Ajker Patrika

সিলেটে অপহরণের ছয় মাস পর শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২১, ২০: ১৯
সিলেটে অপহরণের ছয় মাস পর শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

সিলেট: সিলেটে নয় বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর নারী পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে ওই চক্রের সদস্যরা শিশুটিকে জোর করে দেহব্যবসায় নিয়োজিত করে। প্রায় ছয় মাস পর শিশুটি এক খদ্দরের ফোন থেকে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনার পর গত শুক্রবার সিলেটের একটি হোটেল থেকে ওই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা ও বর্তমানে সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা হালিমা বেগম (৩৮), সিলেট নগরের শাহজালাল উপ শহরের গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ও জকিগঞ্জ উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ওয়াজিদ আলী (৩০) এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬)। 

সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও থেকে নিখোঁজ হয় ওই শিশুটি। প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন নিখোঁজ শিশুর বাবা। 

ওসি জানান, নিখোঁজ হওয়ার পর কুমিল্লা জেলার লাকসামে হালিমা বেগম নামের এক দেহ ব্যবসায়ীর হাতে পড়ে শিশুটি। এরপর তাকে কুমিল্লায় নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে দেহব্যবসায় বাধ্য করেন হালিমা। তিন মাস আগে হালিমা তাকে সিলেট নিয়ে আসেন। হালিমা সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার ৬২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। সিলেটে এনেও ওই শিশুকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় বাধ্য করাতেন হালিমা। তিন দিন আগে এক কাস্টমারের মোবাইল ফোন থেকে বাবাকে ফোন করেন ওই শিশু। পরে মেয়েটির বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানান। 

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানা–পুলিশ সিলেট শহর ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন নামের ওই মোবাইল ফোনের মালিককে আটক করেন। পরে জসিম উদ্দিনের দেওয়া তত্ত্বের ভিত্তিতে সিলেট শহরের উপশহর এলাকার গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ওয়াজিদ আলীকে আটক করে পুলিশ। পরে জসিম উদ্দিন ও ওয়াজেদ আলীর সহযোগিতা নিয়ে দেহ ব্যবসায়ী হালিমা বেগমকে ফোন দিয়ে ওই শিশু কন্যাকে পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। চুক্তি অনুযায়ী হালিমা বেগম ওই শিশুকে হোটেল গুলবাহারে নিয়ে আসলে পুলিশ হালিমাকে গ্রেপ্তার করেন এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে। 

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) মেডিকেল পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুটি অপহরণের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত