মধুপুরের শালবন
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধুপুর শালবনে ৪৫ হাজার ৫৬৫ দশমিক ৩৮ একর বনভূমি রয়েছে। শাল, সেগুন, গর্জন, গামারিসহ বহু প্রজাতির বৃক্ষ আর ভেষজ-গুল্মলতায় পূর্ণ ঘন বন নানা প্রাণীতে পরিপূর্ণ ছিল। সেই বন আজ বৃক্ষশূন্য। বন বিভাগের তথ্যমতে, টাঙ্গাইলের বনাঞ্চলের ৪১০ প্রজাতির গাছপালা ও ভেষজ-গুল্মলতা হারিয়ে গেছে। বনবাসী অজয় এ মৃ-এর মতে, গহিন এই বনে একসময় ৬৩ প্রজাতির ঔষধি গাছ ছিল। এর মধ্যে অর্জুন, বুনো ডুমুর, মনকাটা, জংলি খেজুর, দামন, তিতিজাম, কাশি গোটা, তিত ফল, দুধ কুরুজ, শতমূল, জারুল, পলাশ, তোফা, নাসিন ও গান্ধী গজারির মতো দেশীয় প্রজাতির গাছ ছিল। বর্তমানে ৪০ প্রজাতির বৃক্ষরাজির অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে আরবোরেটাম (উদ্ভিদবিদ্যা অনুশীলনের উপযোগী উদ্যান) স্থাপন করে হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষরাজি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বনে একসময় নিরাপদে থাকত অসংখ্য মায়া ও চিতল হরিণ। এ ছাড়া বানর, হনুমান, চিতাবাঘ, বাঘডাশা, জংলি শূকর, সাপ, বনবিড়াল, শিয়াল, শজারু, খরগোশ, উদ, গুইসাপ ও বনমোরগের লক্ষণীয় বিচরণ ছিল। বর্তমানে কিছু বানর, হনুমান, মায়া হরিণ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর বিচরণ দেখা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই মধুপুর বনের গাছ লোপাট আর বনভূমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে প্রভাবশালীরা। কাঠ পাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকলে মধুপুরের অনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি ছাত্রসংগঠন বন রক্ষার আন্দোলন গড়ে তোলে। ওই আন্দোলনের পর বন আইন সংশোধনসহ নানা পদক্ষেপে বনবৃক্ষ লুট কিছুটা থামলেও পরে সরকারি অপরিণামদর্শী প্রকল্প বন ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিক বনায়নের নামে প্লট বরাদ্দ পেয়েই প্রতি রাতে গাছ পাচার আর দিনে আকাশমণি-ইউক্যালিপটাস সৃজনে লিপ্ত হন স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টাঙ্গাইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক বলেন, একসময় বন কর্মকর্তা, পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা যৌথভাবে বনের গাছ লুট করেছেন। এখনো বন বিভাগের সহায়তায় বনভূমি দখল উৎসব চলমান।
বন গবেষক অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন জানান, বন শেষ হয়েছে সরকারের ভুল পদক্ষেপের কারণে। এতে সুবিধা নিয়েছে বন বিভাগ আর একশ্রেণির প্রভাবশালী। ১৯৮৬ সালে রাবারবাগান সৃজন করা হয়েছে গজারি বন ধ্বংস করে। এডিবির অর্থায়নে ১৯৯০ সালে থানা বনায়ন ও নার্সারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভেষজ-গুল্মলতায় ভরা বাগান শেষ করে কৃত্রিম বনায়ন করে। তারপর উডলট ও অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক কাঠ পাচার হয়। ২০০১-০৩ পর্যন্ত অর্থসংকটে বন বিভাগের কার্যক্রমে স্থবিরতার সময় কলা আর আনারস বাগানে পরিণত হয় পুরো বনাঞ্চল।
কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের হিসাব অনুসারে, মধুপুর বনাঞ্চলে ৬ হাজার ৬৩০ হেক্টরে আনারস, ২ হাজার ৬৮৫ হেক্টরে কলা, ৫৭৫ হেক্টরে পেঁপে, ৫৫০ হেক্টরে পেয়ারা, ২১৭ হেক্টরে লেবু, ৭০ হেক্টরে ড্রাগন আর প্রায় ১ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করা হয়, যাতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে সেই ফসল প্রাণীরা খেতে না পেয়ে খাদ্যসংকটে পড়ছে।
বেরীবাইদ এলাকার লিটন সরকার জানান, খাদ্যের অভাবে বানরের দল লোকালয়ে রাস্তার পাশে এসে অনেক সময় মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে।
এ নিয়ে কথা হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, মধুপুর বনাঞ্চলের ৪ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সামাজিক বনায়নের আওতায় সৃজিত বাগান শালবনে রূপান্তর করা হবে। একই সঙ্গে তা ভেষজ-গুল্মলতায় পরিপূর্ণ করে প্রাণবৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনা হবে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধুপুর শালবনে ৪৫ হাজার ৫৬৫ দশমিক ৩৮ একর বনভূমি রয়েছে। শাল, সেগুন, গর্জন, গামারিসহ বহু প্রজাতির বৃক্ষ আর ভেষজ-গুল্মলতায় পূর্ণ ঘন বন নানা প্রাণীতে পরিপূর্ণ ছিল। সেই বন আজ বৃক্ষশূন্য। বন বিভাগের তথ্যমতে, টাঙ্গাইলের বনাঞ্চলের ৪১০ প্রজাতির গাছপালা ও ভেষজ-গুল্মলতা হারিয়ে গেছে। বনবাসী অজয় এ মৃ-এর মতে, গহিন এই বনে একসময় ৬৩ প্রজাতির ঔষধি গাছ ছিল। এর মধ্যে অর্জুন, বুনো ডুমুর, মনকাটা, জংলি খেজুর, দামন, তিতিজাম, কাশি গোটা, তিত ফল, দুধ কুরুজ, শতমূল, জারুল, পলাশ, তোফা, নাসিন ও গান্ধী গজারির মতো দেশীয় প্রজাতির গাছ ছিল। বর্তমানে ৪০ প্রজাতির বৃক্ষরাজির অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে আরবোরেটাম (উদ্ভিদবিদ্যা অনুশীলনের উপযোগী উদ্যান) স্থাপন করে হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষরাজি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বনে একসময় নিরাপদে থাকত অসংখ্য মায়া ও চিতল হরিণ। এ ছাড়া বানর, হনুমান, চিতাবাঘ, বাঘডাশা, জংলি শূকর, সাপ, বনবিড়াল, শিয়াল, শজারু, খরগোশ, উদ, গুইসাপ ও বনমোরগের লক্ষণীয় বিচরণ ছিল। বর্তমানে কিছু বানর, হনুমান, মায়া হরিণ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর বিচরণ দেখা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই মধুপুর বনের গাছ লোপাট আর বনভূমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে প্রভাবশালীরা। কাঠ পাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকলে মধুপুরের অনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি ছাত্রসংগঠন বন রক্ষার আন্দোলন গড়ে তোলে। ওই আন্দোলনের পর বন আইন সংশোধনসহ নানা পদক্ষেপে বনবৃক্ষ লুট কিছুটা থামলেও পরে সরকারি অপরিণামদর্শী প্রকল্প বন ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিক বনায়নের নামে প্লট বরাদ্দ পেয়েই প্রতি রাতে গাছ পাচার আর দিনে আকাশমণি-ইউক্যালিপটাস সৃজনে লিপ্ত হন স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টাঙ্গাইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক বলেন, একসময় বন কর্মকর্তা, পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা যৌথভাবে বনের গাছ লুট করেছেন। এখনো বন বিভাগের সহায়তায় বনভূমি দখল উৎসব চলমান।
বন গবেষক অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন জানান, বন শেষ হয়েছে সরকারের ভুল পদক্ষেপের কারণে। এতে সুবিধা নিয়েছে বন বিভাগ আর একশ্রেণির প্রভাবশালী। ১৯৮৬ সালে রাবারবাগান সৃজন করা হয়েছে গজারি বন ধ্বংস করে। এডিবির অর্থায়নে ১৯৯০ সালে থানা বনায়ন ও নার্সারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভেষজ-গুল্মলতায় ভরা বাগান শেষ করে কৃত্রিম বনায়ন করে। তারপর উডলট ও অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক কাঠ পাচার হয়। ২০০১-০৩ পর্যন্ত অর্থসংকটে বন বিভাগের কার্যক্রমে স্থবিরতার সময় কলা আর আনারস বাগানে পরিণত হয় পুরো বনাঞ্চল।
কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের হিসাব অনুসারে, মধুপুর বনাঞ্চলে ৬ হাজার ৬৩০ হেক্টরে আনারস, ২ হাজার ৬৮৫ হেক্টরে কলা, ৫৭৫ হেক্টরে পেঁপে, ৫৫০ হেক্টরে পেয়ারা, ২১৭ হেক্টরে লেবু, ৭০ হেক্টরে ড্রাগন আর প্রায় ১ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করা হয়, যাতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে সেই ফসল প্রাণীরা খেতে না পেয়ে খাদ্যসংকটে পড়ছে।
বেরীবাইদ এলাকার লিটন সরকার জানান, খাদ্যের অভাবে বানরের দল লোকালয়ে রাস্তার পাশে এসে অনেক সময় মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে।
এ নিয়ে কথা হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, মধুপুর বনাঞ্চলের ৪ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সামাজিক বনায়নের আওতায় সৃজিত বাগান শালবনে রূপান্তর করা হবে। একই সঙ্গে তা ভেষজ-গুল্মলতায় পরিপূর্ণ করে প্রাণবৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনা হবে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২১ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তা
২৬ মে ২০২৫
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা হলেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মো. মিলন।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
উত্তরা আর্মি ক্যাম্প থেকে আজ বুধবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনরত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে একটি স্প্যানিশ পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা হলেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মো. মিলন।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
উত্তরা আর্মি ক্যাম্প থেকে আজ বুধবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনরত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে কালা সিদ্দিক এবং মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে একটি স্প্যানিশ পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তা
২৬ মে ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২১ মিনিট আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ এবং গত বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে সূর্য ওঠার পর কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও দিনের বেলা তেমন শীত অনুভূত হয় না বললে চলে। তবে সন্ধ্যার পর নেমে আসে শীতের তীব্রতা, আর তা চলতে থাকে পরদিন সকালে সূর্য উঁকি না দেওয়া পর্যন্ত।
সদর উপজেলার ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাই, এই শীতটা একদম সওয়া যায় না। ভোরে ভ্যান লইয়া বের হইলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দেখা যায় না ঠিকমতো। বেলা বাড়লে তহন একটু আরাম লাগে, কিন্তু সন্ধ্যার লগে লগে আবার জমাট শীত। কাম-কাজ না করলেও চলে না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ এবং গত বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে সূর্য ওঠার পর কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও দিনের বেলা তেমন শীত অনুভূত হয় না বললে চলে। তবে সন্ধ্যার পর নেমে আসে শীতের তীব্রতা, আর তা চলতে থাকে পরদিন সকালে সূর্য উঁকি না দেওয়া পর্যন্ত।
সদর উপজেলার ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাই, এই শীতটা একদম সওয়া যায় না। ভোরে ভ্যান লইয়া বের হইলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দেখা যায় না ঠিকমতো। বেলা বাড়লে তহন একটু আরাম লাগে, কিন্তু সন্ধ্যার লগে লগে আবার জমাট শীত। কাম-কাজ না করলেও চলে না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তা
২৬ মে ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২১ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্যই এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেবান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পাহাড়ি ছড়া বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে ২০১২ সালে গর্জনিয়া উত্তর বড়বিল-দক্ষিণ বাইশারী সংযোগ সেতুটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে কাঠ-বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্য এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
বাইশারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জমির বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একটি ব্রিজ কীভাবে পড়ে থাকে, তা আমাদের জানা ছিল না। মানুষের জীবন নিয়ে যেন কারও কোনো ভাবনাই নেই!’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফ বলেন, ‘ব্রিজটির দুরবস্থা নিয়ে আমরা বারবার বলেছি, লিখেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হচ্ছে।’
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সেতুটি ধসে যাওয়ার পর একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ১৩ বছর ধরে তাঁরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে, কিন্তু এটি পুনর্নির্মাণে এলজিইডি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
অন্যদিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ বলেন, ‘গর্জনিয়া থেকে উৎপাদিত শাকসবজি ও তরিতরকারি বাইশারী বাজারে আনতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। মাঝেমধ্যে ভাঙা ব্রিজের ওপরের সাঁকো ভেঙে গেলে কয়েক দিনের জন্য আমাদের যাতায়াত বন্ধ থাকে।’

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কী দুর্ভোগ তা আমি জানি। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত এই ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘অনেকবার বিভিন্ন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছেন। সাংবাদিকেরা লেখালেখি করেছেন, কিন্তু ফল হয়নি।’
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন, ‘ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বান্দরবান জেলা পরিষদে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।’
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি ঠিক কোন উপজেলার আওতাধীন তা নিশ্চিত নই। যে উপজেলার অধীনে পড়বে, তাদেরই কাজটি করতে হবে। যদি নাইক্ষ্যংছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে আমরা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দায়িত্বের প্রশ্নে প্রশাসনের গাফিলতি চলছে। ফলে বছরের পর বছর অবহেলায় পড়ে আছে সেতুটি; আর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই উপজেলা প্রশাসন বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পাহাড়ি ছড়া বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে ২০১২ সালে গর্জনিয়া উত্তর বড়বিল-দক্ষিণ বাইশারী সংযোগ সেতুটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে কাঠ-বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্য এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।
বাইশারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জমির বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একটি ব্রিজ কীভাবে পড়ে থাকে, তা আমাদের জানা ছিল না। মানুষের জীবন নিয়ে যেন কারও কোনো ভাবনাই নেই!’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফ বলেন, ‘ব্রিজটির দুরবস্থা নিয়ে আমরা বারবার বলেছি, লিখেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হচ্ছে।’
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সেতুটি ধসে যাওয়ার পর একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ১৩ বছর ধরে তাঁরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে, কিন্তু এটি পুনর্নির্মাণে এলজিইডি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
অন্যদিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ বলেন, ‘গর্জনিয়া থেকে উৎপাদিত শাকসবজি ও তরিতরকারি বাইশারী বাজারে আনতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। মাঝেমধ্যে ভাঙা ব্রিজের ওপরের সাঁকো ভেঙে গেলে কয়েক দিনের জন্য আমাদের যাতায়াত বন্ধ থাকে।’

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কী দুর্ভোগ তা আমি জানি। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত এই ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘অনেকবার বিভিন্ন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছেন। সাংবাদিকেরা লেখালেখি করেছেন, কিন্তু ফল হয়নি।’
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন, ‘ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বান্দরবান জেলা পরিষদে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।’
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি ঠিক কোন উপজেলার আওতাধীন তা নিশ্চিত নই। যে উপজেলার অধীনে পড়বে, তাদেরই কাজটি করতে হবে। যদি নাইক্ষ্যংছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে আমরা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দায়িত্বের প্রশ্নে প্রশাসনের গাফিলতি চলছে। ফলে বছরের পর বছর অবহেলায় পড়ে আছে সেতুটি; আর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই উপজেলা প্রশাসন বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তা
২৬ মে ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২১ মিনিট আগে
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের অধীনস্থ উত্তরা আর্মি ক্যাম্প।
১ ঘণ্টা আগে
টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে