Ajker Patrika

ভুয়া দলিলে সরকারি জমি বিক্রির মামলায় আ. লীগ নেতার ভাই কারাগারে

সিলেট প্রতিনিধি
ভুয়া দলিলে সরকারি জমি বিক্রির মামলায় আ. লীগ নেতার ভাই কারাগারে

ভুয়া দলিলে চার কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর ভাই মো. মুসলিম আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গতকাল বুধবার সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তা না-মঞ্জুর করেন বিচারক মো. বজলুর রহমান। তবে এই মামলার তিন নম্বর আসামি লিয়াকত আলী গত ১০ নভেম্বর একই আদালতে জামিন পান। 

এর আগে গত ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন দুদক সিলেটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন। পরে ২৮ অক্টোবর আদালত দুদকের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করে আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী জানান, মামলার প্রধান আসামি আখলাকুল আম্বিয়া চৌধুরী, আজির উদ্দিন, মো. মীর জাহান ও তৎকালীন সাবরেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন সরকার পলাতক রয়েছেন। 

জৈন্তাপুরে চার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সরকারি ভূমি দখলে নিয়ে ভুয়া তথ্যে নিজের নামে দলিল করে নেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে উপজেলা সদর বাজারে জমিটির অবস্থান। স্থানীয় আখলাকুল আম্বিয়া চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এ ভূমিটি দখল করে রেখেছিলেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৫ সালে সরকারের পক্ষে রায় দেন উচ্চ আদালত। 

পরে জমিটি দখলে রাখতে আম্বিয়া চৌধুরী ওই বছরের ২৭ এপ্রিল অবৈধভাবে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিযুক্ত করেন লিয়াকত আলীর ভাই মুসলিম আলীকে। এর ২১ দিনের মাথায় ১৮ মে মুসলিম আলী জমিটি মাত্র ৪ লাখ টাকায় দলিল করে দেন লিয়াকত আলীকে। 

 ২০১৮ সালের ৭ মার্চ সিলেটের সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে জৈন্তাপুরের করগ্রামের মনির আহমদ জৈন্তাপুরের নিজপাট ইউনিয়নের চার কোটি টাকা মূল্যের সরকারি ভূমি অবৈধভাবে কেনাবেচার অভিযোগে মামলা করেন। পরে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে অবৈধ বালু উত্তোলন, আটক ৩

ফটিকছড়ি সংবাদদাতা
আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার ব্রাহ্মণহাট এলাকায় হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিন যুবককে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় দুটি গাড়িও জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. নজরুল ইসলাম।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিচারপ্রার্থীকে মারধর: ১০০ টাকা বন্ডে জামিন পেলেন বিএনপির নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ আসামি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
বিচারপ্রার্থীকে মারধরের মামলায় জামিনের পর আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও তাঁর সহকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিচারপ্রার্থীকে মারধরের মামলায় জামিনের পর আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও তাঁর সহকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে শিশুসন্তানদের সামনে মা ও বাবাকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ছয় আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাঁরা জামিন আবেদন করলে বিচারক প্রত্যেককে ১০০ টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাসুমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওই ছয় আসামি।

জামিন পাওয়া সাখাওয়াত ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন হিরণ (৩৮), খোরশেদ আলম (৪০), রাসেল ব্যাপারী (৩৫), আলামিন শাহা (৩৯) ও বিল্লাল হোসেন (৩৮)।

এদিকে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘জামিন আবেদনের শুনানি চলাকালে সাখাওয়াত হোসেনের লোকজন আমাকে আটকে রাখেন। আমাকে আদালতে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি আমার পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ালে তাঁকে আদালতে কাজ করতে দেওয়া হবে না, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি লিগ্যাল এইডের কাছে সহায়তা চেয়েছি। তারা পরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।’

তবে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘মামলার বাদীকে আদালতে বাধা দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি বাদী এমন অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে তিনি সেটা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’

জামিন শেষে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইমেজ নষ্ট করতে এই মামলা করেছে।’

এর আগে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য রাজিয়া সুলতানার স্বামী ইরফান মিয়া আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন। ২৬ অক্টোবর ওই মামলায় শুনানিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ইরফান মিয়া, তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও তাঁদের দুই শিশু-কিশোর সন্তানের ওপর সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই এই হামলার সমালোচনা করেন। ঘটনার দুই দিন পর পুলিশ এ বিষয়ে রাজিয়া সুলতানার মামলা গ্রহণ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভেজাল দ্রব্য ব্যবহার, শেরপুরে রেস্টুরেন্টকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি 
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ মনিটরিং দলের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ মনিটরিং দলের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও ভেজাল দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ মনিটরিং দল অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরের এই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়।

বগুড়া জেলার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া খাবারে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থ মেশানো এবং পাউডার দুধ ব্যবহার করে ‘গরুর দুধের দই’ নামে বিক্রি করা হচ্ছিল।

এসব অপরাধের দায়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ঘটনাস্থলেই জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তাহমিনা বেগম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বগুড়ার নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।

এ সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সরকারের সব আইন ও বিধি মেনে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রির বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অভ্যন্তরীণ কোন্দল, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভাইকে সতর্ক করল বিএনপি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
লালমনিরহাটে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভাইকে ব্যক্তিগত সভা-সমাবেশ না করার জন্য সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে জেলা বিএনপি। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভাইকে ব্যক্তিগত সভা-সমাবেশ না করার জন্য সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে জেলা বিএনপি। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভাইকে ব্যক্তিগত সভা-সমাবেশ না করার জন্য সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে জেলা বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জয়নুল আবেদিন স্বপন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

সতর্কবার্তা পাওয়া দুই নেতা হলেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল ও তাঁর ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম। দুজনই লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী–কালীগঞ্জ) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।

জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লালমনিরহাট জেলা বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দিয়েছে। এ বিভেদ মূলত জেলার লালমনিরহাট-২ আসনকে ঘিরে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল। আসন্ন নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন পেতে তিনি মাঠে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। অন্যদিকে তাঁর ভাই ও কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমও একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে পৃথক সভা-সমাবেশ করছেন।

দুই ভাইয়ের এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের হলেও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাঁদের পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশে তৃণমূল বিএনপির মধ্যে বিভাজন ও বিরোধ দেখা দিয়েছে। এতে স্থানীয় পর্যায়ে দলটি কার্যত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের ঐক্য রক্ষায় দুই ভাইকেই পৃথকভাবে সতর্ক করেছে জেলা বিএনপি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁরা যে সভা-সমাবেশ করছেন, তাতে তৃণমূল রাজনীতিতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম বিভেদ ও বিরোধের সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি কর্তৃক মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত জনসংযোগ ছাড়া বিভেদ সৃষ্টিকারী সভা-সমাবেশ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জয়নুল আবেদিন স্বপন বলেন, বিএনপিকে শক্তিশালী করা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের দুই ভাইকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত