Ajker Patrika

শাবিপ্রবিতে ভর্তি ফি বেড়ে দ্বিগুণ, উল্লেখ নেই খাত

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি শুরু আগামীকাল সোমবার। এবারের ভর্তি ফি সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। যা গত বছরের ৮ হাজার ১০০ টাকার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে তা উল্লেখ নেই। আর এসব তথ্য দিতেও গড়িমসি করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

শাবিপ্রবি ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার স্নাতক প্রথম বর্ষে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তিতে ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে প্রাথমিক ভর্তিতে ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে জিএসটিতে। 

এদিকে সব মিলিয়ে ১৫ হাজার টাকা ভর্তিতে নেওয়ার প্রতিবাদে রোববার দুপুর ১টায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটা অমানবিক আচরণ ও জুলুম বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে সেটা সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কাছে এ রশিদ নেই। আমাকে ২–১ দিন সময় দিন। আমি খুঁজে বের করতে পারলে এ তথ্য দিতে পারব।’ 

তবে ভর্তি যেহেতু কাল সোমবার থেকে, তাই আজকেই এই তথ্য প্রয়োজন উল্লেখ করে আবার প্রশ্ন করা হলে তিনি এর সদুত্তর দিতে পারেননি। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, খাতওয়ারি ভর্তি ফি নির্ধারণ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার ও সদস্যসচিব হিসেবে ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম, অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, সিইপি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। 

খাতওয়ারি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এটা তো একাডেমিক কাউন্সিলে পাস হয়েছে। খাতওয়ারি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আমার মুখস্থ নেই। এটা পেতে ভর্তি কমিটির সভাপতি ও সদস্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভাপতি ও খাতওয়ারি ভর্তি ফি নির্ধারণ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ভর্তি ফি নির্ধারণ একাডেমিক কাউন্সিলের কাজ। এ তথ্য আমরা দিতে পারব না। এ তথ্য রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে সংগ্রহ করুণ।’ 

তবে অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার যেহেতু খাতওয়ারি ভর্তি ফি নির্ধারণ কমিটির সভাপতি তাই এ বিষয়ে জানতে তাকে আবার কল করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে তথ্য দিতে রাজি হননি। পরে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।  

এদিকে একাডেমিক কাউন্সিল সেকশনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রেজিস্ট্রার রাজীব সি–এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘খাতওয়ারি ফি নির্ধারণ কমিটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য আমাদের দেওয়া হয়নি।’ 

সার্বিক বিষয় জানতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেনি। 

উল্লেখ্য, গত বছর খাতের তালিকায় দেখা যায়, ভর্তি ফি ৭০০ টাকা, বেতন ৪৫০ টাকা, রেজিস্ট্রেশন ফি ৪৩০ টাকা, পরিবহন ফি ৫৫০ টাকা, ইউনিয়ন ফি ১০০ টাকা, ছাত্র/ছাত্রী কল্যাণ ফি,৩০০ টাকা, লাইব্রেরি ফি ১৭৫ টাকা, কম্পিউটার ফি ৩০০ টাকা, রোভার স্কাউট ফি ২৫ টাকা, বিএনসিসি ফি ২৫ টাকা, ইনস্যুরেন্স ফি (জীবন বিমা +স্বাস্থ্য বিমা ২০০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য ফির মধ্যে রয়েছে পাঠ বহির্ভূত কার্যক্রম ১৫০ টাকা, চিকিৎসা ফি ১২০ টাকা, উৎসব ফি ১০০ টাকা, পরিচয়পত্র ফি ১৭৫,  সিলেবাস ফি ৪০০ টাকা, শিক্ষাপঞ্জি ফি ১০০ টাকা, মাদকাসক্তি পরীক্ষা ফি ৪০০ টাকা। মোট ৪৭০০ টাকা। এ ছাড়া বিভাগীয় ফি ৩ হাজার টাকা, হল সংযুক্তি ফি ৪০০ টাকা মোট ৩৪০০ টাকা। সর্বমোট ৮ হাজার ১০০ টাকা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত