Ajker Patrika

প্রথমবার যাত্রী নিয়ে যমুনা রেলসেতু পাড়ি দিল ট্রেন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৪০
যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

যাত্রী নিয়ে প্রথমবারের মতো যমুনা রেলসেতু পাড়ি দিল দুটি ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের নতুন রেল যোগাযোগ শুরু হলো।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ১২ মিনিটে যমুনা রেলসেতু দিয়ে রাজশাহী থেকে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি দেয়। আর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন রেলসেতু পাড়ি দেয়।

যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সেতুর দুটি লাইনের মধ্যে একটি লাইনে আজ বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হলো। পর্যায়ক্রমে শিডিউল অনুযায়ী বাকি ট্রেনগুলো চলবে। যমুনা সেতু দিয়ে আর ট্রেন চলবে না।

আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান আরও বলেন, রেলসেতুতে দুটি লাইন থাকলেও আজ একটি লাইন দিয়েই উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে। কাল ঢাকা থেকে যেতে ডান পাশের লাইন, অর্থাৎ সেতুর উত্তর পাশের লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেলযোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৬ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে।

এ সমস্যার সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যমুনা বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে সরকার।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেলসেতুটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ২০২১ সালের মার্চে রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।

প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। দেশের বৃহত্তর এই রেলসেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতু ব্যবহারের জন্য ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোয় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রি। ছবি: সংগৃহীত
আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে মামলার রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শামীম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার শেরেবাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আ. মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে সততা অয়েল মিলসের ১০ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেন আসামি আশরাফসহ আরও পাঁচজন।

ওই ঘটনায় সততা অয়েল মিলের মালিক নওশের আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন; যা পরে এজাহার হিসেবে (মামলা নম্বর এসটিসি-৮৩/১১) রেকর্ড হয়। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আদালতে ৭ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। মামলা চলাকালীন ২০২১ সালে মামলার অপর আসামি হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান।

ওই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার (২০ অক্টোবর) রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। রায়ে আসামি আশরাফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দবির উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে আমরা সমর্থ হয়েছি। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’

মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর পুত্র সততা অয়েল মিলসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ জানান, রায়ে তিনি আংশিক সন্তুষ্ট। তবে মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা শেরেবাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এতে কিছুটা হতাশ।

তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্য আসামিদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁদেরও শাস্তি নিশ্চিতের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, মোটরসাইকেলে তাঁরা মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় পেছন দিক থেকে আসা অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাঁদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাউদকান্দিতে ট্রাকচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ওরফে ডালিম। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ওরফে ডালিম। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ট্রাকচালক আলামিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ওরফে ডালিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার দাউদকান্দি মডেল থানা-পুলিশের সহযোগিতায় র‍্যাব সদস্যরা ঢাকার বনানী থানার কাকলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডালিম উপজেলার গোয়ালমারী ইউনিয়নের হাউদি গ্রামের হোসেন প্রধানের ছেলে।

উল্লেখ্য, গত মাসে আলামিনকে দ্বীন ইসলাম কিলঘুষি মেরে হত্যা করেন।

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার দ্বীন ইসলামকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপা. ও মেইন.) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি এবং ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩-এর উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল মন্নান, কুর্মিটোলা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নাহিদ মামুন ও ফায়ার সার্ভিস ঢাকা-১৯-এর ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. তোজাম্মেল হোসেন।

কমিটিকে অবিলম্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নীতিমালা অনুসারে দুই পাতায় তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে দাখিল করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন কার্গো ভিলেজে (আমদানি পণ্যের মজুত স্থান) অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত