জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
হাওরে কৃষকদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষায় ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে কৃষক ছাউনি নির্মাণের দাবি তুলেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওরের কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ধান চাষের সব চেয়ে বড় উৎস এই উপজেলার নলুয়ার হাওর। এ হাওর উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর, কলকলিয়া ইউনিয়ন ও পৌরসভার এলাকা ছাড়াও দিরাই এবং ছাতক উপজেলায় বিস্তৃত। প্রায় ১০ হাজার হেক্টর আয়তনের এ হাওরে আবাদ করা জমির পরিমাণ ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর। চলতি বোরো মৌসুমে ওই হাওরে প্রায় ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, বিশাল এ হাওরজুড়ে কোথাও নেই কোনো ঘর-বাড়ি বা গাছপালা। নেই বিশ্রামের নির্দিষ্ট কোনো স্থান। তীব্র গরম, ঝড়বৃষ্টি কিংবা বজ্রপাতের সময়ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকদের হাওরে কাজ করতে হয়। ফলে প্রতি বছরেই নানা বিপত্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় তাঁদের। ঘটে প্রাণহানির ঘটনা। এ সব প্রতিকূল অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে হাওরের বুকে কৃষক ছাউনি নির্মাণের দাবি তাঁদের।
স্থানীয় কৃষক রহমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাতেও আমাদের মাঠে কাজ করতে হয়। কোথাও নেই একটু নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বৃষ্টি শুরু হলে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। নলুয়ার হাওরে দুই একটি ছাউনি নির্মাণ করা হলে নিরাপদে বিশ্রাম নিতে পারব।’
‘কৃষক ছাউনি নির্মাণ করা হলে হাওরের কৃষকেরা বজ্রপাতের সময় আশ্রয় নিতে পারবেন। রোদ-বৃষ্টিতে হাওরের খোলা আকাশের নিচে বসে খাওয়া-দাওয়া করতে হয়। কৃষকদের জন্য হাওরে ছাউনি নির্মাণের দাবি জানাই।’ বলেন আরেক কৃষক জাহেদ মিয়া।
চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, কৃষকেরা সাধারণত সারা দিন মাঠে কাজ করেন। দুপুরে বাড়ি যাওয়ার সময় পান না। তাই রোদে কিংবা বৃষ্টির সময় নিরাপদে বসার কোনো জায়গা নেই। হাওরগুলোতে যদি কৃষক ছাউনি নির্মাণ করা হয় কৃষকেরা খুবই উপকৃত হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রায় সংবাদমাধ্যমে দেখি কৃষকেরা মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যাচ্ছেন। হাওরে যদি ছাউনি নির্মাণ করা হয় অন্তত কৃষকেরা কিছুটা হলেও বজ্রপাত ও ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পাবেন। ছাউনি নির্মাণে কৃষকদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।’
এদিকে গত ১৮ এপ্রিল নলুয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কাছে কৃষকদের পক্ষ থেকে কৃষক ছাউনি নির্মাণ ও নলকূপ স্থাপনের দাবি জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমদ। এ দাবির প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য কৃষকদের আশ্বস্ত করেন।
হাওরে কৃষকদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষায় ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে কৃষক ছাউনি নির্মাণের দাবি তুলেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওরের কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ধান চাষের সব চেয়ে বড় উৎস এই উপজেলার নলুয়ার হাওর। এ হাওর উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর, কলকলিয়া ইউনিয়ন ও পৌরসভার এলাকা ছাড়াও দিরাই এবং ছাতক উপজেলায় বিস্তৃত। প্রায় ১০ হাজার হেক্টর আয়তনের এ হাওরে আবাদ করা জমির পরিমাণ ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর। চলতি বোরো মৌসুমে ওই হাওরে প্রায় ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, বিশাল এ হাওরজুড়ে কোথাও নেই কোনো ঘর-বাড়ি বা গাছপালা। নেই বিশ্রামের নির্দিষ্ট কোনো স্থান। তীব্র গরম, ঝড়বৃষ্টি কিংবা বজ্রপাতের সময়ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকদের হাওরে কাজ করতে হয়। ফলে প্রতি বছরেই নানা বিপত্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় তাঁদের। ঘটে প্রাণহানির ঘটনা। এ সব প্রতিকূল অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে হাওরের বুকে কৃষক ছাউনি নির্মাণের দাবি তাঁদের।
স্থানীয় কৃষক রহমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাতেও আমাদের মাঠে কাজ করতে হয়। কোথাও নেই একটু নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বৃষ্টি শুরু হলে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। নলুয়ার হাওরে দুই একটি ছাউনি নির্মাণ করা হলে নিরাপদে বিশ্রাম নিতে পারব।’
‘কৃষক ছাউনি নির্মাণ করা হলে হাওরের কৃষকেরা বজ্রপাতের সময় আশ্রয় নিতে পারবেন। রোদ-বৃষ্টিতে হাওরের খোলা আকাশের নিচে বসে খাওয়া-দাওয়া করতে হয়। কৃষকদের জন্য হাওরে ছাউনি নির্মাণের দাবি জানাই।’ বলেন আরেক কৃষক জাহেদ মিয়া।
চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, কৃষকেরা সাধারণত সারা দিন মাঠে কাজ করেন। দুপুরে বাড়ি যাওয়ার সময় পান না। তাই রোদে কিংবা বৃষ্টির সময় নিরাপদে বসার কোনো জায়গা নেই। হাওরগুলোতে যদি কৃষক ছাউনি নির্মাণ করা হয় কৃষকেরা খুবই উপকৃত হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রায় সংবাদমাধ্যমে দেখি কৃষকেরা মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যাচ্ছেন। হাওরে যদি ছাউনি নির্মাণ করা হয় অন্তত কৃষকেরা কিছুটা হলেও বজ্রপাত ও ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পাবেন। ছাউনি নির্মাণে কৃষকদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।’
এদিকে গত ১৮ এপ্রিল নলুয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কাছে কৃষকদের পক্ষ থেকে কৃষক ছাউনি নির্মাণ ও নলকূপ স্থাপনের দাবি জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমদ। এ দাবির প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য কৃষকদের আশ্বস্ত করেন।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। গত আট মাসে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার এসব ঘটনায় পর্যালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব হত্যাকাণ্ডে একই গ্যাং জড়িত।
২ ঘণ্টা আগেমেয়াদ শেষের প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরে দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দুধকুমারের তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের টাকা নিয়ে...
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে বসানো হয়েছে হাট-বাজার। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশ। খেলাধুলার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে যাওয়া-আসা করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
২ ঘণ্টা আগেবালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে