শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত বছর ৩১ অক্টোবর। এরপর ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ফল প্রকাশ করেনি বিভাগটি। এতে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন সেশনজটে পড়ছেন, অন্যদিকে চাকরি ও বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুধু পদার্থ বিজ্ঞান নয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ বিভাগেই ফলাফল প্রকাশ করতে অর্ধ বছর বা তার অধিক সময় লেগে যায় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীরা চরম হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে একাধিক বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন, ফলাফল প্রস্তুত করা হচ্ছে। দ্রুতই ফল প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দপ্তরের তথ্যমতে, ৩৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সংশোধিত আইন অনুযায়ী প্রতিটি সেমিস্টার শেষ করতে সময় লাগার কথা সর্বোচ্চ ২৬ সপ্তাহ বা ছয় মাস। এতে ক্লাস হবে ১৩ সপ্তাহ, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেওয়া হবে দুই সপ্তাহ। পরীক্ষা শেষ হবে তিন সপ্তাহে। আর ফল প্রকাশ হবে পরীক্ষা পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভেতর। তবে বিশেষ কিছু বিষয়ে ফল প্রকাশের সময়সীমা সামান্য কমবেশি হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষ হয়েছে অধিকাংশ বিভাগের। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর চার মাস চলে গেলও এখনো ফলাফল দিতে পারেনি বিভাগগুলো। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় তারা বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন করতে পারছেন না। অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছেন না। এ ছাড়া কেউ কেউ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে আগ্রহী। তবে তাতেও আবেদন করতে পারছেন না তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত বছর ১৮ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখনো ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। এখন ফল প্রকাশের অপেক্ষায় দিন গুনছি আমরা।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরীক্ষা নেওয়া ও ফল প্রকাশে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ। এরপর বাংলা ও ইংরেজি বিভাগ রয়েছে। গত বছর পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলা বিভাগ। এ বিভাগগুলো দ্রুত ফল প্রকাশ করতে পারলেও অন্য বিভাগগুলো ফল প্রকাশে পিছিয়ে রয়েছে কেন—এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।
ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিভাগীয় প্রধান জানান, কিছু বিভাগে এক শিক্ষকের সঙ্গে অন্য শিক্ষকের অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ফলে তারা নির্দিষ্ট সময়ে খাতা দেখেন না। অন্তর্কোন্দলের পাশাপাশি শিক্ষকদের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে জমা করার কারণে অনেক শিক্ষকের কম্পিউটারের ওপর দক্ষতা না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ফলাফল তৈরি করতে পারেন না তারা।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ পাওয়ার পর সেশনজট শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার জন্য শিক্ষকদের বারবার আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে কোনো সাড়া না দিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো কিছু বিভাগ ফল প্রকাশ করেন বলে মনে করছেন একাধিক সিনিয়র শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, অনেক সময় দ্বিতীয় বা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা গেলে তাঁরা খাতা পাঠাতে দেরি করেন। এ ছাড়া পরীক্ষা কমিটির প্রধান গুরুত্ব দিলে ফল তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত বছর ৩১ অক্টোবর। এরপর ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ফল প্রকাশ করেনি বিভাগটি। এতে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন সেশনজটে পড়ছেন, অন্যদিকে চাকরি ও বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুধু পদার্থ বিজ্ঞান নয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ বিভাগেই ফলাফল প্রকাশ করতে অর্ধ বছর বা তার অধিক সময় লেগে যায় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীরা চরম হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে একাধিক বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন, ফলাফল প্রস্তুত করা হচ্ছে। দ্রুতই ফল প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দপ্তরের তথ্যমতে, ৩৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সংশোধিত আইন অনুযায়ী প্রতিটি সেমিস্টার শেষ করতে সময় লাগার কথা সর্বোচ্চ ২৬ সপ্তাহ বা ছয় মাস। এতে ক্লাস হবে ১৩ সপ্তাহ, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেওয়া হবে দুই সপ্তাহ। পরীক্ষা শেষ হবে তিন সপ্তাহে। আর ফল প্রকাশ হবে পরীক্ষা পরবর্তী ৮ সপ্তাহের ভেতর। তবে বিশেষ কিছু বিষয়ে ফল প্রকাশের সময়সীমা সামান্য কমবেশি হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষ হয়েছে অধিকাংশ বিভাগের। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর চার মাস চলে গেলও এখনো ফলাফল দিতে পারেনি বিভাগগুলো। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় তারা বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন করতে পারছেন না। অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছেন না। এ ছাড়া কেউ কেউ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে আগ্রহী। তবে তাতেও আবেদন করতে পারছেন না তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত বছর ১৮ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখনো ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। এখন ফল প্রকাশের অপেক্ষায় দিন গুনছি আমরা।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরীক্ষা নেওয়া ও ফল প্রকাশে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ। এরপর বাংলা ও ইংরেজি বিভাগ রয়েছে। গত বছর পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলা বিভাগ। এ বিভাগগুলো দ্রুত ফল প্রকাশ করতে পারলেও অন্য বিভাগগুলো ফল প্রকাশে পিছিয়ে রয়েছে কেন—এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।
ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিভাগীয় প্রধান জানান, কিছু বিভাগে এক শিক্ষকের সঙ্গে অন্য শিক্ষকের অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ফলে তারা নির্দিষ্ট সময়ে খাতা দেখেন না। অন্তর্কোন্দলের পাশাপাশি শিক্ষকদের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে জমা করার কারণে অনেক শিক্ষকের কম্পিউটারের ওপর দক্ষতা না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ফলাফল তৈরি করতে পারেন না তারা।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ পাওয়ার পর সেশনজট শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার জন্য শিক্ষকদের বারবার আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে কোনো সাড়া না দিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো কিছু বিভাগ ফল প্রকাশ করেন বলে মনে করছেন একাধিক সিনিয়র শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, অনেক সময় দ্বিতীয় বা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা গেলে তাঁরা খাতা পাঠাতে দেরি করেন। এ ছাড়া পরীক্ষা কমিটির প্রধান গুরুত্ব দিলে ফল তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৬ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪৩ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে