এম. আসাদুজ্জামান সাদ, গাজীপুর
যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলায় কথা বলছি, ৭১ বছর পরেও তাঁদের উত্তরসূরিরা বলছেন, তাঁরা অবহেলিত, সরকার-রাষ্ট্র কেউ তাঁদের খবর রাখে না। অনেক ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তাঁরা সরকারের কোনো সহায়তা পাননি।
ভাষাশহীদ আবুল বরকতের ভাতিজা আইন উদ্দিন বরকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, একুশে বইমেলাসহ কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ভাষাশহীদদের পরিবারের কোনো সদস্যকে বাংলা একাডেমিতে দাওয়াত দেওয়া হয় না। ২১ ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার অনুষ্ঠানেও তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না।
বুকভরা অভিমান নিয়ে অনেকগুলো কথা বললেন ভাষাশহীদ শফিউর রহমানের মেয়ে শারমিন আদিবা রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ করে না। আমি যোগাযোগ করলে তারা নানান রকম কাগজপত্র চায়। আমার ভাই ভাষাশহীদের ভাতার বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করত। সে মারা গেছে, তারপর আমি একা হয়ে গেছি।’
অভিমানে তাঁর কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। তিনি বলতে থাকেন, এত বছর হয়ে গেল, কেউ যখন ভাষাশহীদ শফিউরের পরিবারের খোঁজখবর নেয়নি, এখন আর নেওয়ার দরকার নেই।’
মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষাশহীদদের বংশধরদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকরিতে কোটা রাখার দাবি জানান ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে সমাবেশ চলছিল। পাকিস্তান সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-জনতার স্লোগানে কেঁপে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ সময় একটি গুলি রফিকউদ্দিন আহমেদের মাথায় লাগলে তাঁর মাথার খুলি উড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়। ভাষা আন্দোলনে তিনিই প্রথম শহীদ। একই সময়ে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হন আবুল বরকত। আর আবদুল জব্বার মেডিকেল চত্বরে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন। আর শফিউর রহমান ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় রাষ্ট্রভাষার মিছিলে যোগ দিয়ে পেছন দিক থেকে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাঁর কলিজা ছিঁড়ে গিয়েছিল। ওই দিনই সন্ধ্যা ছয়টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ভাষাশহীদ জব্বারের ছেলের বউ ফিরোজা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতার সঙ্গে ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য দেওয়া ভাতা বাবদ ১০ হাজার টাকা পেতেন। ২০২১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি বরাদ্দ দিয়ে সেখানে টিনের ঘর করে দিয়েছিলেন। সেখানে থাকতে হচ্ছে বস্তির মতো। আমার অসুস্থ ছেলেটাকে নিয়ে চলা খুব কষ্ট। ইনকাম নাই, কিছু নাই। আমি নিজেও অনেক অসুস্থ। নিজেরই চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। পাঁচ ভাষাশহীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আমরা একদম নিঃস্ব, অসহায়।’
বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘর তৈরি, তাঁর পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ভাষাশহীদ শফিউর রহমানের মেয়ে শারমিন বলেন, ‘ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা এখন আর কোনো কিছুই পাচ্ছি না। আমাদের সাথে সরকারের অথবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হচ্ছে না।’
ভাষাশহীদ আবদুস সালামের ভাই আবদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে আমাদের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। তিনি মাঝেমধ্যে আমাদের ডেকে কথা বলতে পারেন। আমাদের খোঁজখবর নিতে পারেন।’
‘ভাতার পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিলে হাতখরচটা হয়। সব ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যরা সবকিছু চাচ্ছে না। পাঁচ ভাষাশহীদের মধ্যে কয়েকটি শহীদ পরিবার খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছে।’
ভাষাশহীদ রফিকউদ্দিনের ভাই খোরশেদ আলম জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের মতন তাঁদের জন্যও কোটা ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দিয়ে বা নানাভাবে আমাদের সম্মানিত করা যেত।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়, যা পরে স্বাধিকার আন্দোলনকে আরও বেগবান করে। দিনটিকে ১৯৯৯ সালে আস্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলায় কথা বলছি, ৭১ বছর পরেও তাঁদের উত্তরসূরিরা বলছেন, তাঁরা অবহেলিত, সরকার-রাষ্ট্র কেউ তাঁদের খবর রাখে না। অনেক ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তাঁরা সরকারের কোনো সহায়তা পাননি।
ভাষাশহীদ আবুল বরকতের ভাতিজা আইন উদ্দিন বরকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, একুশে বইমেলাসহ কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ভাষাশহীদদের পরিবারের কোনো সদস্যকে বাংলা একাডেমিতে দাওয়াত দেওয়া হয় না। ২১ ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার অনুষ্ঠানেও তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না।
বুকভরা অভিমান নিয়ে অনেকগুলো কথা বললেন ভাষাশহীদ শফিউর রহমানের মেয়ে শারমিন আদিবা রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ করে না। আমি যোগাযোগ করলে তারা নানান রকম কাগজপত্র চায়। আমার ভাই ভাষাশহীদের ভাতার বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করত। সে মারা গেছে, তারপর আমি একা হয়ে গেছি।’
অভিমানে তাঁর কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। তিনি বলতে থাকেন, এত বছর হয়ে গেল, কেউ যখন ভাষাশহীদ শফিউরের পরিবারের খোঁজখবর নেয়নি, এখন আর নেওয়ার দরকার নেই।’
মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষাশহীদদের বংশধরদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকরিতে কোটা রাখার দাবি জানান ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে সমাবেশ চলছিল। পাকিস্তান সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-জনতার স্লোগানে কেঁপে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ সময় একটি গুলি রফিকউদ্দিন আহমেদের মাথায় লাগলে তাঁর মাথার খুলি উড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়। ভাষা আন্দোলনে তিনিই প্রথম শহীদ। একই সময়ে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হন আবুল বরকত। আর আবদুল জব্বার মেডিকেল চত্বরে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন। আর শফিউর রহমান ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় রাষ্ট্রভাষার মিছিলে যোগ দিয়ে পেছন দিক থেকে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাঁর কলিজা ছিঁড়ে গিয়েছিল। ওই দিনই সন্ধ্যা ছয়টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ভাষাশহীদ জব্বারের ছেলের বউ ফিরোজা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতার সঙ্গে ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য দেওয়া ভাতা বাবদ ১০ হাজার টাকা পেতেন। ২০২১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি বরাদ্দ দিয়ে সেখানে টিনের ঘর করে দিয়েছিলেন। সেখানে থাকতে হচ্ছে বস্তির মতো। আমার অসুস্থ ছেলেটাকে নিয়ে চলা খুব কষ্ট। ইনকাম নাই, কিছু নাই। আমি নিজেও অনেক অসুস্থ। নিজেরই চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। পাঁচ ভাষাশহীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আমরা একদম নিঃস্ব, অসহায়।’
বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘর তৈরি, তাঁর পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ভাষাশহীদ শফিউর রহমানের মেয়ে শারমিন বলেন, ‘ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা এখন আর কোনো কিছুই পাচ্ছি না। আমাদের সাথে সরকারের অথবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হচ্ছে না।’
ভাষাশহীদ আবদুস সালামের ভাই আবদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে আমাদের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। তিনি মাঝেমধ্যে আমাদের ডেকে কথা বলতে পারেন। আমাদের খোঁজখবর নিতে পারেন।’
‘ভাতার পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিলে হাতখরচটা হয়। সব ভাষাশহীদ পরিবারের সদস্যরা সবকিছু চাচ্ছে না। পাঁচ ভাষাশহীদের মধ্যে কয়েকটি শহীদ পরিবার খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছে।’
ভাষাশহীদ রফিকউদ্দিনের ভাই খোরশেদ আলম জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের মতন তাঁদের জন্যও কোটা ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দিয়ে বা নানাভাবে আমাদের সম্মানিত করা যেত।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়, যা পরে স্বাধিকার আন্দোলনকে আরও বেগবান করে। দিনটিকে ১৯৯৯ সালে আস্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫