপ নেবে।
সিপিএম গ্রুপের ম্যানেজিং পার্টনার জেফ্রি ক্রিশ্চিয়ান বলেন, সোনার বাজার কিছুটা টালমাটাল হয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা যায়, এটি বেশ ফাঁপা একটি সমঝোতা। তাই বাজার বুঝে নিয়েছে যে বাণিজ্যযুদ্ধ এখনই শেষ হচ্ছে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ গতকাল বুধবার বাজারের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুদের হার কমিয়েছে। তবে সংকেত দিয়েছে, চলমান সরকারী অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্যপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় এ বছর এটি সম্ভবত শেষবারের মতো হার কমানো হতে পারে।
সুদহার কমে গেলে সোনা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, কারণ, এটি সুদবিহীন সম্পদ। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়েও সোনা সাধারণত স্থিতিশীল থাকে এবং দাম বাড়ে।
ওয়েলস ফার্গো ইনভেস্টমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের ২০২৬ সালের সোনার দাম লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ ডলার নির্ধারণ করেছে, যা আগে ছিল ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমরা মনে করি, ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্য নীতিগত অনিশ্চয়তা বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ে সোনার চাহিদা বাড়াবে এবং দাম আরও ওপরে তুলবে।’
অন্যদিকে, স্পট সিলভার বা রুপার দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৩৪ ডলারে দাঁড়ায়। প্লাটিনাম ০ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৫৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪১৫ দশমিক ৫২ ডলারে পৌঁছায়।

বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে স্পট সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৭০ দশমিক ৩৬ ডলার, যা দিনের শুরুতে প্রায় ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সোনার ভবিষ্যৎ ক্রয়াদেশ (গোল্ড ফিউচারস) স্থিতিশীল ছিল, প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯৯২ দশমিক ৪০ ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশে আনবেন। বিনিময়ে বেইজিং আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা শুরু করবে, বিরল খনিজ রপ্তানি পুনরায় চালু করবে এবং অবৈধ ফেন্টানিল ব্যবসা দমনে পদক্ষেপ নেবে।
সিপিএম গ্রুপের ম্যানেজিং পার্টনার জেফ্রি ক্রিশ্চিয়ান বলেন, সোনার বাজার কিছুটা টালমাটাল হয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা যায়, এটি বেশ ফাঁপা একটি সমঝোতা। তাই বাজার বুঝে নিয়েছে যে বাণিজ্যযুদ্ধ এখনই শেষ হচ্ছে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ গতকাল বুধবার বাজারের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুদের হার কমিয়েছে। তবে সংকেত দিয়েছে, চলমান সরকারী অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্যপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় এ বছর এটি সম্ভবত শেষবারের মতো হার কমানো হতে পারে।
সুদহার কমে গেলে সোনা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, কারণ, এটি সুদবিহীন সম্পদ। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়েও সোনা সাধারণত স্থিতিশীল থাকে এবং দাম বাড়ে।
ওয়েলস ফার্গো ইনভেস্টমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের ২০২৬ সালের সোনার দাম লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ ডলার নির্ধারণ করেছে, যা আগে ছিল ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমরা মনে করি, ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্য নীতিগত অনিশ্চয়তা বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ে সোনার চাহিদা বাড়াবে এবং দাম আরও ওপরে তুলবে।’
অন্যদিকে, স্পট সিলভার বা রুপার দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৩৪ ডলারে দাঁড়ায়। প্লাটিনাম ০ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৫৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪১৫ দশমিক ৫২ ডলারে পৌঁছায়।

অর্থসংকটে পড়েছে সরকার। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত ধার করে মেটানো হচ্ছে অপরিহার্য ব্যয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামে ‘ডিজাইন গাইডলাইনস অ্যান্ড কোড প্রভিশনস ফর ইউজিং হায়ার গ্রেড রিবার (বি ৬০০ ডি-আর) ইন আরসিসি স্ট্রাকচারস: এক্সপ্লোরিং অপরচুনিটিজ ফর রিবার সেভিংস ইন দ্য কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বিশেষ টেকনিক্যাল সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে দেশের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টরা উন্নত নকশা, কাঠামোগত দক্ষতা, টেকসই নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাতের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম; অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলমাস শিমুল; ডিরেক্টর আবদুল আহাদ; ডিরেক্টর সাদমান সাইকা সেফা এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুন কবির। আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব টিএমপিএম মো. সাইফুল ইসলাম। যিনি রিবারের উৎপাদন ও ব্যবহারিক দিক তুলে ধরতে গিয়ে বহির্বিশ্বের কোড ও স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরী (রিজভী), পি. ইঞ্জ.। তিনি হাইকোয়ালিটি রিবার ব্যবহারের নকশাগত ও অর্থনৈতিক সুবিধা তুলে ধরেন এবং আধুনিক রি-ইনফোর্সড কংক্রিট কাঠামোতে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘হাইকোয়ালিটি রিবার (বি ৬০০ ডি-আর) ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা কাঠামোর স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্মাণ খরচ সাশ্রয় ও দক্ষতার নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করছি। হাইকোয়ালিটি রিবার তৈরির এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের নির্মাণশিল্পে আধুনিক নকশা ও টেকসই উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
দেশের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট ও সরকারি-বেসরকারি খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এই সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে জিপিএইচ ইস্পাত আবারও এই বার্তা দিতে চায়, একটি মজবুত ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের প্রকৌশল দক্ষতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জ্ঞান বিনিময়ের ধারাকে এগিয়ে নিতে তাঁরা সর্বদা সচেষ্ট।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামে ‘ডিজাইন গাইডলাইনস অ্যান্ড কোড প্রভিশনস ফর ইউজিং হায়ার গ্রেড রিবার (বি ৬০০ ডি-আর) ইন আরসিসি স্ট্রাকচারস: এক্সপ্লোরিং অপরচুনিটিজ ফর রিবার সেভিংস ইন দ্য কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বিশেষ টেকনিক্যাল সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে দেশের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টরা উন্নত নকশা, কাঠামোগত দক্ষতা, টেকসই নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কাঠামো প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফখরুল আমীন এবং প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাতের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম; অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলমাস শিমুল; ডিরেক্টর আবদুল আহাদ; ডিরেক্টর সাদমান সাইকা সেফা এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুন কবির। আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব টিএমপিএম মো. সাইফুল ইসলাম। যিনি রিবারের উৎপাদন ও ব্যবহারিক দিক তুলে ধরতে গিয়ে বহির্বিশ্বের কোড ও স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরী (রিজভী), পি. ইঞ্জ.। তিনি হাইকোয়ালিটি রিবার ব্যবহারের নকশাগত ও অর্থনৈতিক সুবিধা তুলে ধরেন এবং আধুনিক রি-ইনফোর্সড কংক্রিট কাঠামোতে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘হাইকোয়ালিটি রিবার (বি ৬০০ ডি-আর) ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা কাঠামোর স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্মাণ খরচ সাশ্রয় ও দক্ষতার নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করছি। হাইকোয়ালিটি রিবার তৈরির এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের নির্মাণশিল্পে আধুনিক নকশা ও টেকসই উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
দেশের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট ও সরকারি-বেসরকারি খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এই সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে জিপিএইচ ইস্পাত আবারও এই বার্তা দিতে চায়, একটি মজবুত ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের প্রকৌশল দক্ষতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জ্ঞান বিনিময়ের ধারাকে এগিয়ে নিতে তাঁরা সর্বদা সচেষ্ট।

অর্থসংকটে পড়েছে সরকার। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত ধার করে মেটানো হচ্ছে অপরিহার্য ব্যয়।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে