সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে হত্যা করা হয় রায়হান আহমদকে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শুরু হয়নি। পরিবারের সদস্যরা বিচারের আশায় দিন গুনছেন।
গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
গত ৫ মে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। তবে এখনো বিচারকাজ শুরু হয়নি।
অভিযুক্তরা হলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন উপপরিদর্শক আকবর হোসেন ভুঁইয়া, উপপরিদর্শক হাসান উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী আব্দুল্লাহ আল নোমান।
রোববার বিকেলে রায়হানের মা ও স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবিতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় রায়হানের দেড় বছর বয়সী শিশুকন্যা আলফাকেও নিয়ে আসেন তাঁরা।
রায়হানের মা সালমা বেগম ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বলেন, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রাতভর নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছেন এসআই আকবরসহ পুলিশ সদস্যরা। নির্যাতনকারীদের যোগসাজশে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও গায়েব করেছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি এখনো পলাতক। আমরা চাই দ্রুত মামলার বিচারকাজ শেষ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
এদিকে মামলার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়।
এদিকে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এ মামলার তদন্ত এক বছরেও শেষ হয়নি। বিভাগীয় মামলা চলা ৯ পুলিশ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
এ ছাড়া এসআই আবদুল বাতেন, এএসআই কুতুব আলী ও দুজন কনস্টেবল সাময়িক বরখাস্ত আদেশে মহানগর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত আছেন।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘বিভাগীয় সব কটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষের পথে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলে প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশের নিজস্ব আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিলেট মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সৈয়দ শামীম আহমদ বলেন, ‘অভিযোগপত্র দাখিল করার পর স্বাভাবিকভাবে এত দিনে মামলার বিচারকাজ শুরু হতো। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিলম্বিত হয়েছে। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।’
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে হত্যা করা হয় রায়হান আহমদকে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শুরু হয়নি। পরিবারের সদস্যরা বিচারের আশায় দিন গুনছেন।
গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
গত ৫ মে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। তবে এখনো বিচারকাজ শুরু হয়নি।
অভিযুক্তরা হলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন উপপরিদর্শক আকবর হোসেন ভুঁইয়া, উপপরিদর্শক হাসান উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী আব্দুল্লাহ আল নোমান।
রোববার বিকেলে রায়হানের মা ও স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবিতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় রায়হানের দেড় বছর বয়সী শিশুকন্যা আলফাকেও নিয়ে আসেন তাঁরা।
রায়হানের মা সালমা বেগম ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বলেন, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রাতভর নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছেন এসআই আকবরসহ পুলিশ সদস্যরা। নির্যাতনকারীদের যোগসাজশে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও গায়েব করেছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি এখনো পলাতক। আমরা চাই দ্রুত মামলার বিচারকাজ শেষ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
এদিকে মামলার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়।
এদিকে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এ মামলার তদন্ত এক বছরেও শেষ হয়নি। বিভাগীয় মামলা চলা ৯ পুলিশ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
এ ছাড়া এসআই আবদুল বাতেন, এএসআই কুতুব আলী ও দুজন কনস্টেবল সাময়িক বরখাস্ত আদেশে মহানগর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত আছেন।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘বিভাগীয় সব কটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষের পথে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলে প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশের নিজস্ব আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিলেট মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সৈয়দ শামীম আহমদ বলেন, ‘অভিযোগপত্র দাখিল করার পর স্বাভাবিকভাবে এত দিনে মামলার বিচারকাজ শুরু হতো। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিলম্বিত হয়েছে। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।’
পড়াশোনা, পেশাগত দায়িত্ব পালনসহ নানা কাজে প্রতিদিনই ঘরের বাইরে যেতে হয় নারীদের। বাইরে থাকাকালে নারীদের সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় শৌচাগার ব্যবহার নিয়ে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দুই সিটি করপোরেশনের তৈরি করা অনেক গণশৌচাগার রয়েছে; কিন্তু সেগুলোর অধিকাংশই নারীবান্ধব নয়। নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন না হওয়ায়...
৩ ঘণ্টা আগেআষাঢ় চলছে। নগরে এই বৃষ্টি, এই রোদ। এরই মধ্যে নানা আয়োজনে মেতে উঠেছেন নগরবাসী। আয়োজন করছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্ষা উদ্যাপন করলেন ‘বর্ষা বৈঠক’ নামে ধ্রুপদি বাদনের তালে তালে।
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ থেকে স্টেশন পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। এসবে বৃষ্টির পানি জমে রূপ নিয়েছে বড় বড় গর্তের। এতে চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে...
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী হাতিয়ার বাসিন্দা মোক্তাদির রাহিম জনি বোনকে নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য উঠেছিলেন যাত্রীবাহী স্পিডবোটে। বোটটি ২৮ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়ে মেঘনা নদীর মাঝে এসে হঠাৎ তলা ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়। জীবন বাঁচাতে যাত্রীরা নিজেদের জামাকাপড় দিয়ে ফাটা অংশ চেপে ধরে...
৩ ঘণ্টা আগে