সিলেট ও জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
সিলেটে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার জেলার জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে জৈন্তাপুর, কানাইঘাটে দুজন করে চারজন এবং গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলায় পৃথক স্থানে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—উপজেলার নয়াগ্রাম আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৭) ও ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৫)।
আব্দুল মান্নান মাঠে কৃষি কাজ করছিলেন। দুপর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে মাঠেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আর নাহিদ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। নদীর পাড়ে থাকাকালীন বজ্রপাত তাঁর ওপরে পড়লে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, তাদের লাশ সুরতহাল করে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের গুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বজ্র বৃষ্টি চলাকালে সবাইকে বাড়তি নিরাপত্তা অবলম্বন করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছেন। আজ শনিবার দুপুরে তাঁরা মারা যান।
নিহতরা হলেন—উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেরকেরি গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া (৩০) ও পৌরসভার দুর্লভপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে নুর উদ্দিন (৫৭)।
নুর উদ্দিন বাড়ির পাশের নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে আরও ৩০—৪০ জন সেখানে গিয়েছিলেন। বজ্রপাতে সেখানে থাকা আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। রাত ৯টার দিকে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
আর কালা মিয়া বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়ি যাওয়ার পথে তিনি বজ্রপাতে মারা যান। এশার নামাজের পর তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি বলেন, ‘বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তবে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাইনি।’
এদিকে গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম রোকশানা বেগম (৪৭)। আজ শনিবার দুপুরে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। জাফলং ইউনিয়নের ভিত্রিখেল হাওর গ্রামের আ. রাজ্জাকের স্ত্রী তিনি।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারকে দাফন-কাফন ও আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে অগ্রীম সরকারি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে নিজামুল (২১) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বেলা ২টার দিকে নিজামুল বাড়ির পাশের হালছাবড়া হাওর থেকে হাঁস তাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বদরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, লাশ ওসমানীতে রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সিলেটে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার জেলার জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে জৈন্তাপুর, কানাইঘাটে দুজন করে চারজন এবং গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলায় পৃথক স্থানে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—উপজেলার নয়াগ্রাম আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৭) ও ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৫)।
আব্দুল মান্নান মাঠে কৃষি কাজ করছিলেন। দুপর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে মাঠেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আর নাহিদ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। নদীর পাড়ে থাকাকালীন বজ্রপাত তাঁর ওপরে পড়লে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, তাদের লাশ সুরতহাল করে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের গুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বজ্র বৃষ্টি চলাকালে সবাইকে বাড়তি নিরাপত্তা অবলম্বন করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছেন। আজ শনিবার দুপুরে তাঁরা মারা যান।
নিহতরা হলেন—উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেরকেরি গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া (৩০) ও পৌরসভার দুর্লভপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে নুর উদ্দিন (৫৭)।
নুর উদ্দিন বাড়ির পাশের নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে আরও ৩০—৪০ জন সেখানে গিয়েছিলেন। বজ্রপাতে সেখানে থাকা আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। রাত ৯টার দিকে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
আর কালা মিয়া বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়ি যাওয়ার পথে তিনি বজ্রপাতে মারা যান। এশার নামাজের পর তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি বলেন, ‘বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তবে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাইনি।’
এদিকে গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম রোকশানা বেগম (৪৭)। আজ শনিবার দুপুরে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। জাফলং ইউনিয়নের ভিত্রিখেল হাওর গ্রামের আ. রাজ্জাকের স্ত্রী তিনি।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারকে দাফন-কাফন ও আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে অগ্রীম সরকারি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে নিজামুল (২১) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বেলা ২টার দিকে নিজামুল বাড়ির পাশের হালছাবড়া হাওর থেকে হাঁস তাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বদরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, লাশ ওসমানীতে রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৭ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৭ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৭ ঘণ্টা আগে