Ajker Patrika

পাহাড়-টিলার পাথর উত্তোলন, নীরব সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর

প্রতিনিধি, জৈন্তাপুর (সিলেট)
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, ১০: ২৫
পাহাড়-টিলার পাথর উত্তোলন, নীরব সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী, উজানীনগর এলাকায় পাহাড় ও টিলা রয়েছে। সেগুলো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড় ও টিলাশ্রেণির ভূমিগুলোয় প্রচুর কাঁঠাল, তেজপাতা ও নানা প্রজাতির লেবু উৎপাদিত হয়। প্রভাবশালীরা সরকারি পাহাড় ও টিলার পরিবর্তন ঘটিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণসহ পাহাড়শ্রেণির ভূমি ক্রয়–বিক্রয় করছে। 

সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। জৈন্তাপুরের পাহাড় ও টিলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে না এলে মারাত্মক আকারের পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিগত বছরগুলোয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এসব এলাকা পরিদর্শন করে পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এমনকি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড় কেটে দিনদুপুরে পাথর পরিবহন করা হচ্ছে।

জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার পাহাড় কেটে দিনরাত সমানভাবে পরিবহনযোগে পাথর বিক্রি করে আসছে একটি চক্রটি। এ ছাড়া অনেকেই এসব পাহাড় ও টিলাশ্রেণির ভূমি কেটে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসতবাড়ি নির্মাণ করছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাহাড় কাটা এক শ্রমিক জানান, স্থানীয় প্রশাসনের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা ও কয়েকজন নেতা এ এলাকার সব পাহাড় ও টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে সহযোগিতা করছেন।

এ ছাড়া গোয়াবাড়ী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে মুজিব শতবর্ষের গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য মুজিবনগর। এ কারণে প্রতিনিয়ত এলাকা পরিদর্শন করছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পাথর উত্তোলন হলেও বিষয়টি কর্ণপাত হচ্ছে না। ফলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিলে নির্মাণাধীন এসব ঘরে পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। 

জৈন্তাপুরে পাহাড়–টিলায় বসবাস করে মানুষপরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ছাড়পত্র ছাড়া সিলেট বিভাগের সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১১ সালের ১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা রিটের রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন যৌথ বেঞ্চ রায় দেন। ২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর এসব এলাকায় পাহাড় কাটা কেন এখতিয়ারবহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত দুস্থদের পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
 
রিটে পরিবেশ, ভূমি ও গৃহায়ণসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিলেট সিটি করপোরেশন, সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, সিলেট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সিলেট সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল। আদালতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির লিটন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব উদ্দিন, রহিম মিয়া, আলোক মিয়া, রইছ উদ্দিন, হুমায়ুন আহমদ, কালা মিয়া, জুবায়ের আহমদসহ পুলিশ প্রশাসন, ভূমি অফিসের কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় পাথরখেকো চক্রটি এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কাটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, সহকারী কমিশনার ভূমি এবং জৈন্তাপুর মডেল থানা-পুলিশে খবর দিলে কোনো কাজ হয় না; বরং নির্বিচারে পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন চলছে। এসব পাথর ট্রাকযোগে উপজেলার বিভিন্ন ক্রাশার মিলে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখছি এবং তদন্তপূর্বক পাথর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সঞ্চয়পত্রের সার্ভারে জালিয়াতির অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা, একজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আরিফুর রহমান মিম ও আল আমিন। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার আরিফুর রহমান পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাকি তিনজনের খোঁজে অভিযান চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা। আরিফুর রহমান মিম এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার গ্রাহক। বাকি দুজন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় শনাক্তকারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জালিয়াতকারী চক্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এনএসসি সার্ভারে অননুমোদিতভাবে প্রবেশের পর গ্রাহকের তথ্য পরিবর্তন এবং সঞ্চয়পত্রের অর্থ অন্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইউজার আইডি ব্যবহার করে একাধিক সঞ্চয়পত্র নগদায়ন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।

গত ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে তিনটি সঞ্চয়পত্রের তথ্য পরিবর্তন করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের হিসাবে মোট ৭৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্রুত পদক্ষেপে ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করে সরকারি খাতে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মহা-হিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা এস এম রেজভীর নামে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভুয়া প্রক্রিয়ায় নগদায়ন করে তা আরিফুর রহমান মিমের হিসাবে জমা হয়। পরে ঢাকার দুটি শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। যদিও তার লেনদেন সীমা ছিল ২ লাখ টাকা, কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে সেটি ১০ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।

একইভাবে রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা মারুফ এলাহী রনির নামে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসাবে দুটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। উভয় সঞ্চয়পত্রই ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র। তবে সময়মতো জালিয়াতি ধরা পড়ায় টাকা উত্তোলনের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা স্থগিত করে।

ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএফআইইউ ও এনআরবিসি ব্যাংক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংশ্লিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডধারী তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাঁদের ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও নগদায়ন বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিএফআইইউ সন্দেহভাজন সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে, যাতে আর কোনো অর্থ লেনদেন করা না যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।

এর আগে বিকেলে সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় গ্যাস সরবরাহের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক।

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিকুল হক জানান, মহাসড়কের নিচে থাকা গ্যাস সরবরাহের ৬ ইঞ্চি পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে গ্যাস লিকেজ হতে থাকলে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। পরে বাখরাবাদের কারিগরি দল ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামত শেষে রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্তে ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা সীমান্তে ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. মোস্তফা ও বিএসএফের পক্ষে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ভবানীপুর নিউনিদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার দীপংকর সাহার নেতৃত্বে একটি দল।

ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা হলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত এসকেন তালুকদারের ছেলে ইমরান হোসেন, চাঁদপুর সদরের লোধের গাঁও গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন গাজীর মেয়ে নাসরিন বেগম, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পূর্বচিপা বারইখালী গ্রামের আলম শিকদারের ছেলে রেজাউল শিকদার ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা বেগম, একই জেলার চরহোগলা বুনিয়া গ্রামের মো. রুস্তম আলী শেখের ছেলে শাহিন শামীম, সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের মৃত দলিলুদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ, আবুল শেখের স্ত্রী রিমা বেগম, পিরোজপুর সদর উপজেলার মধ্য দুর্গাপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী সুখী বেগম ও তাঁর ছেলে আবু বক্কর (৫) এবং একই এলাকার আউয়াল হালদারের স্ত্রী নাসরিন।

আরও হলো বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের মৃত সোলেমান মাঝির ছেলে রিয়াজ মাঝি, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীর চর আমিরগঞ্জ গ্রামের সুলতান ব্যাপারীর ছেলে হাসান ব্যাপারী, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত গাহুর মৃধার ছেলে আলমগীর মৃধা ও তাঁর ছেলে খাইরুল মৃধা, একই এলাকার মৃত গাহুর মৃধার ছেলে জাকির মৃধা, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে লাবনী আক্তার, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চান্দ গ্রামের মৃত শওকত আলীর মেয়ে মোমেনা বেগম, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কদমতলার (গুসার গ্রাম) মৃত আতিয়ার রহমান শেখের মেয়ে অন্তরা শেখ (২৮) ও একই এলাকার মৃত আতিয়ার শেখের মেয়ে নাজমা খাতুন।

সূত্র জানায়, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এরপর তারা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজাও খেটেছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হলে তারা বাংলাদেশি কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হয়। আজ সীমান্ত পিলার ২১০৪/৭-এস-এর আওতাধীন এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টায় বিজেপির পক্ষ থেকে ১৮ নারী-পুরুষ, একটি শিশুসহ ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিজিবি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।

এহছানুল হক মিলন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁর বিদেশযাত্রা স্থগিত করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তবে কেন বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি, তা নিজেও জানেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলে তার কাগজপত্র দেখাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা কিছুই দেখাননি। কেন এমন করা হলো, আমি বুঝতে পারিনি।’ তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মিলন। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে পরাজিত করে তিনি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত