সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

লোডশেডিং ও রং-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানাগুলো। জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
আবার কারখানা মালিকেরা ডিজেল চালিত জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ দিয়ে তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁত মালিকদের বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে আবার জেনারেটরও চালাতে হচ্ছে। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদনে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে তাঁত মালিকদের।
অপরদিকে, তাঁত শিল্পের এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। পরিবার নিয়ে শ্রমিকদের কোনোমতে দিন কাটছে। অনেকে বদলাচ্ছেন পেশা। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, মহাজন কাপড় বেচতে পারে না, তাই কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। আগে সারা দিনে একজন শ্রমিক ৭০০-৮০০ টাকার কাজ করতেন। এখন সারা দিনে একজন শ্রমিক ৩০০-৪০০ টাকার কাজ করছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমিকেরা।
তবে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি লিয়াজোঁ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকদের ঋণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করা হচ্ছে।
তাঁত মালিক তাঁতি নেতারা জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় তিন লাখ তাঁত কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি হয়। সুতায় রং দেওয়া, শুকানো, সুতা তৈরি ও কাপড় উৎপাদনের জন্য প্রতি তাঁকে ৩-৪ জন শ্রমিক প্রয়োজন। এতে মালিক কর্মচারী মিলে প্রায় চার লাখ শ্রমিক এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, বেলকুচি, এনায়েতপুর, রায়গঞ্জ, চৌহালী ও কাজীপুরে কম বেশি তাঁত কারখানা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয়। বিশেষ করে উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুর, পাঁচিল বাজারে সপ্তাহে দুই দিন কাপড়ের হাট হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসেন এসব হাটে। এমনকি সিরাজগঞ্জের কাপড় বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
বর্তমানে শ্রমিক সংকট, লোডশেডিংয়, রং ও সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে জেলার তাঁত কারখানাগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদামতো বিদ্যুৎ ও শ্রমিক না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধের উপক্রম। বেকার হয়ে পড়ছেন শ্রমিকেরা। অনেকে পেশা বদলাচ্ছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবার যতটুকু উৎপাদন হচ্ছে তাও হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে না বলে তাঁত মালিকেরা জানিয়েছেন। যে কারণে বাধ্য অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ রাখছেন। আবার বর্তমান সুতার বাজারমূল্য যা রয়েছে তাতে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এতে করে এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত মালিক হাজী মো. আবু শাহীন প্রামাণিক বলেন, তাঁত মালিক হিসেবে বর্তমানে আমরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। দিনের বেলায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় তেল, ডিজেল দিয়ে জেনারেটর এর সাহায্যে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে প্রচুর খরচ বেড়ে যায় এবং শ্রমিক থাকে না। বর্তমানে কাপড় ব্যবসায়ীরা লোকসানে রয়েছে। এর পর শ্রমিক সংকট রয়েছে। শ্রমিকের অভাবে কাপড় উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
সাউথ এশিয়া হাইটেক সাটেল ইন্ডাস্ট্রিজ এর ম্যানেজার (আমদানি-রপ্তানি) অনিমেষ সরকার বলেন, ‘বর্তমানে তাঁত শিল্পে শ্রমিক সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ১ মাস আগে ঈদ হয়েছে এখনো শ্রমিক আসেনি। আমাদের ৪০টি তাঁত মাত্র দুজন শ্রমিক এসেছে। আমাদের লুঙ্গি উৎপাদন হচ্ছে না স্টাফদের বেতন দেব কি করে। প্রতি সপ্তাহে স্টাফদের ঠিকই বেতন দিতে হচ্ছে। শ্রমিকেরা আসে না তার মূল কারণ হচ্ছে তা মজুরি বাড়াতে বলছেন। কিন্তু বাজারে রং-সুতার যে দাম তাতে উৎপাদন খরচ উঠছে না, ফলে মালামাল বিক্রি করতে পারছি না। শ্রমিকদের মজুরি কীভাবে বাড়াব।’
বেলকুচি লাকী সেভেন কটেজের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে তাঁতের দুর্দিন চলছে। তাঁত প্রায় বন্ধের পথে। সুতার দাম বেড়েছে অত্যধিক। সে তুলনাই কাপড়ের দাম বাড়েনি। শ্রমিকদের ঠিকমতো বিল দিতে পারি না। এই শিল্পের ওপর সরকারের নজর নাই। সরকারের কাছে দাবি এই তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে হলো সুতা, রং সহ যে সমস্ত কাঁচামাল রয়েছে তার দাম কমানো। তাহলে হয়তো এই শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব।’
বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের শ্রমিক শাহ আলম বলেন, ‘বর্তমানে তাঁত শিল্পের অবস্থা ভালো না। ঈদের আগ থেকেই মহাজনের কেনাবেচা ভালো। মহাজন কাপড় বেচতে পারে না এ জন্য কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আগে সারা দিনে ৭০০-৮০০ টাকা কাজ হয়েছে। এখন সারা দিনে ৩০০-৪০০ টাকা হয় না। বিল চাইলে কয় কাপড় বেচতে পারি নাই। আমরা কি করি। কীভাবে সংসার চলে।’
বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাজী বদিউজ্জামান বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলাকে তাঁত কুঞ্জু হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য হলো তাঁত শিল্প। জেলায় ৩ লাখ তাঁত রয়েছে। এই তাঁতে আমরা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি করে থাকি। করোনার সময় তাঁতের ব্যবসার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরবর্তীতে আশা ছিল আমাদের ব্যবসাটা ভালো হবে। কিন্তু দেখা গেল করোনার পরে তাঁত শিল্পের জন্য যে সমস্ত কাঁচামাল রয়েছে রং, সুতা, তুলা সবকিছুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। যার কারণে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এটি একটি বড় সমস্যা।
‘এখন শ্রমিকের প্রচুর সংকট রয়েছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিকেরা ঢাকামুখী হয়েছে। অনেকে মালয়েশিয়ায় চলে গেছে। যে কারণে শ্রমিক সংকট চলছে। আরেকটি কারণ রয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিদ্যুতের সমস্যা। জেনারেটর দিয়ে তাঁত চালাইতে গেলে দেখা যায় ১ লিটার তেলের দাম ১১০ টাকা। জেনারেটর দিয়ে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে খরচ বেশি হচ্ছে। যে কারণে কাপড় উৎপাদন করতে পারতেছিনা। সবকিছু মিলেই আজ তাঁত শিল্প ধ্বংসের পথে। ইতিমধ্যে জেলায় ৩ লাখ তাঁতের মধ্যে ১ লাখ তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। এর মূল কারণ শ্রমিক সংকটও কাঁচা মালের দাম বেশি। সরকার যদি তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে চায় তাহলে তাঁত মালিকদের জন্য একটি তাঁত ব্যাংক করা প্রয়োজন। এই ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁতিদের স্বল্প সুদে তাঁত লোন দেওয়া হয় তাহলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।’
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি-চৌহালী উপজেলার লিয়াজোঁ অফিসার তন্বী বলেন, ‘আমরা তাঁতিদের স্বাবলম্বী করতে তাদের লোন দিয়ে থাকি। আগে আমাদের লোন ছিল ১৩ হাজার টাকা। এখন আমরা সেই লোন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছি। ১৯টি তাঁত যাদের আছে তারা প্রান্তিক তাঁতি। তাদের জন্য আমরা লোনের ব্যবস্থা করেছি। তাঁতিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দুর্যোগ সময়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকি।’

লোডশেডিং ও রং-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানাগুলো। জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
আবার কারখানা মালিকেরা ডিজেল চালিত জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ দিয়ে তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁত মালিকদের বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে আবার জেনারেটরও চালাতে হচ্ছে। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদনে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে তাঁত মালিকদের।
অপরদিকে, তাঁত শিল্পের এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। পরিবার নিয়ে শ্রমিকদের কোনোমতে দিন কাটছে। অনেকে বদলাচ্ছেন পেশা। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, মহাজন কাপড় বেচতে পারে না, তাই কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। আগে সারা দিনে একজন শ্রমিক ৭০০-৮০০ টাকার কাজ করতেন। এখন সারা দিনে একজন শ্রমিক ৩০০-৪০০ টাকার কাজ করছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমিকেরা।
তবে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি লিয়াজোঁ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকদের ঋণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করা হচ্ছে।
তাঁত মালিক তাঁতি নেতারা জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় তিন লাখ তাঁত কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি হয়। সুতায় রং দেওয়া, শুকানো, সুতা তৈরি ও কাপড় উৎপাদনের জন্য প্রতি তাঁকে ৩-৪ জন শ্রমিক প্রয়োজন। এতে মালিক কর্মচারী মিলে প্রায় চার লাখ শ্রমিক এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, বেলকুচি, এনায়েতপুর, রায়গঞ্জ, চৌহালী ও কাজীপুরে কম বেশি তাঁত কারখানা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয়। বিশেষ করে উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুর, পাঁচিল বাজারে সপ্তাহে দুই দিন কাপড়ের হাট হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসেন এসব হাটে। এমনকি সিরাজগঞ্জের কাপড় বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
বর্তমানে শ্রমিক সংকট, লোডশেডিংয়, রং ও সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে জেলার তাঁত কারখানাগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদামতো বিদ্যুৎ ও শ্রমিক না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধের উপক্রম। বেকার হয়ে পড়ছেন শ্রমিকেরা। অনেকে পেশা বদলাচ্ছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবার যতটুকু উৎপাদন হচ্ছে তাও হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে না বলে তাঁত মালিকেরা জানিয়েছেন। যে কারণে বাধ্য অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ রাখছেন। আবার বর্তমান সুতার বাজারমূল্য যা রয়েছে তাতে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এতে করে এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত মালিক হাজী মো. আবু শাহীন প্রামাণিক বলেন, তাঁত মালিক হিসেবে বর্তমানে আমরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। দিনের বেলায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় তেল, ডিজেল দিয়ে জেনারেটর এর সাহায্যে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে প্রচুর খরচ বেড়ে যায় এবং শ্রমিক থাকে না। বর্তমানে কাপড় ব্যবসায়ীরা লোকসানে রয়েছে। এর পর শ্রমিক সংকট রয়েছে। শ্রমিকের অভাবে কাপড় উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
সাউথ এশিয়া হাইটেক সাটেল ইন্ডাস্ট্রিজ এর ম্যানেজার (আমদানি-রপ্তানি) অনিমেষ সরকার বলেন, ‘বর্তমানে তাঁত শিল্পে শ্রমিক সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ১ মাস আগে ঈদ হয়েছে এখনো শ্রমিক আসেনি। আমাদের ৪০টি তাঁত মাত্র দুজন শ্রমিক এসেছে। আমাদের লুঙ্গি উৎপাদন হচ্ছে না স্টাফদের বেতন দেব কি করে। প্রতি সপ্তাহে স্টাফদের ঠিকই বেতন দিতে হচ্ছে। শ্রমিকেরা আসে না তার মূল কারণ হচ্ছে তা মজুরি বাড়াতে বলছেন। কিন্তু বাজারে রং-সুতার যে দাম তাতে উৎপাদন খরচ উঠছে না, ফলে মালামাল বিক্রি করতে পারছি না। শ্রমিকদের মজুরি কীভাবে বাড়াব।’
বেলকুচি লাকী সেভেন কটেজের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে তাঁতের দুর্দিন চলছে। তাঁত প্রায় বন্ধের পথে। সুতার দাম বেড়েছে অত্যধিক। সে তুলনাই কাপড়ের দাম বাড়েনি। শ্রমিকদের ঠিকমতো বিল দিতে পারি না। এই শিল্পের ওপর সরকারের নজর নাই। সরকারের কাছে দাবি এই তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে হলো সুতা, রং সহ যে সমস্ত কাঁচামাল রয়েছে তার দাম কমানো। তাহলে হয়তো এই শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব।’
বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের শ্রমিক শাহ আলম বলেন, ‘বর্তমানে তাঁত শিল্পের অবস্থা ভালো না। ঈদের আগ থেকেই মহাজনের কেনাবেচা ভালো। মহাজন কাপড় বেচতে পারে না এ জন্য কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আগে সারা দিনে ৭০০-৮০০ টাকা কাজ হয়েছে। এখন সারা দিনে ৩০০-৪০০ টাকা হয় না। বিল চাইলে কয় কাপড় বেচতে পারি নাই। আমরা কি করি। কীভাবে সংসার চলে।’
বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাজী বদিউজ্জামান বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলাকে তাঁত কুঞ্জু হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য হলো তাঁত শিল্প। জেলায় ৩ লাখ তাঁত রয়েছে। এই তাঁতে আমরা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি করে থাকি। করোনার সময় তাঁতের ব্যবসার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরবর্তীতে আশা ছিল আমাদের ব্যবসাটা ভালো হবে। কিন্তু দেখা গেল করোনার পরে তাঁত শিল্পের জন্য যে সমস্ত কাঁচামাল রয়েছে রং, সুতা, তুলা সবকিছুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। যার কারণে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এটি একটি বড় সমস্যা।
‘এখন শ্রমিকের প্রচুর সংকট রয়েছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিকেরা ঢাকামুখী হয়েছে। অনেকে মালয়েশিয়ায় চলে গেছে। যে কারণে শ্রমিক সংকট চলছে। আরেকটি কারণ রয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিদ্যুতের সমস্যা। জেনারেটর দিয়ে তাঁত চালাইতে গেলে দেখা যায় ১ লিটার তেলের দাম ১১০ টাকা। জেনারেটর দিয়ে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে খরচ বেশি হচ্ছে। যে কারণে কাপড় উৎপাদন করতে পারতেছিনা। সবকিছু মিলেই আজ তাঁত শিল্প ধ্বংসের পথে। ইতিমধ্যে জেলায় ৩ লাখ তাঁতের মধ্যে ১ লাখ তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। এর মূল কারণ শ্রমিক সংকটও কাঁচা মালের দাম বেশি। সরকার যদি তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে চায় তাহলে তাঁত মালিকদের জন্য একটি তাঁত ব্যাংক করা প্রয়োজন। এই ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁতিদের স্বল্প সুদে তাঁত লোন দেওয়া হয় তাহলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।’
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি-চৌহালী উপজেলার লিয়াজোঁ অফিসার তন্বী বলেন, ‘আমরা তাঁতিদের স্বাবলম্বী করতে তাদের লোন দিয়ে থাকি। আগে আমাদের লোন ছিল ১৩ হাজার টাকা। এখন আমরা সেই লোন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছি। ১৯টি তাঁত যাদের আছে তারা প্রান্তিক তাঁতি। তাদের জন্য আমরা লোনের ব্যবস্থা করেছি। তাঁতিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দুর্যোগ সময়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকি।’
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

লোডশেডিং ও রং-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানাগুলো। জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
আবার কারখানা মালিকেরা ডিজেল চালিত জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ দিয়ে তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁত মালিকদের বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে আবার জেনারেটরও চালাতে হচ্ছে। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদনে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে তাঁত মালিকদের।
অপরদিকে, তাঁত শিল্পের এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। পরিবার নিয়ে শ্রমিকদের কোনোমতে দিন কাটছে। অনেকে বদলাচ্ছেন পেশা। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, মহাজন কাপড় বেচতে পারে না, তাই কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। আগে সারা দিনে একজন শ্রমিক ৭০০-৮০০ টাকার কাজ করতেন। এখন সারা দিনে একজন শ্রমিক ৩০০-৪০০ টাকার কাজ করছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমিকেরা।
তবে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি লিয়াজোঁ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকদের ঋণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করা হচ্ছে।
তাঁত মালিক তাঁতি নেতারা জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় তিন লাখ তাঁত কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি হয়। সুতায় রং দেওয়া, শুকানো, সুতা তৈরি ও কাপড় উৎপাদনের জন্য প্রতি তাঁকে ৩-৪ জন শ্রমিক প্রয়োজন। এতে মালিক কর্মচারী মিলে প্রায় চার লাখ শ্রমিক এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, বেলকুচি, এনায়েতপুর, রায়গঞ্জ, চৌহালী ও কাজীপুরে কম বেশি তাঁত কারখানা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয়। বিশেষ করে উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুর, পাঁচিল বাজারে সপ্তাহে দুই দিন কাপড়ের হাট হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসেন এসব হাটে। এমনকি সিরাজগঞ্জের কাপড় বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
বর্তমানে শ্রমিক সংকট, লোডশেডিংয়, রং ও সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে জেলার তাঁত কারখানাগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদামতো বিদ্যুৎ ও শ্রমিক না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধের উপক্রম। বেকার হয়ে পড়ছেন শ্রমিকেরা। অনেকে পেশা বদলাচ্ছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবার যতটুকু উৎপাদন হচ্ছে তাও হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে না বলে তাঁত মালিকেরা জানিয়েছেন। যে কারণে বাধ্য অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ রাখছেন। আবার বর্তমান সুতার বাজারমূল্য যা রয়েছে তাতে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এতে করে এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত মালিক হাজী মো. আবু শাহীন প্রামাণিক বলেন, তাঁত মালিক হিসেবে বর্তমানে আমরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। দিনের বেলায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় তেল, ডিজেল দিয়ে জেনারেটর এর সাহায্যে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে প্রচুর খরচ বেড়ে যায় এবং শ্রমিক থাকে না। বর্তমানে কাপড় ব্যবসায়ীরা লোকসানে রয়েছে। এর পর শ্রমিক সংকট রয়েছে। শ্রমিকের অভাবে কাপড় উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
সাউথ এশিয়া হাইটেক সাটেল ইন্ডাস্ট্রিজ এর ম্যানেজার (আমদানি-রপ্তানি) অনিমেষ সরকার বলেন, ‘বর্তমানে তাঁত শিল্পে শ্রমিক সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ১ মাস আগে ঈদ হয়েছে এখনো শ্রমিক আসেনি। আমাদের ৪০টি তাঁত মাত্র দুজন শ্রমিক এসেছে। আমাদের লুঙ্গি উৎপাদন হচ্ছে না স্টাফদের বেতন দেব কি করে। প্রতি সপ্তাহে স্টাফদের ঠিকই বেতন দিতে হচ্ছে। শ্রমিকেরা আসে না তার মূল কারণ হচ্ছে তা মজুরি বাড়াতে বলছেন। কিন্তু বাজারে রং-সুতার যে দাম তাতে উৎপাদন খরচ উঠছে না, ফলে মালামাল বিক্রি করতে পারছি না। শ্রমিকদের মজুরি কীভাবে বাড়াব।’
বেলকুচি লাকী সেভেন কটেজের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে তাঁতের দুর্দিন চলছে। তাঁত প্রায় বন্ধের পথে। সুতার দাম বেড়েছে অত্যধিক। সে তুলনাই কাপড়ের দাম বাড়েনি। শ্রমিকদের ঠিকমতো বিল দিতে পারি না। এই শিল্পের ওপর সরকারের নজর নাই। সরকারের কাছে দাবি এই তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে হলো সুতা, রং সহ যে সমস্ত কাঁচামাল রয়েছে তার দাম কমানো। তাহলে হয়তো এই শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব।’
বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের শ্রমিক শাহ আলম বলেন, ‘বর্তমানে তাঁত শিল্পের অবস্থা ভালো না। ঈদের আগ থেকেই মহাজনের কেনাবেচা ভালো। মহাজন কাপড় বেচতে পারে না এ জন্য কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আগে সারা দিনে ৭০০-৮০০ টাকা কাজ হয়েছে। এখন সারা দিনে ৩০০-৪০০ টাকা হয় না। বিল চাইলে কয় কাপড় বেচতে পারি নাই। আমরা কি করি। কীভাবে সংসার চলে।’
বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাজী বদিউজ্জামান বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলাকে তাঁত কুঞ্জু হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য হলো তাঁত শিল্প। জেলায় ৩ লাখ তাঁত রয়েছে। এই তাঁতে আমরা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি করে থাকি। করোনার সময় তাঁতের ব্যবসার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরবর্তীতে আশা ছিল আমাদের ব্যবসাটা ভালো হবে। কিন্তু দেখা গেল করোনার পরে তাঁত শিল্পের জন্য যে সমস্ত কাঁচামাল রয়েছে রং, সুতা, তুলা সবকিছুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। যার কারণে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এটি একটি বড় সমস্যা।
‘এখন শ্রমিকের প্রচুর সংকট রয়েছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিকেরা ঢাকামুখী হয়েছে। অনেকে মালয়েশিয়ায় চলে গেছে। যে কারণে শ্রমিক সংকট চলছে। আরেকটি কারণ রয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিদ্যুতের সমস্যা। জেনারেটর দিয়ে তাঁত চালাইতে গেলে দেখা যায় ১ লিটার তেলের দাম ১১০ টাকা। জেনারেটর দিয়ে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে খরচ বেশি হচ্ছে। যে কারণে কাপড় উৎপাদন করতে পারতেছিনা। সবকিছু মিলেই আজ তাঁত শিল্প ধ্বংসের পথে। ইতিমধ্যে জেলায় ৩ লাখ তাঁতের মধ্যে ১ লাখ তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। এর মূল কারণ শ্রমিক সংকটও কাঁচা মালের দাম বেশি। সরকার যদি তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে চায় তাহলে তাঁত মালিকদের জন্য একটি তাঁত ব্যাংক করা প্রয়োজন। এই ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁতিদের স্বল্প সুদে তাঁত লোন দেওয়া হয় তাহলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।’
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি-চৌহালী উপজেলার লিয়াজোঁ অফিসার তন্বী বলেন, ‘আমরা তাঁতিদের স্বাবলম্বী করতে তাদের লোন দিয়ে থাকি। আগে আমাদের লোন ছিল ১৩ হাজার টাকা। এখন আমরা সেই লোন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছি। ১৯টি তাঁত যাদের আছে তারা প্রান্তিক তাঁতি। তাদের জন্য আমরা লোনের ব্যবস্থা করেছি। তাঁতিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দুর্যোগ সময়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকি।’

লোডশেডিং ও রং-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানাগুলো। জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
আবার কারখানা মালিকেরা ডিজেল চালিত জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ দিয়ে তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁত মালিকদের বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে আবার জেনারেটরও চালাতে হচ্ছে। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদনে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে তাঁত মালিকদের।
অপরদিকে, তাঁত শিল্পের এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। পরিবার নিয়ে শ্রমিকদের কোনোমতে দিন কাটছে। অনেকে বদলাচ্ছেন পেশা। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, মহাজন কাপড় বেচতে পারে না, তাই কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। আগে সারা দিনে একজন শ্রমিক ৭০০-৮০০ টাকার কাজ করতেন। এখন সারা দিনে একজন শ্রমিক ৩০০-৪০০ টাকার কাজ করছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমিকেরা।
তবে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি লিয়াজোঁ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকদের ঋণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করা হচ্ছে।
তাঁত মালিক তাঁতি নেতারা জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় তিন লাখ তাঁত কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি হয়। সুতায় রং দেওয়া, শুকানো, সুতা তৈরি ও কাপড় উৎপাদনের জন্য প্রতি তাঁকে ৩-৪ জন শ্রমিক প্রয়োজন। এতে মালিক কর্মচারী মিলে প্রায় চার লাখ শ্রমিক এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, বেলকুচি, এনায়েতপুর, রায়গঞ্জ, চৌহালী ও কাজীপুরে কম বেশি তাঁত কারখানা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয়। বিশেষ করে উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুর, পাঁচিল বাজারে সপ্তাহে দুই দিন কাপড়ের হাট হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসেন এসব হাটে। এমনকি সিরাজগঞ্জের কাপড় বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
বর্তমানে শ্রমিক সংকট, লোডশেডিংয়, রং ও সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে জেলার তাঁত কারখানাগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদামতো বিদ্যুৎ ও শ্রমিক না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধের উপক্রম। বেকার হয়ে পড়ছেন শ্রমিকেরা। অনেকে পেশা বদলাচ্ছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবার যতটুকু উৎপাদন হচ্ছে তাও হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে না বলে তাঁত মালিকেরা জানিয়েছেন। যে কারণে বাধ্য অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ রাখছেন। আবার বর্তমান সুতার বাজারমূল্য যা রয়েছে তাতে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এতে করে এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত মালিক হাজী মো. আবু শাহীন প্রামাণিক বলেন, তাঁত মালিক হিসেবে বর্তমানে আমরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। দিনের বেলায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় তেল, ডিজেল দিয়ে জেনারেটর এর সাহায্যে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে প্রচুর খরচ বেড়ে যায় এবং শ্রমিক থাকে না। বর্তমানে কাপড় ব্যবসায়ীরা লোকসানে রয়েছে। এর পর শ্রমিক সংকট রয়েছে। শ্রমিকের অভাবে কাপড় উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
সাউথ এশিয়া হাইটেক সাটেল ইন্ডাস্ট্রিজ এর ম্যানেজার (আমদানি-রপ্তানি) অনিমেষ সরকার বলেন, ‘বর্তমানে তাঁত শিল্পে শ্রমিক সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ১ মাস আগে ঈদ হয়েছে এখনো শ্রমিক আসেনি। আমাদের ৪০টি তাঁত মাত্র দুজন শ্রমিক এসেছে। আমাদের লুঙ্গি উৎপাদন হচ্ছে না স্টাফদের বেতন দেব কি করে। প্রতি সপ্তাহে স্টাফদের ঠিকই বেতন দিতে হচ্ছে। শ্রমিকেরা আসে না তার মূল কারণ হচ্ছে তা মজুরি বাড়াতে বলছেন। কিন্তু বাজারে রং-সুতার যে দাম তাতে উৎপাদন খরচ উঠছে না, ফলে মালামাল বিক্রি করতে পারছি না। শ্রমিকদের মজুরি কীভাবে বাড়াব।’
বেলকুচি লাকী সেভেন কটেজের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে তাঁতের দুর্দিন চলছে। তাঁত প্রায় বন্ধের পথে। সুতার দাম বেড়েছে অত্যধিক। সে তুলনাই কাপড়ের দাম বাড়েনি। শ্রমিকদের ঠিকমতো বিল দিতে পারি না। এই শিল্পের ওপর সরকারের নজর নাই। সরকারের কাছে দাবি এই তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে হলো সুতা, রং সহ যে সমস্ত কাঁচামাল রয়েছে তার দাম কমানো। তাহলে হয়তো এই শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব।’
বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের শ্রমিক শাহ আলম বলেন, ‘বর্তমানে তাঁত শিল্পের অবস্থা ভালো না। ঈদের আগ থেকেই মহাজনের কেনাবেচা ভালো। মহাজন কাপড় বেচতে পারে না এ জন্য কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আগে সারা দিনে ৭০০-৮০০ টাকা কাজ হয়েছে। এখন সারা দিনে ৩০০-৪০০ টাকা হয় না। বিল চাইলে কয় কাপড় বেচতে পারি নাই। আমরা কি করি। কীভাবে সংসার চলে।’
বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাজী বদিউজ্জামান বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলাকে তাঁত কুঞ্জু হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য হলো তাঁত শিল্প। জেলায় ৩ লাখ তাঁত রয়েছে। এই তাঁতে আমরা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি করে থাকি। করোনার সময় তাঁতের ব্যবসার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরবর্তীতে আশা ছিল আমাদের ব্যবসাটা ভালো হবে। কিন্তু দেখা গেল করোনার পরে তাঁত শিল্পের জন্য যে সমস্ত কাঁচামাল রয়েছে রং, সুতা, তুলা সবকিছুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। যার কারণে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এটি একটি বড় সমস্যা।
‘এখন শ্রমিকের প্রচুর সংকট রয়েছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিকেরা ঢাকামুখী হয়েছে। অনেকে মালয়েশিয়ায় চলে গেছে। যে কারণে শ্রমিক সংকট চলছে। আরেকটি কারণ রয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিদ্যুতের সমস্যা। জেনারেটর দিয়ে তাঁত চালাইতে গেলে দেখা যায় ১ লিটার তেলের দাম ১১০ টাকা। জেনারেটর দিয়ে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে খরচ বেশি হচ্ছে। যে কারণে কাপড় উৎপাদন করতে পারতেছিনা। সবকিছু মিলেই আজ তাঁত শিল্প ধ্বংসের পথে। ইতিমধ্যে জেলায় ৩ লাখ তাঁতের মধ্যে ১ লাখ তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। এর মূল কারণ শ্রমিক সংকটও কাঁচা মালের দাম বেশি। সরকার যদি তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে চায় তাহলে তাঁত মালিকদের জন্য একটি তাঁত ব্যাংক করা প্রয়োজন। এই ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁতিদের স্বল্প সুদে তাঁত লোন দেওয়া হয় তাহলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।’
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি-চৌহালী উপজেলার লিয়াজোঁ অফিসার তন্বী বলেন, ‘আমরা তাঁতিদের স্বাবলম্বী করতে তাদের লোন দিয়ে থাকি। আগে আমাদের লোন ছিল ১৩ হাজার টাকা। এখন আমরা সেই লোন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছি। ১৯টি তাঁত যাদের আছে তারা প্রান্তিক তাঁতি। তাদের জন্য আমরা লোনের ব্যবস্থা করেছি। তাঁতিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দুর্যোগ সময়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকি।’

ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
৬ মিনিট আগে
দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১০ মিনিট আগে
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৪৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
১ ঘণ্টা আগেনুরুল আমিন হাসান, উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা)

প্রথমে মোটরসাইকেলে, দ্বিতীয় দফায় মাইক্রোবাস দিয়ে রিকশাকে চাপা দিয়ে পথরোধ করা হয়। পরবর্তীকালে মাইক্রোবাস থেকে র্যাব লেখা কটি পড়া দু-তিনজন অস্ত্র হাতে বের হয়ে রিকশায় থাকা অমি কনস্ট্রাকশনের দেলোয়ার হোসেন ও শফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে আটক করেন। মাইক্রোবাসে থাকা কয়েকজন দেলোয়ারের বিরুদ্ধে উত্তরার জসিম উদ্দিনে বোমা ও বাসে আগুন এবং সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের জন্য টাকা নিয়ে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগ তুলে তাদের জোরপূর্বক গাড়িতে তোলা হয়।
এরপর ‘ভুক্তভোগীদের’ চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছে থাকা ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭০০ টাকার ব্যাগটি কেড়ে নেন ভুয়া র্যাব সদস্যরা।
রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৯ নম্বর সড়কে গত ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে কনস্ট্রাকশনের দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে র্যাব সেজে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের উত্তরার দিয়াবাড়ির ১৬ নম্বর সেক্টরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেলা যাওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।
ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা। তিনিই এ ঘটনার হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং লুট হওয়া টাকার একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার পর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে রাজধানীর কদমতলীর শনির আখড়া ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে ৮ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় মো. সুলতান (৪২) ও জসিম উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতে উত্তর মুগদার সাইফুলের সিএনজি গ্যারেজ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ সময় সুজন মিয়া ওরফে শাকিল ওরফে ভাতিজাকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে অমি কনস্ট্রাকশন থেকে স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে এবং উত্তরখানের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান মুন্নাকে (৪৪) গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ ডিসেম্বর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসা থেকে ডাকাতি করা টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুজ্জামান জানান, কনস্ট্রাকশনের টাকা ডাকাতির পর মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৮ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে র্যাব সেজে ডাকাতির কাজে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জসিম উদ্দিনে ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
র্যাব সেজে ডাকাতির পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মুনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর উত্তরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য সেজে ডাকাতি করে আসছিলেন। ওই চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বাকি টাকা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

প্রথমে মোটরসাইকেলে, দ্বিতীয় দফায় মাইক্রোবাস দিয়ে রিকশাকে চাপা দিয়ে পথরোধ করা হয়। পরবর্তীকালে মাইক্রোবাস থেকে র্যাব লেখা কটি পড়া দু-তিনজন অস্ত্র হাতে বের হয়ে রিকশায় থাকা অমি কনস্ট্রাকশনের দেলোয়ার হোসেন ও শফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে আটক করেন। মাইক্রোবাসে থাকা কয়েকজন দেলোয়ারের বিরুদ্ধে উত্তরার জসিম উদ্দিনে বোমা ও বাসে আগুন এবং সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের জন্য টাকা নিয়ে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগ তুলে তাদের জোরপূর্বক গাড়িতে তোলা হয়।
এরপর ‘ভুক্তভোগীদের’ চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছে থাকা ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭০০ টাকার ব্যাগটি কেড়ে নেন ভুয়া র্যাব সদস্যরা।
রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৯ নম্বর সড়কে গত ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে কনস্ট্রাকশনের দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে র্যাব সেজে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের উত্তরার দিয়াবাড়ির ১৬ নম্বর সেক্টরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেলা যাওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।
ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা। তিনিই এ ঘটনার হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং লুট হওয়া টাকার একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার পর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে রাজধানীর কদমতলীর শনির আখড়া ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে ৮ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় মো. সুলতান (৪২) ও জসিম উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতে উত্তর মুগদার সাইফুলের সিএনজি গ্যারেজ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ সময় সুজন মিয়া ওরফে শাকিল ওরফে ভাতিজাকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে অমি কনস্ট্রাকশন থেকে স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে এবং উত্তরখানের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান মুন্নাকে (৪৪) গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ ডিসেম্বর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসা থেকে ডাকাতি করা টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুজ্জামান জানান, কনস্ট্রাকশনের টাকা ডাকাতির পর মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৮ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে র্যাব সেজে ডাকাতির কাজে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জসিম উদ্দিনে ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
র্যাব সেজে ডাকাতির পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মুনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর উত্তরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য সেজে ডাকাতি করে আসছিলেন। ওই চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বাকি টাকা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

লোডশেডিং ও রং-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানাগুলো। জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
০২ জুন ২০২৩
দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১০ মিনিট আগে
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৪৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
১ ঘণ্টা আগেকুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কুতুবদিয়া বাতিঘরের পাশে এই লাইটহাউস সি-বিচটির অবস্থান। এখানে বসানো হয়েছে টিকটক চেয়ার। এই সৈকত থেকে দেখা যাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি জাহাজ। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত আর কক্সবাজার সৈকতের আবহ পাওয়া যাবে এখানে। সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজ দেখে মনে হবে এটি যেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা। আবার বালুচর দেখে মনে হবে, এটি যেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। ২৩ কিলোমিটারের এই সৈকতে পর্যটক টানতে পারলে সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়ার ওপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ ধুরুং বাতিঘর পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা লাইটহাউস সি বিচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনাময় পর্যটনের যাত্রা শুরু হয়েছে আজ থেকে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে দ্বীপের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে এই লাইটহাউস সি-বিচ। ফলে অর্থনৈতিক জোগান হবে এই বিনোদন কেন্দ্রকে ঘিরেই।
লাইটহাউস সি-বিচ উদ্বোধন ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে উঠে পরিবেশ। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুরা এখানে বেড়াতে আসে। রাত পর্যন্ত চলে আবরার শাহীনসহ এক ঝাঁক শিল্পীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলা থেকে বেড়াতে আসা তরুণ আবদুল হামিদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, কুতুবদিয়ায় লাইটহাউস সি-বিচ উদ্বোধন করা হবে। আমরা ১০ জন এসেছি। এসে খুবই ভালো লাগতেছে। , কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের যে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমরা যাই, তা কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে এসেও পাব।
দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, সম্ভাবনার দ্বীপ কুতুবদিয়ায় প্রকৃতির দান। এখানে পর্যটনের সুযোগ আছে। আমরা শুরু করেছি। জনগণ ও প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে হবে। সৃষ্টি হবে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের। একদিন হয়তো ভ্রমণপিপাসুরা সেন্টমার্টিন না গিয়ে সাগরকন্যা কুতুবদিয়ায় ভ্রমণ করতে আসবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. মাহবুবুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আবুসউদ্দিন, ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোর্শেদুল আলম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. ফরহাদ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কুতুবদিয়া বাতিঘরের পাশে এই লাইটহাউস সি-বিচটির অবস্থান। এখানে বসানো হয়েছে টিকটক চেয়ার। এই সৈকত থেকে দেখা যাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি জাহাজ। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত আর কক্সবাজার সৈকতের আবহ পাওয়া যাবে এখানে। সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজ দেখে মনে হবে এটি যেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা। আবার বালুচর দেখে মনে হবে, এটি যেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। ২৩ কিলোমিটারের এই সৈকতে পর্যটক টানতে পারলে সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়ার ওপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ ধুরুং বাতিঘর পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা লাইটহাউস সি বিচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনাময় পর্যটনের যাত্রা শুরু হয়েছে আজ থেকে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে দ্বীপের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে এই লাইটহাউস সি-বিচ। ফলে অর্থনৈতিক জোগান হবে এই বিনোদন কেন্দ্রকে ঘিরেই।
লাইটহাউস সি-বিচ উদ্বোধন ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে উঠে পরিবেশ। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুরা এখানে বেড়াতে আসে। রাত পর্যন্ত চলে আবরার শাহীনসহ এক ঝাঁক শিল্পীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলা থেকে বেড়াতে আসা তরুণ আবদুল হামিদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, কুতুবদিয়ায় লাইটহাউস সি-বিচ উদ্বোধন করা হবে। আমরা ১০ জন এসেছি। এসে খুবই ভালো লাগতেছে। , কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের যে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমরা যাই, তা কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে এসেও পাব।
দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, সম্ভাবনার দ্বীপ কুতুবদিয়ায় প্রকৃতির দান। এখানে পর্যটনের সুযোগ আছে। আমরা শুরু করেছি। জনগণ ও প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে হবে। সৃষ্টি হবে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের। একদিন হয়তো ভ্রমণপিপাসুরা সেন্টমার্টিন না গিয়ে সাগরকন্যা কুতুবদিয়ায় ভ্রমণ করতে আসবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. মাহবুবুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আবুসউদ্দিন, ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোর্শেদুল আলম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. ফরহাদ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

লোডশেডিং ও রং-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানাগুলো। জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
০২ জুন ২০২৩
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
৬ মিনিট আগে
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৪৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
১ ঘণ্টা আগেবকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

লোডশেডিং ও রং-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানাগুলো। জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
০২ জুন ২০২৩
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
৬ মিনিট আগে
দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
১ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

লোডশেডিং ও রং-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জে তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানাগুলো। জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
০২ জুন ২০২৩
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
৬ মিনিট আগে
দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১০ মিনিট আগে
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৪৩ মিনিট আগে