বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
অতিথি না করায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রীতি ফুটবল খেলা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে। গ্রাম-পুলিশ নিয়ে খেলা বন্ধ করতে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন খেলা আয়োজক কমিটি ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের দুওসুও উচ্চবিদ্যালয়ে অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যানের লোকজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, দুওসুও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যুব সমাজের আয়োজনে প্রতি বছর ঈদের পরে ফুটবল প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয় দুওসুও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। সেখানে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত স্থানীয় খেলোয়াড়রা অংশ নেন। এই ধারাবাহিকতায় আজ খেলার আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি করা হয় স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলুকে।
অবিবাহিত দলের খেলায় অংশ নেওয়া নুর আলম ও রাশেদ আলী অভিযোগ করেন, ‘৩০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে আমরা খেলার আয়োজন করেছি। চেয়ারম্যানকে দাওয়াত না করার কারণে খেলা শুরুর ১০ মিনিট পর তিনি মাঠে গ্রাম-পুলিশ নিয়ে এসে খেলা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানের অতিথিদের তুলে দিয়ে স্টেজ ভাঙচুর করেন। পরে খেলা দেখতে আসা এলাকার লোকজন চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে খেলোয়াড় ও এলাকার লোকজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাতাহাতি হয়েছে।’
অবরুদ্ধ হওয়ার পর চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। তাঁকে উদ্ধার করতে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ যায় দুওসুও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। সেখানে ঘণ্টাখানেক পর চেয়ারম্যানকে পুলিশ উদ্ধার করে বলে জানান নুর আলম ও রাশেদ আলী।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এর আগেও ওয়াজ মাহফিল ও কয়েকটি অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে দাওয়াত করেছিলেন তাঁরা। চেয়ারম্যান উপস্থিত না হওয়ায় এবার তাঁরা দাওয়াত করেননি।
উদ্ধারের পর দুওসুও ইউপির চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহেল রানা বলেন, ‘ইউএনও অফিস, থানা কিংবা ইউপিকে না জানিয়ে খেলার আয়োজন করে। যেহেতু ব্যাপক লোকজনের উপস্থিতি হবে। আইনশৃঙ্খলার একটা বিষয় রয়েছে। আমি এ জন্য মাঠে উপস্থিত হয়ে দুই দলের কাছে খেলোয়াড়দের তালিকা চাই। তালিকা না দিয়ে প্রধান অতিথি বলেন খেলা হবে। এরপরে সেখানে উপস্থিত কিছু মাদকাসক্ত লোকজনের প্ররোচনায় আমার ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। বিষয়টি ইউএনকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠান। তারা আমাকে উদ্ধার করে।’
চেয়ারম্যান আরও জানান, এই ঘটনায় তিনি ইউপি সদস্যদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
তবে খেলার প্রধান অতিথি স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলু বলেন, ‘খেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরপর চেয়ারম্যান গিয়ে খেলা বন্ধ করে দিয়ে খেলোয়াড়দের তালিকা চান। এ সময় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে যায়। আমি এক আত্মীয়র জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। পরে আমি গিয়ে সহযোগিতা করে তাঁকে উদ্ধার করেছি। চেয়ারম্যানের অভিযোগ মিথ্যা, এর কোনো ভিত্তি নেই।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিথি না করায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রীতি ফুটবল খেলা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে। গ্রাম-পুলিশ নিয়ে খেলা বন্ধ করতে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন খেলা আয়োজক কমিটি ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের দুওসুও উচ্চবিদ্যালয়ে অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যানের লোকজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, দুওসুও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যুব সমাজের আয়োজনে প্রতি বছর ঈদের পরে ফুটবল প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয় দুওসুও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। সেখানে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত স্থানীয় খেলোয়াড়রা অংশ নেন। এই ধারাবাহিকতায় আজ খেলার আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি করা হয় স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলুকে।
অবিবাহিত দলের খেলায় অংশ নেওয়া নুর আলম ও রাশেদ আলী অভিযোগ করেন, ‘৩০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে আমরা খেলার আয়োজন করেছি। চেয়ারম্যানকে দাওয়াত না করার কারণে খেলা শুরুর ১০ মিনিট পর তিনি মাঠে গ্রাম-পুলিশ নিয়ে এসে খেলা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানের অতিথিদের তুলে দিয়ে স্টেজ ভাঙচুর করেন। পরে খেলা দেখতে আসা এলাকার লোকজন চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে খেলোয়াড় ও এলাকার লোকজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাতাহাতি হয়েছে।’
অবরুদ্ধ হওয়ার পর চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। তাঁকে উদ্ধার করতে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ যায় দুওসুও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। সেখানে ঘণ্টাখানেক পর চেয়ারম্যানকে পুলিশ উদ্ধার করে বলে জানান নুর আলম ও রাশেদ আলী।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এর আগেও ওয়াজ মাহফিল ও কয়েকটি অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে দাওয়াত করেছিলেন তাঁরা। চেয়ারম্যান উপস্থিত না হওয়ায় এবার তাঁরা দাওয়াত করেননি।
উদ্ধারের পর দুওসুও ইউপির চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহেল রানা বলেন, ‘ইউএনও অফিস, থানা কিংবা ইউপিকে না জানিয়ে খেলার আয়োজন করে। যেহেতু ব্যাপক লোকজনের উপস্থিতি হবে। আইনশৃঙ্খলার একটা বিষয় রয়েছে। আমি এ জন্য মাঠে উপস্থিত হয়ে দুই দলের কাছে খেলোয়াড়দের তালিকা চাই। তালিকা না দিয়ে প্রধান অতিথি বলেন খেলা হবে। এরপরে সেখানে উপস্থিত কিছু মাদকাসক্ত লোকজনের প্ররোচনায় আমার ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। বিষয়টি ইউএনকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠান। তারা আমাকে উদ্ধার করে।’
চেয়ারম্যান আরও জানান, এই ঘটনায় তিনি ইউপি সদস্যদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
তবে খেলার প্রধান অতিথি স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলু বলেন, ‘খেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরপর চেয়ারম্যান গিয়ে খেলা বন্ধ করে দিয়ে খেলোয়াড়দের তালিকা চান। এ সময় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে যায়। আমি এক আত্মীয়র জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। পরে আমি গিয়ে সহযোগিতা করে তাঁকে উদ্ধার করেছি। চেয়ারম্যানের অভিযোগ মিথ্যা, এর কোনো ভিত্তি নেই।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামে মা-বাবা হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজুর ৯ মাসের শিশুকন্যা সিদরাতুল মুনতাহা রাইসা ও তার মা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ‘দাঁড়িপাল্লায় নীরবে ভোট দিয়ে’ এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে। সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
৯ মিনিট আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। জেলার সর্বত্র এখন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক চলছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভক্ত নেতৃত্ব ও একাধিক প্রার্থীর কারণে মাঠে তাদের অবস্থান দুর্বল।
৫ ঘণ্টা আগেহঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত আলাদা ইস্যু ঘিরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। শঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেশনজটসহ নানা সংকটের।
৫ ঘণ্টা আগে