জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই। ফলে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে রোগীদের।
গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পশ্চিম সৈয়দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ওষুধ সরবরাহ না থাকায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) রোগীদের চাহিদামতো সেবা দিতে পারছেন না। ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে অনেক রোগী।
ওষুধ নিতে আসা সৈয়দপুর হাঁড়িকোনা গ্রামের রুজিনা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাড়ির পাশে ক্লিনিক, কিন্তু লাভ কী হইল? আসলেই খালি ওষুধ নাই, ওষুধ নাই।’
একই এলাকার বৃদ্ধ সুজন মিয়া বলেন, ‘পেটের সমস্যা হওয়ায় ওষুধ নিতে এসেছিলাম। ওষুধ না থাকায় খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা দিতে জগন্নাথপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে ২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এখানে সর্দি, জ্বর, আমাশয়, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ নানা রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাসেবা দিতে প্রতিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব ক্লিনিকে রোগীদের জন্য প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, অ্যান্টাসিড, হিস্টাসিন, খাওয়ার স্যালাইনসহ ২৭ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তবে অধিকাংশ সময়েই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সৈয়দপুর গ্রামের সৈয়দ ইনছাব আলীর স্ত্রী ছফেদুন নেছা বলেন, ‘ওষুধ নিতে আসলেই বলে ওষুধ নাই, শেষ হয়ে গেছে। তাহলে ওষুধ থাকে কখন?’
শেফালি বেগম নামের আরেকজন জানান, তিনি ডায়রিয়ার ওষুধ নিতে এসেছিলেন। ওষুধ না থাকায় তাঁকে শুধু খাওয়ার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর পশ্চিম কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সিএইচসিপি মুকিত বলেন, ‘এই ক্লিনিকের আওতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০ জন রোগী চিকিৎসা নেয়। ২৭ প্রকারের যে পরিমাণ ওষুধ পাই, সেগুলো তিন-চার মাস পর পর আসে। তার মধ্যে সিরাপ, চোখের ড্রপ, মলম, ক্যালসিয়াম দেড় থেকে দুই মাসেই শেষ হয়ে যায়। এরপর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, এখানে রোগীদের চাহিদামতো ওষুধ বিলি করা যাচ্ছে না। ওষুধের বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা দ্বিগুণ।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কৃপেশ রঞ্জন রায় বলেন, ‘ঢাকা থেকে তিন-চার মাস পর পর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। অনেক ক্লিনিকে ওষুধ বেশি লাগে আবার অনেকটায় কম লাগে। এলাকাভেদে এটা কম-বেশি হয়। তখন নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে যাদের বেশি লাগে না, তাদেরটা যাদের বেশি লাগে তাদের দেওয়া হয়। তবে পশ্চিম সৈয়দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধসংকটের কথা আমাকে জানানো হয়নি।’ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরবর্তী শিডিউলের ওষুধ এলে এই সংকট থাকবে না বলে তিনি জানান।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই। ফলে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে রোগীদের।
গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পশ্চিম সৈয়দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ওষুধ সরবরাহ না থাকায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) রোগীদের চাহিদামতো সেবা দিতে পারছেন না। ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে অনেক রোগী।
ওষুধ নিতে আসা সৈয়দপুর হাঁড়িকোনা গ্রামের রুজিনা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাড়ির পাশে ক্লিনিক, কিন্তু লাভ কী হইল? আসলেই খালি ওষুধ নাই, ওষুধ নাই।’
একই এলাকার বৃদ্ধ সুজন মিয়া বলেন, ‘পেটের সমস্যা হওয়ায় ওষুধ নিতে এসেছিলাম। ওষুধ না থাকায় খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা দিতে জগন্নাথপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে ২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এখানে সর্দি, জ্বর, আমাশয়, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ নানা রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাসেবা দিতে প্রতিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব ক্লিনিকে রোগীদের জন্য প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, অ্যান্টাসিড, হিস্টাসিন, খাওয়ার স্যালাইনসহ ২৭ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তবে অধিকাংশ সময়েই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সৈয়দপুর গ্রামের সৈয়দ ইনছাব আলীর স্ত্রী ছফেদুন নেছা বলেন, ‘ওষুধ নিতে আসলেই বলে ওষুধ নাই, শেষ হয়ে গেছে। তাহলে ওষুধ থাকে কখন?’
শেফালি বেগম নামের আরেকজন জানান, তিনি ডায়রিয়ার ওষুধ নিতে এসেছিলেন। ওষুধ না থাকায় তাঁকে শুধু খাওয়ার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর পশ্চিম কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সিএইচসিপি মুকিত বলেন, ‘এই ক্লিনিকের আওতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০ জন রোগী চিকিৎসা নেয়। ২৭ প্রকারের যে পরিমাণ ওষুধ পাই, সেগুলো তিন-চার মাস পর পর আসে। তার মধ্যে সিরাপ, চোখের ড্রপ, মলম, ক্যালসিয়াম দেড় থেকে দুই মাসেই শেষ হয়ে যায়। এরপর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, এখানে রোগীদের চাহিদামতো ওষুধ বিলি করা যাচ্ছে না। ওষুধের বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা দ্বিগুণ।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কৃপেশ রঞ্জন রায় বলেন, ‘ঢাকা থেকে তিন-চার মাস পর পর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। অনেক ক্লিনিকে ওষুধ বেশি লাগে আবার অনেকটায় কম লাগে। এলাকাভেদে এটা কম-বেশি হয়। তখন নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে যাদের বেশি লাগে না, তাদেরটা যাদের বেশি লাগে তাদের দেওয়া হয়। তবে পশ্চিম সৈয়দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধসংকটের কথা আমাকে জানানো হয়নি।’ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরবর্তী শিডিউলের ওষুধ এলে এই সংকট থাকবে না বলে তিনি জানান।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে জিয়া বাহিনীর ৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়ার সামিরা ঘোনা, মোহাম্মদ শাহ ঘোনা, নয়াপাড়া ও টেকপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো
১০ মিনিট আগেচট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অফিসার সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৫-এ সিনিয়র উপপরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) খলিলুর রহমান সভাপতি, সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন সহসভাপতি এবং ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মোহাম্মদ জামাল হোসেন...
২০ মিনিট আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় সাত ঘণ্টা স্থবির থাকার পর আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে ধীরে ধীরে পুনরায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। বিকেল থেকে বন্ধ থাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে সচল হওয়ায় পর্যায়ক্রমে ছেড়ে যাচ্ছে বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলো।
২৪ মিনিট আগেতরুণ গবেষকদের মিলনমেলা বসেছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি)। শনিবার ন্যাশনাল ইয়ুথ রিসার্চ সামিট-২০২৫ উপলক্ষে ববি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।
২৬ মিনিট আগে