ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মেয়রের চেয়ারে বসলে দুটিই হবে তাঁর হ্যাটট্রিক। সিসিক নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ২৩ মে, প্রত্যাহার ১ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। সময় মাত্র আড়াই মাস। তফসিল ঘোষণার পরপরই চাঙা হয়ে উঠেছে নগরে ভোটের রাজনীতি। চায়ের দোকান থেকে সর্বত্রই শুরু হয়েছে আলোচনা। বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর হ্যাটট্রিক নাকি নতুন মুখ বসছেন নগর পিতার আসনে। তবে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
অবশ্য, দু-তিন মাস আগেই মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তাঁদের ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগর। তবে জাতীয় পার্টির দুজন ছাড়া মেয়রপদে প্রচার চালানো সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার মধ্যে নীরব বিএনপি। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিএনপিতে ভর করছে এই নীরবতা। আরিফুল হক চৌধুরীর ‘হ্যাটট্রিক মিশনে’ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় সিদ্ধান্ত। এই অবস্থায় সরব আওয়ামী লীগে নির্বাচনী প্রচারণাও একতরফা দেখা দিয়েছে। সিসিকের সর্বশেষ দুই নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। পুরো সময়টাই নগরবাসীর ‘খোঁড়াখুঁড়িজনিত’ ভোগান্তি হলেও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে আরিফের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে দাবি সমর্থকদের। তবে এবার বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
এই অবস্থায় আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে আরিফের প্রার্থিতার ক্ষেত্রে দলীয় দোলাচলে রয়েছে নানা আলোচনা। সিটি নির্বাচনে আরিফুল প্রার্থী হবেন কি না, এ নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা। ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে কৌশলী অবস্থানে রয়েছেন আরিফুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
এদিকে গত রোববার মেয়র আরিফুল যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে মেয়রের হঠাৎ লন্ডন যাওয়া নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ বলেন, ‘মেয়রের এই সফর একান্ত ব্যক্তিগত। মেয়েকে দেখতে এবং মেয়ের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে মেয়র এক সপ্তাহের মতো লন্ডনে অবস্থান করবেন।’
আরিফ-ঘনিষ্ঠ দলীয় সূত্র জানায়, সিসিক মেয়র বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে লন্ডন গেছেন। নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলীয় হাইকমান্ডের সিগন্যাল পাওয়ার লক্ষ্যে তাঁর এই সফর। তারেক রহমানকে বাস্তবতা বোঝানোর চেষ্টা করবেন। ১০ বছরে তাঁর উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে দলের সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করবেন।
তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে আরিফের জন্য আলাদা কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের দাবি, ‘তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। জেলে থাকাকালীন বড় বড় অফার পেয়েছিলেন; দলের সঙ্গে বেইমানি করে সেগুলো গ্রহণ করেননি। মেয়র হওয়ার জন্যও দলের বাইরে যাবেন না। এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না-এই কথায় দল অনড়। সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অর্থ এই নির্বাচন কমিশনকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাই লন্ডন থেকে সুখবর না আসার কথাই উচ্চারিত হচ্ছে বেশি।’
আরিফ-ঘনিষ্ঠ নগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দুজন নেতা বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরাও আরিফুলকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিয়েছি। লন্ডন থেকে ফেরার পর সিদ্ধান্ত কী হবে জানি না। যতটুকু বুঝেছি, তিনিও আমাদের সঙ্গে একমত। দলের কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। ”
তবে আরিফুলের পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজন জানান, বিএনপির চলমান আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও ভেতরে-ভেতরে নিজের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন আরিফ। শেষ সময়ে তিনি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এটি বুঝিয়ে শেষ মুহূর্তে তিনি নির্বাচনে রাজি করাতে পারেন অথবা শীর্ষ নেতাদের সম্মতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারেন।
বিএনপির নেতাকর্মীর দাবি, সিলেট সিটিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রয়াত মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে কামরানকে হারিয়েই মেয়র নির্বাচিত হন আরিফ। ২০২০ সালে কামরানের মৃত্যুর কারণে এবার সিলেটে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আরিফের জয় অনেকটাই সহজ হবে।
সবকিছুই যথাসময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে আরিফের ঘনিষ্ঠ লোকজন জানান, সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন আরিফ। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে এবং মনোনয়নপ্রাপ্তি নিশ্চিত হলে সিটি নির্বাচনে আরিফ অংশ নিতে নাও পারেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেননি। এবারও করবেন না, তাই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ারও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি, আরিফ বলয়ের দলীয় নেতাদের। আরিফুল বলেন, ‘দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তা ছাড়া আমরা এখন সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছি। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।’
এদিকে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আরিফই মনোনয়ন পাবেন, তাও নিশ্চিত নয়। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে এখানে একাধিক নেতা তৎপর আছেন। তবে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিবেচনায় আরিফুলের বিকল্প নেতা বিএনপিতে খুব একটা নেই বলেও নগরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা আছে। আরিফুলের বিকল্প না থাকলেও দলে তাঁর বিরোধী শক্তির অবস্থান অত্যন্ত পাকাপোক্ত। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসন থেকে বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের সঙ্গে আরিফুলের ‘নীরব যুদ্ধ’ চলছে বলে রাজনীতির মাঠে প্রচলিত আছে। তাই বিএনপি নির্বাচনে এলেও আরিফুল যেন মনোনয়ন না পান, এ নিয়ে বিপক্ষ বলয়ের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই তৎপর থাকবেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ‘সিসিকের বর্তমান মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। অবশ্যই তিনি দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে চলবেন। আমরা বিশ্বাস করি আরিফুল দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। দল নির্বাচনে গেলে আমিসহ অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী। সর্বশেষ দল যাকেই মনোনয়ন দেবে, আমরা দলের প্রতীককে বিজয়ী করতে মাঠে নামব।’
আরিফুলের ঘনিষ্ঠ লোকজন বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা ও তারেক রহমানের কাছ থেকে নির্বাচন শেষে দলে ফেরার নিশ্চয়তা পেলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনেরও সব প্রস্তুতি রয়েছে তাঁর। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আরিফুলের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরলে আগামী সপ্তাহেই বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন মেয়র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি যাবেন, এমনটা আমরা চিন্তাও করি না। আর দল সিদ্ধান্ত নিলে আরিফুল শুধু হ্যাটট্রিক নয়, সিলেটকে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।’
নির্ভার আওয়ামী লীগে প্রার্থীজট
বিএনপি নীরব থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে রীতিমতো প্রার্থীজট দেখা দিয়েছে। দলটির যে কয়জন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন, তাঁদের পোস্টার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরে। এ ছাড়া জনসংযোগও শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, এবার সিটি নির্বাচনে বিএনপির আরিফুল অংশ নাও নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পেলে জয় অনেকটা নিশ্চিত। তাই দলীয় মনোনয়নের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগরের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম হাসান জেবুল ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এবং বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে আরমান আহমদ শিপলু। তাঁদের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলের হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে প্রচার চালাচ্ছেন।
আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি বা আরিফুল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা নগরবাসীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দিই। ভোটে নগরবাসী তাঁদের সেবক নির্বাচন করবেন। আমি দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি।’
‘আরিফুলের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তিশালী প্রার্থী নেই’ এমন বিষয় মানতে নারাজ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আরিফুল স্বশিক্ষিত। ম্যাট্রিকও পাস করেননি। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদসহ অনেক গ্র্যাজুয়েট ও সুযোগ্য প্রার্থী রয়েছেন।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মেয়রের চেয়ারে বসলে দুটিই হবে তাঁর হ্যাটট্রিক। সিসিক নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ২৩ মে, প্রত্যাহার ১ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। সময় মাত্র আড়াই মাস। তফসিল ঘোষণার পরপরই চাঙা হয়ে উঠেছে নগরে ভোটের রাজনীতি। চায়ের দোকান থেকে সর্বত্রই শুরু হয়েছে আলোচনা। বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর হ্যাটট্রিক নাকি নতুন মুখ বসছেন নগর পিতার আসনে। তবে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
অবশ্য, দু-তিন মাস আগেই মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তাঁদের ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগর। তবে জাতীয় পার্টির দুজন ছাড়া মেয়রপদে প্রচার চালানো সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার মধ্যে নীরব বিএনপি। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিএনপিতে ভর করছে এই নীরবতা। আরিফুল হক চৌধুরীর ‘হ্যাটট্রিক মিশনে’ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় সিদ্ধান্ত। এই অবস্থায় সরব আওয়ামী লীগে নির্বাচনী প্রচারণাও একতরফা দেখা দিয়েছে। সিসিকের সর্বশেষ দুই নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। পুরো সময়টাই নগরবাসীর ‘খোঁড়াখুঁড়িজনিত’ ভোগান্তি হলেও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে আরিফের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে দাবি সমর্থকদের। তবে এবার বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
এই অবস্থায় আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে আরিফের প্রার্থিতার ক্ষেত্রে দলীয় দোলাচলে রয়েছে নানা আলোচনা। সিটি নির্বাচনে আরিফুল প্রার্থী হবেন কি না, এ নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা। ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে কৌশলী অবস্থানে রয়েছেন আরিফুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
এদিকে গত রোববার মেয়র আরিফুল যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে মেয়রের হঠাৎ লন্ডন যাওয়া নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ বলেন, ‘মেয়রের এই সফর একান্ত ব্যক্তিগত। মেয়েকে দেখতে এবং মেয়ের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে মেয়র এক সপ্তাহের মতো লন্ডনে অবস্থান করবেন।’
আরিফ-ঘনিষ্ঠ দলীয় সূত্র জানায়, সিসিক মেয়র বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে লন্ডন গেছেন। নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলীয় হাইকমান্ডের সিগন্যাল পাওয়ার লক্ষ্যে তাঁর এই সফর। তারেক রহমানকে বাস্তবতা বোঝানোর চেষ্টা করবেন। ১০ বছরে তাঁর উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে দলের সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করবেন।
তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে আরিফের জন্য আলাদা কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের দাবি, ‘তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। জেলে থাকাকালীন বড় বড় অফার পেয়েছিলেন; দলের সঙ্গে বেইমানি করে সেগুলো গ্রহণ করেননি। মেয়র হওয়ার জন্যও দলের বাইরে যাবেন না। এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না-এই কথায় দল অনড়। সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অর্থ এই নির্বাচন কমিশনকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাই লন্ডন থেকে সুখবর না আসার কথাই উচ্চারিত হচ্ছে বেশি।’
আরিফ-ঘনিষ্ঠ নগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দুজন নেতা বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরাও আরিফুলকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিয়েছি। লন্ডন থেকে ফেরার পর সিদ্ধান্ত কী হবে জানি না। যতটুকু বুঝেছি, তিনিও আমাদের সঙ্গে একমত। দলের কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। ”
তবে আরিফুলের পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজন জানান, বিএনপির চলমান আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও ভেতরে-ভেতরে নিজের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন আরিফ। শেষ সময়ে তিনি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এটি বুঝিয়ে শেষ মুহূর্তে তিনি নির্বাচনে রাজি করাতে পারেন অথবা শীর্ষ নেতাদের সম্মতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারেন।
বিএনপির নেতাকর্মীর দাবি, সিলেট সিটিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রয়াত মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে কামরানকে হারিয়েই মেয়র নির্বাচিত হন আরিফ। ২০২০ সালে কামরানের মৃত্যুর কারণে এবার সিলেটে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আরিফের জয় অনেকটাই সহজ হবে।
সবকিছুই যথাসময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে আরিফের ঘনিষ্ঠ লোকজন জানান, সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন আরিফ। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে এবং মনোনয়নপ্রাপ্তি নিশ্চিত হলে সিটি নির্বাচনে আরিফ অংশ নিতে নাও পারেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেননি। এবারও করবেন না, তাই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ারও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি, আরিফ বলয়ের দলীয় নেতাদের। আরিফুল বলেন, ‘দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তা ছাড়া আমরা এখন সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছি। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।’
এদিকে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আরিফই মনোনয়ন পাবেন, তাও নিশ্চিত নয়। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে এখানে একাধিক নেতা তৎপর আছেন। তবে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিবেচনায় আরিফুলের বিকল্প নেতা বিএনপিতে খুব একটা নেই বলেও নগরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা আছে। আরিফুলের বিকল্প না থাকলেও দলে তাঁর বিরোধী শক্তির অবস্থান অত্যন্ত পাকাপোক্ত। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসন থেকে বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের সঙ্গে আরিফুলের ‘নীরব যুদ্ধ’ চলছে বলে রাজনীতির মাঠে প্রচলিত আছে। তাই বিএনপি নির্বাচনে এলেও আরিফুল যেন মনোনয়ন না পান, এ নিয়ে বিপক্ষ বলয়ের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই তৎপর থাকবেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ‘সিসিকের বর্তমান মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। অবশ্যই তিনি দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে চলবেন। আমরা বিশ্বাস করি আরিফুল দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। দল নির্বাচনে গেলে আমিসহ অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী। সর্বশেষ দল যাকেই মনোনয়ন দেবে, আমরা দলের প্রতীককে বিজয়ী করতে মাঠে নামব।’
আরিফুলের ঘনিষ্ঠ লোকজন বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা ও তারেক রহমানের কাছ থেকে নির্বাচন শেষে দলে ফেরার নিশ্চয়তা পেলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনেরও সব প্রস্তুতি রয়েছে তাঁর। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আরিফুলের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরলে আগামী সপ্তাহেই বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন মেয়র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি যাবেন, এমনটা আমরা চিন্তাও করি না। আর দল সিদ্ধান্ত নিলে আরিফুল শুধু হ্যাটট্রিক নয়, সিলেটকে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।’
নির্ভার আওয়ামী লীগে প্রার্থীজট
বিএনপি নীরব থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে রীতিমতো প্রার্থীজট দেখা দিয়েছে। দলটির যে কয়জন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন, তাঁদের পোস্টার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরে। এ ছাড়া জনসংযোগও শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, এবার সিটি নির্বাচনে বিএনপির আরিফুল অংশ নাও নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পেলে জয় অনেকটা নিশ্চিত। তাই দলীয় মনোনয়নের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগরের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম হাসান জেবুল ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এবং বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে আরমান আহমদ শিপলু। তাঁদের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলের হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে প্রচার চালাচ্ছেন।
আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি বা আরিফুল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা নগরবাসীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দিই। ভোটে নগরবাসী তাঁদের সেবক নির্বাচন করবেন। আমি দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি।’
‘আরিফুলের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তিশালী প্রার্থী নেই’ এমন বিষয় মানতে নারাজ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আরিফুল স্বশিক্ষিত। ম্যাট্রিকও পাস করেননি। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদসহ অনেক গ্র্যাজুয়েট ও সুযোগ্য প্রার্থী রয়েছেন।’
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মেয়রের চেয়ারে বসলে দুটিই হবে তাঁর হ্যাটট্রিক। সিসিক নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ২৩ মে, প্রত্যাহার ১ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। সময় মাত্র আড়াই মাস। তফসিল ঘোষণার পরপরই চাঙা হয়ে উঠেছে নগরে ভোটের রাজনীতি। চায়ের দোকান থেকে সর্বত্রই শুরু হয়েছে আলোচনা। বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর হ্যাটট্রিক নাকি নতুন মুখ বসছেন নগর পিতার আসনে। তবে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
অবশ্য, দু-তিন মাস আগেই মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তাঁদের ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগর। তবে জাতীয় পার্টির দুজন ছাড়া মেয়রপদে প্রচার চালানো সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার মধ্যে নীরব বিএনপি। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিএনপিতে ভর করছে এই নীরবতা। আরিফুল হক চৌধুরীর ‘হ্যাটট্রিক মিশনে’ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় সিদ্ধান্ত। এই অবস্থায় সরব আওয়ামী লীগে নির্বাচনী প্রচারণাও একতরফা দেখা দিয়েছে। সিসিকের সর্বশেষ দুই নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। পুরো সময়টাই নগরবাসীর ‘খোঁড়াখুঁড়িজনিত’ ভোগান্তি হলেও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে আরিফের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে দাবি সমর্থকদের। তবে এবার বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
এই অবস্থায় আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে আরিফের প্রার্থিতার ক্ষেত্রে দলীয় দোলাচলে রয়েছে নানা আলোচনা। সিটি নির্বাচনে আরিফুল প্রার্থী হবেন কি না, এ নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা। ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে কৌশলী অবস্থানে রয়েছেন আরিফুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
এদিকে গত রোববার মেয়র আরিফুল যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে মেয়রের হঠাৎ লন্ডন যাওয়া নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ বলেন, ‘মেয়রের এই সফর একান্ত ব্যক্তিগত। মেয়েকে দেখতে এবং মেয়ের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে মেয়র এক সপ্তাহের মতো লন্ডনে অবস্থান করবেন।’
আরিফ-ঘনিষ্ঠ দলীয় সূত্র জানায়, সিসিক মেয়র বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে লন্ডন গেছেন। নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলীয় হাইকমান্ডের সিগন্যাল পাওয়ার লক্ষ্যে তাঁর এই সফর। তারেক রহমানকে বাস্তবতা বোঝানোর চেষ্টা করবেন। ১০ বছরে তাঁর উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে দলের সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করবেন।
তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে আরিফের জন্য আলাদা কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের দাবি, ‘তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। জেলে থাকাকালীন বড় বড় অফার পেয়েছিলেন; দলের সঙ্গে বেইমানি করে সেগুলো গ্রহণ করেননি। মেয়র হওয়ার জন্যও দলের বাইরে যাবেন না। এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না-এই কথায় দল অনড়। সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অর্থ এই নির্বাচন কমিশনকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাই লন্ডন থেকে সুখবর না আসার কথাই উচ্চারিত হচ্ছে বেশি।’
আরিফ-ঘনিষ্ঠ নগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দুজন নেতা বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরাও আরিফুলকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিয়েছি। লন্ডন থেকে ফেরার পর সিদ্ধান্ত কী হবে জানি না। যতটুকু বুঝেছি, তিনিও আমাদের সঙ্গে একমত। দলের কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। ”
তবে আরিফুলের পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজন জানান, বিএনপির চলমান আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও ভেতরে-ভেতরে নিজের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন আরিফ। শেষ সময়ে তিনি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এটি বুঝিয়ে শেষ মুহূর্তে তিনি নির্বাচনে রাজি করাতে পারেন অথবা শীর্ষ নেতাদের সম্মতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারেন।
বিএনপির নেতাকর্মীর দাবি, সিলেট সিটিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রয়াত মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে কামরানকে হারিয়েই মেয়র নির্বাচিত হন আরিফ। ২০২০ সালে কামরানের মৃত্যুর কারণে এবার সিলেটে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আরিফের জয় অনেকটাই সহজ হবে।
সবকিছুই যথাসময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে আরিফের ঘনিষ্ঠ লোকজন জানান, সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন আরিফ। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে এবং মনোনয়নপ্রাপ্তি নিশ্চিত হলে সিটি নির্বাচনে আরিফ অংশ নিতে নাও পারেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেননি। এবারও করবেন না, তাই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ারও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি, আরিফ বলয়ের দলীয় নেতাদের। আরিফুল বলেন, ‘দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তা ছাড়া আমরা এখন সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছি। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।’
এদিকে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আরিফই মনোনয়ন পাবেন, তাও নিশ্চিত নয়। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে এখানে একাধিক নেতা তৎপর আছেন। তবে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিবেচনায় আরিফুলের বিকল্প নেতা বিএনপিতে খুব একটা নেই বলেও নগরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা আছে। আরিফুলের বিকল্প না থাকলেও দলে তাঁর বিরোধী শক্তির অবস্থান অত্যন্ত পাকাপোক্ত। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসন থেকে বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের সঙ্গে আরিফুলের ‘নীরব যুদ্ধ’ চলছে বলে রাজনীতির মাঠে প্রচলিত আছে। তাই বিএনপি নির্বাচনে এলেও আরিফুল যেন মনোনয়ন না পান, এ নিয়ে বিপক্ষ বলয়ের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই তৎপর থাকবেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ‘সিসিকের বর্তমান মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। অবশ্যই তিনি দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে চলবেন। আমরা বিশ্বাস করি আরিফুল দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। দল নির্বাচনে গেলে আমিসহ অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী। সর্বশেষ দল যাকেই মনোনয়ন দেবে, আমরা দলের প্রতীককে বিজয়ী করতে মাঠে নামব।’
আরিফুলের ঘনিষ্ঠ লোকজন বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা ও তারেক রহমানের কাছ থেকে নির্বাচন শেষে দলে ফেরার নিশ্চয়তা পেলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনেরও সব প্রস্তুতি রয়েছে তাঁর। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আরিফুলের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরলে আগামী সপ্তাহেই বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন মেয়র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি যাবেন, এমনটা আমরা চিন্তাও করি না। আর দল সিদ্ধান্ত নিলে আরিফুল শুধু হ্যাটট্রিক নয়, সিলেটকে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।’
নির্ভার আওয়ামী লীগে প্রার্থীজট
বিএনপি নীরব থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে রীতিমতো প্রার্থীজট দেখা দিয়েছে। দলটির যে কয়জন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন, তাঁদের পোস্টার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরে। এ ছাড়া জনসংযোগও শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, এবার সিটি নির্বাচনে বিএনপির আরিফুল অংশ নাও নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পেলে জয় অনেকটা নিশ্চিত। তাই দলীয় মনোনয়নের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগরের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম হাসান জেবুল ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এবং বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে আরমান আহমদ শিপলু। তাঁদের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলের হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে প্রচার চালাচ্ছেন।
আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি বা আরিফুল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা নগরবাসীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দিই। ভোটে নগরবাসী তাঁদের সেবক নির্বাচন করবেন। আমি দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি।’
‘আরিফুলের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তিশালী প্রার্থী নেই’ এমন বিষয় মানতে নারাজ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আরিফুল স্বশিক্ষিত। ম্যাট্রিকও পাস করেননি। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদসহ অনেক গ্র্যাজুয়েট ও সুযোগ্য প্রার্থী রয়েছেন।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মেয়রের চেয়ারে বসলে দুটিই হবে তাঁর হ্যাটট্রিক। সিসিক নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ২৩ মে, প্রত্যাহার ১ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। সময় মাত্র আড়াই মাস। তফসিল ঘোষণার পরপরই চাঙা হয়ে উঠেছে নগরে ভোটের রাজনীতি। চায়ের দোকান থেকে সর্বত্রই শুরু হয়েছে আলোচনা। বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর হ্যাটট্রিক নাকি নতুন মুখ বসছেন নগর পিতার আসনে। তবে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
অবশ্য, দু-তিন মাস আগেই মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তাঁদের ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগর। তবে জাতীয় পার্টির দুজন ছাড়া মেয়রপদে প্রচার চালানো সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার মধ্যে নীরব বিএনপি। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিএনপিতে ভর করছে এই নীরবতা। আরিফুল হক চৌধুরীর ‘হ্যাটট্রিক মিশনে’ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় সিদ্ধান্ত। এই অবস্থায় সরব আওয়ামী লীগে নির্বাচনী প্রচারণাও একতরফা দেখা দিয়েছে। সিসিকের সর্বশেষ দুই নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। পুরো সময়টাই নগরবাসীর ‘খোঁড়াখুঁড়িজনিত’ ভোগান্তি হলেও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে আরিফের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে দাবি সমর্থকদের। তবে এবার বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
এই অবস্থায় আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে আরিফের প্রার্থিতার ক্ষেত্রে দলীয় দোলাচলে রয়েছে নানা আলোচনা। সিটি নির্বাচনে আরিফুল প্রার্থী হবেন কি না, এ নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা। ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে কৌশলী অবস্থানে রয়েছেন আরিফুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
এদিকে গত রোববার মেয়র আরিফুল যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে মেয়রের হঠাৎ লন্ডন যাওয়া নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ বলেন, ‘মেয়রের এই সফর একান্ত ব্যক্তিগত। মেয়েকে দেখতে এবং মেয়ের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে মেয়র এক সপ্তাহের মতো লন্ডনে অবস্থান করবেন।’
আরিফ-ঘনিষ্ঠ দলীয় সূত্র জানায়, সিসিক মেয়র বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে লন্ডন গেছেন। নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলীয় হাইকমান্ডের সিগন্যাল পাওয়ার লক্ষ্যে তাঁর এই সফর। তারেক রহমানকে বাস্তবতা বোঝানোর চেষ্টা করবেন। ১০ বছরে তাঁর উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে দলের সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করবেন।
তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে আরিফের জন্য আলাদা কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের দাবি, ‘তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। জেলে থাকাকালীন বড় বড় অফার পেয়েছিলেন; দলের সঙ্গে বেইমানি করে সেগুলো গ্রহণ করেননি। মেয়র হওয়ার জন্যও দলের বাইরে যাবেন না। এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না-এই কথায় দল অনড়। সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অর্থ এই নির্বাচন কমিশনকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাই লন্ডন থেকে সুখবর না আসার কথাই উচ্চারিত হচ্ছে বেশি।’
আরিফ-ঘনিষ্ঠ নগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দুজন নেতা বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরাও আরিফুলকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিয়েছি। লন্ডন থেকে ফেরার পর সিদ্ধান্ত কী হবে জানি না। যতটুকু বুঝেছি, তিনিও আমাদের সঙ্গে একমত। দলের কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। ”
তবে আরিফুলের পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজন জানান, বিএনপির চলমান আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও ভেতরে-ভেতরে নিজের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন আরিফ। শেষ সময়ে তিনি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এটি বুঝিয়ে শেষ মুহূর্তে তিনি নির্বাচনে রাজি করাতে পারেন অথবা শীর্ষ নেতাদের সম্মতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারেন।
বিএনপির নেতাকর্মীর দাবি, সিলেট সিটিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রয়াত মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে কামরানকে হারিয়েই মেয়র নির্বাচিত হন আরিফ। ২০২০ সালে কামরানের মৃত্যুর কারণে এবার সিলেটে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আরিফের জয় অনেকটাই সহজ হবে।
সবকিছুই যথাসময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে আরিফের ঘনিষ্ঠ লোকজন জানান, সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন আরিফ। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে এবং মনোনয়নপ্রাপ্তি নিশ্চিত হলে সিটি নির্বাচনে আরিফ অংশ নিতে নাও পারেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেননি। এবারও করবেন না, তাই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ারও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি, আরিফ বলয়ের দলীয় নেতাদের। আরিফুল বলেন, ‘দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তা ছাড়া আমরা এখন সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছি। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।’
এদিকে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আরিফই মনোনয়ন পাবেন, তাও নিশ্চিত নয়। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে এখানে একাধিক নেতা তৎপর আছেন। তবে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিবেচনায় আরিফুলের বিকল্প নেতা বিএনপিতে খুব একটা নেই বলেও নগরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা আছে। আরিফুলের বিকল্প না থাকলেও দলে তাঁর বিরোধী শক্তির অবস্থান অত্যন্ত পাকাপোক্ত। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসন থেকে বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের সঙ্গে আরিফুলের ‘নীরব যুদ্ধ’ চলছে বলে রাজনীতির মাঠে প্রচলিত আছে। তাই বিএনপি নির্বাচনে এলেও আরিফুল যেন মনোনয়ন না পান, এ নিয়ে বিপক্ষ বলয়ের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই তৎপর থাকবেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, ‘সিসিকের বর্তমান মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। অবশ্যই তিনি দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে চলবেন। আমরা বিশ্বাস করি আরিফুল দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। দল নির্বাচনে গেলে আমিসহ অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী। সর্বশেষ দল যাকেই মনোনয়ন দেবে, আমরা দলের প্রতীককে বিজয়ী করতে মাঠে নামব।’
আরিফুলের ঘনিষ্ঠ লোকজন বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা ও তারেক রহমানের কাছ থেকে নির্বাচন শেষে দলে ফেরার নিশ্চয়তা পেলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনেরও সব প্রস্তুতি রয়েছে তাঁর। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আরিফুলের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরলে আগামী সপ্তাহেই বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন মেয়র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি যাবেন, এমনটা আমরা চিন্তাও করি না। আর দল সিদ্ধান্ত নিলে আরিফুল শুধু হ্যাটট্রিক নয়, সিলেটকে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।’
নির্ভার আওয়ামী লীগে প্রার্থীজট
বিএনপি নীরব থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে রীতিমতো প্রার্থীজট দেখা দিয়েছে। দলটির যে কয়জন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন, তাঁদের পোস্টার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরে। এ ছাড়া জনসংযোগও শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, এবার সিটি নির্বাচনে বিএনপির আরিফুল অংশ নাও নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পেলে জয় অনেকটা নিশ্চিত। তাই দলীয় মনোনয়নের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগরের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম হাসান জেবুল ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এবং বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে আরমান আহমদ শিপলু। তাঁদের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলের হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে প্রচার চালাচ্ছেন।
আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি বা আরিফুল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা নগরবাসীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দিই। ভোটে নগরবাসী তাঁদের সেবক নির্বাচন করবেন। আমি দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি।’
‘আরিফুলের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তিশালী প্রার্থী নেই’ এমন বিষয় মানতে নারাজ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আরিফুল স্বশিক্ষিত। ম্যাট্রিকও পাস করেননি। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদসহ অনেক গ্র্যাজুয়েট ও সুযোগ্য প্রার্থী রয়েছেন।’

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
৯ মিনিট আগে
কুমিল্লার তিতাসে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ চার নারীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগেশিপুল ইসলাম, রংপুর

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার মধ্যরাতে অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আসবাব ও দামি সরঞ্জাম বিক্রি করে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হয় স্থানীয় গ্রাহকদের। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে অফিসে গিয়ে মালপত্র আটক করেন এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহির জন্য অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল থেকে অফিসের সামনে গ্রাহকের ভিড় করতে শুরু করে দুপুর গড়তেই জাহাজ কোম্পানি-স্টেশন রোডে জামাল মার্কেটের সামনে অফিসের নিচে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, জাহাজ কোম্পানি-স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গ্রাহকেরা। এ সময় অফিসের লকার, চেয়ার-টেবিল, আসবাবসহ একটি ট্রাক দেখা যায়। অফিস কক্ষে চারজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রংপুর বিভাগের প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের ১২১ কোটি টাকারও বেশি বিমা দাবি এখনো পরিশোধ করেনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা টাকা না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ২৯ হাজার ৫৯৬ জন গ্রাহকের বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে, যার বিপরীতে ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকারও বেশি পরিশোধ বকেয়া রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহকেরা বছরের পর বছর ধরে শুধু আশ্বাসই পাচ্ছেন।

অবস্থান নেওয়া গ্রাহক নগরীর ভগিবালা এলাকার বৃদ্ধা আকলিমা বেগমের দুই বছর আগে বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা দীর্ঘদিন ঘুরেও পাননি। আক্ষেপ করে আকলিমা বেগম বলেন, ‘স্বামী নাই, অনেক কষ্ট করে টাকা জমাইছি। সেই টাকা না দিয়ে অফিস নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বিমা কোম্পানি লোকজন। আমার কষ্টের টাকা আমি ফেরত চাই। খবর পেয়ে সবার সঙ্গে এখানে অবস্থান নিচ্ছি।’
আরেক গ্রাহক নগরের আদর্শপাড়া গ্রাম এলাকার বাসিন্দা আজিজার রহমান বলেন, ‘ভবিষ্যতে ভালোর আশায় রিকশা চালিয়ে অনেক কষ্ট করে খেয়ে না-খেয়ে ১২ বছর ধরে টাকা জমিয়েছি। সেই টাকা না দিয়ে ফারইস্ট কোম্পানি অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালিয়ে যাচ্ছে। এই টাকা না পেলে পথে বসে যাব। আমার রক্ত-মাংস পানি করা টাকা আমি ফেরত চাই। এ জন্য আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।’
রাস্তায় বসে বিমার কাগজপত্র নাড়াচাড়া করছিলেন আর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল হারাগাছ এলাকার সায়েম বাদশা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে যেন ভালোভাবে চলতে পারি, সেই আশায় বিমা করেছিলাম। না খেয়ে কষ্ট করে ১০ হাজার টাকা করে জমিয়েছিলাম। মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে, কিন্তু এখনো টাকা পাইনি। সরকার কাছে দাবি আমাদের আসল টাকাটা যেন ফেরত নিয়ে দেয়।’
এ বিষয়ে মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার মধ্যরাতে অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আসবাব ও দামি সরঞ্জাম বিক্রি করে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হয় স্থানীয় গ্রাহকদের। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে অফিসে গিয়ে মালপত্র আটক করেন এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহির জন্য অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল থেকে অফিসের সামনে গ্রাহকের ভিড় করতে শুরু করে দুপুর গড়তেই জাহাজ কোম্পানি-স্টেশন রোডে জামাল মার্কেটের সামনে অফিসের নিচে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, জাহাজ কোম্পানি-স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গ্রাহকেরা। এ সময় অফিসের লকার, চেয়ার-টেবিল, আসবাবসহ একটি ট্রাক দেখা যায়। অফিস কক্ষে চারজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রংপুর বিভাগের প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের ১২১ কোটি টাকারও বেশি বিমা দাবি এখনো পরিশোধ করেনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা টাকা না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ২৯ হাজার ৫৯৬ জন গ্রাহকের বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে, যার বিপরীতে ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকারও বেশি পরিশোধ বকেয়া রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহকেরা বছরের পর বছর ধরে শুধু আশ্বাসই পাচ্ছেন।

অবস্থান নেওয়া গ্রাহক নগরীর ভগিবালা এলাকার বৃদ্ধা আকলিমা বেগমের দুই বছর আগে বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা দীর্ঘদিন ঘুরেও পাননি। আক্ষেপ করে আকলিমা বেগম বলেন, ‘স্বামী নাই, অনেক কষ্ট করে টাকা জমাইছি। সেই টাকা না দিয়ে অফিস নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বিমা কোম্পানি লোকজন। আমার কষ্টের টাকা আমি ফেরত চাই। খবর পেয়ে সবার সঙ্গে এখানে অবস্থান নিচ্ছি।’
আরেক গ্রাহক নগরের আদর্শপাড়া গ্রাম এলাকার বাসিন্দা আজিজার রহমান বলেন, ‘ভবিষ্যতে ভালোর আশায় রিকশা চালিয়ে অনেক কষ্ট করে খেয়ে না-খেয়ে ১২ বছর ধরে টাকা জমিয়েছি। সেই টাকা না দিয়ে ফারইস্ট কোম্পানি অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালিয়ে যাচ্ছে। এই টাকা না পেলে পথে বসে যাব। আমার রক্ত-মাংস পানি করা টাকা আমি ফেরত চাই। এ জন্য আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।’
রাস্তায় বসে বিমার কাগজপত্র নাড়াচাড়া করছিলেন আর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল হারাগাছ এলাকার সায়েম বাদশা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে যেন ভালোভাবে চলতে পারি, সেই আশায় বিমা করেছিলাম। না খেয়ে কষ্ট করে ১০ হাজার টাকা করে জমিয়েছিলাম। মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে, কিন্তু এখনো টাকা পাইনি। সরকার কাছে দাবি আমাদের আসল টাকাটা যেন ফেরত নিয়ে দেয়।’
এ বিষয়ে মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মেয়রের চেয়ারে বসলে দুটিই হবে তাঁর হ্যাটট্রিক। সিসিক নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ২৩ মে, প্রত্যাহার ১ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। সময় মাত্র আড়াই মাস। তফসিল ঘোষণার পরপরই চাঙা হয়ে উ
০৬ এপ্রিল ২০২৩
কুমিল্লার তিতাসে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ চার নারীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগেহোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার তিতাসে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ চার নারীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নারীরা হলেন শাহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা (২৯), জসিমের স্ত্রী আমিনা (৩৭), জহিরের স্ত্রী জুবেদা (৩৩) ও আব্দুল কাদিরের স্ত্রী শান্তি বেগম (৬০)।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিতাস থানা-পুলিশের একাধিক টিম শাহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ১টি বিদেশি রিভলবার, ৬টি গুলি, ১টি এলজি বন্দুক, ২টি পাইপগান উদ্ধারসহ তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একই রাতে একই এলাকার আব্দুল কাদিরের বাড়িতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০টি সিসা কার্তুজ ও ৫টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁদের কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়।

কুমিল্লার তিতাসে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ চার নারীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নারীরা হলেন শাহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা (২৯), জসিমের স্ত্রী আমিনা (৩৭), জহিরের স্ত্রী জুবেদা (৩৩) ও আব্দুল কাদিরের স্ত্রী শান্তি বেগম (৬০)।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিতাস থানা-পুলিশের একাধিক টিম শাহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ১টি বিদেশি রিভলবার, ৬টি গুলি, ১টি এলজি বন্দুক, ২টি পাইপগান উদ্ধারসহ তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একই রাতে একই এলাকার আব্দুল কাদিরের বাড়িতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০টি সিসা কার্তুজ ও ৫টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁদের কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মেয়রের চেয়ারে বসলে দুটিই হবে তাঁর হ্যাটট্রিক। সিসিক নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ২৩ মে, প্রত্যাহার ১ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। সময় মাত্র আড়াই মাস। তফসিল ঘোষণার পরপরই চাঙা হয়ে উ
০৬ এপ্রিল ২০২৩
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
৯ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগেডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শুটিবাড়ি বাজারসংলগ্ন এলাকার আব্দুস ছাত্তার খানের স্ত্রী মোছা. সূর্য খাতুন (৫৫) এবং তাঁর নাতনি সামিয়া আক্তার (১৪ দিন) একই এলাকার বাসিন্দা বাবুল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে সূর্য খাতুন নাতনি সামিয়াকে নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মালবাহী পিকআপ তাঁদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই নবজাতক সামিয়া মারা যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সূর্য খাতুনকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পর পিকআপের চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত নবজাতকের স্বজনেরা বলেন, নানি তাঁর নাতনিকে নিয়ে টিকা দিতে গিয়েছিল। সকালবেলায় হাসিখুশি ছিল সবাই। কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।
স্থানীয়রা জানান, ওই সড়কে বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। পিকআপের চালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শুটিবাড়ি বাজারসংলগ্ন এলাকার আব্দুস ছাত্তার খানের স্ত্রী মোছা. সূর্য খাতুন (৫৫) এবং তাঁর নাতনি সামিয়া আক্তার (১৪ দিন) একই এলাকার বাসিন্দা বাবুল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে সূর্য খাতুন নাতনি সামিয়াকে নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মালবাহী পিকআপ তাঁদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই নবজাতক সামিয়া মারা যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সূর্য খাতুনকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পর পিকআপের চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত নবজাতকের স্বজনেরা বলেন, নানি তাঁর নাতনিকে নিয়ে টিকা দিতে গিয়েছিল। সকালবেলায় হাসিখুশি ছিল সবাই। কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।
স্থানীয়রা জানান, ওই সড়কে বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। পিকআপের চালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মেয়রের চেয়ারে বসলে দুটিই হবে তাঁর হ্যাটট্রিক। সিসিক নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ২৩ মে, প্রত্যাহার ১ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। সময় মাত্র আড়াই মাস। তফসিল ঘোষণার পরপরই চাঙা হয়ে উ
০৬ এপ্রিল ২০২৩
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
৯ মিনিট আগে
কুমিল্লার তিতাসে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ চার নারীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগেআক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, খাদিজা খাতুন ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সান্তাহার জংশনের দায়িত্বেও আছেন। স্থানীয় যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া এবং তাঁর মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের আক্কেলপুরে যাত্রাবিরতি বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁকে দ্রুত এখান থেকে অপসারণের দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও চিলাহাটী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির সমন্বয়ক আব্দুর রউফ মাজেদ। বক্তব্য দেন পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম চপল, তিলকপুর ইউপির সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্টু, কলেজশিক্ষক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম তুহিন, মাসুদ চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন কানন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, নওগাঁর বদলগাছী-পত্নীতলা এবং বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকার যাত্রীরা এই স্টেশন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি পেলে মানুষের ভোগান্তি অনেকটা কমবে। কিন্তু স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুন বলেন, ‘আমি চিলাহাটী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির বিরোধিতা করে কোনো মৌখিক বা লিখিত প্রতিবেদন দিইনি। ২০২৪ সাল থেকে সান্তাহার জংশনের অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছি। এক বছর তিন মাসে কোনো যাত্রী আমার দ্বারা হয়রানির শিকার হয়নি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ‘আক্কেলপুরবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, খাদিজা খাতুন ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সান্তাহার জংশনের দায়িত্বেও আছেন। স্থানীয় যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া এবং তাঁর মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের আক্কেলপুরে যাত্রাবিরতি বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁকে দ্রুত এখান থেকে অপসারণের দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও চিলাহাটী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির সমন্বয়ক আব্দুর রউফ মাজেদ। বক্তব্য দেন পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম চপল, তিলকপুর ইউপির সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্টু, কলেজশিক্ষক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম তুহিন, মাসুদ চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন কানন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, নওগাঁর বদলগাছী-পত্নীতলা এবং বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকার যাত্রীরা এই স্টেশন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি পেলে মানুষের ভোগান্তি অনেকটা কমবে। কিন্তু স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুনের মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে আক্কেলপুরের স্টেশনমাস্টার খাদিজা খাতুন বলেন, ‘আমি চিলাহাটী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির বিরোধিতা করে কোনো মৌখিক বা লিখিত প্রতিবেদন দিইনি। ২০২৪ সাল থেকে সান্তাহার জংশনের অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছি। এক বছর তিন মাসে কোনো যাত্রী আমার দ্বারা হয়রানির শিকার হয়নি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মেয়রের চেয়ারে বসলে দুটিই হবে তাঁর হ্যাটট্রিক। সিসিক নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ২৩ মে, প্রত্যাহার ১ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। সময় মাত্র আড়াই মাস। তফসিল ঘোষণার পরপরই চাঙা হয়ে উ
০৬ এপ্রিল ২০২৩
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
৯ মিনিট আগে
কুমিল্লার তিতাসে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ চার নারীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলায় টিকা নিতে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নানি তাঁর ১৪ দিনের নবজাতক নাতনিসহ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন ঘোড়ামারা রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে