সিলেট প্রতিনিধি
বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন একজন। আজ বুধবার সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫)।
মামলার আসামি সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকার শফিউর রহমান ফারাবিকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে এবং এই মামলার একমাত্র জবানবন্দি প্রদানকারী মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহীর কারাগারে মৃত্যু হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী মোমিনুর রহমান টিটু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই মামলার চার আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবুল খায়ের রশীদ আহমদ এবং শফিউর রহমান ফারাবী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রকম সন্ত্রাস এবং খুন করে কেউ রেহাই পাবে না, তা আবারও প্রমাণ হয়েছে।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি। তাঁদের সঙ্গে অনন্ত বিজয়ের বিন্দুমাত্র সম্পর্কও পাওয়া যায়নি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’
এর আগে গত ১৪ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেটের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১২ মে প্রতিদিনের মতো অফিসে যেতে সকালে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা অনন্ত বিজয় দাশ। বাসা থেকে বের হয়ে মূল সড়কে আসার পরপরই আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা করে। তখন প্রাণভয়ে দৌড়াতে থাকেন অনন্ত। শেষে বাড়ির পাশে দস্তিদার দিঘির সামনে নিয়ে তাঁকে কোপায় দুর্বৃত্তরা। অনন্তের চিৎকার শুনে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁর বোন। অনন্তকে হাসপাতালে নিতে তিনি উপস্থিত ব্যক্তিদের সাহায্য চাইলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে আহত অনন্তকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অনন্তকে হত্যার পরদিনই তাঁর বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। প্রথমে মামলাটি পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তরিত হয়।
সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। এতে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমদ। এই মামলার আসামিদের মধ্যে ফারাবী ও আবুল খায়ের বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর আসামি মান্নান রাহী কারাগারে মারা গেছেন। অপর তিন আসামি প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছে।
এই মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৯ জন। তবে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে না পারায় অন্তত ১৫ দফা পেছায় মামলার শুনানি। এ ছাড়া করোনার কারণেও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মামলার কার্যক্রম। ২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। এতে গতি আসে মামলার কার্যক্রমে।
বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন একজন। আজ বুধবার সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫)।
মামলার আসামি সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকার শফিউর রহমান ফারাবিকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে এবং এই মামলার একমাত্র জবানবন্দি প্রদানকারী মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহীর কারাগারে মৃত্যু হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী মোমিনুর রহমান টিটু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই মামলার চার আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবুল খায়ের রশীদ আহমদ এবং শফিউর রহমান ফারাবী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রকম সন্ত্রাস এবং খুন করে কেউ রেহাই পাবে না, তা আবারও প্রমাণ হয়েছে।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি। তাঁদের সঙ্গে অনন্ত বিজয়ের বিন্দুমাত্র সম্পর্কও পাওয়া যায়নি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’
এর আগে গত ১৪ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেটের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১২ মে প্রতিদিনের মতো অফিসে যেতে সকালে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা অনন্ত বিজয় দাশ। বাসা থেকে বের হয়ে মূল সড়কে আসার পরপরই আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা করে। তখন প্রাণভয়ে দৌড়াতে থাকেন অনন্ত। শেষে বাড়ির পাশে দস্তিদার দিঘির সামনে নিয়ে তাঁকে কোপায় দুর্বৃত্তরা। অনন্তের চিৎকার শুনে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁর বোন। অনন্তকে হাসপাতালে নিতে তিনি উপস্থিত ব্যক্তিদের সাহায্য চাইলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে আহত অনন্তকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অনন্তকে হত্যার পরদিনই তাঁর বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। প্রথমে মামলাটি পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তরিত হয়।
সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। এতে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমদ। এই মামলার আসামিদের মধ্যে ফারাবী ও আবুল খায়ের বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর আসামি মান্নান রাহী কারাগারে মারা গেছেন। অপর তিন আসামি প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছে।
এই মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৯ জন। তবে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে না পারায় অন্তত ১৫ দফা পেছায় মামলার শুনানি। এ ছাড়া করোনার কারণেও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মামলার কার্যক্রম। ২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। এতে গতি আসে মামলার কার্যক্রমে।
রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে।
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ডা. সুমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা-পুলিশ। তিনি সংগঠনটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের নামে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একটি গ্যালারির নামকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে সেই গ্যালারিতে ‘শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড’ নামফলক স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশ খারাপ না, এক খারাপ লোকের পাল্লায় পড়ে, এক ফ্যাসিস্ট নেত্রীর পাল্লায় পড়ে পুলিশ খারাপ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফাত হুসাইন।
৩ ঘণ্টা আগে