Ajker Patrika

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বিপৎসীমার নিচে সুরমার পানি

সিলেট প্রতিনিধি
Thumbnail image

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টের পানি। এতে স্বস্তি ফিরেছে নগরের বাসিন্দাদের। জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছেন মানুষ। 

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে (শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। গত ২ দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। 

সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আজ শনিবার সকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও পরে সূর্য দেখা গেছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার দুটি নদীর চার পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সবগুলো পয়েন্ট দিয়ে শুক্রবারের চেয়ে কম পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় যেখানে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে, সেখানে আজ সকালে ৩৫ সেন্টিমিটার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সকালে যথাক্রমে ১৫ সেন্টিমিটার ও ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। সেখানে বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ‘চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত বাকি নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে এবং মানুষের দুর্ভোগ কমবে। সিলেটে পানি কমছে।’ 

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরের ১৩ ওয়ার্ডের ৩০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৭ হাজার ৭০০ জন মানুষ। জেলার ১৩ উপজেলার ১০৭ ইউনিয়নের ৯ লাখ ৪৮ হাজার ২২৩ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। 

এর আগে গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। তবে বুধবার থেকে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত